Ajker Patrika

যুগ্ম সচিবের ফেসবুক ‘হ্যাকার’ আল আমিন বিকাশের দোকানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
যুগ্ম সচিবের ফেসবুক ‘হ্যাকার’ আল আমিন বিকাশের দোকানি

র‍্যাব হেফাজতে ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর পর স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. এনামুল হক যাঁর বিরুদ্ধে নিজের ফেসবুক আইডি হ্যাক করার অভিযোগ তুলেছেন, তিনি একজন মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ-এর এজেন্ট। রাজধানী ঢাকার মালিবাগে তাঁর বিকাশের দোকান আছে। মো. আল-আমিন নামের এই ব্যক্তিকে গত বুধবার গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৩। তাঁর বিরুদ্ধে গত ২৩ মার্চ এনামুল হক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। 

তবে র‍্যাব মো. আল-আমিনকে গ্রেপ্তার করে রাজপাড়া থানা-পুলিশে দেয়নি। রাজধানী ঢাকার শাজাহানপুর থানায় সোপর্দ করা হয়। এই থানায় আল-আমিনের নামে কোনো মামলা ছিল না। 

র‍্যাব কেন আল-আমিনকে শাজাহানপুর থানায় দিল, তা জানতে চাইলে এই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর। কিন্তু আমার থানার অধীনে মালিবাগে নাকি তাঁর বিকাশের দোকান আছে। এই দোকান থেকেই তাঁকে আটক করা হয়। এ জন্য র‍্যাব আসামিকে এই থানায় দিয়েছে।’ 

ওসি বলেন, ‘র‍্যাব আল-আমিনকে এই থানায় দিলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। পরে সন্দেহজনক অপরাধী হিসেবে ৫৪ ধারায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আল-আমিনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় মামলা আছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করে রাখার বিষয়টি রাজপাড়া থানায় জানিয়েছি। রাজপাড়া থানা তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখাবে।’ 

আল-আমিনের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাইলে রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র রফিকুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’ আল-আমিনকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে কি না তা জেনে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘এ রকম কিছু হয়নি।’ 

গত ২২ মার্চ নওগাঁ থেকে ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে (৩৮) আটক করে র‍্যাব। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে নওগাঁয় এবং পরে রাজশাহীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। যুগ্মসচিব এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে সঙ্গে নিয়েই জেসমিনকে আটক করা হয়েছিল। আটকের পর যখন জেসমিন মৃত্যুশয্যায়, তখন পরদিন তাঁকে ২ নম্বর আসামি করে থানায় মামলা করেন এনামুল হক। আর এই মামলার প্রধান আসামি করা হয় আল-আমিনকে। 

এজাহারে যুগ্মসচিব এনামুল হক লেখেন, আল আমীন ও জেসমিন তাঁর ছবি ব্যবহার করে এনামুল হক নামেই ফেসবুক আইডি খোলেন এবং এই আইডি থেকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। পরে এনামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, নতুন আইডি খোলার ব্যাপার নয়, তাঁর আইডি হ্যাক করেছিলেন আল আমিন। 

র‍্যাব দাবি করছে, আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন র‍্যাবের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ স্বীকার করেছেন। 

এদিকে র‍্যাবের হেফাজতে ২৪ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিনের মৃত্যু হয়। তাঁর শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে পরিবার অভিযোগ তুলেছে, নির্যাতনের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। র‍্যাবের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ তদন্ত হচ্ছে। র‍্যাবের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা গতকাল বৃহস্পতিবার নওগাঁয় যান। নওগাঁয় জেসমিনকে যে স্থান থেকে আটক করা হয়েছিল সেখানে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে তদন্ত দল।

এ দিনই অভিযান চালানো র‍্যাব-৫ এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের ১১ জন সদস্যকে রাজশাহীতে ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর শুক্রবার তদন্ত দল এই ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। 

র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন একজন মেজরও। তদন্ত কমিটির প্রধানও র‍্যাবের একজন মেজর। তদন্ত দল র‍্যাব ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা বলে সবকিছু জানার চেষ্টা করছে। র‍্যাব-৫ এর রাজশাহীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রিয়াজ শাহরিয়ার আজ শুক্রবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্ত কমিটির কাজ এখনো শেষ হয়নি। দলটি রাজশাহীতেই অবস্থান করছে। তদন্ত শেষ করে দলটি ঢাকায় ফিরবে বলেও জানান তিনি। 

জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় যুগ্ম সচিব এনামুল হকের ব্যাপারেও তদন্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসন থেকে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়কে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে কি না তা জানা যায়নি বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের কল না ধরার কারণে। 

এদিকে জেসমিনের মরদেহের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আগামী ৫ এপ্রিলের মধ্যে হাইকোর্টে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের প্রধান ডা. কফিল উদ্দিন জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত হয়নি। তবে দ্রুতই প্রতিবেদন প্রস্তুত হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রেললাইনে হাঁটুপানি, ২ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ল বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
আজ সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস। ছবি: আজকের পত্রিকা

অতিরিক্ত বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়েছে বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টিতে রেললাইনে পানি জমে থাকায় ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে গেছে।

জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের স্টেশনমাস্টার শহিদুল আলম বলেন, শনিবার সারা রাত ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এতে স্টেশনের রেললাইনে হাঁটুসমান পানি জমে যায়। এমনকি রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ রুটের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে ছিল। তাই বনলতা এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ২ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পরে ছেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অবশেষে নতুন ঠিকানায় ১০০ সাজাপ্রাপ্ত বন্দী

খুলনা প্রতিনিধি
নতুন কারাগারে কয়েদিদের রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
নতুন কারাগারে কয়েদিদের রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনার পুরোনো কারাগার থেকে নতুন ঠিকানায় গেলেন ১০০ বন্দী। আজ শনিবার বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নতুন কারাগারে গেলে রজনীগন্ধা ও গোলাপ ফুল দিয়ে বন্দীদের বরণ করেন কারা উপমহাপরিদর্শক মনির আহমেদ। এ সময় খুলনা জেল সুপার নাসির উদ্দিন প্রধান, জেলার মুনীর হোসাইনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, প্রথম ধাপে বন্দীদের নতুন ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল গত শনিবার (২৫ অক্টোবর)। কিন্তু খুলনার নতুন জেলা কারাগার নির্মাণকাজ পুরোপুরি শেষ না হওয়ায় এই কার্যক্রম এক সপ্তাহ পিছিয়ে যায়। এরই মধ্যে মাটি ভরাটের কিছু কাজ হলেও পুরোপুরি কাজ শেষ হয়নি।

খুলনা জেলা কারাগারের জেলার মুনীর হোসাইন বলেন, ‘আজ শনিবার নতুন কারাগারে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত বন্দীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও বন্দী সেখানে নেওয়া হবে। এ ছাড়া যশোর জেল থেকেও কিছু সাজাপ্রাপ্ত বন্দী নতুন কারাগারে আনা হবে। ফলে খুলনা ও যশোরের কারাগার কিছুটা চাপমুক্ত হবে।’

কারা সূত্র জানায়, নতুন কারাগারের কার্যক্রম শুরু হলেও পুরোনো (বর্তমান) কারাগারেও কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে নতুন কারাগারটি জেলার কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে গণ্য হবে। এ ছাড়া বর্তমান জেলখানা ঘাট এলাকায় থাকা কারাগারটি মেট্রোপলিটন কারাগার হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।

খুলনায় দুটি কারাগার চলমান রাখার বিষয়ে সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগির এটি গেজেট হিসেবে প্রকাশ করা হলে পৃথক নামে দুটি কারাগার আলাদাভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

ওই সূত্র আরও জানায়, কার্যক্রম শুরু হলে দুই কারাগারে জেল সুপার ও জেলার আলাদাভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তবে এখন বর্তমান কর্মকর্তারা দুটি কারাগারের দায়িত্ব পালন করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ভৈরব নদের তীরে ১১৩ বছরের পুরোনো খুলনা কারাগারে বর্তমানে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দী আছেন। সেখানে জরাজীর্ণ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হচ্ছে বন্দীদের। তাই খুলনার সিটি (রূপসা সেতু) বাইপাস সড়কের জয় বাংলা মোড়ের অদূরে প্রায় ৩০ একর জমির ওপর গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে নতুন কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪ হাজার বন্দী থাকতে পারবেন। তবে আপাতত ২ হাজার বন্দী রাখার অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। পরে প্রয়োজন পড়লে পৃথক প্রকল্প নিয়ে অন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।

আজ বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা ১১টায় তিনটি প্রিজন ভ্যানে করে ১০০ জন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিকে (পুরুষ) খুলনার আধুনিক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এই নতুন কারাগার নির্মাণের প্রকল্প ২০১১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৪৪ কোটি টাকা। স্থান নির্ধারণ, জমি অধিগ্রহণসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জুনে। এরপর ২০১৭ সালে প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৫১ কোটি টাকা এবং কাজ শেষের লক্ষ্য নেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩০ জুন। কিন্তু তা আর হয়নি। ২০২৩ সালে ফের প্রকল্প সংশোধন করলে ব্যয় বেড়ে হয় ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে সময় বাড়ানো হয় আটবার।

প্রকল্প অফিস থেকে জানা গেছে, নতুন এই কারাগার নির্মাণ করা হচ্ছে সংশোধনাগার হিসেবে। এখানে বিচারাধীন ও সাজাপ্রাপ্ত বন্দীদের পৃথক স্থানে রাখা হবে। কিশোর ও কিশোরী বন্দীদের জন্য রয়েছে পৃথক ব্যারাক। নারীদের জন্য পৃথক হাসপাতাল, মোটিভেশন সেন্টার ও ওয়ার্ক শেড থাকছে। একইভাবে বন্দীদের জন্য ৫০ শয্যার হাসপাতাল থাকবে। আরও থাকবে কারারক্ষীদের সন্তানদের জন্য স্কুল, বিশাল গ্রন্থাগার, খাবারের কক্ষ, আধুনিক সেলুন ও লন্ড্রি। কারাগারে শিশুসন্তানসহ নারী বন্দীদের জন্য থাকবে পৃথক ওয়ার্ড ও ডে-কেয়ার সেন্টার। এই ওয়ার্ডে সাধারণ নারী বন্দী থাকতে পারবেন না। সেখানে শিশুদের জন্য লেখাপড়া, খেলাধুলা, বিনোদন ও সংস্কৃতিচর্চার ব্যবস্থা থাকবে। কারাগারে পুরুষ ও নারী বন্দীদের হস্তশিল্পের কাজের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ক শেড, বিনোদনকেন্দ্র ও নামাজের ঘর থাকবে।

কারা সূত্র জানায়, বন্দীদের প্রতিটি ব্যারাকের চারপাশে পৃথক সীমানা প্রাচীর রয়েছে। একশ্রেণির বন্দীদের অন্য শ্রেণির বন্দীর সঙ্গে মেশার সুযোগ নেই। ভেতরে শুধু প্রাচীর রয়েছে প্রায় ৫ কিলোমিটার। এ ছাড়া ড্রেন, ফুটপাত, পয়োবর্জ্য শোধনকেন্দ্র, ওয়াকওয়ে, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা, দুটি পুকুর ও সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে মাটি ভরাটের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এ ছাড়াও কিছু কাজ অসম্পূর্ণ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

একাত্তর ও চব্বিশের পরাজিত শত্রুরা নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে: সেলিমুজ্জামান

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। ছবি: আজকের পত্রিকা
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা এসেছে। কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এবং ২০২৪ সালের পরাজিত শত্রুরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টায় গোপালগঞ্জের বড় বাজার পৌর মার্কেটে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

সেলিমুজ্জামান সেলিম বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা আজও বাংলাদেশের অগ্রগতির বিরোধিতা করছে। তাদের কাছ থেকে জাতি ভালো কিছু আশা করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, এখন দেশের প্রয়োজন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কারণ, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা—সবকিছু নির্ভর করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছে সংস্কারের মধ্য দিয়ে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, জনগণের মৌলিক অধিকার, নারীর শিক্ষা ও চাকরির সুযোগ সৃষ্টি, মহিলাবিষয়ক অধিদফতর প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির উদ্যোগে বাস্তবায়িত হয়েছে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শরীফ রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব আবুল খায়ের, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক কে এম বাবর আলী, সদস্য তৌফিকুল ইসলাম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিকদার শহিদুল ইসলাম লেলিন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল কবির দারা, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সহসম্পাদক মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, গোপালগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন লিপটন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন হিরা, জেলা শ্রমিক দলের সদস্যসচিব মো. আবদুল্লাহ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিকাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি ইমরুল হাসান প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের মানববন্ধন

­যশোর প্রতিনিধি
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী মানববন্ধনে অংশ নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী মানববন্ধনে অংশ নেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ চার দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন যশোর গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর প্রেসক্লাবের সামনে দুই শতাধিক কর্মচারী এই মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যশোরে গ্রামীণ ডাক বিভাগে ৫৫৩ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। আর সারা দেশে কর্মচারী রয়েছেন ২৬ হাজার। কিন্তু তাঁদের বেতনকাঠামো এখনো ব্রিটিশ আমলের পুরোনো কাঠামোতে রয়ে গেছে।

বক্তারা জানান, পোস্ট মাস্টারের বেতন ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, পিয়নের বেতন ৪ হাজার ৩৫৪, রানারের বেতন ৪ হাজার ১৭৭ এবং আয়ার বেতন ৪ হাজার ৬০ টাকা। দ্রব্যমূল্যের বর্তমান বাজারে এই সামান্য বেতনে পরিবার-পরিজন নিয়ে খাবারের সংস্থান করা অসম্ভব। এর ওপর সন্তানদের শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটানো লাগে। বক্তারা উল্লেখ করেন, বৈষম্য দূর করার চূড়ান্ত আন্দোলন গণ-অভ্যুত্থান হলেও গ্রামীণ ডাক বিভাগে এখনো সেই বৈষম্যমূলক বেতনকাঠামো বিদ্যমান।

গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো—তাঁদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা, বর্তমান বাজারমূল্যের সঙ্গে বিবেচনা করে ন্যূনতম ২০ হাজার টাকার ওপরে নতুন পে স্কেল নির্ধারণ করা, বিলিকারীদের (ডাক বহনকারী) জন্য বাইসাইকেল ও পোশাকের ব্যবস্থা করা এবং উৎসব ভাতা নিশ্চিত করা।

গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান বলেন, ‘আমরা বর্তমানে জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি এবং মানি অর্ডারসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিই। অথচ আমাদের যে বেতনকাঠামো, তাতে বাজার করার টাকাও হয় না। পরিবার-স্বজনের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণ করব কী করে? আমরা কষ্টে আছি। আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি। এই অবস্থা দেশে ২৬ হাজার কর্মচারীর।’

তাঁদের দাবি মানা না হলে তাঁরা বড় ধরনের আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মানববন্ধন থেকে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত