Ajker Patrika

ময়মনসিংহে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

মহিউদ্দিন রানা, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) 
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৩: ৫৮
ময়মনসিংহে অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে একটি স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে এক ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো বোনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে গভর্নিং বডির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে এ কাজ করেছেন বলে দাবি স্থানীয় জনসাধারণের। 

স্কুলটির নাম খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। এর গভর্নিং বডির সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল আলম। 

এদিকে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে এমপিও আবেদন স্থগিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর পক্ষে ৫০ জন স্বাক্ষরিত একটি অনুলিপি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়েছেন তাঁরা। 

অনুলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অনুলিপির কপি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। 

স্থানীয়দের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বই বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুবের আলম কবীর রুপকের চাচাতো বোন মাহমুদা আক্তার। কোনো ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছাড়াই কীভাবে তিনি যোগদান করলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে কানাঘুষা শুরু হয়। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সূত্রেই জানতে পারেন ১২ লাখ টাকা উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি।

স্থানীয়দের দাবি, পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সেটি গোপন রাখেন কর্তৃপক্ষ। এরপর ১২ লাখ টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মিলে ওই নারীকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন। শুধু তাই নয়, পরবর্তী সময়ে যেন এ বিষয়ে কথা না ওঠে, সে জন্য নিজেদের পছন্দের প্রার্থী ছাড়াও সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের নিকটাত্মীয় চারজন মাহমুদা আক্তারের সঙ্গে নামমাত্র পরীক্ষায় অংশ নেন। 

অভিযোগকারী ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. মুন্তাজ আলী, আব্দুর রশিদ, মো. সুলতান ভূঁইয়াসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, ‘কথা নাই, বার্তা নাই, হুট করে শুনি চেয়ারম্যানের চাচাতো বোন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পেয়েছে। এরপর গোপন সূত্রে জানতে পারলাম, ওই পদের জন্য বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক দুজনে মিলে ১২ লাখ টাকা বাণিজ্য করেছে। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়া মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘আমি কোনো টাকা-পয়সা দিইনি। পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে আবেদন করি। এরপর যথারীতি নিয়মের ভিত্তিতেই আমার নিয়োগ হয়েছে।’ 
 
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে নান্দাইল আউলিয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত ছিলাম।’ 

আঠারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুবের আলম কবীর রুপক বলেন, ‘নিয়োগের বিষয়ে আমি অবগত আছি। আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সংশ্লিষ্টকে সুপারিশ করেছিলাম, আমার চাচাতো বোন যদি যোগ্য হয়, তাঁরা যেন বিষয়টি বিবেচনায় রাখে। এরপর যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাঁর নিয়োগ হয়েছে।’ এ ছাড়া কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি বলে দাবি করেন এই ইউপি চেয়ারম্যান। 

খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল আলম বলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে নিয়োগ দেওয়ার তো কোনো সুযোগ নেই। 
এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষকদের সম্মতিক্রমে ২০২৩ সালের মার্চের ৬ তারিখ সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ‘দৈনিক ভোরের ডাক’ এবং ‘অদম্য বাংলা’ পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে পাঁচজন আবেদন করেছিল। তাদের মধ্যে কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে, লিখিত পরীক্ষা এবং ভাইভার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।’ 

খালবলা বাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সরকারি নিয়মকানুন মেনেই বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিয়েছি। কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য এ রকম একটি মিথ্যা ও বানোয়াট বিষয় আমার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গোপন রেখে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’ 

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহছিনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগের কপিটি এখনো হাতে পাইনি। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।’ 

এ প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পীরগঞ্জে আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ শনাক্ত

পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি  
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় আরও ৯ জনের শরীরে অ্যানথ্রাক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন রামনাথপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামের আশুরা বেগম (৬৫), রবিউল ইসলাম (৫৫), শাহিন মিয়া (২৩), শরীফ মিয়া (২২), খাসা মিয়া (৫২), চেরাগপুরের রওহাবুল মিয়া (৩২), দ্বারিয়াপুরের শিল্পী (২৮), মামুন (১৬) ও খোরশেদ ইসলাম (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চেরাগপুর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে সাদেক আলী ৪ অক্টোবর অসুস্থ গরু জবাই করে ১৮টি পরিবারের মধ্যে মাংস বিতরণ করেন। পরে ১১ অক্টোবর দ্বারিয়াপুর গ্রামের টুটুল মিয়াও অসুস্থ গরু জবাই করে গ্রামবাসীর মধ্যে মাংস ভাগ করে দেন। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গরুর মাংস খেয়ে বা কাটাকাটির সময় সংস্পর্শে এসে তাঁরা অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত হয়েছেন।

আক্রান্ত শিল্পী, মামুন ও খোরশেদ জানান, গরু জবাইয়ের পরপরই কয়েকজনের শরীরে ঘা দেখা দেয়। তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে না গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।

রংপুর জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার পর্যন্ত রংপুরের পীরগাছায় ৩৮, কাউনিয়ায় ১৮, মিঠাপুকুরে ১২, গঙ্গাচড়ায় ৭, পীরগঞ্জে একজনসহ জেলায় ৭৮ জন সন্দেহজনক অ্যানথ্রাক্স রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে পীরগঞ্জের নতুন ৯ জন আক্রান্তের তথ্য এখনো ওই হিসাবে যুক্ত হয়নি।

জেলা সিভিল সার্জন শাহীন সুলতানা জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্তের সংখ্যা ১১। তবে সন্দেহজনক রোগীর সংখ্যা আরও বেশি। তিনি বলেন, ‘অ্যানথ্রাক্স রোগীর শরীরে কাঁচা ঘা না থাকলে নমুনা সংগ্রহ করা যায় না, তাই অনেক ক্ষেত্রে নিশ্চিতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয় না।’ এদিকে গত জুলাই ও সেপ্টেম্বরে পীরগাছায় অ্যানথ্রাক্স উপসর্গে দুজনের মৃত্যু হয়। পরে গাইবান্ধায়ও একাধিক আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের রোজিনা বেগম (৪৫) অ্যানথ্রাক্স উপসর্গ নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাড়াশে কীটনাশকের দোকান থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র চুরি

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় রাতের আঁধারে সার ও কীটনাশকের দোকানে চুরি হয়েছে। এতে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার মালপত্র খোয়া গেছে মালিকের।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার কাস্তা বাজারে মেসার্স জিসা এন্টারপ্রাইজে এই ঘটনা ঘটে।

দোকানের মালিক জাহাঙ্গীর আলম দাবি করে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাই। সকালে এসে দেখি দোকানের পেছনের টিন কাটা। দোকান থেকে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার কীটনাশক ও অন্য মালপত্র চুরি হয়ে গেছে।’

এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘চুরির বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী’

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘আমি বিএনপি করে শ ম রেজাউলের আমলে মামলায় জেল খেটেছি। এমনকি আমাকে মেরে ফেলারও চেষ্টা হয়েছে। তবে শেখ হাসিনার আদর্শ ধারণ করে এযাবৎ কাজ করেছি।’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করে আবারও আলোচনায় পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা।

জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে ভাই ও চাচাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ বিভিন্ন অভিযোগে তিনি আগে থেকেই সমালোচিত। অভিযোগ উঠেছে, ওই মামলায় রেহাই পেতে তাঁর ভাই ও চাচা ৫০ হাজার টাকা দিলেও হয়রানি থেকে মুক্তি পাননি। তাঁরা এখনো ভুগছেন সেই ঘর পোড়ানোর মামলায়। বিতর্কিত মন্তব্য করে এখন তিনি আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন।

সোহাগ মৃধার চাচা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘ওয়ারিশ সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সোহাগ তার ভাইকে হয়রানি করত। আমি প্রতিবাদ করায় আমাকে চুরির মামলায় ফাঁসায়। পরে নিজের ঘরে আগুন দিয়ে আমি ও তার ভাই তৈমুর রেজার নামে মামলা দেয়। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আমাদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়েও রেহাই দেয়নি।’

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, আওয়ামী আমলে সোহাগ মৃধা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে রেখেছিলেন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসানো, সরকারি অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মে তিনি জড়িত ছিলেন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এখন তিনি বিএনপি পরিচয়ে সক্রিয় হয়েছেন।

জানতে চাইলে বলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. সোহাগ হোসেন বলেন, ‘সোহাগ মৃধা কেমন মানুষ, তা সবাই জানে। সে আমার বাবাকেও একসময় হয়রানি করেছে।’

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. ফকরুল আলম বলেন, ‘শুনেছি সোহাগ মৃধা আওয়ামী লীগ করতেন। এখন কীভাবে বিএনপি করলেন জানি না। কেউ নিজেকে বিএনপি বললেই সে বিএনপি হয়ে যায় না। তিনি আমাদের দলের কেউ নন।’

এসব নিয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোহাগ মৃধা বলেন, ‘আমি কাউকে মিথ্যা মামলা দিইনি। আমি বিএনপি করি, তবে শেখ হাসিনার আদর্শে বিশ্বাসী। ইউপি সদস্যদের নির্দিষ্ট দল থাকে না—যে সরকার আসে, তার হয়ে কাজ করি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লাউয়াছড়া বন থেকে টহল দলের সদস্যের লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বরত মো. সিরাজ মিয়া (৭০) নামের এক বন টহল দলের (সিপিজি) সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-ভানুগাছ সড়কের জানকিছড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত সিরাজ মিয়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার ডলুছড়া এলাকার বাসিন্দা।

পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, সিরাজ মিয়া মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে লাউয়াছড়া বনের জানকিছড়া এলাকায় বন পাহারায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। আজ সকালে খবর পাওয়া যায়, লাউয়াছড়া বনের শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ প্রধান সড়কের পাশে সিপিজি ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় তাঁর মরদেহ পড়ে আছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান বন বিভাগের সদস্যরা।

জানতে চাইলে লাউয়াছড়া বনের বনবিট কর্মকর্তা মারজুক হোসেন বলেন, ‘নিহত সিরাজ মিয়ার ডিউটি শেষ হয়েছিল ভোর ৫টার দিকে। সকাল ৬টার দিকে খবর পাই, তাঁর মরদেহ সড়কের পাশে পড়ে আছে। ধারণা করা হচ্ছে, ডিউটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কোনো গাড়ির ধাক্কায় তিনি মারা গেছেন। মরদেহের পাশে গ্লাস ভাঙা টুকরো পাওয়া গেছে।’

কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি সড়ক দুর্ঘটনা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত