Ajker Patrika

‘ইন্টারনেট থেকে কৌশল শিখে মোটরসাইকেল চুরি করতেন তাঁরা’

পাবনা প্রতিনিধি
‘ইন্টারনেট থেকে কৌশল শিখে মোটরসাইকেল চুরি করতেন তাঁরা’

মোটরসাইকেলের লক ভাঙার অভিনব কৌশল ইন্টারনেট থেকে শিখেছেন চোরচক্রের সদস্যেরা। সেই কৌশল কাজে লাগিয়ে চোখের পলকে ১-২ মিনিটের মধ্যে একটি মোটরসাইকেলের লক খুলে চুরি করে নিয়ে যান তাঁরা। চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর তাদের কাছ থেকে এমনই তথ্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ৬ ও ৭ মার্চ পাবনা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পাবনা জেলা ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি হওয়া সাতটি গাড়ি জব্দ করা হয়। 

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুনসী। এরপর গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকদিয়ার গ্রামের মনিরুল শেখ (২০), আতাইকুলা থানার শ্রীকোল চরপাড়া গ্রামের শাহীন আলম সুজন (২৫) ও একই থানার কৈজুরী শ্রীপুর গ্রামের মুরাদ প্রামাণিক (৪৫)। 

পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী জানান, গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে পাবনা সদর উপজেলার দোহারপাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেলটি চুরি করে সংঘবদ্ধ চোরচক্র। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল মালিক আহম্মেদ আলী মুন্সী ৮ ফেব্রুয়ারি সদর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল গত ৬ ও ৭ মার্চ পাবনা সদর, আতাইকুলা ও সুজানগর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চোরচক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের দেওয়া তথ্যে উদ্ধার করা হয় বিভিন্ন সময় চুরি হওয়া সাতটি চোরাই মোটরসাইকেল। 

গ্রেপ্তার শাহীন আলম সুজনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী বলেন, ‘ইন্টারনেট থেকে সুজন মোটরসাইকেলের লক খোলার কৌশল শিখেছেন। মূলত লক খোলা বা ভাঙার কাজটা তিনিই করেন। চুরি করার সময় তাঁরা তিনজন ঘটনাস্থলে অবস্থান করেন। একজন মোটরসাইকেলের মালিকের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেন, একজন মোটরসাইকেলের লক ভাঙেন এবং সব শেষে অন্যজন মোটরসাইকেল চালিয়ে পালিয়ে যান। পরে চোরাইকৃত মোটরসাইকেল একজনের গ্যারেজে নিয়ে মোটরসাইকেলের লকসেট, রং পরিবর্তন করে গ্রাহকের কাছে ৪০-৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এই গ্রুপের টার্গেট মূলত পালসার মোটরসাইকেল।’ 

এ সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জিয়াউর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (এসএএফ) আরজুমান আক্তার, ডিবি পুলিশের ওসি এমরান মাহমুদ তুহিন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাংবাদিক পরিচয়ে ঘরে ঢুকে ডাকাতি, গ্রেপ্তার ৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রামে খুলশীতে সাংবাদিক পরিচয়ে একটি ফ্ল্যাটে ঢুকে ডাকাতি করার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরের কোতোয়ালি, বায়েজিদ ও ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। এ সময় একটি প্রাইভেট কার ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন আব্দুল মতিন রাসেল (৩৫), আশরাফুল ইসলাম সাহেদ (২৯), মো. মমিন (২৮), শারমিন আক্তার রিমা (৩০), নুর মোহাম্মদ সাব্বির রকি (২২), রুবেল হোসেন (৩১) ও মো. ফয়সাল।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর-দক্ষিণ) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ১০ অক্টোবর দুপুর সোয়া ১২টায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ১০ থেকে ১২ জন খুলশী আবাসিকে একটি চতুর্থ তলার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করেন। এরপর ওই বাসায় থাকা তিনজন নারীকে ধারালো ছোরা দিয়ে জিম্মি করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে ডাকাতি করে। তাঁরা বাসার সোনার গয়না, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ও ভবনের নিচে পার্কিংয়ে রাখা একটি প্রাইভেট কারও নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন খুলশী থানায় একটি মামলা হয়। গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাটির ছায়া তদন্তে নেমে অভিযান চালিয়ে প্রথমে সাহেদ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর দেওয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় পতেঙ্গা এলাকার একটি গ্যারেজ থেকে লুট করা প্রাইভেট কারটি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মা ও শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাগলা থানার দত্তের বাজার ইউনিয়নের বিরই গ্রাম থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় আজ শুক্রবার পাগলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। মৃত নারীর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন মর্জিনা বেগম (২৪) ও তাঁর মেয়ে ময়না (৩)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মৃত মর্জিনা বিরই গ্রামের সৌদিপ্রবাসী শাহীনের স্ত্রী। ছয় মাস ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন মর্জিনা। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য শাহীন আড়াই মাস আগে দেশে ফেরেন। এরপর স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে স্ত্রীর চিকিৎসা করাচ্ছিলেন তিনি। গতকাল বিকেলে শাহীন বাড়ি ফিরে দরজা বন্ধ পান। বেশ কিছু সময় ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পাশের রুমের ওপর দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানের ঝুলন্ত লাশ দেখে চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পাগলা থানা-পুলিশ সন্ধ্যার দিকে ঘটনাস্থলে এসে ঘরে দরজা ভেঙে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান।

প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘এই দম্পতির পারিবারিক কোনো সমস্যার কথা শুনি নাই। তবে কয়েক মাস ধরে মর্জিনা মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তাঁর স্বামী প্রায়ই বলতেন।’

পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ‘মা ও শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চুরি ঠেকাতে রাতে চাতাল পাহারা, ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি ঠেকাতে রাতে নিজের চাতালে পাহারা দিতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে এক প্রবীণ ব্যবসায়ীর। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর মাস্টারপাড়ার কাদের চাতালে আজ শুক্রবার ভোরে ওই ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম খায়রুল ইসলাম (৭২)। তিনি ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। তিনি চাতালটি ভাড়া নিয়ে ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করতেন।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি গোডাউন থেকে নিয়মিতভাবে ভুট্টা ও ধানের বস্তা চুরি হচ্ছিল। এতে অতিষ্ঠ হয়ে খাইরুল ইসলাম নিজেই চোর ধরার জন্য রাত্রিকালীন পাহারাদারের কাজ শুরু করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তিনি চাতালে আসেন।

আজ ভোর ৩টা নাগাদ কাদের চাতালের দায়িত্বে থাকা নাইট গার্ড চাতালে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য নাইট গার্ডকে খবর দেন। খবর পেয়ে খাইরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন এবং তাঁকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

মৃত ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, খাইরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁদের ধারণা, চাতালে অবস্থান করার সময় তিনি স্ট্রোক অথবা সুগার (ডায়াবেটিস) কমে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়।

রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান হান্নু জানান, খাইরুল ইসলাম সাবেক সুগার মিলে কর্মরত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি অবসর নেন। অবসরের পর তিনি সিজনভিত্তিক ধান, গম ও ভুট্টার ব্যবসা করতেন। চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেন, তিনি ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপপরিদর্শক এমদাদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল রিপোর্টে নিহতের শরীরে কোনো রকম আঘাত বা অস্বাভাবিক কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। পরিবারের পক্ষ থেকেও কোনো অভিযোগ নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা-ছেলের মৃত্যু

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি 
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঘটনাস্থলে লোকজনের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সেচযন্ত্র চালু করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের পশ্চিম বাছহাটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলো মো. শহিদুল ইসলাম (৪০) ও তাঁর ছেলে মো. শিয়াব মিয়া (১৪)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সর্বানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জহুরুল ইসলাম। মৃত ব্যক্তিদের স্বজনদের বরাতে তিনি বলেন, ধানখেতে পানি দেওয়ার জন্য সকাল ১০টার দিকে বিদ্যুৎ-চালিত সেচযন্ত্র নিয়ে পুকুরপাড়ে যায় বাবা ও ছেলে। ঘণ্টাখানেক পরে শিয়াবের মা ওই পুকুরপাড়ে যান। তিনি সেখানে ছেলের লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। পরে স্থানীয় লোকজন এসে শিয়াবের লাশ বাড়িতে নেন। এর কিছুক্ষণ পরে শহিদুল ইসলামের খোঁজে পুকুরপাড়ে আবারও যান তাঁর স্বজনেরা। তখন তাঁর লাশও পুকুরে পাওয়া যায়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘বিদ্যুৎচালিত সেচপাম্পে বিদ্যুতায়িত বাবা ও ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত