Ajker Patrika

বগুড়ায় সেই নারীর গলায় আটকে আছে গুলি, থানায় মামলা 

বগুড়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

বগুড়ায় চলন্ত অটোরিকশায় আহত নারীর গলায় গুলির অস্তিত্ব পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল থেকে তাঁকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। গুলি থাকার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ। 

এদিকে ওই নারী গুলিবিদ্ধের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শাজাহানপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত নারী জুলেখা খাতুনের (৪০) বড় ছেলে জাহিদ হাসান। তবে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। 

এদিকে গুলিবিদ্ধ নারীকে শজিমেক থেকে রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

ওই নারীর স্বামী শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সেখানে এক্স-রে করে চিকিৎসক জানান, জুলেখা খাতুনের গলায় গুলি আটকে রয়েছে। সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে তারা বগুড়া থেকে রওনা করে শুক্রবার সকালে ঢামেকে পৌঁছান। সেখানে ভর্তির পরপরই পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছেন চিকিৎসকেরা।

তিনি বলেন, জুলেখা খাতুনের গলা ফুলে গেছে এবং প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছে। তিনি কথা বলতে এবং কিছু খেতে পারছেন না। চিকিৎসক তাদেরকে জানিয়েছেন, গুলি আটকে থাকায় গলা ফুলে যাওয়া এবং ব্যথা অনুভব হচ্ছে। ব্যথা কমে গেলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে অপারেশনের মাধ্যমে গলায় আটকে থাকা গুলি বের করা হবে। 

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় মামলা করতে রাজি না। তারপরও আমার বড় ছেলেকে পুলিশ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গেছে মামলা করার জন্য।’ 

শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, জুলেখা খাতুনের স্বামী এবং তাঁর ছেলে চিকিৎসার কাজে ঢাকায় অবস্থান করায় তার বড় ছেলে জাহিদ হাসান থানায় এসে এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে আসামিদের অজ্ঞাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। 

ওসি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পুলিশ মহাসড়ক থেকে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা করছে জড়িতদের শনাক্ত করতে। 

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শজিমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জুলেখার দুটি দাঁত ভেঙে যাওয়ার পাশাপাশি মুখগহ্বরেও ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। এক্স-রে রিপোর্ট পাওয়ার পর দেখা গেছে তার গলায় গুলি আটকে আছে। সেটি এখানে বের করা সম্ভব না। এ কারণে রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।’ 

উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার দুর্বৃত্তদের গুলিতে জুলেখা খাতুন আহত হন। বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে শাজাহানপুর উপজেলার বীরগ্রাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ওই নারীর সঙ্গে থাকা ছোট ছেলে জাকির হোসেন জানান, তারা গ্রামের বাড়ি গোহাইল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা যোগে বগুড়া শহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে চারটি মোটরসাইকেল যোগে আটজন যুবক বিপরীত মুখে যাওয়ার সময় আকস্মিকভাবে তাঁর মা জুলেখা খাতুনকে গুলি করেন। গুলিটি জুলেখা খাতুনের ঠোঁটের নিচে বিদ্ধ হয়। এতে তাঁর দুইটি দাঁত ভেঙে যায় এবং মুখের ভেতর ক্ষত সৃষ্টি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত