নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনার আটপাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে প্রায় লাখ টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করায় অভিযোগকারীকে অন্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে যোগিরনগুয়া এলাকায় কয়েকজন তাস খেলার সময় হঠাৎ হাজির হন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাঁরা জুয়া খেলার অভিযোগে সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক এবং তাঁদের দেহ তল্লাশি করে প্রায় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে মামলায় ১ হাজার ৪৯০ টাকা জব্দ দেখিয়ে পরদিন তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পাঁচজন হলেন— যোগিরনগুয়া গ্রামের আ. কাশেম ও অলি; আটাশিয়া গ্রামের জজ মিয়া ও মো. হায়দার মিয়া এবং মহেশ্বরখিলা গ্রামের মো. সাফায়েত হোসেন।
টাকা লুটের এ ঘটনায় হায়দার গত বৃহস্পতিবার এসপির কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ব্যবসা করি। হাতে প্রায়ই টাকা থাকে। ওই দিন আমার কাছে ৩৩ হাজার ৪১০ টাকা ছিল। আমরা চারজন মিলে তাস খেলছিলাম। হঠাৎ সেখানে এসআই মামুন, এএসআই সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ এসে পৌঁছে এবং জুয়া খেলছি এমন অভিযোগে আমাদের আটক করে। সাফায়েত নামের একটা ছেলে আমাদের জন্য চা নিয়ে এসেছিল, তাকেও আটক করে। তখন আমার সব টাকা কেড়ে নেয়। অন্য সবার কাছে যত টাকা ছিল তা-ও তল্লাশি করে কেড়ে নেয়। পরে টেবিলে তাস আর ১ হাজার ৪৯০ টাকা রেখে ভিডিও করে আমাদের থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হুমকি দেয়, টাকার বিষয়ে কথা বললে বড় মামলায় ফাঁসানো হবে। আমরা ভয়ে চুপ থাকি। পরদিন ১ হাজার ৪৯০ টাকা উদ্ধার দেখিয়ে আমাদের আদালতে পাঠানো হয়।’
হায়দার জানান, পুলিশ সদস্যরা সব মিলিয়ে প্রায় লাখ টাকা কেড়ে নেন। হায়দার আদালত থেকে এসে টাকার বিষয়ে অভিযোগ করায় উল্টো তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন এসআই মামুন। তিনি হায়দারের বাড়িতে গিয়ে গায়েবি অভিযোগের তদন্ত করে মামলার ভয় দেখিয়ে এসেছেন। তা-ও এসপিকে জানানো হয়েছে।
অভিযানে আটক আরেক ব্যক্তি সাফায়েত বলেন, ‘আমার কাছে ঘটনার সময় সাড়ে ১২ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ ভিডিও করার আগে টাকাটা পকেটে নিয়ে নেয়। পুলিশ আমাকে বলে, যদি বলি আমার কাছে টাকা ছিল, তাহলে বড় মামলায় ঢুকিয়ে দেবে।’
জজ মিয়া জানান, তাঁর কাছে ১৯ হাজার ৭০ টাকা ছিল। ভিডিও করার সময় তাঁকে চুপ থাকতে বলে, অন্যথায় বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
কাশেম বলেন, ‘খেলার সময় আমার কাছে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে আমাকে বলে, “আমরা ভিডিও করার সময় যা বলব তা-ই বলতে হবে, না হলে বড় মামলায় চালান করে দেব।” এই বলে আমাদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয়।’
মামলার সাক্ষীরাও ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে সাক্ষী বানিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাক্ষী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘুমিয়েছিলাম। পুলিশ আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। কী হয়েছিল আমি কিছু জানি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মশিউর বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যা পেয়েছি, তা-ই উদ্ধার দেখিয়েছি।’
অন্যদিকে এসআই মামুন বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা। তাদের কাছে যা পেয়েছি, তা-ই উদ্ধার দেখানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা হলে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘অফিসার ঘটনাস্থলে যা পেয়েছে, তাই দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
যোগাযোগ করা হলে এসপি মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা মিললে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অভিযোগ মিথ্যা হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নেত্রকোনার আটপাড়া থানার পুলিশ সদস্যরা জুয়ার আসরে অভিযান চালিয়ে প্রায় লাখ টাকা লুট করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে অভিযোগ করায় অভিযোগকারীকে অন্য মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাতে যোগিরনগুয়া এলাকায় কয়েকজন তাস খেলার সময় হঠাৎ হাজির হন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল মামুন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মশিউর রহমান সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাঁরা জুয়া খেলার অভিযোগে সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক এবং তাঁদের দেহ তল্লাশি করে প্রায় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেন। পরে মামলায় ১ হাজার ৪৯০ টাকা জব্দ দেখিয়ে পরদিন তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো পাঁচজন হলেন— যোগিরনগুয়া গ্রামের আ. কাশেম ও অলি; আটাশিয়া গ্রামের জজ মিয়া ও মো. হায়দার মিয়া এবং মহেশ্বরখিলা গ্রামের মো. সাফায়েত হোসেন।
টাকা লুটের এ ঘটনায় হায়দার গত বৃহস্পতিবার এসপির কাছে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ভেকু দিয়ে মাটি কাটার ব্যবসা করি। হাতে প্রায়ই টাকা থাকে। ওই দিন আমার কাছে ৩৩ হাজার ৪১০ টাকা ছিল। আমরা চারজন মিলে তাস খেলছিলাম। হঠাৎ সেখানে এসআই মামুন, এএসআই সুজনসহ কয়েকজন পুলিশ এসে পৌঁছে এবং জুয়া খেলছি এমন অভিযোগে আমাদের আটক করে। সাফায়েত নামের একটা ছেলে আমাদের জন্য চা নিয়ে এসেছিল, তাকেও আটক করে। তখন আমার সব টাকা কেড়ে নেয়। অন্য সবার কাছে যত টাকা ছিল তা-ও তল্লাশি করে কেড়ে নেয়। পরে টেবিলে তাস আর ১ হাজার ৪৯০ টাকা রেখে ভিডিও করে আমাদের থানায় নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশ হুমকি দেয়, টাকার বিষয়ে কথা বললে বড় মামলায় ফাঁসানো হবে। আমরা ভয়ে চুপ থাকি। পরদিন ১ হাজার ৪৯০ টাকা উদ্ধার দেখিয়ে আমাদের আদালতে পাঠানো হয়।’
হায়দার জানান, পুলিশ সদস্যরা সব মিলিয়ে প্রায় লাখ টাকা কেড়ে নেন। হায়দার আদালত থেকে এসে টাকার বিষয়ে অভিযোগ করায় উল্টো তাঁকে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন এসআই মামুন। তিনি হায়দারের বাড়িতে গিয়ে গায়েবি অভিযোগের তদন্ত করে মামলার ভয় দেখিয়ে এসেছেন। তা-ও এসপিকে জানানো হয়েছে।
অভিযানে আটক আরেক ব্যক্তি সাফায়েত বলেন, ‘আমার কাছে ঘটনার সময় সাড়ে ১২ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ ভিডিও করার আগে টাকাটা পকেটে নিয়ে নেয়। পুলিশ আমাকে বলে, যদি বলি আমার কাছে টাকা ছিল, তাহলে বড় মামলায় ঢুকিয়ে দেবে।’
জজ মিয়া জানান, তাঁর কাছে ১৯ হাজার ৭০ টাকা ছিল। ভিডিও করার সময় তাঁকে চুপ থাকতে বলে, অন্যথায় বড় মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
কাশেম বলেন, ‘খেলার সময় আমার কাছে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা ছিল। পুলিশ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে আমাকে বলে, “আমরা ভিডিও করার সময় যা বলব তা-ই বলতে হবে, না হলে বড় মামলায় চালান করে দেব।” এই বলে আমাদের ভিডিও সাক্ষাৎকার নেয়।’
মামলার সাক্ষীরাও ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। পুলিশ তাঁদের জোর করে সাক্ষী বানিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সাক্ষী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘুমিয়েছিলাম। পুলিশ আমাকে ঘুম থেকে উঠিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে। কী হয়েছিল আমি কিছু জানি না।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মশিউর বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে যা পেয়েছি, তা-ই উদ্ধার দেখিয়েছি।’
অন্যদিকে এসআই মামুন বলেন, ‘টাকা আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা। তাদের কাছে যা পেয়েছি, তা-ই উদ্ধার দেখানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা হলে আটপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘অফিসার ঘটনাস্থলে যা পেয়েছে, তাই দিয়ে চালান দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
যোগাযোগ করা হলে এসপি মীর্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা মিললে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অভিযোগ মিথ্যা হলে অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা রোডে এক কিশোরকে মারছিল ছয়-সাতজন মিলে। মাথায় হেলমেট দিয়ে একের পর এক আঘাত করে। ইট দিয়ে মাথায় আঘাতেরও চেষ্টা করা হয়। এই অবস্থা দেখে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। ছুটে আসেন একজন ট্রাফিক সার্জেন্টও।
৭ ঘণ্টা আগেপারিবারিক বিরোধে দ্রুত ও সহজ বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের পারিবারিক আদালতে বর্তমানে ৭৪ হাজারের বেশি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে নিষ্পত্তিহীন অবস্থায় রয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মামলা। এই দীর্ঘসূত্রতা হাজারো পরিবারকে আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে...
৮ ঘণ্টা আগেটঙ্গী-ঘোড়াশাল-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের গাজীপুরের কালীগঞ্জ বাইপাস মোড় যেন মৃত্যুফাঁদ। গোলচত্বর ও ট্রাফিক পুলিশের অনুপস্থিতিতে এই মোড়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা; ঝরছে প্রাণ। সরু রাস্তা, যানবাহনের ব্যাপক চাপ ও বেপরোয়া গতি—সব মিলিয়ে আতঙ্কের আরেক নাম এই বাইপাস মোড়।
৮ ঘণ্টা আগে‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম’ এই প্রতিপাদ্যে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা ও ড্রোন শো। সোমবার (১৪ জুলাই) সন্ধ্যায় এই আয়োজনে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্মৃতিচারণা ও সংগীতানুষ্ঠান ছাড়াও ছিল ব্যতিক্রমী ড্রোন প্রদর্শনী।
৮ ঘণ্টা আগে