Ajker Patrika

প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আহত ব্যক্তির ১৩ দিন পর মৃত্যু

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০: ৫৬
প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আহত ব্যক্তির ১৩ দিন পর মৃত্যু

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আহত সনু মিয়া (৩৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত ৯ ডিসেম্বর তাঁকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। 

সনু মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন তাঁর ছোট ভাই মো. সুজন ও এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। 

সনু মিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের শান্ত মিয়া ওরফে আব্দুর রহমানের ছেলে। সনু মিয়ার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। 

সনু মিয়াকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় তাঁর ভাই মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থানার হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এতে একই গ্রামের জাহের উদ্দিনের তিন ছেলে সাইকুল, তরিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামসহ তাঁদের পরিবারের আটজনকে আসামি করা হয়। 

পরে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম জামিনে বের হন। আর বাকি দুজন এখনো কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য পাঁচ আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। 

মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কমলপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ও জাহের উদ্দিনের পরিবারের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি ধানখেতের আইল নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে জাহের উদ্দিনের তিন ছেলে ও নাতীসহ পরিবারের ১০-১২ জন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহমান ও তাঁর ছেলের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুর রহমান, তাঁর ছেলে সনু মিয়া ও অনু মিয়া গুরুতর আহত হয়। 

গুরুতর আহত সনু মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে একপর্যায়ে তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়। সেখানে গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সনু মিয়ার মৃত্যু হয়। 

মামলার বাদী সুজন মিয়া বলেন, ‘রামদার কোপে সনু মিয়ার কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই শত চেষ্টাও তাঁকে বাঁচানো গেল না। তবে হত্যাকারীরা এখনো আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলার স্বাক্ষীদেরও ভয় দেখাচ্ছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে বাড়ি নিয়ে আসা হবে। এখনো কার্যক্রম শেষ হয়নি।’ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। 

মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, আগের মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপ নেবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ সময়ে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত