Ajker Patrika

প্রবাসীদের কামলা বলা সওজের সেই উপসহকারী প্রকৌশলীকে বদলি

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি 
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
সওজের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রবাসীদের কটাক্ষ করে কামলা বলে সম্বোধন করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আজ শুক্রবার মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আনিছুর রহমানকে সওজের প্রধান কার্যালয়ের ময়মনসিংহ জোন থেকে রাজশাহী জোনের আওতায় সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সওজের জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমিরী খান উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেন। এতে সরকারি কর্মচারী হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুসরণ না করে আনিছুর রহমান নিয়মভঙ্গ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এ কারণে কেন তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না, তা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়। আনিছুর রহমানের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে।

জানা গেছে, সম্প্রতি সওজের অধীনে টাঙ্গাইলের সখীপুর-সাগরদীঘি আঞ্চলিক মহাসড়কের কচুয়া বাজার থেকে কুতুবপুর বাজার পর্যন্ত প্রায় আট কিলোমিটার সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ চলছিল। ওই সড়কের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে না অভিযোগ তুলে স্থানীয় এক ব্যক্তি তাঁর ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন। তাতে জাহিদ হাসান নামের এক প্রবাসীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সওজের মির্জাপুর সড়ক উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান লেখেন, ‘বিদেশি কামলারাও যদি ইঞ্জিনিয়ার হন, তাহলে তো দেশের ১৮টা বাজবে।’

এ ছাড়া অপর এক মন্তব্যে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে তিনি লেখেন, ‘সাম্বাদিক সাব কয়টা কাজ আনতে পারেন? আর কয়টা কাজ করাইছেন? ৫০০ টাকার জন্য যতই এসব করেন লাভ নাই।’

উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের এসব মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া সখীপুরের প্রবাসীরাও তাঁর শাস্তি দাবি করেন। বিষয়টি সিনথিয়া আজমিরী খানের নজরে এলে তিনি আনিছুর রহমানকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেন।

এ বিষয়ে আনিছুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেছিলেন, ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের নিয়ে অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে আমি সবার কাছে ক্ষমা চাই। কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ ছাড়া সিরাজগঞ্জে বদলির বিষয়টিও শুনেছি।’

মির্জাপুর সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আনিছুর রহমানকে তাঁর ফেসবুকে মন্তব্যের জন্য তিন কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে তাঁকে ময়মনসিংহ জোনের টাঙ্গাইল জেলা থেকে প্রত্যাহার করে রাজশাহী জোনের সিরাজগঞ্জে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে বদলি করা হলেও শোকজের জবাব দিতে হবে।’

এদিকে আজ বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার বড়চওনা বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন স্থানীয় জনতা। সড়কের নিম্নমানের কাজ, প্রবাসী ও সাংবাদিকদের নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ কর্মসূচি পালন করেন। ওই মানববন্ধনেও উপসহকারী প্রকৌশলী আনিছুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেটার ডেটা সেন্টার হওয়ার পর শুকিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়দের টিউবওয়েল

‘সুদে ১৭ লাখ নিয়ে ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছি, তবুও বাড়ি দখল’

১৬ ডিসেম্বরের পর পুরোনো ও নতুন মোবাইল ফোনের রেজিস্ট্রেশন হবে যেভাবে

ফজর নামাজ পড়ে বাসার ছাদে যান আওয়ামী লীগ নেতা, সিঁড়ির পাশে রক্তাক্ত লাশ

ভারতীয় নারী ক্রিকেটারের খেলা দেখে ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন মারুফা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ