Ajker Patrika

৫৫ বছরের দাদির সঙ্গে ২১ বছরের নাতির বিয়ে

প্রতিনিধি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) 
আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০: ১০
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ায় ২১ বছর বয়সী নাতির সঙ্গে ৫৫ বছর বয়সী দাদির বিয়ে হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গতকাল (৬ সেপ্টেম্বর) সোমবার রাতে উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ৫ লাখ টাকা কাবিনে তাঁদের বিয়ে হয়। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

বিয়ে করা দাদি-নাতি হলেন, ওই গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে ফারুক হোসেন (২১) ও একই গ্রামের মৃত ছামির উদ্দিনের স্ত্রী শিরিন আক্তার (৫৫)। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বড়হিত ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামে ফারুক হোসেনের সঙ্গে চাচাতো দাদি শিরিন আক্তারকে আপত্তিজনক অবস্থায় ধরে ফেলেন শিরিন আক্তারের ছেলে এনামুল মিয়া। বিষয়টি হাতেনাতে ধরার পর এনামুল মিয়া এলাকার লোকজন ডেকে বিষয়টি জানান। 

পরদিন শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসে নাতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে দাদি শিরিন আক্তারের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের সিদ্ধান্ত হওয়ার পরেই নাতি পালিয়ে যান। তারপর এলাকাবাসীরা দাদি শিরিনকে ওই ফারুক মিয়ার বাড়িতে তুলে দিয়ে আসেন। 

একদিন পালিয়ে থাকার পর রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ফারুক বাড়িতে ফিরে আসেন। পরে ওই দিন আবারও স্থানীয়রা সালিসের মাধ্যমে সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) নাতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে দাদি শিরিন আক্তারের বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ওই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সোমবার রাতে ৫ লাখ টাকা কাবিনে দাদির সঙ্গে নাতির বিয়ে হয়। 

দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বড়হিত ইউনিয়নের বিয়ের রেজিস্ট্রি কাজে নিয়োজিত কাজী মোহাম্মদ নুরুল্লাহ বলেন, নওপাড়া গ্রামে পাঁচ লাখ টাকার দেনমোহরে তাঁদের বিয়ের রেজিস্ট্রি সম্পন্ন হয়েছে। বিয়ে পড়াতে গিয়ে জানতে পেরেছি, নতুন দম্পতি সম্পর্কে দাদি-নাতি। 

আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে ওই গ্রামে গিয়ে নতুন দম্পতিকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তরুণের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার ইউপি সদস্য খাইরুল ইসলামসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসের মাধ্যমে জোর করে এই বিয়ে দেন। এই বিয়েতে ওই নারী রাজি ছিলেন না। 

এ বিষয়ে ১১ নং বড়হিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ জালাল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। বিয়ে হয়েছে কিনা তাও বলতে পারব না। কারণ আমি বেশ কয়েক দিন যাবৎ অসুস্থ।’ 

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল কাদির মিয়া বলেন, ‘দাদি-নাতির বিয়ের বিষয়ে আমি অবগত নই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত