নোয়াখালীর হাতিয়া
ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)
ঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ২০টি বড় ঘাটে এখন এই মন্দা অবস্থা চলছে।
ইলিশ শিকার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশের ভরা মৌসুম। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিবছর এ সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করেন। এখানকার নিঝুম দ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, বাংলাবাজার, চেয়ারম্যান ঘাটসহ বড় ২০টি ঘাটের ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করে ইলিশ ধরতে।
জেলেরা জানান, এ বছর জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। প্রতিদিন প্রায় শূন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। মৌসুমের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেননি তাঁরা। নদীতে নামতে গিয়ে দিন দিন দেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূর্যমুখী ঘাটের দক্ষিণে খালপাড়ে বসে ছিলেন সবুর আলী (৫৫)। বাড়ি ভোলার দৌলতখানে। ভালো মাছ পাওয়ার আশায় গত সপ্তাহে এখানে এলেও এখনো সেই আশা পূরণ হয়নি। সবুর জানান, প্রতিদিন দেনা করে নদীতে গেলেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়। এ কারণে গত চার দিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় সংসার খরচ চালানোর জন্য এক টাকাও দিয়ে আসতে পারেননি। পরিকল্পনা ছিল, নদীতে মাছ ধরে বাড়িতে টাকা পাঠাবেন। এখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
সবুরের মতো অনেকে নদীতে না গিয়ে ঘাট এলাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছেন। আব্দুর রব মাঝি জানান, তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আটজন কাজ করেন। মাছ না পাওয়ায় তিনি ইতিমধ্যে দেড় লাখ টাকা দেনার মধ্যে পড়ে গেছেন। তাঁর দুই লোক কাউকে কিছু না বলে গোপনে চট্টগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে।
রব মাঝির তথ্য অনুযায়ী, সূর্যমুখী ঘাটে স্থানীয় ও বাইরের মিলিয়ে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। দিনে ৩০-৪০টি ট্রলার নদীতে যায়। মাছ না থাকায় অন্যরা ঘাটে বেকার সময় পার করছেন।
ঘাটের শ্রমিক সর্দার নূর ইসলাম জানান, তাঁর অধীনে ৮৫ শ্রমিক কাজ করেন। কোনো নৌকা বা ট্রলার ভিড়লে তাঁরা সেখান থেকে মাছ টুকরিতে করে নিলামের বাক্সে এনে দেন। প্রতিদিন যে টাকা পান তা ভাগ করে নেন ৮৫ জন। এ বছর প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে প্রত্যেকে ৩০-৪০ টাকা করে পাচ্ছেন। এতে নিজেদের চা-নাশতার খরচই হচ্ছে না। সংসার চলছে দেনা করে।
এ নিয়ে কথা হলে সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এই বছরের মতো এত কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকেই মাছ নেই। অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছেন। ঘাটে সবার মুখে হতাশা।
শুধু সূর্যমুখী ঘাটে নয়, একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারণ হিসেবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও নদীতে ডুবোচর ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি জানান, কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসায় সেখানে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি আশা করছেন, মৌসুমের সামনের সময়গুলোতে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে।
ঘাটে নেই চিরচেনা হাঁকডাক। চায়ের দোকানে উচ্চ স্বরে বাজছে না গান। পাওয়া যাচ্ছে না বরফ ভাঙার আওয়াজ। জেলে, শ্রমিক, ব্যাপারী, আড়তদার—সবাই ঝিমিয়ে আছেন। চোখেমুখে হতাশার চাপ। কারণ, শিকারের মৌসুমে ইলিশের আকাল চলছে। নদীতে যাওয়া জেলে নৌকাগুলো শূন্য হাতে ফিরে আসছে। নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ২০টি বড় ঘাটে এখন এই মন্দা অবস্থা চলছে।
ইলিশ শিকার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা শেষে ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশের ভরা মৌসুম। চলবে আগস্ট পর্যন্ত। প্রতিবছর এ সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা নদীতে রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করেন। এখানকার নিঝুম দ্বীপ, বন্দরটিলা, সুইজের ঘাট, মোক্তারিয়া, দানারদোল, সূর্যমুখী, কাজিরবাজার, বাংলাবাজার, চেয়ারম্যান ঘাটসহ বড় ২০টি ঘাটের ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার জেলে নৌকা নদীতে বিচরণ করে ইলিশ ধরতে।
জেলেরা জানান, এ বছর জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। প্রতিদিন প্রায় শূন্য হাতে ঘাটে ফিরতে হচ্ছে তাঁদের। মৌসুমের প্রায় অর্ধেক সময় চলে গেলেও এখনো লাভের মুখ দেখেননি তাঁরা। নদীতে নামতে গিয়ে দিন দিন দেনার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সূর্যমুখী ঘাটের দক্ষিণে খালপাড়ে বসে ছিলেন সবুর আলী (৫৫)। বাড়ি ভোলার দৌলতখানে। ভালো মাছ পাওয়ার আশায় গত সপ্তাহে এখানে এলেও এখনো সেই আশা পূরণ হয়নি। সবুর জানান, প্রতিদিন দেনা করে নদীতে গেলেও শূন্য হাতে ফিরতে হয়। এ কারণে গত চার দিন নদীতে না গিয়ে ঘাটে বেকার বসে আছেন। বাড়ি থেকে আসার সময় সংসার খরচ চালানোর জন্য এক টাকাও দিয়ে আসতে পারেননি। পরিকল্পনা ছিল, নদীতে মাছ ধরে বাড়িতে টাকা পাঠাবেন। এখন সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
সবুরের মতো অনেকে নদীতে না গিয়ে ঘাট এলাকায় বেকার সময় কাটাচ্ছেন। আব্দুর রব মাঝি জানান, তাঁর ইঞ্জিনচালিত নৌকায় আটজন কাজ করেন। মাছ না পাওয়ায় তিনি ইতিমধ্যে দেড় লাখ টাকা দেনার মধ্যে পড়ে গেছেন। তাঁর দুই লোক কাউকে কিছু না বলে গোপনে চট্টগ্রাম চলে গেছেন। এখন নৌকাটি ঘাটে পড়ে আছে।
রব মাঝির তথ্য অনুযায়ী, সূর্যমুখী ঘাটে স্থানীয় ও বাইরের মিলিয়ে ৫ শতাধিক ট্রলার রয়েছে। দিনে ৩০-৪০টি ট্রলার নদীতে যায়। মাছ না থাকায় অন্যরা ঘাটে বেকার সময় পার করছেন।
ঘাটের শ্রমিক সর্দার নূর ইসলাম জানান, তাঁর অধীনে ৮৫ শ্রমিক কাজ করেন। কোনো নৌকা বা ট্রলার ভিড়লে তাঁরা সেখান থেকে মাছ টুকরিতে করে নিলামের বাক্সে এনে দেন। প্রতিদিন যে টাকা পান তা ভাগ করে নেন ৮৫ জন। এ বছর প্রতিদিন কাজ শেষে ভাগে প্রত্যেকে ৩০-৪০ টাকা করে পাচ্ছেন। এতে নিজেদের চা-নাশতার খরচই হচ্ছে না। সংসার চলছে দেনা করে।
এ নিয়ে কথা হলে সূর্যমুখী ঘাট মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. ফয়েজুর রহমান নান্টু বলেন, ‘১৯৯৩ সাল থেকে আমি মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু এই বছরের মতো এত কঠিন অবস্থা আর কখনো দেখিনি। মৌসুমের প্রথম থেকেই মাছ নেই। অনেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে অন্যত্র চলে গেছেন। ঘাটে পড়ে থাকা অসংখ্য নৌকার জেলেরা পালিয়ে গেছেন। ঘাটে সবার মুখে হতাশা।
শুধু সূর্যমুখী ঘাটে নয়, একই অবস্থা হাতিয়ার ২০টি ঘাটে। মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবাই অনেকটা দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন।’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাহাদ হাসান ভরা মৌসুমে ইলিশ না পাওয়ার কারণ হিসেবে জাটকা নিধন, মা ইলিশ ধরা ছাড়াও নদীতে ডুবোচর ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করেন। এ ছাড়া তিনি জানান, কলকারখানার বর্জ্য নদীতে আসায় সেখানে মাছের বিচরণ অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। এ জন্য নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তিনি আশা করছেন, মৌসুমের সামনের সময়গুলোতে আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যাবে।
রাকসু নির্বাচনের চারটি কেন্দ্রের ফলাফলে এগিয়ে আছেন ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি ও এজিএস প্রার্থীরা। আর জিএস পদে এগিয়ে আছেন আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সালাউদ্দিন আম্মার। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
২১ মিনিট আগেচট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকায় কারখানার আগুন ছড়িয়ে পড়ে সাততলার পুরো ভবনটিই জ্বলছে। ১০ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। আগুনের তাপের কারণে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাছে যেতে পারছেন না। দূর থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।
২২ মিনিট আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেয়েদের বেগম রোকেয়া হলেও ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবিরের চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছেন ছাত্রশিবির প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।
৩২ মিনিট আগেতিস্তা মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে তিস্তা নদীপারে মশাল প্রজ্বালন করেছে হাজারো মানুষ। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রংপুর বিভাগের পাঁচ জেলা কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট, রংপুর ও নীলফামারীতে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করে ‘তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি’।
১ ঘণ্টা আগে