Ajker Patrika

১% এর টাকায় ২৫% ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা সেই ইউএনওকে বদলি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ২৫
ইউএনও ফয়সাল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ইউএনও ফয়সাল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

জমি কেনাবেচার কর থেকে ১% থাকে এলাকার উন্নয়নের জন্য। এই টাকা জমা হয় উপজেলার ১%-এর ব্যাংক হিসাবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এই টাকা বণ্টন করেন এলাকার ইউনিয়ন পরিষদগুলোর (ইউপি) মাঝে। রাজশাহীর গোদাগাড়ীর ইউএনও ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, ১% এর টাকা বণ্টন করার সময় তিনি ২৫% ঘুষ নেন।

এ নিয়ে গত ২৭ আগস্ট জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার ফরাদপুর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল হামিদ বাবলু এই অভিযোগ করেন। তিনি উপজেলা বিএনপির সদস্য। অভিযোগের সঙ্গে ১০ পাতায় প্রায় এক হাজার মানুষের স্বাক্ষরও সংযুক্ত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার ইউএনও ফয়সাল আহমেদকে জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় ইউএনও হিসেবে বদলি করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার জুবায়ের হোসেন ওই বদলির আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

ফয়সাল আহমেদের বিরুদ্ধে দেওয়া লিখিত অভিযোগে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরা হয়। বলা হয়, ১% এর টাকা বিভিন্ন ইউনিয়নের উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদে বণ্টন করা হয়। সেখান থেকে ইউএনও ঘুষ নেন ২৫%। এ বিষয়ে সাধারণ জনগণ ইউএনওকে কিছু বলতে গেলে তিনি সাধারণ মানুষকে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয় দেখান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ঈদে সরকারিভাবে বরাদ্দ করা ভিজিডি এবং ভিজিএফ চাল সাধারণ গরিব মানুষের মধ্যে বিতরণ না করে অবৈধভাবে আত্মসাৎ করার কারণে গোগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসলাম আলীকে হাতেনাতে ধরেন ইউএনও ফয়সাল আহমেদ। কিন্তু কোনো আইনগত পদক্ষেপ না নিয়ে তাঁর কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে ছেড়ে দেন। আর সংশ্লিষ্ট গ্রাম পুলিশ সদস্য ও ভ্যানচালককে আদালতে চালান দেওয়া হয়েছে।’

এ ছাড়া চর আষাড়িয়াদহ ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বরাদ্দ করা ভিজিডি এবং ভিজিএফ খাতের চাল বিতরণে অনিয়ম হয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ জ্ঞাত হওয়ার পরও ইউএনও কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেননি। পার্সেন্টেজ গ্রহণ করে তিনি পুরো নীরবতা পালন করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন ইউনিয়নে উন্নয়ন খাতের জন্য কোনো কার্যাদেশ না দিয়েই জনগণের কাছ থেকে আদায় করা রাজস্ব খাতের ট্যাক্সের টাকা সরকারি খাতে জমা করেন না ইউএনও। কোনো কাজ না করে খরচ দেখিয়ে এই টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি। অবৈধ পুকুর খননের বিরুদ্ধেও ইউএনও ফয়সাল আহম্মেদ কোনো পদক্ষেপ নেন না বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, গোদাগাড়ীর কাপাশিয়াপাড়া এলাকার মো. হামিদুজ্জামান মোহনপুর ইউনিয়নের নলীগ্রাম মৌজায় আওয়ামী লীগের লোকজনকে নিয়ে খনন করছেন। বেআইনিভাবে এই পুকুর খনন বন্ধের জন্য ইউএনওকে লিখিতভাবে জানানো হলেও তিনি কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি পুকুর খননকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগকারী আবদুল হামিদ বাবলু জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মহিনুল হাসানকে তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেন। ১০ সেপ্টেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা তাঁকে ডেকেছিলেন। তিনি এবং আরেকজন ব্যক্তি সাক্ষ্য দিয়ে এসেছেন। তাঁকে আরেক দফা ডাকা হবে বলে তদন্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে ইউএনওকে জয়পুরহাটে বদলি করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ইউএনও ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘এরা কেন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বলতে পারব না।’ পাচার করা চাল উদ্ধার করলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ যদি তদন্তে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সম্পৃক্ততা পায়, তাহলে পুলিই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’ আর ১% এর টাকা থেকে ঘুষ নেওয়াসহ অন্য সব অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। বদলি প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘সরকারি চাকরি করি, যেখানে সরকার প্রয়োজন মনে করে, সেখানেই বদলি করতে পারে।’

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত ফয়সাল আহমেদ সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছিলেন। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাঁকে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বদলি করা হয়। রাজশাহীতে এসেও তাঁর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠল। তবে ইউএনওকে গোদাগাড়ীতেই রাখার দাবিতে তাঁর অনুসারীরা রোববার উপজেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে: ওলামা মাশায়েখ সম্মেলনে খায়রুল হাসান

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের কালীগঞ্জে ওলামা মাশায়েখ পরিষদের উদ্যোগে ‘ওলামা মাশায়েখ সম্মেলন-২০২৫’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে কালীগঞ্জ সরকারি শ্রমিক কলেজ মাঠে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা আলেম-ওলামাদের অংশগ্রহণে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। বক্তারা বলেন, দেশ-জাতির সংকটকালে আলেম সমাজকে ঐক্যবদ্ধভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

সম্মেলনে প্রধান আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও গাজীপুর মহানগর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। তিনি বলেন, ‘ইসলাম নিছক কোনো পূজা-পার্বণের সমষ্টি নয়; এটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। ইতিহাসে যখনই ইসলামি অনুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, মানুষের অধিকার সুরক্ষিত হয়েছে। বর্তমান অস্থিরতা থেকে উত্তরণের পথ রাসুল (সা.)-এর দেখানো পথ।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইসলাম বিজয়ী হলে মানবতা প্রতিষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রে ইনসাফ কায়েম করতে ইসলামের আদর্শে সবাইকে এক হতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ওলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা যাকারিয়া হোসাইন বিন কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ ও শিক্ষাবিদ মাওলানা যাইনুল আবেদীন। তিনি বলেন, ‘আলেমরা নবীদের উত্তরসূরি। দুঃসময়ে জাতিকে দিশা দিতে আলেমদেরই সামনে আসতে হবে। বিভেদ ভুলে ঐক্যের ভিত্তিতে দ্বীনের খেদমত করতে হবে।’

বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন সম্মেলনের প্রধান আলোচক গাজীপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মো. খায়রুল হাসান। ছবি: আজকের পত্রিকা

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মাওলানা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মাওলানা শিহাব উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা জামায়াতের আমির আফতাবউদ্দিন, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ছাইদুল হক, গাজীপুর জেলা নায়েবে আমির মাওলানা সেফাউল হক, ড. মাওলানা রুহুল আমিন, মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা ফেরদৌস খান সালেহী এবং মাওলানা এস এম আব্দুল হান্নান বেলালী।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসলাম কালীগঞ্জের সভাপতি খুরশীদ আলম, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা রুহুল আমিন গাজীপুরি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র সভাপতি আবু হানিফসহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব এবং রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতারা।

ইসলামি সংগীত পরিবেশন করে দর্শকদের মুগ্ধ করে কালীগঞ্জ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। মোনাজাতের মাধ্যমে সম্মেলন শেষ হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তর্কে জড়ানো চিকিৎসককে বহিষ্কারের নির্দেশ ডিজির

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা
ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তর্কে জড়ান। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবার মান ও ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে এক চিকিৎসকের বাগ্‌বিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় ক্যাজুয়ালটির ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাগ্‌বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার সকালে শিশুদের মূত্রাশয় ও প্রজননতন্ত্র-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসাবিষয়ক চলমান চিকিৎসার সাম্প্রতিক অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে একটি সেমিনারে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. আবু জাফর। সেমিনারে অংশগ্রহণের আগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে সেবার মান, জরুরি বিভাগ পরিচালনা, রোগী ব্যবস্থাপনা ও স্টাফদের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ডা. ধনদেব বর্মন তাঁর বিভাগের সীমাবদ্ধতা, জনবল-সংকট এবং দায়িত্ব পালনের চাপ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিজি ও তাঁর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পরে ডা. ধনদেব বর্মনকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন খান বলেন, ‘পরিদর্শনে সেবার মান নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্যার এবং ডা. ধনদেব বর্মনের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছে, যা মোটেও কাম্য নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু

সিলেট প্রতিনিধি
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সমাবেশ সফল করতে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ৮ দলের সমাবেশ শুরু হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জড়ো হতে দেখা গেছে ৮ দলের নেতা-কর্মীদের। বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন দিয়ে তাঁরা আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে আসছেন। জাতীয় নির্বাচনের আগে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশের ওপর গণভোট, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডসহ পাঁচ দাবি ও গণভোটে ‘হ্যাঁ’ বিজয় নিশ্চিতে সিলেটে ইসলামী ও সমমনা ৮ দলের বিভাগীয় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শনিবার দুপুর ১২টা থেকে সমাবেশ শুরু হয়ে আসরের আগে সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের পক্ষ থেকে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমাবেশের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়।

সমাবেশে ৮ দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই), বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির মাওলানা সারওয়ার কামাল আজিজি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) কেন্দ্রীয় সহসভাপতি রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) সভাপতি অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল হক চাঁন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৮০০ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে নোবিপ্রবিতে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ‘রান ফর ইউনিটি’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা। শারীরিক সুস্থতা ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে এই আয়োজনে অংশ নেন নোবিপ্রবির প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে এই দৌড় শুরু হয়। বাংলা বাজার প্রদক্ষিণ করে ম্যারাথনটি শেষ হয় প্রধান ফটকেই। নোবিপ্রবি শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ পুরো ক্যাম্পাসে এক উৎসবের আমেজ তৈরি করে।

আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নোবিপ্রবির প্রধান ফটক থেকে রান ফর ইউনিটি ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সম্মাননা এবং বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সুস্থ ক্যাম্পাস গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এই ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নোবিপ্রবি শিবির শাখা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত