নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
‘কোনো দোষে আমার স্বামীকে মরতে হলো? সে তো রাজনীতি করত না। কাঁচামালের ব্যবসা করত। তারপরও দোকানের ভেতরে ঢুকে আমার স্বামীকে গুলি করে মারল পুলিশ। অহন আমার তিন বছরের ছোট মেয়ে ও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ কি অইবো? স্বামী হারানোর যন্ত্রণা কার কাছে কইয়াম?’
চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবীরের (২৪) অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আয়েশা খাতুন।
এর আগে, গত ২০ জুলাই বিকেলে গাজীপুর সাইনবোর্ড ভুসির মেইল মেম্বার বাড়ি রোডে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে সময় পুলিশ হুমায়ূন কবীরকে তাঁর বড় ভাইয়ের দোকানের ভেতরে গুলি করে। পরে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই মৃত্যু হয়।
নিহত হুমায়ূন কবীর নান্দাইল সদর ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি গাজীপুরের সাইনবোর্ড ভুসির মিল এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। সেখানেই স্ত্রী ও শিশু কন্যা নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হুমায়ূন কবীরসহ তাঁর ৪ ভাই ভুসির মিল এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। গত ২০ জুলাই হুমায়ূন কবীর দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে অন্য ভাইদের জন্য ভাত নিয়ে যান। সে সময় হুমায়ূন কবীরের দোকানে এক ভ্যানচালক পানের বস্তা নিয়ে আসে। পানের বস্তা দোকানে ঢুকিয়ে দোকান বন্ধ করেন হুমায়ূন। এ সময় দোকানের সামনে ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে ‘বাঁচও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। হুমায়ূন ভ্যানচালককে উদ্ধার করে দোকানে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে সাটার লাগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাইরে থেকে সাটার খুলে ভেতরে অবস্থানরত দোকান কর্মচারীদের লাঠিপেটা ও গুলি করে। এতে সেখানে হুমায়ূন কবীর পেটে ও শরীরের নিম্নাংশে এবং হাসেম নামে এক কর্মচারী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। রাকিব নামে আরেক কর্মচারী পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হন। ২১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে নান্দাইলের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামে হুমায়ূন কবীরের মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহত হুমায়ূন কবীরের বড় ভাই হজরত আলী বলেন, ‘হুমায়ূন কবীর গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেও কেন ভাইকে মরতে হল?’
হুমায়ূন কবীরের মা ফরিদা খাতুন বলেন, ‘পুত তো ছাত্র না। সে তো কাঁচামালের ব্যবসা করত। তবুও পুলিশ দোকানের ভেতরে গিয়ে গুলি করছে। সন্তান হারানোর যন্ত্রণার এই কথা আমি কারে কইয়াম। কার কাছে বিচার চাইয়াম।’
নিহত হুমায়ূন কবীরের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়নি। তাহলে কেন আমার ছেলেডারে পুলিশ দোকানের ভেতরে গিয়ে গুলি করল? বিচার আল্লাহ্ কাছে দিলাম।’
‘কোনো দোষে আমার স্বামীকে মরতে হলো? সে তো রাজনীতি করত না। কাঁচামালের ব্যবসা করত। তারপরও দোকানের ভেতরে ঢুকে আমার স্বামীকে গুলি করে মারল পুলিশ। অহন আমার তিন বছরের ছোট মেয়ে ও অনাগত সন্তানের ভবিষ্যৎ কি অইবো? স্বামী হারানোর যন্ত্রণা কার কাছে কইয়াম?’
চোখ মুছতে মুছতে কথাগুলো বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত ব্যবসায়ী হুমায়ূন কবীরের (২৪) অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আয়েশা খাতুন।
এর আগে, গত ২০ জুলাই বিকেলে গাজীপুর সাইনবোর্ড ভুসির মেইল মেম্বার বাড়ি রোডে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে সময় পুলিশ হুমায়ূন কবীরকে তাঁর বড় ভাইয়ের দোকানের ভেতরে গুলি করে। পরে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতেই মৃত্যু হয়।
নিহত হুমায়ূন কবীর নান্দাইল সদর ইউনিয়নের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে। তিনি গাজীপুরের সাইনবোর্ড ভুসির মিল এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। সেখানেই স্ত্রী ও শিশু কন্যা নিয়ে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, হুমায়ূন কবীরসহ তাঁর ৪ ভাই ভুসির মিল এলাকায় কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। গত ২০ জুলাই হুমায়ূন কবীর দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে অন্য ভাইদের জন্য ভাত নিয়ে যান। সে সময় হুমায়ূন কবীরের দোকানে এক ভ্যানচালক পানের বস্তা নিয়ে আসে। পানের বস্তা দোকানে ঢুকিয়ে দোকান বন্ধ করেন হুমায়ূন। এ সময় দোকানের সামনে ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে ‘বাঁচও, বাঁচাও’ বলে চিৎকার করতে থাকেন। হুমায়ূন ভ্যানচালককে উদ্ধার করে দোকানে ঢুকিয়ে ভেতর থেকে সাটার লাগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ বাইরে থেকে সাটার খুলে ভেতরে অবস্থানরত দোকান কর্মচারীদের লাঠিপেটা ও গুলি করে। এতে সেখানে হুমায়ূন কবীর পেটে ও শরীরের নিম্নাংশে এবং হাসেম নামে এক কর্মচারী পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। রাকিব নামে আরেক কর্মচারী পুলিশের লাঠিপেটার শিকার হন। ২১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে নান্দাইলের সাভার পূর্বপাড়া গ্রামে হুমায়ূন কবীরের মরদেহ দাফন করা হয়।
নিহত হুমায়ূন কবীরের বড় ভাই হজরত আলী বলেন, ‘হুমায়ূন কবীর গত সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছিল। আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেও কেন ভাইকে মরতে হল?’
হুমায়ূন কবীরের মা ফরিদা খাতুন বলেন, ‘পুত তো ছাত্র না। সে তো কাঁচামালের ব্যবসা করত। তবুও পুলিশ দোকানের ভেতরে গিয়ে গুলি করছে। সন্তান হারানোর যন্ত্রণার এই কথা আমি কারে কইয়াম। কার কাছে বিচার চাইয়াম।’
নিহত হুমায়ূন কবীরের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলে তো সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়নি। তাহলে কেন আমার ছেলেডারে পুলিশ দোকানের ভেতরে গিয়ে গুলি করল? বিচার আল্লাহ্ কাছে দিলাম।’
পুরোপুরি পাকেনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের হাওরের ধান। তবে অকালবন্যার শঙ্কায় ১ বৈশাখ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ৩০ ভাগের বেশি জমির বোরো ফসল ঘরে তুলেছেন কৃষক।
১৯ মিনিট আগেবরগুনার আমতলী উপজেলার খেকুয়ানী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচতলায় বসছে পানের বাজার। খেকুয়ানী বাজারের ইজারাদার শাহ আলম শিকদার এ বাজার বসাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার রেসিডেনসিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কলেজের চেয়ারম্যানের যাচ্ছেতাই নিয়মে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। দুটি বিষয়ের মাত্র তিনজন শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজটির শিক্ষা কার্যক্রম।
২ ঘণ্টা আগেভারতীয় চেইন হসপিটাল ফর্টিস এসকর্টস হার্ট ইনস্টিটিউটের নাম ভাঙিয়ে শতকোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠেছে এএফসি হেলথ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় ‘ফর্টিস’ নামে চারটি শাখা
২ ঘণ্টা আগে