মাসুদ পারভেজ রুবেল, ডিমলা (নীলফামারী)
নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীর ডিমলায় পশুর হাটগুলোতে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত হাসিল বা খাজনা আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁরা প্রশাসনের ইজারা শর্ত ও নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না। উপজেলার বিভিন্ন হাটে পশু বিক্রির রসিদ দেখে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা জানা গেছে, গরু-ছাগল বিক্রিতে সরকারনির্ধারিত খাজনার চেয়ে দ্বিগুণ থেকে দ্বিগুণের বেশি আদায় করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ডিমলায় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে ৮ টি। যেগুলো উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এসব হাটে প্রতিটি গরু ও মহিষের জন্য ৫০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা খাজনা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া গবাদিপশুর জন্য শুধু ক্রেতারাই খাজনা দেবেন বলা আছে।
উপজেলার খোড়ারডাংগা পশুর হাটে সরেজমিনে দেখা গেছে, হাটের কোথাও খাজনা আদায়-সংক্রান্ত তালিকা টাঙানো নেই। এতে সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতারা সরকারনির্ধারিত খাজনার পরিমাণ জানতে পারছেন না। এদিকে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায়ের নিয়ম থাকলেও ১ হাজার টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছ থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছে থেকে আদায় করা হচ্ছে ৩০০ টাকা করে। অন্যদিকে ছাগলপ্রতি ১৫০ টাকা করে খাজনা নির্ধারণ করা থাকলেও আদায় করা হচ্ছে ৪০০ টাকা।
এই হাটে গরু কিনতে এসেছিলেন কালিগঞ্জ এলাকার নাজমুল হোসেন। তিনি জানান, বিক্রেতা রশিদুলের সঙ্গে দরদাম করে ৪৮ হাজার টাকায় একটি গরু কেনেন। রসিদ নিতে গেলে ইজারাদারের প্রতিনিধি ক্রেতার কাছে ৫০০ এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৫০০ টাকা খাজনা দাবি করেন। এ নিয়ে তাঁদের বাগ্বিতণ্ডা হয়। শেষমেশ ১ হাজার টাকা খাজনা দিয়েই হাট ছাড়তে হয় তাঁদের। নাজমুল বলেন, ‘১ হাজার নিলেও রসিদে (ছাড়পত্র) খাজনার ঘরে ৫০০ টাকা লেখা হয়। তিনি খাজনার পরিমাণ লেখার জন্য জোর করলে ‘বই (রসিদ) লেখক’ ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা লিখে দেন। তাঁর মতো অনেককে ভ্যাট বাবদ ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে।’
হাটের ইজারাদার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গরুপ্রতি ৭০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।’ ভ্যাট বাবদ টাকা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি যাচাই করে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।
উপজেলার আরও দুটি পশুর হাট ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে। অধিকাংশ হাটেই খাজনা আদায়-সংক্রান্ত নির্দেশনাবলি টাঙানো হয়নি।
উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানি হাট সপ্তাহের প্রতি রোববার ও বুধবার বসে। গতকাল সরেজমিনে দেখা গেছে, গরুপ্রতি ১ হাজার টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এর মধ্যে ক্রেতার কাছে থেকে ৭০০ টাকা এবং বিক্রেতার কাছ থেকে ৩০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আবু কালাম নামের এক ক্রেতা জানান, ৪২ হাজার ও ৬২ হাজার টাকা দিয়ে হাটে দুটি গরু কিনেছেন। এ জন্য ইজারাদারকে দিতে হয়েছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। আর বিক্রেতা দিয়েছেন ৬০০ টাকা।
চাপানি হাটে গরু বিক্রি করতে এসেছিলেন সফিয়ার ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি জানান, এত দিন গরু বিক্রির জন্য ক্রেতার থেকে খাজনা আদায় করা হলেও এবার বিক্রেতার থেকেও খাজনা আদায় করছেন ইজারাদারেরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইজারাদার ইউনুস আলী সাংবাদিক পরিচয় জেনে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ইউএনও ইমরানুজ্জামান বলেন, কোরবানির হাটে পশু কেনাবেচায় অতিরিক্ত খাজনা আদায় বা ভ্যাট নেওয়ার সুযোগ নেই। পশুর হাটে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করা হলে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পতেঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২৭ মিনিট আগেরাজধানীর মিরপুরের রূপনগরে কেমিক্যাল গোডাউন ও পোশাক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ১৬ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়।
২৮ মিনিট আগেআইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে বরগুনার বেতাগী উপজেলার চান্দখালীর আল্লাহু চত্বর এলাকায় যৌথ বাহিনী চেকপোস্ট পরিচালনা করেছে। আজ রোববার (১৯ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট জুম্মান খান।
৩৮ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের উত্তর পাকডাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী নাহিদের (৭) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে