Ajker Patrika

দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বড় ভাই নিহত, আহত ছোট ভাই

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মে ২০২৪, ০৯: ৪৬
দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় বড় ভাই নিহত, আহত ছোট ভাই

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মাসরুল মিয়া (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁরই ছোট ভাই মাসুম মিয়া (১৭)। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চণ্ডীগড় ইউনিয়নের একতা বাজার এলাকায় হামলার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাসরুল মিয়া ও আহত মাসুম মিয়া উপজেলার চণ্ডীগড় ইউনিয়নের পাথারিয়া গ্রামের চান মিয়ার ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার একতা বাজারে নাঈম ও রায়হান (দুই ভাই) ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাসরুলকে আঘাত করেন। এ সময় মাসুম এগিয়ে গেলে তাঁকেও আঘাত করে তাঁরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসরুলকে মৃত ঘোষণা করেন। অপরজনকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে তাঁদের মধ্যে কী নিয়ে বিরোধ ছিল, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনায় হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের আটকের চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দিনদুপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

রায়পুরা (নরসিংদী)প্রতিনিধি
নিহতদের বাড়িতে স্বজন ও স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতদের বাড়িতে স্বজন ও স্থানীয়দের ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর রায়পুরায় পারিবারিক জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইকে দিনদুপুরে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা ও চাচাতো ভাইবোনদের বিরুদ্ধে। আজ শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরসুবুদ্ধি ইউনিয়নের চরসুবুদ্ধি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন চরসুবুদ্ধি গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে ফুরা মিয়া (৪০) ও শাকিল মিয়া (৩০)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ।

পুলিশ ও নিহতদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই গ্রামের আবু তাহেরের সঙ্গে তার ভাই আউয়ালের পারিবারিকভাবে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে।। শনিবার সকালে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে আউয়াল, তাঁর ছেলে শিপন ও রিপন, মেয়ে শাহানা, আজিনা, আছমা, সুমাইয়াসহ ১০-১২ জন দা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিপক্ষ পরিবারের ফুরা মিয়াদের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় ফুরা মিয়া, তাঁর ভাই শাকিল ও পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফুরা মিয়া ও শাকিলসহ চারজনকে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ফুরা মিয়া ও শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় মনিরা বেগম নামের এক নারী নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ফরিদা গুলশান আরা জানান, বেলা পৌনে ১টার দিকে আহতদের হাসপাতালে আনা হলে ফুরা মিয়া ও শাকিল নামের দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। এখন পর্যন্ত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের আটকে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নারায়ণগঞ্জে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় যুবলীগ নেতা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি 
যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি। ছবি: সংগৃহীত
যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি। ছবি: সংগৃহীত

৩ ঘণ্টার প্যারোলে মুক্তি পেয়ে স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি।

শনিবার (১ নভেম্বর) জোহর নামাজের পর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর কার্যালয়ের সামনের একটি মাদ্রাসায় জানাজা হয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মতিউর রহমানের স্ত্রী রোকেয়া মারা যান।

স্ত্রীর জানাজায় অংশ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মতি। এ সময় উপস্থিত মুসল্লিদের উদ্দেশে তিনি তাঁর স্ত্রীর দোষগুণ ভুলে ক্ষমার আবেদন করেন। অঝোরে কেঁদে মতি বলেন, ‘আমি ১০ মাস ধরে কারাগারে রয়েছি। এর ভেতর গতকাল আমার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর সঙ্গে আমি ৩২ বছরের সংসার জীবন কাটিয়েছি। তিনি সব সময় আমাকে আগলে রেখেছেন।’  

যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি। ছবি: সংগৃহীত
যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতি। ছবি: সংগৃহীত

মতিউর রহমান আরও বলেন, ‘আমার দুর্ভাগ্য যে আমার বড় ভাই যখন মৃত্যুবরণ করেছিলেন তখনো আমি কারাগারে ছিলাম। আজকের মতো তখনো আমার অনুপস্থিতিতে আপনারা সবাই সবকিছু করেছিলেন। আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার স্ত্রী যদি চলার পথে আপনাদের সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ; কিংবা ভুল করে থাকেন আমি তাঁর হয়ে আপনাদের কাছে ক্ষমা চাই। তাঁর জন্য দোয়া করবেন। আমি তাঁর জানাজায় অংশ নিতে পেড়েছি, এটাই আমার জন্য অনেক।’  

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, বেলা ১টা থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত মতিউর রহমান মতিকে কারা কর্তৃপক্ষ প্যারোলে মুক্তি দিয়েছে।

উল্লেখ্য, এ বছরের ১২ জানুয়ারি রাতে ঢাকায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতি ও তাঁর ছেলে বাবুইকে গ্রেপ্তার করে ভাটারা থানা-পুলিশ। এরপর তাঁদের জেলহাজতে পাঠানো হলে মতির ছেলে বাবুই জামিনে মুক্তি পান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গ্রেপ্তার হয়ে অবাক ডন, বললেন—‘স্যার আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন’

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুরের আলোচিত ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলামকে (ডানে) সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের আলোচিত ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলামকে (ডানে) সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘স্যার, আমাকে কীভাবে গ্রেপ্তার করলেন? আমাকে তো গ্রেপ্তার করার কথা না।’ র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তারের সময় অবাক হয়ে এমন প্রশ্ন করেন ফরিদপুরের আলোচিত ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলাম (৩৮)। তাঁর মতে, ‘ছোট একটা ভুলের’ কারণে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন।

র‍্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে ডন শরিফ বলেন, ‘আমার ছোট একটা ভুল হয়েছে। আরওয়ানফাইভ মোটরসাইকেল থাকলে আমাকে গ্রেপ্তার করতে পারতেন না, আপনাদের ওপর দিয়ে চালিয়ে চলে যেতাম।’

ফরিদপুরের আলোচিত ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফরিদপুরের আলোচিত ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার র‍্যাবের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

আজ শনিবার দুপুরে ফরিদপুর র‍্যাব ক্যাম্পে সংবাদ সম্মেলনে শরীফুলকে গ্রেপ্তারের বর্ণনা দেন র‍্যাব-১০-এর অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, অপরাধ জগতে ডন শরিফ খ্যাত শরীফুল ইসলামের এতটাই দক্ষতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে কখনো গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে, এটা তিনি ভাবতেও পারেননি। এ জন্য গ্রেপ্তারের সময় তিনি নিজেই অবাক হয়ে যান।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ফরিদপুরের সালথা উপজেলা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন র‍্যাবের সদস্যরা। শরীফুল ফরিদপুর জেলা শহরের কবিরপুর এলাকার মৃত ফারুক শেখের ছেলে।

র‍্যাব জানিয়েছে, শরীফুলের সঙ্গে রায়হান মোল্যা (২৫) নামের তাঁর এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় দেড় কেজি গাঁজা ও ছিনতাইয় কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল, সুইচ গিয়ার চাকু, ক্ষুর, কাঁচি ও একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ছিনতাইয় কাজে ব্যবহৃত আরওয়ানফাইভ ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। মোটরসাইকেলটি সম্প্রতি পাবনা থেকে ক্রয়ের নামে ট্রায়াল দেওয়ার সময় নিয়ে পালিয়ে আসেন শরীফুল।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব কর্মকর্তা জানান, গত ২১ অক্টোবর শহরের উত্তর শোভারামপুরে এক গৃহবধূকে পিস্তল ঠেকিয়ে কানের দুল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সে ঘটনার একটি সিসি ক্যামেরার দৃশ্য ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হলে ছায়াতদন্ত শুরু করে র‍্যাব। তাতে শরীফুলের সম্পৃক্ততা পাওয়ার যায়। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হলে তিনি বারবার অবস্থান পরিবর্তন করতে থাকেন।

ডন শরীফুলের উত্থান যেভাবে:

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ছোটবেলা থেকেই শরীফুল অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ২০০৮ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের একটি মামলার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো পুলিশের খাতায় নাম আসে তাঁর। এরপর থেকে তিনি অপরাধ জগতে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে পড়েন। মাদক কারবার, খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির মতো অপরাধ কর্মকাণ্ডে বারবার নাম আসে তাঁর। এসব ঘটনায় ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় আটটি মামলাসহ ১০টি মামলা রয়েছে তাঁর নামে। তিনি এ পর্যন্ত চারবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন।

র‍্যাবসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি শহরের ঝিলটুলী এলাকায় ভোরে ছিনতাইকারীদের হাতে নিহত হন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ নার্স অরুণিমা ভৌমিক। ওই দিন ভোরে ডিউটি শেষে রিকশায় বাসায় ফিরছিলেন অরুণিমা। তখন শরীফুলসহ দুজন ছিনতাইকারী তাঁর হাতে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেন। এ সময় অরুণিমা রিকশা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনায় সিসি ক্যামেরা ফুটেজের দৃশ্যে শরীফুলের উপস্থিতি দেখা যায়। পরে তিনি আলোচনায় আসেন। ছিনতাই ও হত্যার ঘটনায় মামলা করা হলে ওই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি শরীফুলসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব জানায়, অরুণিমা হত্যা মামলায় দুই বছরের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আসেন শরীফুল। সর্বশেষ ২০২৩ সালে তিনি আরেকবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। পরে তিনি আবার জামিনে বেরিয়ে দুই বছর ধরে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। শরীফুলের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাঁকে থানায় হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসির কোনো নীতিমালা নেই: হাসনাত আবদুল্লাহ

বরগুনা প্রতিনিধি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি
হাসনাত আবদুল্লাহ। ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের প্রতীকের তালিকায় শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনে ব্যক্তিসর্বস্ব স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আমরা দেখেছি। আমরা শুরু থেকে বলেছি, এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো নীতিমালা নেই। তারা কোন নীতিমালার আন্ডারে শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্ত করেছে? কোন নীতিমালার কারণে তারা শাপলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে না? এটা কি তারা স্পস্ট করেছে? করেনি। অন্যান্য রাজনৈতিক দলকে কোন নীতিমালার কারণে তাদের প্রতীক দিয়েছে, সেটা কি স্পষ্ট করেছে? সেটাও করেনি। তার মানে এ নির্বাচন কমিশনের মার্কা সংযুক্তিকরণ বা না করণের যে বিষয়টি...মধ্যযুগীয়ভাবে এ বিষয়গুলো ডিল করছে নির্বাচন কমিশন।’

আজ শনিবার (১ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে বরগুনা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত সমন্বয় সভায় সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

এনসিপির এ নেতা বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, নির্বাচন কমিশনে অনেকগুলো পক্ষের শক্তি জড়িত।’ তিনি বলেন, যারা বিএনপিপন্থী কমিশনার আছেন, তাঁরা বিএনপির পারপাস সার্ভ করেন, যাঁরা জামায়াতপন্থী আছেন, তাঁরা জামায়াতের পারপাস সার্ভ করেন। আর যাঁরা আর্মিপন্থী নির্বাচন কমিশনার আছেন, তাঁরা আর্মিদের পারপাস সার্ভ করেন। এই কমিশনে আবার অসংখ্য আওয়ামী লীগপন্থী চাকরিজীবী রয়েছেন। তাঁদের বিষয়ে কি নির্বাচন কমিশনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? নেয়নি।

হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা এনসিপি—আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি। নির্বাচন কমিশন তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে স্বেচ্ছাচারীভাবে। সংস্কার নিয়ে আর আমাদের মার্কা নিয়ে আমরা সব সময় একটা অবস্থানে ছিলাম।’

এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘যদি আমাদের শাপলা বরাদ্দ না দেন, তার ব্যাখ্যা দিতে হবে। আইনগত জায়গা থেকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন বলেছে, “আমরা কেন শাপলা দিব না তার ব্যাখ্যা দিব না।” এটা কি কোনোভাবে সম্ভব?’

হাসনাত বলেন, ‘ব্যাখ্যাবিহীন রাষ্ট্র ৫ আগস্টের আগে ছিল। হাসিনা যখন চালাইত, তখন ব্যাখ্যাবিহীন চালাইত, জবাবদিহিবিহীন চালাইত। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এই নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে থাকে তারা জবাবদিহিবিহীন কোনো একটি সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবে, আর আমরা সেটা মেনে নিব, সেটা সম্ভব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত