Ajker Patrika

অস্ত্রের মুখে তরুণীকে ধর্ষণ, ছাত্রলীগ নেতা কারাগারে

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২: ৫৩
Thumbnail image

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অস্ত্রের মুখে তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হাসান সিজানকে (২৮) গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন-২ সাইবার ক্রাইম শাখা। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঈশ্বরগঞ্জ সদর হাসপাতাল রোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আজ বুধবার তাকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক দেওয়ান মনিরুজ্জামান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ইমরান হাসান সিজান পৌর সদরের ধামদী এলাকার শামছুল্লাহ নান্টুর ছেলে। তিনি ঈশ্বরগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমানে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী। 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইমরান হাসান সিজান তার বন্ধুর মাধ্যমে কৌশলে ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর নেন। পরে প্রায়ই মোবাইলে তাদের কথা হতো। এর মাঝে গত নভেম্বর মাসে মোবাইলে ভুক্তভোগীকে ডেকে নিজ বাড়িতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও করে। 

এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার তার কাছে যেতে বাধ্য করে। সম্প্রতি ভুক্তভোগী তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবারও তাকে কুপ্রস্তাব দিলে রাজি না হওয়ায় ইমরান হাসান সিজান ভিকটিমের ধর্ষণের ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করে স্বামীসহ বিভিন্ন গ্রুপ ও মেসেঞ্জার ছড়িয়ে দেয়। 

বিষয়টি ভুক্তভোগী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিয়ে আইনগত সহযোগিতা চাইলে তাকে ময়মনসিংহ এপিবিএন-২ মুক্তাগাছায় যেতে বলা হয়। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের হাসপাতাল রোড এলাকার নিজ বাসা থেকে ইমরান হাসান সিজানকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়। 

নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রেমঘটিত ঘটনা থেকে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। সে পৌর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ এবং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী।’ 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিকে গ্রেপ্তার করে এপিবিএন থানায় হস্তান্তর করেছে। ওই তরুণী বাদী হয়ে ইমরান হাসান সিজানকে আসামি করে ধর্ষণ, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলার পর তাকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত