হারুনূর রশিদ (রায়পুরা) নরসিংদী

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক।
আজ শনিবার দুপুরে হল এলাকার রাস্তার পাশে একটি ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ ছন্দা সিনেমা হলটি মাদ্রাসার জন্য বায়না করা হয়েছে। চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বায়না মূল্য ২০ লাখ টাকা। সাদকায়ে জারিয়ার এ মহৎ কাজে আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। প্রচারে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।’
হলটিতে গিয়ে দেখা যায়, হলটির সামনে ঝুলছে ছোট-বড় আকারের ‘রাজকুমার’ ছবির পোস্টার। ভেতরে শো চলছে। পরবর্তী শো দেখতে হলটির সামনে কিছু দর্শক অপেক্ষাও করছেন।
মাদ্রাসার জিম্মাদার মাওলানা মোকাররম হোসাইন জানান, ইদরিসিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার কাছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ জন্য ২০ লাখ টাকা বায়নাও করা হয়েছে। সিনেমা হলটি ভেঙে প্রতিষ্ঠা করা হবে একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মালিকপক্ষ বলছে, করোনার পর থেকে নানা কারণে সিনেমা হলে দর্শকের উপস্থিতি কমেছে। ব্যবসায় নেমেছে ধস। ইতিমধ্যে হলটি বায়না দলিলে বিক্রির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল মিয়া, আমির হোসেন, ওয়াহিদ মিয়া, জয়নাল মিয়াসহ অনেকে বলেন, আগে হলটি ভালোই চলতো। পাঁচ-সাত বছর ধরে নানা কারণে আগের মতো আর চলে না। মাদ্রাসা-এতিমখানা ঘেঁষে সিনেমা হল। এখানে নাচগানের আওয়াজ আসে। মাদ্রাসার জায়গাও কম।

ইদরিসিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মো. মোকাররম হোসাইন বলেন, ‘জানতে পারি মালিকপক্ষ হলটি বিক্রি করে দেবে। স্থানীয়রা চিন্তা করে হলটি মাদ্রাসার জন্য ক্রয় করার পরিকল্পনা নেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ধরে, ২০ লাখ টাকায় বায়না দলিল করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ লাখ টাকা জমা পরেছে। সকলের সহযোগী নিয়ে মাদ্রাসাটির নামে ওই স্থাবর সম্পত্তি ৩৩ শতক জমি ওকফ দলিল করা হবে। আশা করি স্থানীয় ও বিত্তবান সকলের সহযোগিতায় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ‘আগে সিনেমা হলে পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে সিনেমা দেখতাম। এখন নানা কারণে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে ইচ্ছা করে না। ভালো ছবি আসলে, মাঝেমধ্যে আসি। শুনলাম ছন্দা হলটি মাদ্রাসার কাছে বিক্রি হয়েছে। হয়তো সামনে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই রাজকুমার ছবিটি দেখতে এলাম।’
কয়েক বছর ধরে হলটি ভাড়ায় চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুলতান মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসল মালিক সামসুল ইসলাম মানিকের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি। ৪০০ টাকা হাজিরায় চারজন কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করে আসছি। করোনার পর থেকে দীর্ঘদিন লোকসান গুনে গুনে এত দিন হল চালাচ্ছি। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ নানা মেইনটেন্যান্স খরচ। ফিল্মের জগৎ আগে ছিল টাটকা টাকা, এখন নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয়তমা ছবিটিতে বেশ ব্যবসা হয়েছিল। এখন নানা কারণে এ ব্যবসা মন্দা। সিনেমা মুক্তির দুই মাসের মধ্যে নেটগুলোতে সিনেমা বিক্রি করে দেয়। হাতে মোবাইল ফোনে দেখে ফেলে, কেউ হলে সিনেমা দেখতে আসে না। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল মালিকেরা। মালিকপক্ষ যদি হল বিক্রি করে দিতে চায়, তাহলে করার কিছুই নাই।’
ছন্দা হলের কর্মচারী আবুল কালাম, মোহাম্মদ রবিন বলেন, এই হলটিতে সব সময় দর্শকদের দীর্ঘ লাইন, কষ্ট করে টিকিট সংগ্রহ করে উপচে পড়া ভিড়ে ছিল। বর্তমানে সিনেমা ব্যবসা মন্দা হওয়ায় তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ব্যবসা মন্দা হওয়ায় মালিকপক্ষ তাঁদের ঠিকমতো বেতনও দিতে পারে না। ঈদ উপলক্ষে শো চলছে। হল বন্ধ থাকলে তাঁদের বেকার জীবন চলে। কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করেন।
নরসিংদীতে বন্ধ হওয়া অপর একটি হলের মালিক সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একসময় নরসিংদীতে ১৯টি সিনেমা হল ছিল। আগে ভালো মানের একটি সিনেমা প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ এক টানা চলত। ভরপুর দর্শক হতো। ব্যবসায় ধসের কারণে দু-একটি ব্যতীত সবগুলো হল বন্ধ। শুনলাম জনপ্রিয় ছন্দা সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
নরসিংদীর প্রবীণ এক চলচ্চিত্র প্রযোজক সামসুর রহমান পিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্প চরম ক্রান্তিকাল পার করছে। মোবাইল ফোনে যখন খুশি তখনই সব মেলে। সিনেমা হলে তেমন যেতে হয় না। নরসিংদীসহ পুরো দেশের অধিকাংশ সিনেমা হল প্রায় বন্ধ। নরসিংদীতে গত দুই দশকে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫টির প্রেক্ষাগৃহ। সর্বশেষ আমাদের রায়পুরার হাসনাবাদের আশির দশকের ছন্দা সিনেমা হল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।’

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক।
আজ শনিবার দুপুরে হল এলাকার রাস্তার পাশে একটি ব্যানার সাঁটানো হয়েছে। এতে লেখা রয়েছে, ‘আলহামদুলিল্লাহ ছন্দা সিনেমা হলটি মাদ্রাসার জন্য বায়না করা হয়েছে। চুক্তিমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বায়না মূল্য ২০ লাখ টাকা। সাদকায়ে জারিয়ার এ মহৎ কাজে আপনাদের আন্তরিক দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। প্রচারে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।’
হলটিতে গিয়ে দেখা যায়, হলটির সামনে ঝুলছে ছোট-বড় আকারের ‘রাজকুমার’ ছবির পোস্টার। ভেতরে শো চলছে। পরবর্তী শো দেখতে হলটির সামনে কিছু দর্শক অপেক্ষাও করছেন।
মাদ্রাসার জিম্মাদার মাওলানা মোকাররম হোসাইন জানান, ইদরিসিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার কাছে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ জন্য ২০ লাখ টাকা বায়নাও করা হয়েছে। সিনেমা হলটি ভেঙে প্রতিষ্ঠা করা হবে একটি দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
মালিকপক্ষ বলছে, করোনার পর থেকে নানা কারণে সিনেমা হলে দর্শকের উপস্থিতি কমেছে। ব্যবসায় নেমেছে ধস। ইতিমধ্যে হলটি বায়না দলিলে বিক্রির প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষ।
স্থানীয় বাসিন্দা কামাল মিয়া, আমির হোসেন, ওয়াহিদ মিয়া, জয়নাল মিয়াসহ অনেকে বলেন, আগে হলটি ভালোই চলতো। পাঁচ-সাত বছর ধরে নানা কারণে আগের মতো আর চলে না। মাদ্রাসা-এতিমখানা ঘেঁষে সিনেমা হল। এখানে নাচগানের আওয়াজ আসে। মাদ্রাসার জায়গাও কম।

ইদরিসিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা মো. মোকাররম হোসাইন বলেন, ‘জানতে পারি মালিকপক্ষ হলটি বিক্রি করে দেবে। স্থানীয়রা চিন্তা করে হলটি মাদ্রাসার জন্য ক্রয় করার পরিকল্পনা নেন। মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ধরে, ২০ লাখ টাকায় বায়না দলিল করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৩ লাখ টাকা জমা পরেছে। সকলের সহযোগী নিয়ে মাদ্রাসাটির নামে ওই স্থাবর সম্পত্তি ৩৩ শতক জমি ওকফ দলিল করা হবে। আশা করি স্থানীয় ও বিত্তবান সকলের সহযোগিতায় দ্বীনি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন দর্শনার্থী বলেন, ‘আগে সিনেমা হলে পরিবার বন্ধু-বান্ধব নিয়ে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে সিনেমা দেখতাম। এখন নানা কারণে হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে ইচ্ছা করে না। ভালো ছবি আসলে, মাঝেমধ্যে আসি। শুনলাম ছন্দা হলটি মাদ্রাসার কাছে বিক্রি হয়েছে। হয়তো সামনে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই রাজকুমার ছবিটি দেখতে এলাম।’
কয়েক বছর ধরে হলটি ভাড়ায় চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা মো. সুলতান মিয়া। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসল মালিক সামসুল ইসলাম মানিকের কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়ায় চুক্তি। ৪০০ টাকা হাজিরায় চারজন কর্মচারী নিয়ে পরিচালনা করে আসছি। করোনার পর থেকে দীর্ঘদিন লোকসান গুনে গুনে এত দিন হল চালাচ্ছি। মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনসহ নানা মেইনটেন্যান্স খরচ। ফিল্মের জগৎ আগে ছিল টাটকা টাকা, এখন নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রিয়তমা ছবিটিতে বেশ ব্যবসা হয়েছিল। এখন নানা কারণে এ ব্যবসা মন্দা। সিনেমা মুক্তির দুই মাসের মধ্যে নেটগুলোতে সিনেমা বিক্রি করে দেয়। হাতে মোবাইল ফোনে দেখে ফেলে, কেউ হলে সিনেমা দেখতে আসে না। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হল মালিকেরা। মালিকপক্ষ যদি হল বিক্রি করে দিতে চায়, তাহলে করার কিছুই নাই।’
ছন্দা হলের কর্মচারী আবুল কালাম, মোহাম্মদ রবিন বলেন, এই হলটিতে সব সময় দর্শকদের দীর্ঘ লাইন, কষ্ট করে টিকিট সংগ্রহ করে উপচে পড়া ভিড়ে ছিল। বর্তমানে সিনেমা ব্যবসা মন্দা হওয়ায় তাদের আর্থিক অবস্থা খুবই শোচনীয়। ব্যবসা মন্দা হওয়ায় মালিকপক্ষ তাঁদের ঠিকমতো বেতনও দিতে পারে না। ঈদ উপলক্ষে শো চলছে। হল বন্ধ থাকলে তাঁদের বেকার জীবন চলে। কর্মচারীরা মানবেতর জীবন যাপন করেন।
নরসিংদীতে বন্ধ হওয়া অপর একটি হলের মালিক সাদ্দাম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একসময় নরসিংদীতে ১৯টি সিনেমা হল ছিল। আগে ভালো মানের একটি সিনেমা প্রায় তিন থেকে চার সপ্তাহ এক টানা চলত। ভরপুর দর্শক হতো। ব্যবসায় ধসের কারণে দু-একটি ব্যতীত সবগুলো হল বন্ধ। শুনলাম জনপ্রিয় ছন্দা সিনেমা হলটিও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।’
নরসিংদীর প্রবীণ এক চলচ্চিত্র প্রযোজক সামসুর রহমান পিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্প চরম ক্রান্তিকাল পার করছে। মোবাইল ফোনে যখন খুশি তখনই সব মেলে। সিনেমা হলে তেমন যেতে হয় না। নরসিংদীসহ পুরো দেশের অধিকাংশ সিনেমা হল প্রায় বন্ধ। নরসিংদীতে গত দুই দশকে বন্ধ হয়ে গেছে ১৫টির প্রেক্ষাগৃহ। সর্বশেষ আমাদের রায়পুরার হাসনাবাদের আশির দশকের ছন্দা সিনেমা হল বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।’

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৬ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি, সুস্থ হচ্ছে না। আজ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। অনেক ভিড় থাকায় লাইনে অপেক্ষায় আছি।’
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আরেক অভিভাবক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছয় বছর বয়সী ছেলে আরিয়ান সর্দি, কাশিতে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও সুস্থ হয়নি। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। শীতের মধ্যে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে। আজ হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে এসেছি।’
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শিশু আহনাফ কিংবা আরিয়ান নয়, জেলায় তাদের মতো অনেক শিশু আবহাওয়া পরিবর্তনে ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও যশোর শিশু হাসপাতালে বেড়েছে শিশু রোগীদের ভিড়। চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। চিকিৎসকেরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনজনিত ঠান্ডার কারণে অনেকে কাশি, গলাব্যথা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত জটিলতাসহ জ্বর ও ভাইরাল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
গতকাল যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, ২৪ সিটের বিপরীতে সেখানে চিকিৎসাধীন আছে ৬০ শিশু। এদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে চার শতাধিক শিশু। অপর দিকে যশোর শিশু হাসপাতালে ৫০ সিটের প্রত্যেকটিতে রোগী ভর্তি রয়েছে। এখানে সিট বাদে কাউকে ভর্তি করা হয় না। একই হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়েছে ৩ শতাধিক শিশু রোগী।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা বেনাপোলের শিশু তাকরিমের মা জুঁই সাথী বলেন, ‘ছেলেটি এক মাস ধরে জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ খাওয়াচ্ছি, কিন্তু সুস্থ হচ্ছে না। রাতে রাতে জ্বর আসছে। সরকারি হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসবে শুনে এসেছি। এখানে অনেক রোগীর ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি।’
সদর উপজেলার সতীঘাটা এলাকার রুমা খাতুন বলেন, ‘আমার ১৮ মাস বয়সী ছেলের ঠান্ডা লেগেছে। দুদিন ধরে ঠান্ডায় খুব কষ্ট পাচ্ছে। অল্প টাকায় ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য এখানে এসেছি।’
ঝিকরগাছার ছুটিপুর এলাকার বাসিন্দা তাসলিমা খাতুন বলেন, ‘সর্দি, কাশিতে দুই মাস বয়সী নাতনি খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রথমে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করেছিলাম। সেখানে সুস্থ না হওয়ায় চার দিন আগে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখন নাতনি অনেকটা সুস্থ।’
শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স সালমা খাতুন বলেন, ‘জনবলের তুলনায় রোগীর চাপ বেশি হলে সেবা দিতে আমাদের হিমশিম খেতে হয়। রোগীর বেশি হওয়ায় মেঝেতে রেখেও চিকিৎসা দেওয়া হয়।’
যশোর শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার মাস বয়সী এক শিশুর পিতা কামরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘জন্মের সময় আমার শিশুর ওজন কম ছিল। তাকে অনেক দিন এনআইসিইউতে রাখতে হয়েছিল। চার দিন হলো ঠান্ডাজনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানকার পরিবেশ ও চিকিৎসা ভালো। শিশু সুস্থতার দিকেই যাচ্ছে।’
যশোর শিশু হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. সৈয়দ নূর-ই-হামীম বলেন, শীতে ঠান্ডা, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী বাড়ছে। দুদিন হলো, ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার হার বেড়েছে। হাসপাতালের ৫০ শয্যার একটিও খালি নেই। বহির্বিভাগেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, শীত বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডাজনিত রোগীও বাড়ছে। শিশু ওয়ার্ডে ২৪ সিটের বিপরীতে তিন-চার গুণ বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। জনবল ও অবকাঠামোর সংকট থাকলেও সেবা অব্যাহত আছে।

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক...
২০ এপ্রিল ২০২৪
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৬ ঘণ্টা আগেমিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চিত্র একেবারে উল্টো। এখন পর্যন্ত চাহিদার অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার ৩৭৬ কপি। ইতিমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। গতবার যেখানে বছরের শুরুতে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বই দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, এবার সেই ঘাটতি কাটিয়ে প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫টি স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসাসহ মোট ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ কপি। এর বিপরীতে এসেছে মাত্র ৮২ হাজার ৯৮০ কপি, যা চাহিদার অর্ধেকেরও কম। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই জেলা অফিস থেকে বিতরণ হওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে তাদের চাহিদা ও সরবরাহের পৃথক হিসাব নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বই নিতে ভিড় করেছেন। বস্তাভর্তি বই কাঁধে বা গাড়িতে নিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাচ্ছেন। সেখানে কথা হয় কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাবুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী ১ জানুয়ারিতেই সব বই পাবে।
শিশুরা একসঙ্গে সব বই পেলে খুবই খুশি হয়। গতবার যে সংকট ছিল, এবার সেটা নেই।’
মাধ্যমিক পর্যায়ের এক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সব বই এখনো আসেনি। যতটুকু দেওয়া হচ্ছে, আমরা নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বাকি বই দ্রুত পাওয়া যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দুলাল আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বই পেয়েছি। প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। বাকি বই কবে পাব, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’

রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
তবে মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে চিত্র একেবারে উল্টো। এখন পর্যন্ত চাহিদার অর্ধেকেরও কম বই পেয়েছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য এবার বইয়ের চাহিদা ছিল ৭৫ হাজার ৩৭৬ কপি। ইতিমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। গতবার যেখানে বছরের শুরুতে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বই দেওয়া সম্ভব হয়েছিল, এবার সেই ঘাটতি কাটিয়ে প্রথম দিনেই সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন।
অন্যদিকে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৫টি স্কুল ও ১৯টি মাদ্রাসাসহ মোট ৭৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চাহিদা ছিল ১ লাখ ৯৯ হাজার ১৫০ কপি। এর বিপরীতে এসেছে মাত্র ৮২ হাজার ৯৮০ কপি, যা চাহিদার অর্ধেকেরও কম। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বই জেলা অফিস থেকে বিতরণ হওয়ায় উপজেলা পর্যায়ে তাদের চাহিদা ও সরবরাহের পৃথক হিসাব নেই।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বই নিতে ভিড় করেছেন। বস্তাভর্তি বই কাঁধে বা গাড়িতে নিয়ে তাঁরা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাচ্ছেন। সেখানে কথা হয় কালীগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহাবুল হকের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘এবার আমাদের স্কুলের শতভাগ শিক্ষার্থী ১ জানুয়ারিতেই সব বই পাবে।
শিশুরা একসঙ্গে সব বই পেলে খুবই খুশি হয়। গতবার যে সংকট ছিল, এবার সেটা নেই।’
মাধ্যমিক পর্যায়ের এক মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘সব বই এখনো আসেনি। যতটুকু দেওয়া হচ্ছে, আমরা নিয়ে যাচ্ছি। আশা করি বাকি বই দ্রুত পাওয়া যাবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দুলাল আলম বলেন, ‘চাহিদার তুলনায় অর্ধেক বই পেয়েছি। প্রথম দিন থেকেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব। বাকি বই কবে পাব, এটা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।’

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক...
২০ এপ্রিল ২০২৪
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
৬ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৬ ঘণ্টা আগেশিমুল চৌধুরী, ভোলা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আসনগুলো এবারও হস্তগত করতে চায় বিএনপি। আর বছরখানেক আগে থেকে চারটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ফলে ভোটের মাঠে এ দলটি সব আসনেই বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
ভোলা-১ (সদর): গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুর। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে তোফায়েল আহমেদ এমপি হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আসনটি দখলে ছিল বিএনপির। ২০০৮ সালে বিএনপি ছাড় দেওয়ায় এই দলের সমর্থন ও প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
এরপর ২০১৪-২৪ সাল পর্যন্ত এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হন তোফায়েল আহমেদ। তবে আগামী নির্বাচনে এই আসনটিতে বিএনপি আর ছাড় দিতে নারাজ। এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরকে।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলের জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা মো. নজরুল ইসলামকে। দলটির নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন দলের সহসভাপতি মো. ওবায়েদ বিন মোস্তফা।
আগামী নির্বাচনে সদর আসনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্ভাবনাময় এ দ্বীপ জেলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুত রয়েছে, যা দিয়ে সারকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা করা সম্ভব। ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিও রয়েছে এলাকাবাসীর। ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে স্থানীয়ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান): এই আসনে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেও ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়ী হন মোশারেফ হোসেন শাহজাহান। ২০০১ সালে আসনটি পায় বিএনপি। ২০০৮ সালে এই আসনে ফের আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ এমপি হন। এরপর ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা আলী আজম মুকুল এমপি ছিলেন।
সরকার পতনের পর আলী আজম মুকুল মামলা মাথায় নিয়ে জেলহাজতে থাকায় এবং তোফায়েল পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর আসনটিতে নতুন করে শক্তি সঞ্চারের চেষ্টা করছে বিএনপি। এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমকে। এই আসনে এবার বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. ফজলুল করিম।
অনেক ভোটারের মতে, এই আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিবউল্যাহ খোকন। ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. রেজাউল করিম বোরহানীকে।
ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন): আসনটিতে এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। তিনি ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই আসনে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হন। তবে ২০০৮ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হন মেজর (অব.) জসিমউদ্দিন। কিন্তু চাকরি থেকে অবসরের পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০০৯ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট মেজর (অব.) জসিমউদ্দিনের এমপি পদ অবৈধ ঘোষণা করেন। ফলে আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নুরুন্নবী চৌধুরী (শাওন) নির্বাচিত হন।
এই আসনে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (পিডিপি) কেন্দ্রীয় মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম। তিনি জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ৮ দলের প্রার্থী। মেজর হাফিজের সঙ্গে প্রধান লড়াই হবে নাঈমের। এ ছাড়া মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কামাল হোসেন।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা): এই আসনে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি হন সাদ জগলুল ফারুক। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের এম এম নজরুল ও ১৯৯২ সালের উপনির্বাচনে একই দলের জাফর উল্যাহ চৌধুরী জয়ী হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে জয়ী হন ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম। পরবর্তী সময়ে ২০০৮-২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায় আসনটি। সরকার পতনের পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে মামলা এবং বর্তমানে কারাগারে থাকায় আসনটি দখলে নিতে মরিয়া বিএনপি। এই আসনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি থেকে।
ভোল-৪ আসনে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
এই আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মোস্তফা কামালকে। তিনি এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ কাজে লাগাতে চান। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কামাল হোসেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচনে যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়, তাহলে ভোলার চারটি আসনেই জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয়ী হবেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপস্থিতির সুযোগে আসনগুলো এবারও হস্তগত করতে চায় বিএনপি। আর বছরখানেক আগে থেকে চারটি আসনেই প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ফলে ভোটের মাঠে এ দলটি সব আসনেই বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে।
ভোলা-১ (সদর): গুরুত্বপূর্ণ এই আসনে ১৯৮৬ সালে নির্বাচিত হন সাবেক মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুর। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগ থেকে তোফায়েল আহমেদ এমপি হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে আসনটি দখলে ছিল বিএনপির। ২০০৮ সালে বিএনপি ছাড় দেওয়ায় এই দলের সমর্থন ও প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ।
এরপর ২০১৪-২৪ সাল পর্যন্ত এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হন তোফায়েল আহমেদ। তবে আগামী নির্বাচনে এই আসনটিতে বিএনপি আর ছাড় দিতে নারাজ। এই আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীরকে।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা করেছে দলের জেলা শাখার নায়েবে আমির মাওলানা মো. নজরুল ইসলামকে। দলটির নেতা-কর্মীরা ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী হয়েছেন দলের সহসভাপতি মো. ওবায়েদ বিন মোস্তফা।
আগামী নির্বাচনে সদর আসনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী গোলাম নবী আলমগীর। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, সম্ভাবনাময় এ দ্বীপ জেলায় পর্যাপ্ত গ্যাস মজুত রয়েছে, যা দিয়ে সারকারখানা স্থাপনসহ বিভিন্ন শিল্পকারখানা করা সম্ভব। ভোলা-বরিশাল সেতু নির্মাণের দাবিও রয়েছে এলাকাবাসীর। ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে স্থানীয়ভাবে এসব সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
ভোলা-২ (বোরহানউদ্দিন ও দৌলতখান): এই আসনে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলেও ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনে বিএনপি থেকে জয়ী হন মোশারেফ হোসেন শাহজাহান। ২০০১ সালে আসনটি পায় বিএনপি। ২০০৮ সালে এই আসনে ফের আওয়ামী লীগের তোফায়েল আহমেদ এমপি হন। এরপর ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তোফায়েল আহমেদের ভাতিজা আলী আজম মুকুল এমপি ছিলেন।
সরকার পতনের পর আলী আজম মুকুল মামলা মাথায় নিয়ে জেলহাজতে থাকায় এবং তোফায়েল পরিবারের সদস্যরা আত্মগোপনে যাওয়ার পর আসনটিতে নতুন করে শক্তি সঞ্চারের চেষ্টা করছে বিএনপি। এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিমকে। এই আসনে এবার বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জেলা জামায়াতের সাবেক আমির মো. ফজলুল করিম।
অনেক ভোটারের মতে, এই আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থীর সঙ্গে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। এ ছাড়া এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহিবউল্যাহ খোকন। ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মো. রেজাউল করিম বোরহানীকে।
ভোলা-৩ (লালমোহন ও তজুমদ্দিন): আসনটিতে এবার বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন হেভিওয়েট প্রার্থী দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম। তিনি ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এই আসনে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হন। তবে ২০০৮ সালে প্রথম আওয়ামী লীগ থেকে এমপি হন মেজর (অব.) জসিমউদ্দিন। কিন্তু চাকরি থেকে অবসরের পাঁচ বছর পার হওয়ার আগেই নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ২০০৯ সালের অক্টোবরে সুপ্রিম কোর্ট মেজর (অব.) জসিমউদ্দিনের এমপি পদ অবৈধ ঘোষণা করেন। ফলে আসনটি শূন্য ঘোষণা হলে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে নুরুন্নবী চৌধুরী (শাওন) নির্বাচিত হন।
এই আসনে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (পিডিপি) কেন্দ্রীয় মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম। তিনি জামায়াতে ইসলামীসমর্থিত ৮ দলের প্রার্থী। মেজর হাফিজের সঙ্গে প্রধান লড়াই হবে নাঈমের। এ ছাড়া মাঠে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী কামাল হোসেন।
ভোলা-৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা): এই আসনে ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে এমপি হন সাদ জগলুল ফারুক। ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের এম এম নজরুল ও ১৯৯২ সালের উপনির্বাচনে একই দলের জাফর উল্যাহ চৌধুরী জয়ী হলেও ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে জয়ী হন ডাকসুর সাবেক এজিএস নাজিম উদ্দিন আলম। পরবর্তী সময়ে ২০০৮-২৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দখলে চলে যায় আসনটি। সরকার পতনের পর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এমপি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের বিরুদ্ধে মামলা এবং বর্তমানে কারাগারে থাকায় আসনটি দখলে নিতে মরিয়া বিএনপি। এই আসনে যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়ন মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি থেকে।
ভোল-৪ আসনে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ দাবি করে নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকায় মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি।’
এই আসনে জামায়াতে ইসলামী থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে মোস্তফা কামালকে। তিনি এখানে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সুযোগ কাজে লাগাতে চান। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন কামাল হোসেন।
জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো. হারুন অর রশিদ বলেন, নির্বাচনে যদি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা হয়, তাহলে ভোলার চারটি আসনেই জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয়ী হবেন।

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক...
২০ এপ্রিল ২০২৪
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব।
৬ ঘণ্টা আগেইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

দিগন্তজোড়া চর। চারদিকে মহিষ ও গরুর বিচরণ। মাঝেমধ্যে রয়েছে ভেড়ার পালও। তবে মাঝেমধ্যেই চোখে পড়ে ছোট ছোট মাটির স্তূপ। সারিবদ্ধ এসব স্তূপ দখলের চিহ্ন বোঝানোর জন্য। দখলকারীরা ইতিমধ্যে এসব স্থানে গরু, মহিষ, ভেড়ার পাল না চরানোর নির্দেশ দিয়েছে। সরকার পতনের পর থেকেই চরে চলছে দখলের মচ্ছব। তবে প্রশাসন নীরব। এই দৃশ্য নোয়াখালীর হাতিয়ার চর আতাউর ও জাগলারচরের।
চর আতাউর ও জাগলারচরের অবস্থান হাতিয়ার তমরদ্দি ও চরকিং ইউনিয়নের পশ্চিম পাশে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা এই চর দুটি বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও স্বল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে দখল বন্ধ করতে পারছে না এই দপ্তর। ইতিমধ্যে লিখিতভাবে সহযোগিতা চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কোস্ট গার্ডের কাছে।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা গেছে, স্তূপ করে রাখা মাটিতে একটি করে গাছের ডাল পুঁতে দেওয়া হয়েছে। প্রতি একর জায়গার সীমানায় একটি করে স্তূপ তৈরি করা হয়েছে। সেখানে কথা হয় আবু তাহের নামের একজনের সঙ্গে। মহিষের পাল নিয়ে সেখানে আছেন তিনি। তিনি বলেন, গত বর্ষা মৌসুম থেকে এই চরে দখলের কর্মকাণ্ড চলে আসছে। বর্ষায় হঠাৎ তাঁদের থাকার স্থানের চারপাশে দখল করে জমি চাষ শুরু হয়। বাধা দিলে নেমে আসে নির্যাতন। প্রশাসনকে জানিয়ে কোনো সহযোগিতা পাননি তাঁরা।
চর দখলের কারণে দেখা দিয়েছে গবাদিপশুর খাদ্যসংকট। চারদিকের জমি চাষ হয়ে যাওয়ায় আটকা পড়ে এসব গরু-মহিষ। পরে উপায় না পেয়ে দখলদারদের সঙ্গে সমঝোতায় যেতে হয় স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের মাধ্যমে। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মহিষ-গরু পালনের অনুমতি মিলেছে।
এই দুই চরের রাখালদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দখলদারেরা একসময় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন স্থানীয় বিএনপির নেতা সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনের লোক হিসেবে কাজ করেন। তবে এই বিএনপি নেতা চরে যান না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমি হাতিয়ার বাহিরে অনেক দিন। চর দখলের সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। যারা দখল করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’
এই বিষয়ে চরকিং ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, চর দখলের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এর সঙ্গে মনিরসহ কয়েকজন জড়িত থাকার কথা তিনি শুনেছেন।
স্থানীয়রা জানান, চরের উত্তর পাশে ও মাঝামাঝি দুটি জায়গায় রাখালেরা অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চরের একেবারে দক্ষিণে একটি আশ্রয়ণ ও দুটি গুচ্ছগ্রামে ৪০০ পরিবার বসবাস করে। নদী পার হয়ে হাতিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কিংবা প্রশাসনের কেউ সেখানে যায় না। বন বিভাগ বিশাল এই চরে কেওড়াবাগানের রক্ষণাবেক্ষণ করে। পাশাপাশি নতুন জেগে ওঠা চরে কেওড়ার বীজ বপন করে। তবে দখলদারেরা নতুন ও পুরোনো সব চরের অনেক জায়গা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
চর এলাকায় বন বিভাগের জায়গা দখলের বিষয়ে নলচিরা রেঞ্জের কর্মকর্তা আল আমিন গাজী জানান, একটি গ্রুপ বেশ কিছুদিন আগ থেকে চরের জায়গা দখলের চেষ্টা করে আসছে। ইতিমধ্যে চারজনকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে। তবে নদীবেষ্টিত এলাকা হওয়ায় সব সময় অভিযান চালানো সম্ভব হয় না। এ ছাড়া সীমিতসংখ্যক জনবল নিয়ে অভিযান সফল হয় না।
এই চরে গরু-মহিষ দেখাশোনা করেন এমন একজন সৈকত। তিনি বলেন, ১০ বছর ধরে এই চরে মহিষ পালন করে আসছেন। কেউ কখনো চর দখলের চেষ্টা করেনি। সরকার বদলের পর থেকে বিভিন্ন গ্রুপ এসে চর দখল করছে। চরকিং ও হাতিয়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন এসে এই চর দখল করছে। এভাবে চলতে থাকলে একসময় চরে থাকা কেওড়াবন উজাড় হয়ে যাবে।
মহিষের মালিক কামরু মিয়া জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে এই চরে মহিষ ও গরু পালন করে আসছেন। ইতিমধ্যে মাটির কিল্লা, পুকুর তৈরি করে নিয়েছেন। যাতে অস্বাভাবিক জোয়ারে গরু-মহিষ আশ্রয় নেয়। তবে হঠাৎ করে একটি পক্ষ তাদের এই চর থেকে চলে যেতে বলছে। রাখালদের মারধরের ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বলেন, চর দখলের বিষয়টি মহিষের মালিকেরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকেও সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে দখলমুক্ত করা হবে এসব চর।

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা হলগুলো নানা কারণেই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই সময়ে নরসিংদীর রায়পুরার হাসনাবাদ এলাকার দর্শকপ্রিয় ‘ছন্দা’ সিনেমা হলটিও ছিল সমাদৃত। দর্শকদের হল বিমুখতাসহ নানা কারণে এ ব্যবসায় নেমেছে ধস। তাই এর পাশের এতিমখানা মাদ্রাসার কাছে হলটি বিক্রি করেছেন মালিক...
২০ এপ্রিল ২০২৪
ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছে দুই মাস বয়সী শিশু আহনাফ। তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগের শিশু চিকিৎসকের কাছে এসেছেন বাবা-মা। চিকিৎসকের চেম্বারের সামনে লম্বা লাইনে দাঁড়ানো শিশুটির পিতা মোহাম্মদ রঞ্জু বললেন, ‘১৫-২০ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে ছেলেটি।
৬ ঘণ্টা আগে
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হওয়ার আগেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় সব নতুন বই এসে পৌঁছেছে। ফলে জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই প্রাথমিকের ১৯ হাজার ২২৪ শিক্ষার্থী হাতে পাবে নতুন বই। গত বছরের তুলনায় এবার প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থী বেড়েছে ১ হাজার ৬১৪ জন।
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোলার চারটি সংসদীয় আসনে প্রচার জমে উঠেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন ও গণসংযোগে সরব এখন উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলা। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১৯৮৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভোলার চারটি আসন ছিল বিএনপির দুর্গ হিসেবে পরিচিত।
৬ ঘণ্টা আগে