রিমন রহমান, রাজশাহী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য নিয়ে ট্রাক আসবে সকাল ১০টার পর। কিন্তু সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন পয়েন্টে নারীদের লাইন। গাড়ি না আসা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু ডাল, চিনি, তেল কিনে সবাই বাড়ি নিয়ে যান না। অনেকেই দোকানে দোকানে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
রাজশাহীতে দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। সম্প্রতি নগরীর সাহেববাজারের একটি দোকানে টিসিবির পণ্য জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তখন সুমন নামের ওই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় টিসিবির পণ্য। সেদিন সুমন জানিয়েছিলেন, একশ্রেণির নারী এসে এসব পণ্য বিক্রি করে যান।
বিষয়টি জানতে পেরে সতর্ক হয়েছে টিসিবি। আগের মতো আর নির্দিষ্ট স্থানেই পরিবেশকদের পণ্য বেচতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘ব্যবসায়ী’ নারীদের কাছে পণ্য বিক্রি এড়াতে একেক দিন একেক স্থানে পণ্য বিক্রি করতে বলা হয়েছে পরিবেশকদের। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু লাভ খুব একটা হচ্ছে না।
টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিবেশক ৬০ জন। পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন পাঁচজন পরিবেশককে পণ্য দেওয়া হয় বিক্রির জন্য। আগে সাধারণত সাহেববাজার বড় মসজিদ, আমচত্বর, রেলগেট, সিঅ্যান্ডবি মোড় ও কাজলা এলাকায় ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি করা হতো। এখন স্থান পাল্টাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর শিমলা পার্ক, কাজলা রেডিও মাঠ, রাণীবাজার, পোস্টাল একাডেমি এবং উপশহর কাঁচাবাজার এলাকায় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। আগের মতো আর নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রাক না থামার কারণে কোথায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা আগাম জানতে পারছেন না ‘ব্যবসায়ী নারীরা’। তবে কিছুটা দেরি হলেও খবর তাঁরা ঠিকই পাচ্ছেন।
সোমবার নগরীর বর্ণালী মোড় আমবাগান এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তাই মঙ্গলবার ভোর থেকে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল নারী। কেউ কেউ ব্যাগ, ইট, পাথর রেখে লাইন করে রেখেছিলেন। যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের ধারণা, এদিনও এখানে ট্রাক আসবে। তবে সেই ট্রাকটি চলে গিয়েছিল উপশহর কাঁচাবাজার এলাকায়।
আমবাগানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজিব চত্বরসংলগ্ন বস্তির বাসিন্দা মজিফা বেগম (৫০)। প্রতিদিন চিনি, তেল, ডাল কেনেন কেন জানতে চাইলে মজিফা বললেন, ‘কী করব? লিয়্যা যাইয়ি বেচি। দুই পয়সা কামাই হয়।’ মজিফা জানান, ভোর ৬টার দিকে তিনি এসে এখানে দাঁড়িয়েছেন। এভাবেই সকাল সকাল এসে লাইনে দাঁড়ান।
অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা আর পেট চালানোর জন্য মজিফা টিসিবির পণ্য কিনে বেচে দেন বলে জানালেন। মজিফা যখন কথা বলছিলেন, তখন পাশের আরেক নারীর কাছে মোবাইলে কল আসে। কথা বলার পর তিনি সবাইকে জানিয়ে দেন, গাড়ি গেছে উপশহরে। তারপর কেউ রিকশায়, কেউ পায়ে হেঁটেই উপশহরের দিকে রওনা দিলেন।
শিমলা পার্কে পণ্য বিক্রি করছিল কণা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘আজ আমরা এখানে হঠাৎ করে এসেছি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব মুখচেনা নারীরা এসে হাজির। এরা প্রথমে সিএনবি মোড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কীভাবে যে খবর পেল, জানি না। এখন যে লাইনে দাঁড়াবে, তাকে তো দিতেই হবে। প্রতিদিন কিনলেও যে কাউকে দেওয়া যাবে না, এ রকম তো কোনো নিয়ম নাই।’
এদিকে এসব ‘ব্যবসায়ী নারী’র কারণে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগই পান না। এঁরা বাড়ির ছোট ছোট শিশুকেও সঙ্গে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন। এদের মাধ্যমেও পণ্য নেন। একবার পণ্য নিয়ে আবার লাইনের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান। নতুন কাউকে লাইনে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। কেউ এলে তাঁর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন এই নারীরা। সংগৃহীত পণ্য তাঁরা বিক্রি করেন মহল্লার দোকানে, কেউ কেউ বিক্রি করেন প্রতিবেশীদের কাছে।
পণ্য নিয়ে নারীদের এ ধরনের ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান রবিউল মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আমরা এখন একেক দিন একেক স্থানে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেছি। শুধু ওদের ফাঁকি দিতেই এই কৌশল। এতে কিছুটা লাভ হয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত অসহায় মানুষই কম মূল্যে পণ্য কিনুক। এটা নিশ্চিত করতে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটা আমরা ভাবছি।’
টিসিবি জানিয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি চলবে। প্রতিদিন একজন পরিবেশককে ৪০০ কেজি মসুর ডাল, ৫০০ কেজি চিনি এবং ৬০০ লিটার তেল দেওয়া হচ্ছে। একজন ক্রেতা ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার তেল এবং ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি কিনতে পারবেন।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য নিয়ে ট্রাক আসবে সকাল ১০টার পর। কিন্তু সূর্য ওঠার আগেই বিভিন্ন পয়েন্টে নারীদের লাইন। গাড়ি না আসা পর্যন্ত তাঁরা অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু ডাল, চিনি, তেল কিনে সবাই বাড়ি নিয়ে যান না। অনেকেই দোকানে দোকানে বিক্রি করে টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরেন।
রাজশাহীতে দীর্ঘদিন ধরেই এটা হয়ে আসছে। সম্প্রতি নগরীর সাহেববাজারের একটি দোকানে টিসিবির পণ্য জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তখন সুমন নামের ওই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়। জব্দ করা হয় টিসিবির পণ্য। সেদিন সুমন জানিয়েছিলেন, একশ্রেণির নারী এসে এসব পণ্য বিক্রি করে যান।
বিষয়টি জানতে পেরে সতর্ক হয়েছে টিসিবি। আগের মতো আর নির্দিষ্ট স্থানেই পরিবেশকদের পণ্য বেচতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘ব্যবসায়ী’ নারীদের কাছে পণ্য বিক্রি এড়াতে একেক দিন একেক স্থানে পণ্য বিক্রি করতে বলা হয়েছে পরিবেশকদের। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু লাভ খুব একটা হচ্ছে না।
টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তাদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত পরিবেশক ৬০ জন। পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন পাঁচজন পরিবেশককে পণ্য দেওয়া হয় বিক্রির জন্য। আগে সাধারণত সাহেববাজার বড় মসজিদ, আমচত্বর, রেলগেট, সিঅ্যান্ডবি মোড় ও কাজলা এলাকায় ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি করা হতো। এখন স্থান পাল্টাচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর শিমলা পার্ক, কাজলা রেডিও মাঠ, রাণীবাজার, পোস্টাল একাডেমি এবং উপশহর কাঁচাবাজার এলাকায় পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল। আগের মতো আর নির্দিষ্ট জায়গায় ট্রাক না থামার কারণে কোথায় পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা আগাম জানতে পারছেন না ‘ব্যবসায়ী নারীরা’। তবে কিছুটা দেরি হলেও খবর তাঁরা ঠিকই পাচ্ছেন।
সোমবার নগরীর বর্ণালী মোড় আমবাগান এলাকায় টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। তাই মঙ্গলবার ভোর থেকে সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন একদল নারী। কেউ কেউ ব্যাগ, ইট, পাথর রেখে লাইন করে রেখেছিলেন। যাঁরা এসেছিলেন তাঁদের ধারণা, এদিনও এখানে ট্রাক আসবে। তবে সেই ট্রাকটি চলে গিয়েছিল উপশহর কাঁচাবাজার এলাকায়।
আমবাগানে দাঁড়িয়ে ছিলেন রাজিব চত্বরসংলগ্ন বস্তির বাসিন্দা মজিফা বেগম (৫০)। প্রতিদিন চিনি, তেল, ডাল কেনেন কেন জানতে চাইলে মজিফা বললেন, ‘কী করব? লিয়্যা যাইয়ি বেচি। দুই পয়সা কামাই হয়।’ মজিফা জানান, ভোর ৬টার দিকে তিনি এসে এখানে দাঁড়িয়েছেন। এভাবেই সকাল সকাল এসে লাইনে দাঁড়ান।
অসুস্থ স্বামীর চিকিৎসা আর পেট চালানোর জন্য মজিফা টিসিবির পণ্য কিনে বেচে দেন বলে জানালেন। মজিফা যখন কথা বলছিলেন, তখন পাশের আরেক নারীর কাছে মোবাইলে কল আসে। কথা বলার পর তিনি সবাইকে জানিয়ে দেন, গাড়ি গেছে উপশহরে। তারপর কেউ রিকশায়, কেউ পায়ে হেঁটেই উপশহরের দিকে রওনা দিলেন।
শিমলা পার্কে পণ্য বিক্রি করছিল কণা এন্টারপ্রাইজ। প্রতিষ্ঠানটির একজন বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘আজ আমরা এখানে হঠাৎ করে এসেছি। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সব মুখচেনা নারীরা এসে হাজির। এরা প্রথমে সিএনবি মোড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। কীভাবে যে খবর পেল, জানি না। এখন যে লাইনে দাঁড়াবে, তাকে তো দিতেই হবে। প্রতিদিন কিনলেও যে কাউকে দেওয়া যাবে না, এ রকম তো কোনো নিয়ম নাই।’
এদিকে এসব ‘ব্যবসায়ী নারী’র কারণে প্রকৃত নিম্ন আয়ের মানুষ লাইনে দাঁড়ানোর সুযোগই পান না। এঁরা বাড়ির ছোট ছোট শিশুকেও সঙ্গে এনে লাইনে দাঁড় করিয়ে দেন। এদের মাধ্যমেও পণ্য নেন। একবার পণ্য নিয়ে আবার লাইনের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান। নতুন কাউকে লাইনে দাঁড়াতেই দেওয়া হয় না। কেউ এলে তাঁর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া বাঁধিয়ে দেন এই নারীরা। সংগৃহীত পণ্য তাঁরা বিক্রি করেন মহল্লার দোকানে, কেউ কেউ বিক্রি করেন প্রতিবেশীদের কাছে।
পণ্য নিয়ে নারীদের এ ধরনের ব্যবসার কথা স্বীকার করেছেন টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান রবিউল মোর্শেদ। তিনি বলেন, ‘এই ব্যবসা বন্ধ করার জন্য আমরা এখন একেক দিন একেক স্থানে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করেছি। শুধু ওদের ফাঁকি দিতেই এই কৌশল। এতে কিছুটা লাভ হয়েছে। আমরা চাই প্রকৃত অসহায় মানুষই কম মূল্যে পণ্য কিনুক। এটা নিশ্চিত করতে আর কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে সেটা আমরা ভাবছি।’
টিসিবি জানিয়েছে, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ট্রাক থেকে পণ্য বিক্রি চলবে। প্রতিদিন একজন পরিবেশককে ৪০০ কেজি মসুর ডাল, ৫০০ কেজি চিনি এবং ৬০০ লিটার তেল দেওয়া হচ্ছে। একজন ক্রেতা ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ পাঁচ লিটার তেল এবং ৫৫ টাকা দরে দুই কেজি করে মসুর ডাল ও চিনি কিনতে পারবেন।
হাসান আলী জানান, চাল কুমড়া চাষের শুরুতে তাঁর খরচ হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা। মৌসুম শেষে খরচ গিয়ে দাঁড়াবে আনুমানিক ৭ হাজার টাকায়। ইতোমধ্যে প্রথম দফায় তিনি তুলেছেন ৫০টি চাল কুমড়া। তাঁর আশা, আগামী তিন মাস প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫০ থেকে ৬০টি করে কুমড়া তুলতে পারবেন। মৌসুম শেষে চাল কুমড়ার সংখ্যা দাঁড়াতে পারে প্র
১২ মিনিট আগেঅভিযুক্ত নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। বুধবার বেলা ৩টার দিকে হঠাৎ করে তিনি স্ত্রী জেসমিনকে মারধর করেন এবং শিশু আইয়ুব আলীকে টেনে-হিঁচড়ে নিজ ঘরে নিয়ে যান। এরপর প্রায় চার ঘণ্টা কাউকে ঘরের কাছে যেতে দেননি। কেউ কাছে এলে তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেন। এতে পরিবারের সদস্যরা পাশের বাড়িতে সরে যা
১২ মিনিট আগেগত ১৫ জুন (রোববার) সন্ধ্যায় নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নের বারইকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিলের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। হামলায় দা দিয়ে তার বাম পা ও হাত কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষ।
১৩ মিনিট আগেহাঁড়িভাঙ্গা আম পরিষদের সভাপতি আব্দুস সালাম সরকার বলেন, “আমি আমার বাগান এ বছর ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। অথচ গত বছর সেটির দাম ছিল ১৪ লাখ। আরও ১০-১৫ দিন অপেক্ষা করলে আম ভালোভাবে পরিপক্ব হতো। কিন্তু কিছু মুনাফালোভী ব্যবসায়ী কৃত্রিমভাবে পাকানো আম আগেভাগে বাজারজাত করেছেন।”
১ ঘণ্টা আগে