Ajker Patrika

রাবিতে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৬: ০৩
রাবিতে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। সংঘর্ষের সময় সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় এবং পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার কারণে নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা করা হয়। এতে কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ মামলা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’ 

এই সংঘর্ষের সময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের বাসের চেইন মাস্টার। 

এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান, ‘সাবেক প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আজই তাঁদের কাছে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।’ 

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় বাসের ভেতর এক রাবি শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে পেটাতে পেটাতে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ লেগে যায়। এরপর শনিবার রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারের দোকানপাটে আগুন দিয়েছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ীও আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেলে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার দিনভর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারকে অবরুদ্ধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেছেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত