সাইফুল আলম তুহিন, ত্রিশাল (ময়মনসিংহ)

সোহরাব-আমেনা দম্পতির ঘরে একে একে জন্ম নেয় চার কন্যাসন্তান। ছেলের অভাব পূরণ করতে বড় মেয়ের স্বামী হাফেজ আমিরুল ইসলাম রাজি হয়ে চলে আসেন ঘরজামাই হয়ে তাঁদের সংসারে। মা–বাবা হারা আমিরুল ক্রমেই ভরসা হয়ে উঠেন পরিবারটির। ৯ মাস আগে হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সোহরাব আলী। শ্বশুরের হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবারের চরম বিপদের মুখে মেয়ের জামাই হিসেবে সংসারের হাল ধরেন তিনি।
চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর। ছোট মেয়ের বয়স আড়াই বছর এবং সবার ছোট ছেলের বয়স দেড় বছর। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অভিভাবক শূন্য পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে, হয়ে পড়েছে দিশেহারা।
অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ আমিরুলের স্ত্রী তনজিন আক্তার। নিজের এক প্রতিবন্ধী মেয়েসহ চার মেয়ে ও মেয়ের ঘরের তিন শিশুসহ মোট ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আমিরুলের শাশুড়ি আমেনা খাতুন। এই শিশুসন্তানদের মানুষ করতে সরকারি সহযোগিতার আশায় দিন গুনছেন পরিবারটি।
জানা গেছে, ঘরজামাই থাকার শর্তে প্রায় ১০ বছর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মরহুম জাফর আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের সোহরাব-আমেনা দম্পতির বড় মেয়ে তনজিন আক্তারকে বিয়ে করেন।
শিশু বয়সেই মা–বাবা হারা আমিরুল সেই থেকেই শ্বশুরের সংসারে মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সে ঢাকার উত্তরা আজমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা যান।
সেখানকার স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান করতেন। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর তাঁর আয়েই নিজের এবং শ্বশুরের পরিবারের লোকজন চলত। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার দিন দুপুরে গ্রামের বাড়ির নলকূপের মোটর ঠিক করাতে টাকা পাঠানোর বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরে বিকেলে আবার কল দেন। কথা বলতে চাইলে তখন আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবারের লোকজন।
অনেক খোঁজাখুঁজির তিন দিন পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ২২ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে শ্বশুরের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
আমিরুল ইসলামের শাশুড়ি মোছা. আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘ছেলেসন্তানের অভাব পূরণ করতে বড় মেয়ের জামাইকে নিজের সংসারে আনছিলাম। সুখে–শান্তিতেই কাটছিল আমাদের জীবন। ৯ মাস আগে আমিরুলের শ্বশুর স্ট্রোক করে মারা যায়। আর এহন আন্দোলনে সেও মারা গেল। আমার জামাই বাবা আমাকে ছেলের অভাব কোনো সময় বুঝতে দেয়নি। এহন আমার সংসারে আর কোনো অভিভাবক রইল না। এহন কে দেখব এই এতিম শিশুদের। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিন বিকেলেও সে আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। বাড়িতে পানির মোটর ঠিক করতে মিস্ত্রি আসার খোঁজখবর নিয়ে বিকাশে টাকা পাঠানোর কথা বলেছে। সন্ধ্যার কিছু সময় আগে থেকে আর মোবাইল যোগাযোগ করে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। পরের দিন পর্যন্তও মোবাইল বন্ধ থাকায় আমরা বেশি চিন্তায় পড়ি। অনেক খোঁজাখুঁজির তিন দিন পর ওইখানের একটি হাসপাতালে মরদেহের খোঁজ মেলে। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আরও এক দিন পরে আমার জামাই বাবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়। সরকার সহযোগিতা না করলে এই এতিম শিশুদের নিয়ে আমাদের মরা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
আমিরুলের চাচা শ্বশুর মো. আলী হোসেন বলেন, ‘আমিরুল অনেক ভালো ছিল। ওর মতো নম্র, ভদ্র ছেলে হয় না। আমার ভাইয়ের সঙ্গে তার বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। কেমনে কী হয়ে গেলো। তার বাড়ি ত্রিশালের ছলিমপুর হলেও সে আমাদের ধুরধুরিয়ার জামাই হওয়ার পর থেকে এখানেই স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে। তার পাঁচ বছরের কম বয়সী তিনটি শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। ওদের পাশে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’
আমিরুল ইসলামের জন্মভিটা ত্রিশালের ছলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. দুলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিরুল অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। শিশু বয়সেই তার মা–বাবা মারা গেছে। সে ঘরজামাই হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামে প্রায় ১০ বছর ধরে থাকছে। শুনছি সে ঢাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তার মৃত্যুতে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।’

সোহরাব-আমেনা দম্পতির ঘরে একে একে জন্ম নেয় চার কন্যাসন্তান। ছেলের অভাব পূরণ করতে বড় মেয়ের স্বামী হাফেজ আমিরুল ইসলাম রাজি হয়ে চলে আসেন ঘরজামাই হয়ে তাঁদের সংসারে। মা–বাবা হারা আমিরুল ক্রমেই ভরসা হয়ে উঠেন পরিবারটির। ৯ মাস আগে হঠাৎ হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান সোহরাব আলী। শ্বশুরের হঠাৎ মৃত্যুতে পরিবারের চরম বিপদের মুখে মেয়ের জামাই হিসেবে সংসারের হাল ধরেন তিনি।
চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর। ছোট মেয়ের বয়স আড়াই বছর এবং সবার ছোট ছেলের বয়স দেড় বছর। পরিবারের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে অভিভাবক শূন্য পরিবারটি এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে, হয়ে পড়েছে দিশেহারা।
অল্প বয়সে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ আমিরুলের স্ত্রী তনজিন আক্তার। নিজের এক প্রতিবন্ধী মেয়েসহ চার মেয়ে ও মেয়ের ঘরের তিন শিশুসহ মোট ৯ সদস্যের পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন আমিরুলের শাশুড়ি আমেনা খাতুন। এই শিশুসন্তানদের মানুষ করতে সরকারি সহযোগিতার আশায় দিন গুনছেন পরিবারটি।
জানা গেছে, ঘরজামাই থাকার শর্তে প্রায় ১০ বছর আগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ছলিমপুর পূর্বপাড়া গ্রামের মরহুম জাফর আলীর ছেলে আমিরুল ইসলাম পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামের সোহরাব-আমেনা দম্পতির বড় মেয়ে তনজিন আক্তারকে বিয়ে করেন।
শিশু বয়সেই মা–বাবা হারা আমিরুল সেই থেকেই শ্বশুরের সংসারে মিলেমিশে সুখে-শান্তিতে বসবাস করে আসছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে সে ঢাকার উত্তরা আজমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে মারা যান।
সেখানকার স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ ফলের দোকান করতেন। শ্বশুর মারা যাওয়ার পর তাঁর আয়েই নিজের এবং শ্বশুরের পরিবারের লোকজন চলত। গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার দিন দুপুরে গ্রামের বাড়ির নলকূপের মোটর ঠিক করাতে টাকা পাঠানোর বিষয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। পরে বিকেলে আবার কল দেন। কথা বলতে চাইলে তখন আর কথা বলা সম্ভব হয়নি। পরে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যোগাযোগের অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়ে তাঁর পরিবারের লোকজন।
অনেক খোঁজাখুঁজির তিন দিন পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে ২২ জুলাই সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির কবরস্থানে শ্বশুরের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
আমিরুল ইসলামের শাশুড়ি মোছা. আমেনা খাতুন আজকের পত্রিকাকে কেঁদে কেঁদে বলেন, ‘ছেলেসন্তানের অভাব পূরণ করতে বড় মেয়ের জামাইকে নিজের সংসারে আনছিলাম। সুখে–শান্তিতেই কাটছিল আমাদের জীবন। ৯ মাস আগে আমিরুলের শ্বশুর স্ট্রোক করে মারা যায়। আর এহন আন্দোলনে সেও মারা গেল। আমার জামাই বাবা আমাকে ছেলের অভাব কোনো সময় বুঝতে দেয়নি। এহন আমার সংসারে আর কোনো অভিভাবক রইল না। এহন কে দেখব এই এতিম শিশুদের। গুলিবিদ্ধ হওয়ার দিন বিকেলেও সে আমার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছে। বাড়িতে পানির মোটর ঠিক করতে মিস্ত্রি আসার খোঁজখবর নিয়ে বিকাশে টাকা পাঠানোর কথা বলেছে। সন্ধ্যার কিছু সময় আগে থেকে আর মোবাইল যোগাযোগ করে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। পরের দিন পর্যন্তও মোবাইল বন্ধ থাকায় আমরা বেশি চিন্তায় পড়ি। অনেক খোঁজাখুঁজির তিন দিন পর ওইখানের একটি হাসপাতালে মরদেহের খোঁজ মেলে। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আরও এক দিন পরে আমার জামাই বাবার মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে দাফন করা হয়। সরকার সহযোগিতা না করলে এই এতিম শিশুদের নিয়ে আমাদের মরা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।’
আমিরুলের চাচা শ্বশুর মো. আলী হোসেন বলেন, ‘আমিরুল অনেক ভালো ছিল। ওর মতো নম্র, ভদ্র ছেলে হয় না। আমার ভাইয়ের সঙ্গে তার বন্ধুর মতো সম্পর্ক ছিল। কেমনে কী হয়ে গেলো। তার বাড়ি ত্রিশালের ছলিমপুর হলেও সে আমাদের ধুরধুরিয়ার জামাই হওয়ার পর থেকে এখানেই স্থায়ীভাবে থাকতে শুরু করে। তার পাঁচ বছরের কম বয়সী তিনটি শিশুর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল। ওদের পাশে সকলের এগিয়ে আসা উচিত।’
আমিরুল ইসলামের জন্মভিটা ত্রিশালের ছলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. দুলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিরুল অনেক ভালো মনের মানুষ ছিলেন। শিশু বয়সেই তার মা–বাবা মারা গেছে। সে ঘরজামাই হয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ফুলবাড়িয়ার ধুরধুরিয়া গ্রামে প্রায় ১০ বছর ধরে থাকছে। শুনছি সে ঢাকার একটি মসজিদে মুয়াজ্জিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। তার মৃত্যুতে আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।’

হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৩৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগে
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভোরে বন্ধুরা ওই যুবককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এদিকে মোহাম্মদপুর থানার ডিউটি অফিসার মো. আতিকুর রহমান জুয়েল জানান, ভোরে খবর আসে, জেনেভা ক্যাম্পে দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটছে। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। সেখানে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনাটিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে আহত ব্যক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কেউ বলতে পারেনি।
অপর দিকে হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ। তখন তাঁর পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে দ্রুত ট্রমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগে
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেজামালপুর প্রতিনিধি

জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’

জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা। এসব গর্তে সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুসমান পানি জমে যায়। বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষকে বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার হয়নি।
জামালপুর পৌরসভার ৪, ৫, ৬ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়া, বোষপাড়া, ডাকপাড়াসহ বেশ কয়েকটি রাস্তা খানাখন্দে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলো দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ছাত্র-ছাত্রী আর রোগীদের অসুবিধা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। পৌরসভার মুসলিমাবাদ, কাচারীপাড়া, সরদারপাড়াসহ বিভিন্ন সড়ক জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা, হেঁটেও চলাচল করা কষ্টকর।
কাচারীপাড়ার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অবস্থা এমন হয়েছে যে মনে হয় নর্দমায় বসবাস করছি। একটু বৃষ্টি হলে হাঁটুসমান পানিতে নাকানি-চুবানি খেতে হয়। প্রথম শ্রেণির পৌরসভার নাগরিক হিসেবে ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে থাকি; কিন্তু নাগরিক সুবিধা তো দেখি না।’
সরদারপাড়া এলাকার সামসুন নাহার বলেন, ‘বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। রিকশা ও অটোরিকশা খানাখন্দে পড়ে উল্টে যায়। অনেকের হাত-পা ভেঙেছে। পৌরসভার কোনো সুযোগ-সুবিধা নেই। রাতে বাতি থাকে না। পৌরসভার প্রায় এলাকায় চুরি হচ্ছে অহরহ।’ রাস্তা মেরামত করে নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌরসভার প্রশাসক কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, জলাবদ্ধতার কারণে পিচের রাস্তাগুলো খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর প্রভাব পৌরসভার রাস্তাঘাটের ওপর পড়েছে। যেসব রাস্তা নষ্ট হচ্ছে, সেগুলোর ব্যাপারে ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে।
আব্দুল্লাহ বিন রশিদ আরও বলেন, ‘আমরা প্রকৌশলীকে প্রাক্কলন (এস্টিমেট) তৈরির নির্দেশ দিয়েছি। যদি পৌরসভার বাজেট দিয়ে সম্ভব হয়, তাহলে দ্রুত কাজ শুরু করব। অথবা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বরাদ্দ এখনো আসেনি। বরাদ্দ আসামাত্র নিয়মিত বাজেটের মধ্যে এগুলো করার চেষ্টা করব।’

চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৩৮ মিনিট আগে
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেমো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)

ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।

ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’
আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’
মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’
ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।
বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।

চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৩৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগে
মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগেগাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেহেরপুরের গাংনীতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সুজন আলী (৩৫) নামের প্রবাসফেরত এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের উপস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুজন আলী উপজেলার খড়মপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুজন আলী খড়মপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া যাওয়ার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হাসপাতালের গেটের সামনে পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ব্যক্তির বড় ভাই লাল মিয়া জানান, তাঁর ভাই মালয়েশিয়া থেকে সম্প্রতি ছুটিতে বাড়িতে এসেছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. ফারুক হোসেন বলেন, সুজন আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

চরম দুর্ভোগে পরিবারটির হাল ধরা সেই আমিরুল গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরা আজিমপুর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারান। আমিরুল-তনজিন আক্তার দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন শিশুসন্তান। দুই মেয়ের মধ্যে সবার বড় মেয়ের বয়স সাড়ে চার বছর।
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
হাসপাতালে নিহত জাহিদের বোনজামাই মো. উজ্জ্বল জানান, জাহিদ কল্যাণপুরে তাঁর দোকানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের কাজ করতেন। তাঁর বাসা জেনেভা ক্যাম্পে। বাবার নাম ইরান। রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রাস্তায় যান। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে যান জাহিদ।
৩৮ মিনিট আগে
জামালপুর পৌরসভার বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারণের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌরবাসী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। খানাখন্দে ভরা এসব রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে এবং অনেকে আহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তাজুড়ে খানাখন্দে ভরা।
১ ঘণ্টা আগে
ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী...
১ ঘণ্টা আগে