মেলান্দহ (জামালপুর) প্রতিনিধি
রমজানে প্রথম দিন থেকেই শুরু হতো নানা খাবারের আয়োজন, আর পনেরো রমজানের পর মার্কেটে ঘোরাফেরা, কেনাকাটা। ঈদের দু’তিন দিন আগে থেকে শুরু হতো ছেলের সঙ্গে নানা গল্প আর আড্ডা। করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে সেই প্রাণোচ্ছল পুলিশ সদস্য আশেক মাহমুদকে। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। এই পরিবারে আর ঈদ আসে না!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য মো. আশেক মাহমুদের স্ত্রী মমতাজ আক্তার সুমি। এখন ঈদ এলেই স্বামীর স্মৃতিগুলো আচ্ছন্ন করে রাখে তাঁকে। তিনি আর কিছু ভাবতে পারেন না।
আশেক মাহমুদের দুই ছেলে। বড় ছেলে সাইম মাহমুদ, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে ঝাউগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।
বড় ছেলে সাইম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘বাবার মৃত্যুর প্রথম খবরটা আমার কাছেই এসেছিল। প্রথমে শুনে বিশ্বাস হয়নি। এমন সময় বাবাকে হারাতে হয়েছে যে তাঁর শরীরটা ছুঁয়েও দেখতে পারিনি। দুই বছর হয়ে গেল বাবা নেই। কিন্তু আমাদের কাছে সময়টা দুই যুগের মতো মনে হয়।’
মো. আশেক মাহমুদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রবাড়ি গ্রামের আয়েজ উদ্দীনের (মৃত) ছেলে। ১৯৯৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। তাঁকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসোলেশনে রাখা হয়। দুই দিন পর ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান।
বিষাদমাখা কণ্ঠে আশেক মাহমুদের স্ত্রী মমতাজ আক্তার বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, এত অল্প সময়ের মধ্যে স্বামীকে হারাতে হবে। এখন দুই ছেলেকে নিয়ে সাগরে ভাসছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। দুটি সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চালাতেন। এখন সন্তানদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। ওরা কেমন জানি চুপচাপ হয়ে গেছে।’
প্রতি ঈদের আগে পুলিশ বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে মমতাজ আক্তার বলেন, ‘তিনি চলে যাওয়ার পরও পুলিশ বিভাগ সহযোগিতা করেছে। সেই টাকায় বাড়ি করেছি। এখন প্রতি মাসে ৯ হাজার ৯০০ টাকা পাই। সেই টাকায় চলতে হয়। সহযোগিতায় পাওয়া টাকা আস্তে আস্তে খরচ করতে হচ্ছে। একটা সময় সেই টাকা ফুরিয়ে যাবে। তখন দুই সন্তানকে নিয়ে কী করব, সেই চিন্তা হয়।’
রমজানে প্রথম দিন থেকেই শুরু হতো নানা খাবারের আয়োজন, আর পনেরো রমজানের পর মার্কেটে ঘোরাফেরা, কেনাকাটা। ঈদের দু’তিন দিন আগে থেকে শুরু হতো ছেলের সঙ্গে নানা গল্প আর আড্ডা। করোনাভাইরাস কেড়ে নিয়েছে সেই প্রাণোচ্ছল পুলিশ সদস্য আশেক মাহমুদকে। এরপর কেটে গেছে দুই বছর। এই পরিবারে আর ঈদ আসে না!
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া পুলিশ সদস্য মো. আশেক মাহমুদের স্ত্রী মমতাজ আক্তার সুমি। এখন ঈদ এলেই স্বামীর স্মৃতিগুলো আচ্ছন্ন করে রাখে তাঁকে। তিনি আর কিছু ভাবতে পারেন না।
আশেক মাহমুদের দুই ছেলে। বড় ছেলে সাইম মাহমুদ, কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ছোট ছেলে ঝাউগড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ে।
বড় ছেলে সাইম মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলে, ‘বাবার মৃত্যুর প্রথম খবরটা আমার কাছেই এসেছিল। প্রথমে শুনে বিশ্বাস হয়নি। এমন সময় বাবাকে হারাতে হয়েছে যে তাঁর শরীরটা ছুঁয়েও দেখতে পারিনি। দুই বছর হয়ে গেল বাবা নেই। কিন্তু আমাদের কাছে সময়টা দুই যুগের মতো মনে হয়।’
মো. আশেক মাহমুদ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রবাড়ি গ্রামের আয়েজ উদ্দীনের (মৃত) ছেলে। ১৯৯৭ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগ দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক উত্তর বিভাগে কর্মরত ছিলেন। ২০২০ সালের ২৭ এপ্রিল দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই দিন নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। তাঁকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজে আইসোলেশনে রাখা হয়। দুই দিন পর ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাঁকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের (সিপিএইচ) আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান।
বিষাদমাখা কণ্ঠে আশেক মাহমুদের স্ত্রী মমতাজ আক্তার বলেন, ‘কখনো কল্পনাও করিনি, এত অল্প সময়ের মধ্যে স্বামীকে হারাতে হবে। এখন দুই ছেলেকে নিয়ে সাগরে ভাসছি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন তিনি। দুটি সন্তানের লেখাপড়ার খরচসহ সংসার চালাতেন। এখন সন্তানদের মুখের দিকে তাকানো যায় না। ওরা কেমন জানি চুপচাপ হয়ে গেছে।’
প্রতি ঈদের আগে পুলিশ বিভাগ থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন জানিয়ে মমতাজ আক্তার বলেন, ‘তিনি চলে যাওয়ার পরও পুলিশ বিভাগ সহযোগিতা করেছে। সেই টাকায় বাড়ি করেছি। এখন প্রতি মাসে ৯ হাজার ৯০০ টাকা পাই। সেই টাকায় চলতে হয়। সহযোগিতায় পাওয়া টাকা আস্তে আস্তে খরচ করতে হচ্ছে। একটা সময় সেই টাকা ফুরিয়ে যাবে। তখন দুই সন্তানকে নিয়ে কী করব, সেই চিন্তা হয়।’
গোপালগঞ্জে এনসিপির ‘জুলাই পদযাত্রা’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে রিকশাচালক রমজান মুন্সি নিহতের ঘটনায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) গোপালগঞ্জ সদর থানায় নিহত রমজান মুন্সির ভাই জামাল মুন্সি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতদের আসামি করা হলেও কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি জামাল মুন্সি।
২ ঘণ্টা আগেরাজধানীর গুলিস্তানে ট্রাকের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী প্রান্ত পাল (১৬) নামে এক কিশোর মারা গেছে। সে নিউমার্কেট এলাকায় বাবার সঙ্গে ঝালমুড়ি বিক্রি করত।
২ ঘণ্টা আগেনীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের চাঁদনগর এলাকায় সংঘটিত একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে থানা-পুলিশ। গৃহপরিচারিকা ছামছুন নাহার (৬৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত শামীম বেগকে (৫২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই হত্যার কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র এবং চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি ও ল্যাপ
২ ঘণ্টা আগেখুলনায় ৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁকে রূপসা উপজেলার নন্দনপুর জামরুলতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরের পর গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে