Ajker Patrika

প্রবাসী ও মৃতদের ভোট দিয়ে আমাকে হারানো হয়েছে: মমতাজ

মঞ্জুর রহমান, মানিকগঞ্জ
আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০২৪, ০১: ৫১
প্রবাসী ও মৃতদের ভোট দিয়ে আমাকে হারানো হয়েছে: মমতাজ

মানিকগঞ্জ–২ আসনে আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম কিছু কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন। কালো টাকা বিলিয়ে ভোট কেনা হয়েছে, প্রবাসী ও মৃতদের নামে ভোট দিয়ে তাঁকে হারানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) বিকেলে সিঙ্গাইর উপজেলার পূর্ব ভাকুম এলাকায় নিজ বাড়িতে নির্বাচনী এলাকার (সিঙ্গাইর–হরিরামপুর) দলীয় কর্মীদের আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন মমতাজ বেগম।

তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনের রাত থেকে বিজয়ী প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর সমর্থকেরা তাঁর বহু কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করেছে। নির্বাচনে কাজ করা কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, নারীদের মারধর করাসহ নানা ভাবে হুমকি–ধামকি দিচ্ছে।

সভায় মমতাজ বেগম তাঁর মোবাইল ফোনে রাখা আহত এক কর্মীর ছবি উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখিয়ে বলেন, ‘আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগের ছেলেদের বাড়ি থেকে বের হলে বিজয়ী প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা তাদের ধাওয়া করছে।’

নির্বাচনে পরাজয় সম্পর্কে মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমরা বলেছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু কালো টাকা দিয়ে তারা (প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী) তিনটি ইউনিয়নে (বলধারা, বায়রা ও পৌরসভার একাংশ) বসবাস করা বিএনপির ভোট কিনে নিয়েছে। ওইসব ইউনিয়নে যেসব ভোটার বিদেশ থাকে এবং মারা গেছে, তাদের ভোট তারা নিজেরা অস্বাভাবিক ভাবে দিয়ে দিয়েছে। এ কারণে আমি পাস করার পরেও তিনটি ইউনিয়নে অস্বাভাবিক ভোটের কাছে আমাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে।’

নির্বাচনে অনিয়ম নিয়ে কমিশনে আপিল করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমরা আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

নির্বাচনের পর কতজন কর্মী আহত হয়েছে জানতে চাইলে মমতাজ বলেন, ‘সিঙ্গাইর উপজেলার সিঙ্গাইর পৌরসভায়, চান্দইর, জার্মিতা, জয়মণ্ডপ, তালেবপুর, জামশা ইউনিয়ন এবং হরিরামপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর, বয়রা, বলড়া ছাড়াও বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক কর্মী বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আহত হয়েছে। এ সবকিছুর প্রমাণ আমাদের কাছে আছে।’

কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে কি না, এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘হামলার পর আমি স্ব-স্ব থানার ওসি এবং এসপিকে জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমার কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় কেউ গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি, বা কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ আজকে (মঙ্গলবার) আমি ডিএমপি কমিশনারকে বিষয়টি মৌখিক ভাবে জানিয়েছি।’

নৌকার পক্ষে সশরীরে মাঠে না থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দিনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মমতাজ বেগম বলেন, ‘তার বিষয়টি আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অবগত আছেন। সেই ব্যাপারে ওনারাই ব্যবস্থা নিবেন।’

তিনি বলেন, ‘কেন তিনি (গোলাম মহীউদ্দিন) নৌকার পক্ষে নামেননি, তিনি তো মানিকগঞ্জ–১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল আলম রুবেলের লাঙ্গলের পক্ষে নামছেন, লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করেছেন অথচ একাধিকবার বলার পরেও তিনি আমার নৌকার পক্ষে একদিনের জন্য নামেননি, এটা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ অবগত আছেন। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত আছেন, তিনি ব্যবস্থা নিবেন।’

স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে গোলাম মহীউদ্দিন বিক্রি হয়েছেন বলে মনে করছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মমতাজ বেগম বলেন, ‘এটা আমার মনে করার কিছু নেই। এটা এখন সাধারণ জনগণের কাছে রটে গেছে। এটা এখন সবাই জানে। মোটা অঙ্কের কালো টাকা দিয়ে এ রকম বড় বড় রাঘববোয়াল বশ করে ফেলছে।’

পরাজিত প্রার্থীদের কর্মী–সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে মানিকগঞ্জ–২ আসনের বিজয়ী প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু সাংবাদিকদের সেলফোনে বলেন, ‘নির্বাচনের পর মমতাজ বেগমের কোনো কর্মীর ওপর আমরা কর্মীরা হামলা বা মারধর করেনি। উল্টো তার কর্মী–সমর্থকেরা আমার কর্মীদের ওপর নানা ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করছে।’ 

সিঙ্গাইর–হরিরামপুর এবং সদরের একাংশ নিয়ে মানিকগঞ্জ–২ আসন। এই আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৪৬ জন। এ আসনে দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু ৬ হাজার ১৭১ ভোটের ব্যবধানে মমতাজ বেগমকে পরাজিত করেছেন।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাটগ্রামে অবৈধভাবে মজুত-বিক্রি, ২০০০ বস্তা সার জব্দ

পাটগ্রাম (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি 
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। ছবি: আজকের পত্রিকা

লালমনিরহাটের পাটগ্রামে অবৈধভাবে রাসায়নিক সার বিক্রির সময় অভিযান চালিয়ে ২০০০ বস্তা সার জব্দ ও দুই বিক্রেতাকে ২০ হাজার ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন সার বিক্রেতার দোকানে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তাদের নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এই অভিযান চালায়।

প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সার বিক্রেতা গুদাম ও দোকানে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত করে বেশি দামে খুচরা বিক্রি করছেন—এমন সংবাদ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ।

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত ও বেশি দামে খুচরা বিক্রি করার অপরাধে দহগ্রাম ফায়ার সার্ভিস সড়ক এলাকার মেসার্স ব্রাদার্স ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হায়দার আলী রাসেলের দোকান ও গুদাম থেকে ৫০০ বস্তা ইউরিয়া, ৩০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি এবং ৩০০ বস্তা এমওপিসহ মোট ১৩০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ সময় রাসেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অন্যদিকে একই অপরাধে পাটগ্রাম বাজার থেকে বাইপাস সড়কগামী এলাকার খুচরা সার বিক্রেতা মেসার্স জান্নাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মিলন শেখের দোকান ও গুদাম থেকে ১৮০ বস্তা ইউরিয়া, ৩০০ বস্তা ডিএপি এবং ২২০ বস্তা এমওপিসহ মোট ৭০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়। এ সময় মিলনকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জব্দ করা সারগুলো উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় দেওয়া হয়। পরে সরকারনির্ধারিত মূল্যে উপজেলার কৃষকদের মধ্যে বিক্রি করার আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা হাসান ইমাম বলেন, ‘সরকার স্বীকৃত ডিলার না হয়েও বাইরে থেকে সার এনে বেশি দামে বিক্রি করায় বাজারে সারের সার্বিক পরিস্থিতি নষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের কাছে যতটুকু সরকারি সার বরাদ্দ আসবে, ততটুকু ন্যায্যমূল্যে কৃষকের হাতে তুলে দিতে কাজ করছি।’

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উত্তম কুমার দাশ বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে সার মজুত করে বেশি দামে বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী দুই বিক্রেতাকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় অবৈধভাবে মজুত করা ২০০০ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে। এসব সার পাটগ্রাম উপজেলার কৃষকদের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা
শীতলক্ষ্যার ওপর সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে নির্মাণাধীন কদমরসূল সেতুর নকশা পরিবর্তন ও নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বন্দরের নবীগঞ্জ এলাকায় নির্মাণাধীন সেতুর পূর্বপ্রান্তে এই মানববন্ধন হয়। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনের আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন ‘বন্দর উন্নয়ন ফোরাম’।

মানববন্ধনে সংগঠনের উপদেষ্টা মাসুদুজ্জামান মাসুদের নেতৃত্বে বক্তব্য দেন আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী নূর উদ্দিন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, সংগঠনের আহ্বায়ক হাফেজ কবির হোসেন, সদস্যসচিব লতিফ রানা, আইনজীবী ও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম শিপলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘বন্দরবাসী বঞ্চিত। কারণ এখনো টাকা দিয়ে তাদের নদী পারাপার হতে হয়। এই সময় এসেও এভাবে নদী পারাপারের কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমাদের প্রাণের দাবি দ্রুত ভিত্তিতে এই সেতু বাস্তবায়ন করতে হবে। যানজট বা অন্য কোনো দোহাই দিয়ে এই সেতুর কাজ আটকে রাখা যাবে না।’

সংগঠনের উপদেষ্টা বলেন, কদমরসূল সেতু নিয়ে নাসিকের সিইওর সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, কোরিয়ান কোম্পানি সময়মতো সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করবে। আমরা সেই আশ্বাস বিশ্বাস করতে চাই। প্রয়োজনে আমরা শহর ও বন্দরবাসী সিটি করপোরেশনের পাশে থাকব। দাসপ্রথার মতো ঘাটের টেন্ডার দিয়ে মানুষকে জিম্মি করা যাবে না। জনগণের পকেট থেকে টাকা ছিনতাই করা হচ্ছে। আমরা অনুরোধ করব, দ্রুত সেতু বাস্তবায়নের পাশাপাশি এই ধরনের টেন্ডার প্রথা যেন উঠিয়ে দেওয়া হয়।

মানববন্ধনে বন্দর উন্নয়ন ফোরামের সঙ্গে একাগ্রতা প্রকাশ করে ‘পরিবর্তন, বন্দর থানা ক্রীড়া কল্যাণ পরিষদ, বন্দর ক্লাব’সহ বিভিন্ন সংগঠন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রাম বন্দরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজনে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজনে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং টার্মিনাল ও লালদিয়ারচর বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বন্দর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ মোড়ে ‘শ্রমিক-ছাত্র-পেশাজীবী-নাগরিকবৃন্দ’ আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বক্তারা এমন অভিযোগ তোলেন।

সমাবেশে গণমুক্তি ইউনিয়নের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রাজা মিঞা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বিনা টেন্ডারে ডিপি ওয়ার্ল্ডকে নিউমুরিং টার্মিনাল তুলে দেওয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছিল। গণ-অভ্যুত্থানের পরও বর্তমান সরকার এই চক্রান্ত বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাই।’

এ সময় অন্য বক্তারা বলেন, ‘অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে একাধিক বন্দর নেই, দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি যে বন্দর দিয়ে হয়, সে বন্দর বিদেশি কোম্পানিকে কেউ তুলে দেয় না। এ ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানগত কারণে এর সঙ্গে দেশের সার্বভৌমত্ব-নিরাপত্তার কৌশলগত প্রশ্নও যুক্ত। চট্টগ্রাম বন্দরের মতো কৌশলগত জাতীয় সম্পদ বিদেশিদের না, বেসরকারীকরণও না।’ জাতীয় প্রতিষ্ঠান দিয়ে পরিচালনা করতে হবে বলে সমাবেশে দাবি করা হয়।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সভাপতি খোরশেদ আলম, গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস, স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক রিজওয়ানুর রহমান, বাসদ (মার্ক্সবাদী) জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শফি উদ্দিন কবির আবিদ, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খোকন, ডক শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আখতারউদ্দিন সেলিম, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদউদ্দিন শাহীন, গণঅধিকার চর্চা কেন্দ্রের মশিউর রহমান খান, বিপ্লবী তারকেশ্বর দস্তিদার পরিষদের প্রকৌশলী সিঞ্চন ভৌমিক, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুন্নবী কনক, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল নেতা সাইফুর রুদ্র, বন্দর জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সভাপতি হুমাযুন কবির, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ধ্রুব বড়ুয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট চট্টগ্রামের নগরের দপ্তর সম্পাদক লাবণী আকতার প্রমুখ।

সমাবেশ থেকে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার ডাকে ২৭ অক্টোবর ঢাকায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে সকালে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) আহূত অনশন ধর্মঘট কর্মসূচির প্রতি সংহতি জানানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি থানচিতে গ্রেপ্তার

বান্দরবান প্রতিনিধি
রুমা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
রুমা থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি যিশুরাং ত্রিপুরাকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে থানচি থানা পুলিশ। আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে থানচি উপজেলার বলিবাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ তাঁকে বলিবাজার থেকে সরাসরি বান্দরবান আদালতে পাঠিয়েছে।

গ্রেপ্তার যিশুরাং ত্রিপুরা জেলার রুমা উপজেলায় ৪নং গ্যালাংগা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামদুপাড়ার মানলা ত্রিপুরার ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যিশুরাংয়ের বিরুদ্ধে রুমা থানায় ২০০৫ সালের ৯ সেপ্টেম্বর অস্ত্র আইন ১৮৭৮-এর ১৯(এ) ধারায় মামলা হয়। আদালত তাঁকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন। দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন যিশুরাং।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহরাওয়ার্দী জানিয়েছেন, থানচি থেকে যিশুরাং ত্রিপুরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তীকালেও পলাতক সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভারতের ইন্দোরে শ্লীলতাহানির শিকার অস্ট্রেলিয়ার দুই নারী ক্রিকেটার

আদানিকে রক্ষায় গোপনে ৩৯০০ কোটি রুপির ব্যবস্থা করেন নরেন্দ্র মোদি

গ্রেপ্তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকা শিশুকে পুলিশের সামনেই চড়, সমালোচনার ঝড়

আরপিও সংশোধন থেকে সরলে লন্ডন বৈঠকের ধারাবাহিকতায় ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া মনে করবে এনসিপি: আখতার

আফগান সিরিজ দিয়ে সাত বছর পর ফিরেছেন জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত