ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ মাত্র চারটি। এগুলোর মধ্যে একটি আকারে অনেক ছোট। দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনা করেও জায়গার সংকুলান হয় না। বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। শুধু এই একটি বিদ্যালয় নয়, ময়মনসিংহের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই একই অবস্থা। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ না থাকায় শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ হাজার ১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৮টিই শ্রেণি-সংকটে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ২৪৬ জন।
সম্প্রতি ময়মনসিংহে এসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবার গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এক বেঞ্চে বসানো হয়েছে ৪-৫ জনকে। প্রাক্-প্রাথমিকে ফ্লোরে ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্লাসে শিক্ষার্থী বেশি হলে কোনোভাবেই বসা যায় না। বসতে পারলেও লিখতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির এটিও একটি কারণ। সে বলে, ‘আজকে প্রতি বেঞ্চে ৪-৫ জন বসছি।’ আরেক শিক্ষার্থী মানাফ মাহাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই তাদের ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। খেলাধুলার জন্য কোনো মাঠ নেই। টিফিনে বারান্দায় বসে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই।
অভিভাবক সাগরিকা দাস বলেন, ‘একদিকে শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে বাচ্চারা শ্রেণিকক্ষে বসতে পারে না, অন্যদিকে খেলাধুলার কোনো মাঠ না থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। গাঙ্গিনারপাড় স্কুলটা এত ছোট যে অভিভাবকদের বসার পর্যন্ত একটু জায়গা নেই। বাচ্চাদের এই স্কুলে ভর্তি করিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকলিমা আক্তার সোনিয়া বলেন, ‘শিশু শ্রেণিতে ৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে আজকে (বৃহস্পতিবার) ২১ জন এসেছে, তারপরও জায়গা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষের মধ্যে ছোট এটি। কক্ষ বড় না হলে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে পড়ানো সম্ভব হয় না।’
গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনার মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায়; কিন্তু শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেককে ভর্তি করতে পারি না। এবার বিদ্যালয়ে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে; তাদের জন্য মোট শ্রেণিকক্ষ চারটি। দুই শিফট করেও গাদাগাদি ক্লাস নিতে হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি।
একই অবস্থা নগরীর গোহাইলকান্দি, নওমহল এবং নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের জন্য সাতটি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন; আছে পাঁচটি। এতে হাইস্কুলের দুটি কক্ষ ব্যবহার করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সমাধান মিলছে না।’
গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আশপাশের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৪৫ জন। শ্রেণিকক্ষ তিনটি। এতে দুই শিফট করেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। বেঞ্চে গাদাগাদি বসিয়ে মনোযোগী করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।’
এসব ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, প্রধান শিক্ষকদের তথ্যমতে সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ৬৬টি এবং সদরে ৭২টি শ্রেণিকক্ষ-সংকট রয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ করে দেওয়া হবে।’
ময়মনসিংহ নগরীর গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা তিন শতাধিক। কিন্তু শ্রেণিকক্ষ মাত্র চারটি। এগুলোর মধ্যে একটি আকারে অনেক ছোট। দুই শিফটে ক্লাস পরিচালনা করেও জায়গার সংকুলান হয় না। বেঞ্চে গাদাগাদি করে বসায় ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম। শুধু এই একটি বিদ্যালয় নয়, ময়মনসিংহের অনেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরই একই অবস্থা। পাশাপাশি অনেক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ না থাকায় শিশুদের শারীরিক-মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ২ হাজার ১৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোর মধ্যে সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ১৮৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৩৮টিই শ্রেণি-সংকটে রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৩৭ হাজার ২৪৬ জন।
সম্প্রতি ময়মনসিংহে এসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই লক্ষ্যে কাজও শুরু হচ্ছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষক নিয়োগ, তাঁদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার।
অবশ্য গত বৃহস্পতিবার গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় শ্রেণির কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করানো হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। এক বেঞ্চে বসানো হয়েছে ৪-৫ জনকে। প্রাক্-প্রাথমিকে ফ্লোরে ঠাসাঠাসি করে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে ক্লাস করানো হচ্ছে।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিনা আক্তারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ক্লাসে শিক্ষার্থী বেশি হলে কোনোভাবেই বসা যায় না। বসতে পারলেও লিখতে পারে না শিক্ষার্থীরা। ক্লাসে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির এটিও একটি কারণ। সে বলে, ‘আজকে প্রতি বেঞ্চে ৪-৫ জন বসছি।’ আরেক শিক্ষার্থী মানাফ মাহাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় প্রতিদিনই তাদের ঠাসাঠাসি করে বসতে হয়। খেলাধুলার জন্য কোনো মাঠ নেই। টিফিনে বারান্দায় বসে থাকা ছাড়া কিছু করার নেই।
অভিভাবক সাগরিকা দাস বলেন, ‘একদিকে শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে বাচ্চারা শ্রেণিকক্ষে বসতে পারে না, অন্যদিকে খেলাধুলার কোনো মাঠ না থাকায় তাদের মানসিক বিকাশ হচ্ছে না। গাঙ্গিনারপাড় স্কুলটা এত ছোট যে অভিভাবকদের বসার পর্যন্ত একটু জায়গা নেই। বাচ্চাদের এই স্কুলে ভর্তি করিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আকলিমা আক্তার সোনিয়া বলেন, ‘শিশু শ্রেণিতে ৩৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মধ্যে আজকে (বৃহস্পতিবার) ২১ জন এসেছে, তারপরও জায়গা হচ্ছে না। বিদ্যালয়ের চারটি কক্ষের মধ্যে ছোট এটি। কক্ষ বড় না হলে শিক্ষার্থীদের আনন্দ-উল্লাসে পড়ানো সম্ভব হয় না।’
গাঙ্গিনারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন জাহান বলেন, ‘বিদ্যালয়টি শহরের প্রাণকেন্দ্রে হওয়ার পাশাপাশি পড়াশোনার মান ভালো হওয়ায় প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হতে চায়; কিন্তু শ্রেণিকক্ষ-সংকটের কারণে আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেককে ভর্তি করতে পারি না। এবার বিদ্যালয়ে ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে; তাদের জন্য মোট শ্রেণিকক্ষ চারটি। দুই শিফট করেও গাদাগাদি ক্লাস নিতে হয়। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এখনো কোনো সহযোগিতা পাইনি।
একই অবস্থা নগরীর গোহাইলকান্দি, নওমহল এবং নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। নামাকাতলা সেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহ আলম বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ে ৩৩৯ জন শিক্ষার্থী। তাদের জন্য সাতটি শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজন; আছে পাঁচটি। এতে হাইস্কুলের দুটি কক্ষ ব্যবহার করতে হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো সমাধান মিলছে না।’
গোহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা বলেন, ‘বিদ্যালয়ে আশপাশের অনেক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। বর্তমানে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ৩৪৫ জন। শ্রেণিকক্ষ তিনটি। এতে দুই শিফট করেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো সম্ভব হচ্ছে না। বেঞ্চে গাদাগাদি বসিয়ে মনোযোগী করা কোনোভাবেই সম্ভব হয় না।’
এসব ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, প্রধান শিক্ষকদের তথ্যমতে সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে ৬৬টি এবং সদরে ৭২টি শ্রেণিকক্ষ-সংকট রয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হচ্ছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাদের আশ্বস্ত করেছে, অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ করে দেওয়া হবে।’
নীলফামারীর সৈয়দপুর-চিলাহাটি রেলপথের দৈর্ঘ্য ৫৯ কিলোমিটার। এই পথের বিভিন্ন স্থানে ফাঁকে ফাঁকে স্লিপারের সঙ্গে রেললাইনের পাত আটকে রাখার ইলাসটিক রেল ক্লিপ (ইআরসি) নেই। একই অবস্থা স্টেশনসংলগ্ন সম্প্রতি বসানো লুপ লাইনগুলোরও, যার দৈর্ঘ্য ৩ কিলোমিটার।
৪ ঘণ্টা আগেসাতক্ষীরায় চলছে বোরো ধান চাষের মৌসুম। কৃষকেরা খেতের পোকামাকড় আর আগাছা দমনে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। কিন্তু এসব ক্ষেত্রে মাস্ক বা গ্লাভস পরার মতো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ফলে শ্বাসকষ্ট, ফুসকুড়ি, চুলকানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকেরা।
৪ ঘণ্টা আগেবগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) জেলা কার্যালয়ের জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে কার্যালয়টির স্থানে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
৪ ঘণ্টা আগেনদের নাম শিব। পাল আমলে এর ধারেই গড়ে উঠেছিল সভ্যতা। নদের প্রস্থ কম হলেও গভীরতা এখনো ভালো। গত শুক্রবার সকালে রাজশাহীর তানোর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকার সেতুর ওপর দুপাশে দেখা গেল, শিব নদে পানি নেই। প্রাণহীন সেই নদের বুকে ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু পানির অভাবে ধানখেত চৌচির।
৫ ঘণ্টা আগে