Ajker Patrika

নিখোঁজ ছেলেকে ১৬ দিন পর পেয়ে আনন্দিত মা-বাবা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ১৮: ০০
নিখোঁজ ছেলেকে ১৬ দিন পর পেয়ে আনন্দিত মা-বাবা

নিখোঁজের ১৬ দিন ছেলেকে পেয়ে আনন্দে ভাসছে পরিবার। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে মাজেদ আলীর (২৫) সন্ধান পাওয়া যায় গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ব্রিজ ঘাট এলাকায়। এরপর গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নির্দেশে মশিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহিদুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে মাজেদ আলীকে উদ্ধার করে তাঁর মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে ১০ জুন নাটোরের গুরুদাসপুরের মশিন্দা ইউনিয়নের বিলকাঠোর নদী পাড়া থেকে নিখোঁজ হন মাজেদ আলী। মাজেদ বিলকাঠোর নদী পাড়া গ্রামের সানাউল্লা ও আবেদা বেগমের বড় ছেলে। তাঁরা দুই ভাই এক বোন। মাজেদ আলী বাক্‌প্রতিবন্ধী।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১০ জুন এলাকার একটি কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করেন মাজেদ। পরে কিশোরীর ভাইয়েরা মাজেদ আলীকে ভয়ভীতি দেখান। ভয়ে মাজেদ বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। এরপর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর খোঁজ পাননি। এর দুই দিন পর ১২ জুন মাজেদের বাবা গুরুদাসপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

এ বিষয়ে মাজেদের বাবা সানাউল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে ফিরে পেয়েছি, এর চেয়ে বড় কোনো আনন্দ হতে পারে না। আজ ১৫ দিন যাবৎ ছেলেকে খুঁজতে খুঁজতে পাগল হয়ে গেছি। ছেলের মা ছেলেকে না পাওয়ার কারণে শয্যাগত। আমার ছেলে বাক্‌প্রতিবন্ধী তাই সে সঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। এমন কোথাও নাই যে ছেলেকে খুঁজি নাই। আজ ছেলেকে পেয়েছি আমার পরিবারের সবাই মহা খুশি।’

 ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম ফকির বলেন, ‘গুরুদাসপুর থানার ওসি আমাকে ফোন করে থানায় ডেক নিয়ে গিয়ে জানান, আপনার ওয়ার্ডের মাজেদ আলী নামের এক যুবক নাজিরপুর আছে। আপনারা গিয়ে নিয়ে আসেন। আমিসহ তিনজন গিয়ে ঠিকানামতো গিয়ে তাঁকে পাই। এর তাঁকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে পরিবারের কাছে দিই।’

গুরুদাসপুর থানার ওসি মো. আব্দুল মতিন বলেন, ‘ওই যুবক হারিয়ে যাওয়ার দুই দিন পর তাঁর বাবা গুরুদাসপুর থানায় জিডি করেন। সেই থেকে যুবক মাজেদ আলীকে খুঁজতে থাকি। সকালে সোর্সের মাধ্যমে জানতে পারি ওই যুবক নাজিরপুর ব্রিজ ঘাট এলাকায় আছেন। পরে ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামকে ফোন করে ডেকে আনি। তিনারা গিয়ে মাজেদ আলীকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। এখন তিনি নিজ বাড়িতে নিরাপদে আছেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত