ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে তর্কাতর্কি থেকে মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাঙচুর

ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের বিরোধ গড়াল মারামারি, ককটেল বিস্ফোরণ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের পরিস্থিতিতে। আজ শনিবার (১৪ জুন) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলায় গড়াইপাড়া এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গড়াইপাড়া এলাকার মো. শরিফুল ইসলাম মন্টু ও সাদিকুল ইসলাম সাধুর মধ্যে পূর্বশত্রুতা রয়েছে। কিছুদিন আগে ছাগলে পটোলগাছ খাওয়া নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায়ও তাঁদের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মন্টু ও তাঁর ছেলেরা মিলে সাধু ও তার বাবা মতিউর রহমান গুধাকে মারধর করে। এতে চারজন আহত হন।

চরবাগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ওমর আলীর অনুসারী সাধু। অন্যদিকে ওই ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শাহীদ রানা টিপুর অনুসারী মন্টু।

আজ শনিবার ভোরে সাধুর পক্ষে ওমর আলীর অনুসারী আলম, ফটিক এবং ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল আলী শাহীদ রানা টিপুর অনুসারী মন্টু, মাসুদ, মাহাতাব ও ইউপি সদস্য হযরত আলী, জসিম, ঠিকাদার জামাল, রবিউল ইসলাম, হাকিম উদ্দিন, বাচ্চুর বাড়িতে ৬ থেকে ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, শুক্রবার রাতে শাহীদ রানা টিপুর সমর্থকেরা মো. ওমর আলী চেয়ারম্যানের লোকজনকে মারধর করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওমর চেয়ারম্যানের সমর্থকেরা আজ শনিবার ভোরে শাহীদ রানা টিপুর সমর্থকদের ওপরে হামলা করতে যায়। কিন্তু ঘটনাস্থলে না পেয়ে তাঁদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মতিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১৪-১৫ দিন আগে ছাগলে পটোলগাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম মন্টু ও সাদিকুল ইসলাম সাধুর মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। তখন থেকেই তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে মারধর হয়। এতে চারজন আহত হয়।

ওসি আরও জানান, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকালে আবার ককটেল বিস্ফোরণ ও বাড়িঘর ভাঙচুর হয়েছে। আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। উভয় পক্ষ আজ থানায় অভিযোগ করতে পারে। অভিযোগ পেলেই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।