
মৌলভীবাজারে নবদম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাঁদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাঁদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নববধূ।
ভুক্তভোগী নবদম্পতি হলেন—মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়া (২৯) ও একই ইউনিয়নের সাতবাক গ্রামের পলি আক্তার (২৫)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলি আক্তার নামে একজন আমার হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁকে বলেছি সরাসরি এসে অভিযোগ করার জন্য। ইতিমধ্যে অভিযোগটি মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।’
আপার কাগাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। এখানে সামাজিক বাধা আছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ এখনো এই ঘটনা নিয়ে কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।’
সামাজিক বাধার বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁরা (নবদম্পতি) নিজেরাই আতঙ্কিত। তাঁদেরকে বাড়িতে আসতে কেউ বাধা দেয়নি। বাঙাল সমাজ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে সাধারণত বিবাহ হয় না। এ জন্য ছেলেপক্ষরা নিজেরাই ভয় পাচ্ছে।’
ভুক্তভোগী নবদম্পতি সূত্রে জানা যায়, ১৯ মার্চ ইমন মিয়া ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করে, নিকাহনামা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পলি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা। গত শনিবার নববধূ পলি আক্তার তাঁর ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
নববধূ পলি আক্তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার মা শিল্পী বেগম একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি আমার বিয়ের বিষয়ে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাঁরা আমার বিয়েকে অস্বীকার করেন। বরং আমার স্বামী আমাকে অপহরণ-ধর্ষণ করেছেন বলে মিথ্যা মামলা প্রদানের জন্য আমার মাকে কু-মন্ত্রণা প্রদান করে যাচ্ছেন গ্রামের মুরব্বিরা। আমার স্বামীর আত্মীয়স্বজনকেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে আমার মাকে জানিয়েছেন।’
পলি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। গ্রামের মোড়লদের হুমকি-ধমকির কারণে আমি ও আমার স্বামী উভয়ে বর্তমানে একসঙ্গে আত্মগোপনে আছি। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যেতে চাই। আমাদের সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য চাচ্ছি।’
অভিযোগে আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়া (৫৫), আগিহুন গ্রামের রুজিনা আক্তার (৪০), সাতবাক গ্রামের বশির আহমদ সুনু মিয়ার (৪০) নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সদ্য বিবাহিত ইমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৯ মার্চ পলিকে বিয়ে করেছি। আমি মাছের ব্যবসা করি। আর পলি অন্য জাতের হওয়ায় তাঁরা আমাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। বিয়ে করার পর আমাদের পাশের গ্রাম ও বাজারের কিছু মোড়লের বাধায় পড়েছি। তাঁরা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছেন। যার কারণে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে উঠতে পারছি না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে দুইটি আলাদা সমাজ আছে। বিয়ে হলে তাদের মধ্যে ঝামেলা আসবে। কনের পক্ষ আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদের সান্ত্বনা দিয়েছি। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি এসব কিছু দিইনি। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবে না।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দম্পতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাঁদেরকে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মৌলভীবাজারে নবদম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাঁদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাঁদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নববধূ।
ভুক্তভোগী নবদম্পতি হলেন—মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়া (২৯) ও একই ইউনিয়নের সাতবাক গ্রামের পলি আক্তার (২৫)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলি আক্তার নামে একজন আমার হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁকে বলেছি সরাসরি এসে অভিযোগ করার জন্য। ইতিমধ্যে অভিযোগটি মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।’
আপার কাগাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। এখানে সামাজিক বাধা আছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ এখনো এই ঘটনা নিয়ে কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।’
সামাজিক বাধার বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁরা (নবদম্পতি) নিজেরাই আতঙ্কিত। তাঁদেরকে বাড়িতে আসতে কেউ বাধা দেয়নি। বাঙাল সমাজ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে সাধারণত বিবাহ হয় না। এ জন্য ছেলেপক্ষরা নিজেরাই ভয় পাচ্ছে।’
ভুক্তভোগী নবদম্পতি সূত্রে জানা যায়, ১৯ মার্চ ইমন মিয়া ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করে, নিকাহনামা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পলি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা। গত শনিবার নববধূ পলি আক্তার তাঁর ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
নববধূ পলি আক্তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার মা শিল্পী বেগম একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি আমার বিয়ের বিষয়ে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাঁরা আমার বিয়েকে অস্বীকার করেন। বরং আমার স্বামী আমাকে অপহরণ-ধর্ষণ করেছেন বলে মিথ্যা মামলা প্রদানের জন্য আমার মাকে কু-মন্ত্রণা প্রদান করে যাচ্ছেন গ্রামের মুরব্বিরা। আমার স্বামীর আত্মীয়স্বজনকেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে আমার মাকে জানিয়েছেন।’
পলি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। গ্রামের মোড়লদের হুমকি-ধমকির কারণে আমি ও আমার স্বামী উভয়ে বর্তমানে একসঙ্গে আত্মগোপনে আছি। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যেতে চাই। আমাদের সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য চাচ্ছি।’
অভিযোগে আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়া (৫৫), আগিহুন গ্রামের রুজিনা আক্তার (৪০), সাতবাক গ্রামের বশির আহমদ সুনু মিয়ার (৪০) নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সদ্য বিবাহিত ইমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৯ মার্চ পলিকে বিয়ে করেছি। আমি মাছের ব্যবসা করি। আর পলি অন্য জাতের হওয়ায় তাঁরা আমাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। বিয়ে করার পর আমাদের পাশের গ্রাম ও বাজারের কিছু মোড়লের বাধায় পড়েছি। তাঁরা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছেন। যার কারণে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে উঠতে পারছি না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে দুইটি আলাদা সমাজ আছে। বিয়ে হলে তাদের মধ্যে ঝামেলা আসবে। কনের পক্ষ আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদের সান্ত্বনা দিয়েছি। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি এসব কিছু দিইনি। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবে না।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দম্পতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাঁদেরকে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


মৌলভীবাজারে নবদম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাঁদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাঁদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নববধূ।
ভুক্তভোগী নবদম্পতি হলেন—মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়া (২৯) ও একই ইউনিয়নের সাতবাক গ্রামের পলি আক্তার (২৫)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলি আক্তার নামে একজন আমার হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁকে বলেছি সরাসরি এসে অভিযোগ করার জন্য। ইতিমধ্যে অভিযোগটি মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।’
আপার কাগাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। এখানে সামাজিক বাধা আছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ এখনো এই ঘটনা নিয়ে কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।’
সামাজিক বাধার বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁরা (নবদম্পতি) নিজেরাই আতঙ্কিত। তাঁদেরকে বাড়িতে আসতে কেউ বাধা দেয়নি। বাঙাল সমাজ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে সাধারণত বিবাহ হয় না। এ জন্য ছেলেপক্ষরা নিজেরাই ভয় পাচ্ছে।’
ভুক্তভোগী নবদম্পতি সূত্রে জানা যায়, ১৯ মার্চ ইমন মিয়া ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করে, নিকাহনামা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পলি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা। গত শনিবার নববধূ পলি আক্তার তাঁর ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
নববধূ পলি আক্তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার মা শিল্পী বেগম একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি আমার বিয়ের বিষয়ে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাঁরা আমার বিয়েকে অস্বীকার করেন। বরং আমার স্বামী আমাকে অপহরণ-ধর্ষণ করেছেন বলে মিথ্যা মামলা প্রদানের জন্য আমার মাকে কু-মন্ত্রণা প্রদান করে যাচ্ছেন গ্রামের মুরব্বিরা। আমার স্বামীর আত্মীয়স্বজনকেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে আমার মাকে জানিয়েছেন।’
পলি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। গ্রামের মোড়লদের হুমকি-ধমকির কারণে আমি ও আমার স্বামী উভয়ে বর্তমানে একসঙ্গে আত্মগোপনে আছি। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যেতে চাই। আমাদের সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য চাচ্ছি।’
অভিযোগে আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়া (৫৫), আগিহুন গ্রামের রুজিনা আক্তার (৪০), সাতবাক গ্রামের বশির আহমদ সুনু মিয়ার (৪০) নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সদ্য বিবাহিত ইমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৯ মার্চ পলিকে বিয়ে করেছি। আমি মাছের ব্যবসা করি। আর পলি অন্য জাতের হওয়ায় তাঁরা আমাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। বিয়ে করার পর আমাদের পাশের গ্রাম ও বাজারের কিছু মোড়লের বাধায় পড়েছি। তাঁরা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছেন। যার কারণে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে উঠতে পারছি না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে দুইটি আলাদা সমাজ আছে। বিয়ে হলে তাদের মধ্যে ঝামেলা আসবে। কনের পক্ষ আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদের সান্ত্বনা দিয়েছি। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি এসব কিছু দিইনি। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবে না।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দম্পতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাঁদেরকে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

মৌলভীবাজারে নবদম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাঁদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাঁদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ ঘটনায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে গত শুক্রবার জেলা পুলিশ সুপারের কাছে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নববধূ।
ভুক্তভোগী নবদম্পতি হলেন—মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আপার কাগাবালা ইউনিয়নের উত্তর কাগাবলা গ্রামের ইমন মিয়া (২৯) ও একই ইউনিয়নের সাতবাক গ্রামের পলি আক্তার (২৫)।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পলি আক্তার নামে একজন আমার হোয়াটসঅ্যাপে অভিযোগ করেছেন। আমি তাঁকে বলেছি সরাসরি এসে অভিযোগ করার জন্য। ইতিমধ্যে অভিযোগটি মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসিকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।’
আপার কাগাবলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমন মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। এখানে সামাজিক বাধা আছে। বিষয়টি সমাধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেনি। কেউ এখনো এই ঘটনা নিয়ে কোনো সংঘাতে জড়ায়নি।’
সামাজিক বাধার বিষয়ে স্পষ্ট করে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘তাঁরা (নবদম্পতি) নিজেরাই আতঙ্কিত। তাঁদেরকে বাড়িতে আসতে কেউ বাধা দেয়নি। বাঙাল সমাজ ও মৎস্যজীবীদের মধ্যে সাধারণত বিবাহ হয় না। এ জন্য ছেলেপক্ষরা নিজেরাই ভয় পাচ্ছে।’
ভুক্তভোগী নবদম্পতি সূত্রে জানা যায়, ১৯ মার্চ ইমন মিয়া ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী মোহরানা নির্ধারণ করে, নিকাহনামা রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পলি আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের কথা এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ান স্থানীয় পঞ্চায়েতের মুরব্বিরা। গত শনিবার নববধূ পলি আক্তার তাঁর ফেসবুক আইডিতে এ নিয়ে পোস্ট দেওয়ার পর বিষয়টি আলোচনায় আসে।
নববধূ পলি আক্তার লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, ‘আমার মা শিল্পী বেগম একজন সহজ সরল মানুষ। তিনি আমার বিয়ের বিষয়ে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয় ও এলাকার মুরব্বিদের জানালে তাঁরা আমার বিয়েকে অস্বীকার করেন। বরং আমার স্বামী আমাকে অপহরণ-ধর্ষণ করেছেন বলে মিথ্যা মামলা প্রদানের জন্য আমার মাকে কু-মন্ত্রণা প্রদান করে যাচ্ছেন গ্রামের মুরব্বিরা। আমার স্বামীর আত্মীয়স্বজনকেও বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন তাঁরা। এমনকি তাঁরা আমার স্বামীকে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলবে বলে আমার মাকে জানিয়েছেন।’
পলি আরও উল্লেখ করেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমরা খুব কষ্টের মধ্যে আছি। গ্রামের মোড়লদের হুমকি-ধমকির কারণে আমি ও আমার স্বামী উভয়ে বর্তমানে একসঙ্গে আত্মগোপনে আছি। আমি আমার স্বামীর বাড়িতে যেতে চাই। আমাদের সুন্দর জীবন দেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সকলের সাহায্য চাচ্ছি।’
অভিযোগে আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়া (৫৫), আগিহুন গ্রামের রুজিনা আক্তার (৪০), সাতবাক গ্রামের বশির আহমদ সুনু মিয়ার (৪০) নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সদ্য বিবাহিত ইমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ১৯ মার্চ পলিকে বিয়ে করেছি। আমি মাছের ব্যবসা করি। আর পলি অন্য জাতের হওয়ায় তাঁরা আমাদের বিয়ে মেনে নিচ্ছেন না। বিয়ে করার পর আমাদের পাশের গ্রাম ও বাজারের কিছু মোড়লের বাধায় পড়েছি। তাঁরা আমাকে ও আমার পরিবারকে বিভিন্ন রকম হুমকি দিয়ে আসছেন। যার কারণে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে ঘরে উঠতে পারছি না।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আপার কাগাবলা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খলকু মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখানে দুইটি আলাদা সমাজ আছে। বিয়ে হলে তাদের মধ্যে ঝামেলা আসবে। কনের পক্ষ আমার কাছে এসেছিল, আমি তাদের সান্ত্বনা দিয়েছি। আমি কাউকে হুমকি-ধমকি এসব কিছু দিইনি। কেউ এর প্রমাণ দিতে পারবে না।’
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই দম্পতি বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাঁদেরকে থানায় গিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেছি। আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।’
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
২৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেসখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আনিছুর রহমানকে সওজের প্রধান কার্যালয়ের ময়মনসিংহ জোন থেকে রাজশাহী জোনের আওতায় সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সওজের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেন। এতে সরকারি কর্মচারী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুসরণ না করে আনিছুর রহমান নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ কারণে কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। আনিছুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সওজের অধীনে টাঙ্গাইলের সখীপুর-সাগরদীঘি আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়া বাজার থেকে কুতুবপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল। ওই সড়কের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে জাহিদ হাসান নামের এক প্রবাসীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সওজের মির্জাপুর সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান লেখেন, ‘বিদেশি কামলারাও যদি ইঞ্জিনিয়ার হন, তাহলে তো দেশের ১৮টা বাজবে।’
এ ছাড়া অপর এক মন্তব্যে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘সাম্বাদিক সাব কয়টা কাজ আনতে পারেন? আর কয়টা কাজ করাইছেন? ৫০০ টাকার জন্য যতই এসব করেন লাভ নাই।’
উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের এসব মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সখীপুরের প্রবাসীরাও তাঁর শাস্তি দাবি করেন। বিষয়টি সিনথিয়া আজমিরী খানের নজরে এলে তিনি আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।
এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে বদলির বিষয়টিও শুনেছি।’
মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আনিছুর রহমানকে তাঁর ফেসবুকে মন্তব্যের জন্য তিন কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁকে ময়মনসিংহ জোনের টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী জোনের সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে বদলি করা হলেও শোকজের জবাব দিতে হবে।’
এদিকে আজ বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বড়চওনা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় জনতা। সড়কের নিম্নমানের কাজ, প্রবাসী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ কর্মসূচি পালন করেন। ওই মানববন্ধনেও উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আনিছুর রহমানকে সওজের প্রধান কার্যালয়ের ময়মনসিংহ জোন থেকে রাজশাহী জোনের আওতায় সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সওজের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেন। এতে সরকারি কর্মচারী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুসরণ না করে আনিছুর রহমান নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ কারণে কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। আনিছুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।
জানা গেছে, সম্প্রতি সওজের অধীনে টাঙ্গাইলের সখীপুর-সাগরদীঘি আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়া বাজার থেকে কুতুবপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল। ওই সড়কের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে জাহিদ হাসান নামের এক প্রবাসীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সওজের মির্জাপুর সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান লেখেন, ‘বিদেশি কামলারাও যদি ইঞ্জিনিয়ার হন, তাহলে তো দেশের ১৮টা বাজবে।’
এ ছাড়া অপর এক মন্তব্যে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘সাম্বাদিক সাব কয়টা কাজ আনতে পারেন? আর কয়টা কাজ করাইছেন? ৫০০ টাকার জন্য যতই এসব করেন লাভ নাই।’
উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের এসব মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সখীপুরের প্রবাসীরাও তাঁর শাস্তি দাবি করেন। বিষয়টি সিনথিয়া আজমিরী খানের নজরে এলে তিনি আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।
এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে বদলির বিষয়টিও শুনেছি।’
মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আনিছুর রহমানকে তাঁর ফেসবুকে মন্তব্যের জন্য তিন কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁকে ময়মনসিংহ জোনের টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী জোনের সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে বদলি করা হলেও শোকজের জবাব দিতে হবে।’
এদিকে আজ বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বড়চওনা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় জনতা। সড়কের নিম্নমানের কাজ, প্রবাসী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ কর্মসূচি পালন করেন। ওই মানববন্ধনেও উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।


মৌলভীবাজারে নব দম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন...
২৮ মার্চ ২০২৩
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
২৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুদিদোকানি মানিক, সাকিব, আশরাফ নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মৃত হাছেন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিকের মুদির দোকানে সিগারেট কিনতে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চের আলো ফেলেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এরশাদ আলী বাড়িতে চলে যান। এদিকে সাকিব তাঁর মাদক কারবারের পার্টনার শাহজাহানসহ কয়েকজনকে নিয়ে দল গঠন করে। আজ ভোরে এরশাদ আলীকে ফোন করে ডেকে এনে আবারও কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার জানান, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দোকানি মানিক, সাকিব, আশরাফসহ তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুদিদোকানি মানিক, সাকিব, আশরাফ নামে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মৃত হাছেন আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিকের মুদির দোকানে সিগারেট কিনতে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চের আলো ফেলেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে এরশাদ আলী বাড়িতে চলে যান। এদিকে সাকিব তাঁর মাদক কারবারের পার্টনার শাহজাহানসহ কয়েকজনকে নিয়ে দল গঠন করে। আজ ভোরে এরশাদ আলীকে ফোন করে ডেকে এনে আবারও কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার জানান, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দোকানি মানিক, সাকিব, আশরাফসহ তিনজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।


মৌলভীবাজারে নব দম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন...
২৮ মার্চ ২০২৩
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল
৭ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
২৬ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
এহসানউল্লাহ বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি পুলিশ একাডেমির অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস শাখার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানতে চাইলে সারদা পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। পরদিন ডাকযোগে একটি ছুটির আবেদন পাঠিয়েছেন, তবে তা গৃহীত হয়নি।’
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বুধবার তাঁকে আটকের জন্য ঢাকা থেকে একটি দল এসেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান এহসানউল্লাহ।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি যে তিনি দুই দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি আমার জানা নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব তদন্ত সংস্থা আছে। তারা তাদের মতো করে কাজ করে থাকে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তে মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি)। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
এহসানউল্লাহ বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি পুলিশ একাডেমির অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস শাখার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জানতে চাইলে সারদা পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিক) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সকাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। পরদিন ডাকযোগে একটি ছুটির আবেদন পাঠিয়েছেন, তবে তা গৃহীত হয়নি।’
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, বুধবার তাঁকে আটকের জন্য ঢাকা থেকে একটি দল এসেছিল। বিষয়টি জানতে পেরে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান এহসানউল্লাহ।
এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) এ এইচ এম শাহাদাত হোসাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও শুনেছি যে তিনি দুই দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিষয়টি আমার জানা নেই। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব তদন্ত সংস্থা আছে। তারা তাদের মতো করে কাজ করে থাকে।’


মৌলভীবাজারে নব দম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন...
২৮ মার্চ ২০২৩
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
২৯ মিনিট আগেকুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আকরাম হোসেন ওকি (২৮), মো. সাগর (২৪), মো. মহিউদ্দিন সুমন (৩২), মোহাম্মদ রাসেল হোসেন (৩০), মো. ফয়সাল (২৮), মাকসুদুর রহমান ওরফে বাবলু (৩১), আমিন খান নাহিদ (৩০), তুহিন আলম (২৮), কাজী শামসুল আলম (৫২), মোহাম্মদ মোবারক হোসেন রুবেল (৩৫), আব্দুল্লাহ আল হাদী (৩৬) ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (২৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোরে হঠাৎ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ড গলি এবং পার্কসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করেন। মিছিলটি মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ে ৩০-৪০ গজ পথ অতিক্রম করে। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে দ্রুত অটোরিকশায় উঠে স্থান ত্যাগ করেন।
ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারী অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিছিলটি স্বল্প সময়ের হওয়ায় প্রথমে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন যেকোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কুমিল্লা নগরীতে সরকারবিরোধী ঝটিকা মিছিলের অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ভোরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার এই ঝটিকা মিছিল হয়। পরে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আকরাম হোসেন ওকি (২৮), মো. সাগর (২৪), মো. মহিউদ্দিন সুমন (৩২), মোহাম্মদ রাসেল হোসেন (৩০), মো. ফয়সাল (২৮), মাকসুদুর রহমান ওরফে বাবলু (৩১), আমিন খান নাহিদ (৩০), তুহিন আলম (২৮), কাজী শামসুল আলম (৫২), মোহাম্মদ মোবারক হোসেন রুবেল (৩৫), আব্দুল্লাহ আল হাদী (৩৬) ও গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী (২৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, ভোরে হঠাৎ ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে নগরীর ঈদগাহ মাঠ এলাকার সিএনজি স্ট্যান্ড গলি এবং পার্কসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান নিয়ে ঝটিকা মিছিল বের করেন। মিছিলটি মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ে ৩০-৪০ গজ পথ অতিক্রম করে। এ সময় তাঁরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে দ্রুত অটোরিকশায় উঠে স্থান ত্যাগ করেন।
ঘটনার পর কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় কোতোয়ালি থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে মিছিলে অংশগ্রহণকারী অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে। পরে দুপুরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিছিলটি স্বল্প সময়ের হওয়ায় প্রথমে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে সিসিটিভি ফুটেজ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সংশ্লিষ্ট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। নগরীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন যেকোনো কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


মৌলভীবাজারে নব দম্পতি নিজেদের বাড়িতে উঠতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই নবদম্পতির দাবি, তাদের পরিবারের আপত্তি না থাকলেও স্থানীয় মুরব্বিরা তাদের বিয়ের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ার জন্য পরিবারকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। ফলে বিয়ের পর থেকেই তাঁরা ঘরছাড়া হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন...
২৮ মার্চ ২০২৩
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল
৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় চোখে টর্চের আলো ফেলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শুক্রবার ভোরে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
১৪ মিনিট আগে
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মুখে লাপাত্তা এহসানউল্লাহ নামের পুলিশের এক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি। গত বুধবার থেকে ওই কর্মকর্তা রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে অনুপস্থিত রয়েছেন। তবে পরদিন তিনি ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠালেও তা গৃহীত হয়নি।
২৬ মিনিট আগে