Ajker Patrika

কোটা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে রাবি ছাত্রলীগের দুই নেতার পদত্যাগ

রাবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জুলাই ২০২৪, ১৭: ৫৭
Thumbnail image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই নেতা পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার নিজেদের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট দিয়ে তাঁরা রাজনীতি ছাড়েন।

পদত্যাগকারী দুই নেতা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা রেজওয়ান আহমেদ রোহান এবং মাদার বখ্শ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আল ফারাবি।

রেজওয়ান আহমেদ তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘আমি রেজওয়ান আহমেদ রোহান। বাংলা বিভাগ, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ। আজ থেকে সকল প্রকার ছাত্র রাজনীতি থেকে নিজেকে মুক্ত ঘোষণা করলাম।’

আল ফারাবি ফেসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ছোটকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করার ইচ্ছা ছিল। ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করে দেশের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারব। ইতিহাসে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে যেভাবে অধ্যয়ন করেছি বা মহান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে যা যা পড়েছি, জেনেছি, ওইভাবেই রাজনীতি চর্চা করার ইচ্ছা ছিল। আমার নীতি অনুযায়ী কোনো সংগঠনের নেতা হওয়ার আগে ছাত্রদের নেতা হতে শিখা লাগে, তারপর সংগঠনের নেতা। ছাত্রদের যৌক্তিক অধিকার আদায়ের জন্য একটি ছাত্র সংগঠনের সর্বদা পাশে থাকাটা কর্তব্য। কিন্তু সাধারণ ছাত্রদের দুঃসময়ে যদি কোনো ছাত্রসংগঠনের কর্মী হয়ে পাশে থাকতে না পারি, তাহলে সেই ছাত্ররাজনীতি কল্যাণকর নয় বলে আমার কাছে মনে হয়।’

আল ফারাবি আরও লিখেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শে ছাত্রলীগে যোগদান করেছিলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পেছনে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পেছনে ছাত্রলীগের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সংগঠনকে কখনো ঘৃণা করতে পারব না, তবে সংগঠন আবারও ৫২ এর মতো তার আগের রূপে যেন ফিরে আসে, সেই চেষ্টায় থাকব। যেদিন বাংলাদেশে আবারও সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চর্চা হবে ছাত্রলীগে, সেদিন আবারও রাজনীতির মাঠে ফিরে আসব। তত দিন পর্যন্ত ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে ইতি টানলাম।’

আল ফারাবি ছাত্রদের আন্দোলনকে যৌক্তিক উল্লেখ করে বলেন, ‘ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন সফল হোক, সার্থক হোক।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছে। শিবিরের নেতা-কর্মীরা বাড়িতে ফোন দিয়ে বিভিন্ন কথা বলছে। ক্লাসের বন্ধুরা তাদের বয়কট করতেছে। মোটামুটি ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়ে তারা রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত