পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
পাবনা সদর হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম। রাস্তা খারাপ হওয়ায় মাথায় করে সবজির ঝুড়ি বাজারে নিতে দেরি হয়ে যায়। এ জন্য এখন ব্যাপারীরা তাঁর সবজি তেমন নিতে চান না। বাধ্য হয়ে শহিদুলকে কম দামে বিক্রি করতে হয় কষ্টার্জিত ফসল।
আফসোসের সুরে শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এগুলোর যদি সঠিক মূল্য পাওয়া যেত, তবে কৃষকদের ভাগ্য বদলে যেত। রাস্তার জন্য সেটি আর হচ্ছে না। আবাদ করে শান্তি নাই, সবজি বাজারে আনতে শান্তি নাই।’ শুধু শহিদুল ইসলাম নন, তাঁর মতো একই আক্ষেপ ১০ গ্রামের মানুষের।
হেমায়েতপুর ইউনিয়নের শানিকদিয়ার মন্ডল মোড়ে রয়েছে কাঁচা সবজি বিক্রির পাইকারি আড়ত। সেখানে প্রতিদিন বিক্রি হয় প্রায় ২০ লাখ টাকার বিভিন্ন রকম সবজি। ভোরের আলো না ফুটতে জেগে ওঠে এই বাজার। চরাঞ্চলের আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম থেকে প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত নিজেদের উৎপাদিত সবজি বিক্রি করেন কৃষকেরা। কিন্তু স্থানীয় কৃষকদের দুঃখ সেই বাজারে যাতায়াতে সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়ক নিয়ে। সড়কের অবস্থা খুবই বেহাল। একটু বৃষ্টি হলে কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন ফসল বাজারে নিতে গিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েন কৃষকেরা। রাস্তাটির কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে না আসতে পারায় ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়াও সড়কের দুর্দশার কারণে রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে হাসপাতালে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এই সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজে যেতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর, ভগীরথপুর, রতনপুর, জয়েনপুর, বোয়ালগাড়ী এবং ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষ্মীকুন্ডা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামসহ অন্তত ১০ গ্রামের চরের বালুতে ফলে সবুজ সতেজ সবজি। বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে কলাবাগান ও সবুজ সবজিখেত। মরিচ, কলা, কুমড়া, লাউ, ঝিঙে, ধুন্দল, করলা, মিষ্টিকুমড়া, মুলাসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয় এখানে। এসব সবজি মন্ডল মোড় বাজারে নিতে হেমায়েতপুর ইউনিয়নের ভগীরথপুর থেকে ভুইড়ির ছাম মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে সাড়ে ৩ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক হয়ে যেতে হয়।
কৃষকেরা বলছেন, এই বাজার থেকে ট্রাকে ভরে ব্যাপারীরা এসব সবজি কিনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যান। বাইরের জেলার ব্যাপারীরা এই বাজার থেকে কাঁচামাল কেনায় কৃষকদের ভালো দাম পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বেহাল সড়কের কারণে তাঁদের সব কষ্ট বিফলে যাচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি হয়। ফলে মাঠ থেকে তোলা ফসল ভ্যান বা মহিষের গাড়িতে করে বাজারে নিয়ে যাওয়া দুঃসাধ্য ব্যাপার হয়ে পড়ে। এবড়োখেবড়ো পথের জন্য গুনতে হয় বাড়তি ভাড়া। বাধ্য হয়ে ঝাঁকবোঝাই ফসল মাথায় নিয়ে কয়েক বাজারে নিতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন তাঁরা। শ্রমিক ও পরিবহন সংকটে অনেক সময় খেতেই নষ্ট হয় কষ্টের ফসল।
ভগীরথপুর গ্রামের কৃষক জফির মাঝি বলেন, ‘শুধু পদ্মার চর থেকেই প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার সবজি বাজারে যায়। নদীটুকু নৌকায় এলেও এখান থেকে সবজি বাজারে নেওয়ার উপায় নেই। মাথায় করে দফায় দফায় বাজারে নিতে হয়। সরকার ওই রাস্তাটুকু যদি পাকা করে দিত, তাহলে কৃষকের সবচেয়ে বেশি উপকার হতো।’
আরেক কৃষক হাসান আলী বলেন, ‘গাড়িতে করে মাল (সবজি) কীভাবে আনব ভাই, হেঁটে চলার মতো উপায়ই তো নাই। ভাঙাচোরা, গর্ত যা-ই থাক, শুকনা সময়ে তবু ৫০ টাকার জায়গায় ১০০ টাকা দিলে এক ঝাঁকি সবজি নিতে ভ্যান পাওয়া যায়। কিন্তু বৃষ্টি হলে ৫০০ টাকায়ও সেটা পাওয়া যায় না।’
স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক মোক্তার হোসেন বলেন, ‘রাস্তার কারণে রোগীকে সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। বিশেষ করে কোনো অন্তঃসত্ত্বা মাকে নিয়ে কী যে বিপাকে পড়তে হয়, এখানকার মানুষই বোঝে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যোগাযোগব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় স্কুলে উপস্থিতি কমছে। বিশেষ করে মেয়েদের উপস্থিতি খুবই কম। এতে বাল্যবিবাহ বাড়ছে। সার্বিক দিক বিবেচনা করতে গেলে এই এলাকায় সবার আগে একটি পাকা সড়ক প্রয়োজন।’
এ বিষয়ে পাবনা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী আফনান আজম রুদ্র বলেন, ‘ওই এলাকাগুলোতে কৃষকেরা উৎপাদিত ফসল বাজারে নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জেনেছি। আমাদের প্রকল্প পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে সড়কটি রাখার চিন্তা করেছি। অনুমোদন পেলে সড়ক নির্মাণ করা হবে।’
রাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে রাসায়নিক গুদামে অগ্নিকাণ্ডে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শুধু বিষাক্ত গ্যাসে নয়, আগুনে পুড়ে যাওয়ার কারণেও তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
৩ মিনিট আগেফারহানা জাহাঙ্গীরনগর বিশবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তাঁর বাড়ি মেহেরপুর শহরের পেয়াদাপাড়ায়। নিহত শিক্ষার্থীর স্বামী রাইহানুল ইসলাম জানান, আজ সকাল ৯টার দিকে শহরের পেয়াদাপাড়া থেকে স্ত্রী ফারহানাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে শ্বশুরবাড়ি রামদাসপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
২১ মিনিট আগেমাত্র ১৫ দিনের চাকরি। সংসারের হাল ধরতে চাওয়া তরুণী নারগিস আক্তারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই হয়ে গেল! পোড়া শরীর এতটাই বিকৃত যে মুখ দেখে কেউ চিনতে পারেননি। কিন্তু বাবা কখনো সন্তানকে চিনতে ভুল করেন না! পায়ের নূপুর দেখে মেয়ের লাশ শনাক্ত করলেন মো. ওয়ালিউল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি রাসায়নিক গুদামে লাগা ভয়াবহ আগুনে পুড়ে অন্তত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। টিনশেড দোতলা গুদামটিতে আগুন লাগার পর তা বিস্ফোরিত হয়ে পাশের একটি চারতলা ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
১ ঘণ্টা আগে