Ajker Patrika

রাবিতে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৬: ০৩
রাবিতে সংঘর্ষ: অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে আসামি করে পুলিশের মামলা

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। সংঘর্ষের সময় সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হওয়ায় এবং পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়ার কারণে নগরীর মতিহার থানায় এ মামলা করা হয়। এতে কারও নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওসি এস এম মাসুদ পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমানত উল্লাহ বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ মামলা করেছেন। এতে বলা হয়েছে, সংঘর্ষের সময় বিক্ষুব্ধ জনতার হামলায় সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে এজাহারে কারও নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় সোমবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হবে।’ 

এই সংঘর্ষের সময় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে আহত করার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবদুস সালাম বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম তসলিম আলী ওরফে পিটার (৪৫)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারের বাসের চেইন মাস্টার। 

এদিকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীরকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে আজ সোমবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 
অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে জানান, ‘সাবেক প্রক্টর ও রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তারিকুল হাসান এবং সহকারী প্রক্টর আরিফুর রহমানকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। আজই তাঁদের কাছে চিঠি পৌঁছে দেওয়া হবে।’ 

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় বাসের ভেতর এক রাবি শিক্ষার্থীর কথা-কাটাকাটির জের ধরে সহপাঠীরা বিনোদপুর বাজারে চালক ও হেলপারকে মারধর করেন। বাস থেকে পেটাতে পেটাতে চালককে নামিয়ে মারধর করা হয়। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এতে বাধা দিলে তাঁদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বিরোধ লেগে যায়। এরপর শনিবার রাতভর দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর বাজারের দোকানপাটে আগুন দিয়েছেন। কয়েকজন ব্যবসায়ীও আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেলে অন্তত ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় রোববার দিনভর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছেন। আন্দোলনের একপর্যায়ে সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তারকে অবরুদ্ধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেছেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঢাকায় থাকেন শিক্ষিকা, ‘ভাড়াটে শিক্ষক’ দিয়ে পাঠদান ও হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নাজমা আক্তার দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করায় বিদ্যালয়ে যান না। কিন্তু বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর হচ্ছে নিয়মিত। এতে বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও মিলছে তাঁর। তবে নাজমা আক্তারের হয়ে স্কুলে ক্লাস নিচ্ছেন স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী। খাতায় নাজমা আক্তারের স্বাক্ষর করছেন হেপি। এমন ঘটনা নেত্রকোনা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ধনু নদের তীরঘেঁষা নূরারীপুর গ্রামে ২০১৮ সালে স্থাপিত হয় রোকেয়া সাত্তার চৌধুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৭৪ শিক্ষার্থী ও ৫ জন শিক্ষক রয়েছেন।

ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজমা আক্তার। তিনি ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। অভিযোগ রয়েছে, যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে অনিয়মিত তিনি। বিদ্যালয়ে না গেলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন নাজমা আক্তার। সঙ্গে নিয়মিত বেতন-ভাতাসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে নাজমা আক্তার ঢাকায় বসবাস করেন। তবে স্নাতকপড়ুয়া হেপি আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের ‘ভাড়াটিয়া শিক্ষক’। ওই শিক্ষার্থী নাজমা আক্তারের হয়ে পাঠদানসহ শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেন। আর এই কাজে সাহায্য করছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এর মধ্যে নাজমা আক্তার ঢাকায় থাকেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না।

গত ২৮ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষকের মধ্যে দুজন উপস্থিত। আর অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার বিদ্যালয়ে হাজির না থাকলেও শিক্ষক হাজিরা খাতায় তিনি উপস্থিত রয়েছেন। জানতে চাইলে স্নাতকপড়ুয়া শিক্ষার্থী হেপি আক্তার বলেন, ‘নাজমা ম্যাডাম ঢাকায় আছেন। এ জন্য কয়েক মাস তাঁর ক্লাস আমি নিচ্ছি। ম্যাডাম বলাতে তাঁর শিক্ষক হাজিরা খাতায় আমি “নাজমা” লিখে স্বাক্ষর করছি। এটা আমার ভুল হয়েছে।’

প্রধান শিক্ষক শরীফা আক্তার বলেন, ‘নাজমা আক্তার আমাকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে। আমি ভয়ে শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানাইনি।’

অভিযুক্ত শিক্ষক নাজমা আক্তার মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে ঢাকায় আছি। হেপি আক্তারকে দিয়ে আমার শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করানো ঠিক হয়নি।’

খালিয়াজুরী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আবু রায়হান বলেন, ‘নাজমা আক্তার নামের এক শিক্ষক ঢাকায় আছেন। বিদ্যালয়ে না এসেও অন্যজনকে দিয়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করাচ্ছেন বলে শুনেছি। এটি নিয়মবহির্ভূত। নাজমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার জন্য সুপারিশ করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনার পাইকগাছায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রিপোন মাখাল (৩৫) নামের এক যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার সকালে পাইকগাছা থানার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনের একটি ডোবা থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। তবে সেখানে তখন পানি ছিল না।

উদ্ধারের পর পুলিশ রিপোনকে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রিপোন মাখাল পৌর সদরের খ্রিষ্টানপাড়ার বাসিন্দা মিখায়েল মাখালের ছেলে।

যুবকের বাবা মিখায়েল মাখাল বলেন, ‘আমাদের ভাইদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর ভাইদের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়। তখন আমার ছেলেকে আমার ভাই ও ভাইপোরা বসতঘরে মারধর করে। তখন আমার ছেলে রিপোন ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে আমি গিয়ে ছেলেকে থানা থেকে নিয়ে আসি।’

ছেলেকে পুনরায় মারধর করা হতে পারে আশঙ্কায় তিনি রিপোনকে অন্য কোথাও চলে যেতে বলেন। এর পর থেকে ছেলে ঠিকমতো বাড়িতে যেত না। মিখায়েল মাখালের ভাষ্য অনুযায়ী, পারিবারিক বিরোধের জেরে এই কাজ করা হতে পারে।

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নিরাপদ মন্ডল জানান, পুলিশ রিপোন নামের এক যুবককে রোববার সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৫২
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি
ঢাকার যানজট নিরসনে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে সরকার। ফাইল ছবি

রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে বেশ কয়েকটি সংগঠন ও গোষ্ঠী দাবি-দাওয়া আদায়ের লক্ষ্যে একযোগে কর্মসূচি শুরু করায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। যার প্রভাবে কোথাও কোথাও ব্যাপক জনভোগান্তি ও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এই জনভোগান্তির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ রোববার (২ নভেম্বর) ডিএমপির ডিসি (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এমপিওভুক্তির দাবিতে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোট, প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তকরণ, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ এমপিওভুক্তকরণের দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে বেশ কয়েকটি সংগঠন অবস্থান করছে। এ ছাড়া চাকরিপ্রত্যাশী প্রতিবন্ধী গ্র্যাজুয়েট ও ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের নন-ক্যাডারে নিয়োগ প্রদানের জন্য সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন চলছে। যার ফলে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলতে পারছে না।

ডিএমপি আরও জানায়, শত বাধা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবু অনাকাঙ্ক্ষিত কারণে যানজট বৃদ্ধির ফলে যে জনভোগান্তি তৈরি হয়েছে, সে জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

যমুনার টাটকা মাছের ‘গোলাম হোটেল’: দেশি স্বাদের খোঁজে ভিড় দূর-দূরান্তের অতিথির

আব্দুল্লাহ আল মারুফ, সিরাজগঞ্জ
কর্মচারীদের সঙ্গে হোটেলের মালিক গোলাম সরকার নিজেও কাজ করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
কর্মচারীদের সঙ্গে হোটেলের মালিক গোলাম সরকার নিজেও কাজ করছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঘড়ির কাঁটায় বেলা ১১টা ৫ মিনিট। রোদে ঝিলমিল করছে যমুনার পানি। পাড় ঘেঁষে কয়েক মিনিট হাঁটতেই চোখে পড়ে টিনের বড় একটি ঘর, সেখানে চলছে গোলাম হোটেল। ভেতরে ঢোকার আগেই ধোঁয়া আর মসলার গন্ধ নাকে এসে লাগে। কড়াইয়ে ফুটছে গরুর ঝোল, পাশে কেউ পেঁয়াজ কাটছেন, আবার কেউ মরিচ-আদাবাটা নিয়ে ব্যস্ত।

মাঝবয়সী এক ব্যক্তি সাদা ছোট দাড়ি আর মুখভরা হাসি নিয়ে কাটছেন টাটকা যমুনার মাছ। তিনি গোলাম সরকার, এই হোটেলের মালিক। তিনি একসময় শাহজাদপুরের একটি খাবারের হোটেলে কর্মচারী ছিলেন। এখন নিজেই হোটেল দিয়েছেন। অন্যের হয়ে কাজ করা মানুষটি এখন কর্মসংস্থানের সুযোগ দিয়েছেন ২৫ জনকে। তবু তিনি বসে থাকেন না; অন্যদের সঙ্গে হাত লাগিয়ে রান্না ও পরিবেশনের কাজও করেন।

গোলাম সরকারের বাড়ি সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের গোপীনাথপুরে। তিনি বলেন, ‘দুই যুগের বেশি সময় ধরে হোটেলটা চালাচ্ছি। শুরুটা হয়েছিল যমুনার মাছ দিয়ে। এখন দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে শুধু এই মাছ খেতে।’

হোটেলটির অবস্থানও বেশ জমজমাট স্থানে। দক্ষিণে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, পাশে বিশ্ববিদ্যালয় আর সামনে এগোতেই চোখে পড়ে যমুনা নদীর ঢেউ।

শুক্রবার দোকানে ঢুকতেই চোখে পড়ে পাবদা, চিংড়ি, বোয়াল, বাঘাইর, বাইম, গোচি, বাশপাতারি—সবই যমুনার তাজা মাছ। প্রতিদিন বাজার থেকে কিনে আনা হয়, রান্না হয় দুপুরে ভোজের জন্য।

দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। একটা সিটও খালি নেই। ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসেন অতিথিরা শুধু একবেলা দেশি স্বাদ নেওয়ার জন্য।

দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুপুর গড়াতেই হোটেলটি মানুষে ভরে যায়। কেউ বসে, কেউ দাঁড়িয়ে, কেউ আবার অপেক্ষায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা থেকে আসা মাহফুজ ও নুর বললেন, ‘শুধু গোলামের হোটেলের মাছ খাওয়ার জন্যই এসেছি। এমন টাটকা স্বাদ এখন আর কোথাও পাওয়া যায় না।’

গোলাম সরকার বলেন, ‘শুরুটা ছিল কষ্টের। অন্যের দোকানে কাজ করতাম। তারপর ছোট করে নিজের দোকান দিই। প্রথম দিকে মানুষ কম আসত, ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে যায়।’

এখন প্রতিদিন প্রায় ৯০ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়। সঙ্গে মুরগি, চিংড়ি, আইড় মাছ, বোয়াল, বাইম সবই দেদার বিক্রি চলে। দাম জানতে চাইলে তিনি জানান, মুরগি ১২০, চিংড়ি ১৫০, আইড় মাছ ২০০, বাঘাইর ৩০০, বাইম ২০০, বোয়াল ২০০ টাকা প্রতি বাটি। মাছের মুড়িঘণ্ট ১০০ টাকা করে।

গোলাম বলেন, ‘প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ টাকার খাবার বিক্রি হয়। ঢাকা, টাঙ্গাইল, বগুড়াসহ সব জায়গা থেকে মানুষ আসেন। তাঁদের মুখে হাসি দেখলে মনে হয় পরিশ্রম সার্থক।’

যমুনার হাওয়ায় মিশে যায় মাছের ঝোলের গন্ধ। নদীর ওপারে সূর্য ধীরে ধীরে ঝিমিয়ে পড়ছে, গোলামের হোটেলে তখনো ভিড় দেখা যায়। এই স্বাদ, এই গল্প একবার যার মনে ছোঁয়া দেয়; সে আর ভুলতে পারে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সংসদ নির্বাচন: মনোনয়নের সংকেত পেয়ে প্রচারে বিএনপির প্রার্থীরা

নতুন যুগের ১০টি সম্ভাবনাময় পেশা

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

আজকের রাশিফল: প্রাক্তনের ফেসবুক প্রোফাইল ঘাঁটবেন না, মুরাদ টাকলার সঙ্গে দেখা হবে

মির্জা ফখরুলের কণ্ঠ নকল করে অসত্য তথ্য প্রচারের অভিযোগ বিএনপির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত