Ajker Patrika

কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে ময়লা-আবর্জনা, অস্বস্তিতে পর্যটকেরা

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২২, ১৪: ২৮
কুয়াকাটা সৈকতজুড়ে ময়লা-আবর্জনা, অস্বস্তিতে পর্যটকেরা

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে প্রতিবছর বেড়াতে আসে লাখো পর্যটক। প্রতি সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিপুলসংখ্যক পর্যটক এখানে ভিড় জমায়। কিন্তু বর্তমানে সৈকতের যত্রতত্র ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা-আবর্জনা। বিভিন্ন নিচু স্থানে দীর্ঘদিন ধরে জমে রয়েছে পানি। ফলে দূষিত হচ্ছে দীর্ঘ ১৮ কিলোমিটার সৈকতের পরিবেশ। পচা গন্ধে আগত পর্যটকদের চোখেমুখে দেখা দেয় বিরক্তির ছাপ। পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট ও প্রতিনিয়ত সৈকত পরিচ্ছন্ন না করার কারণে এমন দুরবস্থা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। 

সরেজমিন সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকেরাই খাবারের অবশিষ্টাংশসহ বিভিন্ন প্লাস্টিকের বোতল ফেলে রাখছেন সৈকতে। এ ছাড়া সৈকতের জিরো পয়েন্টের পশ্চিম ও পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী ফুচকা-চটপটি এবং ফিশ ফ্রাইয়ের দোকান। এসব দোকানের বর্জ্যও ফেলে রাখা হয় সৈকতে। বিশেষ করে সৈকতের বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন হোটেলের পানি এসে পড়ে সৈকতে। এসব পানি সৈকতের পশ্চিম পাশের নিচু স্থানে জমে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সৈকতে পড়ে থাকা খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং পচা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধে অনেকটা বিরক্ত প্রকাশ করেছে পর্যটকেরা। 

এদিকে সৈকতের গঙ্গামতি, ঝাউবাগান ও লেম্বুর চরে প্রায়ই ভেসে আসছে মৃত জেলি ফিশ। এসব জেলি ফিশ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালেও অপসারণে নেই কোনো উদ্যোগ।  

সৈকতের পশ্চিম পাশের নিচু স্থানে জমে রয়েছে পানি ও ময়লা-আবর্জনালালমনিরহাট থেকে আসা পর্যটক আরিয়ান বলেন, আমরাই প্লাস্টিকের বোতলসহ খাবার ফেলে রেখে সৈকত অপরিচ্ছন্ন করে রাখছি। আমাদের সচেতন হওয়া জরুরি। এ ছাড়া এখানকার ব্যবসায়ীরাও ইচ্ছেমতো সৈকতটি ব্যবহার করছে। বিভিন্ন স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখছে। সার্বক্ষণিক সৈকত এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। 

খুলনা থেকে আসা নাবিল-রাইমা দম্পতি বলেন, সৈকতের পশ্চিম পাশে জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে, যার ফলে বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করতে সমস্যা হচ্ছে।  

সৈকতের চটপটি-ফুচকা ব্যবসায়ী আবদুর রহিম বলেন, ‘আমরা সৈকত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। পৌরসভার কয়েকজন সপ্তাহে দুবার সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন। তাঁদের আমরা টাকা দিই। কিন্তু পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। 

সৈকতের লাগোয়া কসমেটিকস ব্যবসায়ী মো. সুলতান বলেন, পৌরসভার কর্মীরা সঠিকভাবে সৈকত পরিচ্ছন্ন করেন না, যার ফলে সৈকতের আজ এই দুরবস্থা।  

ওয়ার্ল্ড ফিশ ইকোফিস-২ অ্যাক্টিভিটি প্রকল্পের সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, ‘আমরা কুয়াকাটায় ব্লুগার্ড কর্মীদের মাধ্যমে সৈকত পরিচ্ছন্ন রাখার কাজ করে যাচ্ছি। এ ছাড়া জনগণকে সচেতন করতে নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছি। 

মরে পড়ে আছে জেলিফিশকলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্যসচিব আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, সৈকতের পরিচ্ছন্নতার কাজে ৪০ জন কর্মী রয়েছেন। এ ছাড়া পৌরসভার কর্মী ও ব্লুগার্ডের সদস্যরাও এ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। তার পরও আমাদের মনে হচ্ছে সৈকতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীর সংকট রয়েছে। 

সদস্যসচিব আরও বলেন, বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির মাধ্যমে অচিরেই আরও পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়ে কাজের গতি বাড়ানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বেহেশতের টিকিট বিক্রিকারী দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না: এ্যানি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা
লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। ছবি: আজকের পত্রিকা

একটি ইসলামি দল গ্রামে গ্রামে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। বিশেষ ইসলামি ওই দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।

আজ শুক্রবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর পৌর মহিলা বিএনপির যৌথ সভায় যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা করেন।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেন, যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থেকে গুম-খুন, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে, এখন তাদের সঙ্গ দিচ্ছে একটি ইসলামি দল। কীভাবে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসন করা যায়, সেই পাঁয়তারা করছে ইসলামি দলটি।

পাশাপাশি দলটি গ্রামে গ্রামে গিয়ে বেহেশতের টিকিট বিক্রি করছে। দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিলে নাকি বেহেশত পাবেন। বেহেশত এত সহজ নয়। বেহেশত পেতে হলে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন, এ দেশের নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে দেশের জন্য কাজ করেছেন, ঠিক একইভাবে তারেক রহমানও দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

তাই আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী হবেন তারেক রহমান। তিনি এখন থেকে চিন্তা করছেন—কীভাবে দেশে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা করা যায়। বিএনপি ক্ষমতায় এলে কর্মসংস্থান ও চাকরির ব্যবস্থা করা হবে।

এ্যানি আরও বলেন, ‘১৭ বছর দেশের বাইরে থেকে তারেক রহমান দলের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। বেগম জিয়া কারাগারে ছিলেন। তবুও ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে বিনাশ করতে পারেনি স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। নারী ভোটারদের সুসংগঠিত করতে আমাদের পরিশ্রম করতে হবে। বিশেষ ইসলামি ওই দলের কথায় কান দেওয়া যাবে না।’

পৌর মহিলা বিএনপির সভাপতি সালমা আক্তার রুমির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্যে দেন জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, জেলা বিএনপি নেতা ও বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহেদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, পৌর বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট হাফিজ উদ্দিন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সাবেরা আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার সুমি ভূঁইয়া প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসীর বাড়িতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, স্ত্রী-কন্যা আহত

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
নওগাঁর বদলগাছীতে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নওগাঁর বদলগাছীতে এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর বদলগাছীতে ফিরোজ হোসেন নামের এক প্রবাসীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ভোলার পালশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে মালদ্বীপে অবস্থান করছেন ফিরোজ হোসেন। প্রায় পাঁচ মাস আগে তিনি ও রনি নামের আরেকজন বগুড়ার সান্তাহার এলাকার পাঁচ-ছয়জনকে মালদ্বীপে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে নিয়ে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ দিতে পারেননি। এ নিয়ে আজ টাকা ফেরত চেয়ে ওই পাঁচ-ছয়জনের আত্মীয়স্বজন ফিরোজের বাড়িতে যান। এ সময় ফিরোজের স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে স্থানীয় কিশোর গ্যাং ‘রানা গ্রুপ’-এর ১৫-২০ সদস্য হঠাৎ ফিরোজের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে ফিরোজের স্ত্রী ও কন্যা আহত হন।

স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা রানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে মারধর করিনি, কাউকে মারধরের নির্দেশও দিইনি।’

এ বিষয়ে বদলগাছী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল এবং সবাইকে শান্ত থাকতে সহযোগিতা করেছে। এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৭ লাখ টাকার সোনার বার ও মোটরসাইকেলসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
সোনার বারসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সোনার বারসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ভারতে সোনা পাচারের চেষ্টার সময় চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ সময় আটক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় ২৭ লাখ টাকার একটি সোনার বার, মোটরসাইকেল, মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান।

আটককৃত ব্যক্তি হলেন দামুড়হুদা উপজেলার মুন্সিপুর গ্রামের জসিম বিশ্বাসের ছেলে হাসেম বিশ্বাস (৪৮)।  

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বুধবার বিশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির একটি বিশেষ দল সীমান্ত পিলার ৯৩/৩-আর থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ গজ অভ্যন্তরে কুতুবপুর পাকা রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বিজিবি সদস্যরা মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাঁকে থামার নির্দেশ দেন। লোকটি পালানোর চেষ্টা করলে টহল দল তাঁকে ধাওয়া করে আটক করে। তল্লাশির পর আটক ব্যক্তির লুঙ্গির ভাঁজে স্কচটেপে মোড়ানো একটি প্যাকেট পাওয়া যায়। প্যাকেটটি খুলে ১৪০ দশমিক ৫৩ গ্রাম ওজনের সোনার বারটি জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে তাঁর ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনটিও জব্দ করা হয়।

বিজিবির হিসাব অনুযায়ী, জব্দকৃত সোনা, মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোনের মোট আনুমানিক মূল্য ২৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ টাকা। বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. হায়দার আলী জানান, সীমান্ত এলাকায় সব ধরনের চোরাচালান—যার মধ্যে সোনাও রয়েছে, তা প্রতিরোধ করতে বিজিবি টহল এবং নজরদারি আরও বাড়িয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঈশ্বরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি 
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার হরিপুর জব্বার ভূঁইয়ার বাড়ির সামনে উচাখিলা-ত্রিশাল সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় নিহত দম্পতির নাতি রিফাত (৫) ও অটোরিকশাচালক বাদল মিয়াসহ (৩২) তিনজন আহত হন।

নিহতরা হলেন মো. এবাদুল হক মণ্ডল (৬০) এবং তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুন (৫০)। নিহত এবাদুল হক মণ্ডল উচাখিলা ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলী মণ্ডলের ছেলে। তিনি ভালুকার নগরবাড়ী এলাকায় কটন গ্রুপে ডাইনিং হেলপার হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরের দিকে ত্রিশাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এই দম্পতি নাতিকে নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দাখিলের দিকে যাচ্ছিলেন। ঈশ্বরগঞ্জের রাজিবপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় এলে অটোরিকশাটির সঙ্গে একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি সড়কের পাশা পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মো. এবাদুল হক নিহত হন। তাঁর স্ত্রী সাজেদা খাতুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহতের চাচাতো ভাই ফারুক মণ্ডল বলেন, ‘এবাদুল হক তার স্ত্রী ও নাতিকে নিয়ে তার অসুস্থ মাকে দেখতে আসছিল। বাড়ি আসার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। নাতি রিফাতকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত