ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ। কমিটি ঘোষণার পাঁচ মাসের মধ্যেই নেতাদের বিবাদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার রাত থেকে হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন হোস্টেলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। প্রায় দুই বছর পর গত ১ ডিসেম্বর হলে উঠে ছাত্রলীগের বিবাদে হল ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে হল বন্ধের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ‘এই মাসের ১ তারিখে হলে উঠেছি। ছাত্রলীগের বিবাদে হঠাৎ করে গতকাল শনিবার রাত থেকে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করে। বাড়ি থেকে কষ্ট করে এসে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। কয়েক দিন পরে ফাইনাল পরীক্ষা, কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আরেক শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বলেন, ‘এমনিতেই করোনার জন্য পড়াশোনা করতে পারিনি, আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার হল বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে কখনো ভাবিনি। আশা করছি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবেচিন্তে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।’
মুন্নি জাহান নামে আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী ২৯ তারিখ আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। বাড়ি থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আসছি। গত দেড় বছর আগে হলে সিট কেটে এই মাসের ১ ডিসেম্বর হলে উঠেছি। তবে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জন্য আমাদের হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা কেমন হলো বুঝতে পারছি না। তাঁদের জন্য আমাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হলো।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসান বলেন, ‘হঠাৎ করে হল বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের সব শিক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতে হল ছেড়ে এক বন্ধুর মেসে উঠেছি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ দ্রুত হল খুলে দেবে বলে আশা করছি।’
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র ওয়াহেদুর রহমান সবুজ বলেন, প্রায় দুই বছর পর হল খোলায় অনেক আশা-ভরসা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছেন। তুচ্ছ ঘটনায় আবার হল বন্ধের সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আমরা হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।’
আনন্দ মোহন কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহজাহান করিম বলেন, ছাত্রলীগের উত্তেজনার মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হল বন্ধ করা হয়েছে। উভয়ের মধ্যে সমঝোতা হলে আবারও হল খুলে দেওয়া হবে। ছাত্ররা রাতেই হল ত্যাগ করেছে এবং ছাত্রীরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল ছেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াজেদ আলী বলেন, আজ সকাল থেকেই আনন্দ মোহন কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রীরা নিরাপদে হল ছেড়েছে। কিছু শিক্ষার্থী হল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। গতকাল দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার মুখে সন্ধ্যার দিকে হল বন্ধের নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর ছাত্রলীগের বিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ময়মনসিংহ। কমিটি ঘোষণার পাঁচ মাসের মধ্যেই নেতাদের বিবাদ সংঘর্ষে রূপ নিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শনিবার রাত থেকে হল বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ রোববার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন হোস্টেলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হল ছাড়তে শুরু করেছেন। প্রায় দুই বছর পর গত ১ ডিসেম্বর হলে উঠে ছাত্রলীগের বিবাদে হল ছাড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা। অন্যদিকে হল বন্ধের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
শেখ হাসিনা ছাত্রীনিবাসের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, ‘এই মাসের ১ তারিখে হলে উঠেছি। ছাত্রলীগের বিবাদে হঠাৎ করে গতকাল শনিবার রাত থেকে কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য হল বন্ধ ঘোষণা করে। বাড়ি থেকে কষ্ট করে এসে আবার ফিরে যেতে হচ্ছে। কয়েক দিন পরে ফাইনাল পরীক্ষা, কী করব ভেবে পাচ্ছি না।’
আরেক শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বলেন, ‘এমনিতেই করোনার জন্য পড়াশোনা করতে পারিনি, আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন আবার হল বন্ধ করা হয়েছে। আমাদের এমন ভোগান্তিতে পড়তে হবে কখনো ভাবিনি। আশা করছি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবেচিন্তে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে।’
মুন্নি জাহান নামে আরও এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগামী ২৯ তারিখ আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। বাড়ি থেকে সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আসছি। গত দেড় বছর আগে হলে সিট কেটে এই মাসের ১ ডিসেম্বর হলে উঠেছি। তবে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জন্য আমাদের হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এটা কেমন হলো বুঝতে পারছি না। তাঁদের জন্য আমাদের ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হলো।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসান বলেন, ‘হঠাৎ করে হল বন্ধের সিদ্ধান্তে আমাদের সব শিক্ষার্থীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। রাতে হল ছেড়ে এক বন্ধুর মেসে উঠেছি। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে কর্তৃপক্ষ দ্রুত হল খুলে দেবে বলে আশা করছি।’
জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ মোহন কলেজের ছাত্র ওয়াহেদুর রহমান সবুজ বলেন, প্রায় দুই বছর পর হল খোলায় অনেক আশা-ভরসা নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা হলে উঠেছেন। তুচ্ছ ঘটনায় আবার হল বন্ধের সিদ্ধান্তে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। আমরা হল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।’
আনন্দ মোহন কলেজের সহকারী অধ্যাপক শাহজাহান করিম বলেন, ছাত্রলীগের উত্তেজনার মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে হল বন্ধ করা হয়েছে। উভয়ের মধ্যে সমঝোতা হলে আবারও হল খুলে দেওয়া হবে। ছাত্ররা রাতেই হল ত্যাগ করেছে এবং ছাত্রীরাও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হল ছেড়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ওয়াজেদ আলী বলেন, আজ সকাল থেকেই আনন্দ মোহন কলেজের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ছাত্রীরা নিরাপদে হল ছেড়েছে। কিছু শিক্ষার্থী হল বন্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করলে তাদের শান্ত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে আনন্দ মোহন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের ইউনিটটি জেলা ছাত্রলীগের অন্তর্গত ইউনিট হিসেবে বিবেচিত হবে বলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহানগর ছাত্রলীগের অনুসারীরা আন্দোলনে নামে। গতকাল দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা, ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উত্তেজনার মুখে সন্ধ্যার দিকে হল বন্ধের নির্দেশনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে পুরানো জাহাজের সরঞ্জাম বিক্রির দুটি দোকান ও একটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের দোকানসহ মোট তিনটি দোকান পুড়ে গেছে। এ ছাড়া, মার্কেটের আরও কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার মাদামবিবিরহাট চেয়ারম্যান
২ মিনিট আগেচিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাদে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন আর নেই বললেই চলে। তবু এখনো এই পোস্ট অফিসে জীবনবীমা, সঞ্চয়পত্রের টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরি কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য
৫ মিনিট আগেজুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্র ব্যতীত বাকি সব কমিটি বিলুপ্ত করলেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না চট্টগ্রামের সমন্বয়দের। তাঁদের অনেকের নামে চাঁদাবাজি, অনৈতিক লেনদেন, মামলা-বাণিজ্য এমনকি নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগে সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিষ্ঠার সাত মাস
২৫ মিনিট আগেনিয়োগ ও পদোন্নতিতে বড় অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মহাপরিচালক এবং কমিশনারসহ ৩০ জনের বেশি বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা। গত চার বছরে গঠন করা তিনটি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিটিআরসিকে
২৫ মিনিট আগে