আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রামের মাঠ ও পথ-ঘাট। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে। সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা করে। এ এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
আজ বুধবার সকালে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
ফুল কুড়ানো দলের সদস্য সাদিয়া, জেবিন, নুসরাত, শামীমা, আফিফা ও ফারহীম জানায়, ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেছে। স্কুলে যেতে হবে সকাল ৯টার দিকে। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরের ধারে ফুলগাছ থেকে ঝরা শিউলি কুড়িয়ে এনেছে। সেই ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে। তারা সবাই স্থানীয় বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিউলি ফুলের সৌন্দর্য আর মিষ্টি ঘ্রাণে বাগান, উন্মুক্ত স্থান ও বসতবাড়ির আঙিনা মেতে ওঠে। সকালে শিশিরমাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। গ্রামের মেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে শিউলি কুড়াতে যায়। আঁচলভর্তি ফুল থেকে একটি একটি করে নিয়ে মালা গাঁথে তারা। খোঁপা সাজায়। রাজধানী ও বড় শহরেও প্রচুর বিকোয় শিউলি ফুলের মালা। বহুতল ভবনের ছাদেও বিশেষ কলম ব্যবস্থায় অনেকে শিউলি ফুলের গাছ লাগান।
তবে মানিকগঞ্জের ফুলের দোকান কিংবা ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় মালা গেঁথে যে ছেলে-মেয়েগুলো বিক্রির জন্য ছুটে আসে, তাদের কাছে শিউলির মালার উপস্থিতি নগণ্য।
ঘিওরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও কবি দোলা রায় বলেন, ‘শরৎ বিদায় নিলেও ফুলটিকে উপহার হিসেবে হেমন্তের কাছে রেখে গেছে। হেমন্ত মানেই প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি, ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খাওয়া ধবধবে কাশবন, পদ্ম-শাপলা-শালুকে আচ্ছন্ন জলাভূমি। গাছে গাছে শিউলি ফোটার দিন। আমরাও ছোটবেলায় শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথতাম।’
বানিয়াজুরীর রাথুরা গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে শিউলি ফুলের তিনটি গাছ আছে। প্রতিদিন সকালে উঠে শিউলিগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। শিশুরা দল বেঁধে শিউলি কুড়ায়। এ দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। এই ফুল আশপাশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনায়ও ব্যবহার করেন।’
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডেপুটেশনে) ড. মাহবুবা সুলতানা বলেন, শেফালির প্রচলিত অন্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে শেফালিকা, নাইট ফ্লাওয়ার জেসমিন, প্রজক্তা। তবে শিউলি নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম নিক্টান্থেস আরবর-ট্রিসটিস। ল্যাটিন শব্দ নিক্টান্থেস অর্থ সন্ধ্যায় ফোঁটা। আরবর-ট্রিসটিস হচ্ছে বিষণ্ন গাছ। শিউলি রাতে ফোটে। সকাল হতে না হতেই ঝরে পড়ে যায়।
মানিকগঞ্জের পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা বিমল রায় বলেন, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী এই ফুল বেদনার প্রতীক। ব্যর্থ প্রেমের আলেখ্য। বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছে শিউলি। কবি, সাহিত্যিক শিল্পীরা বরাবরই বিশেষ ভালোবাসা দেখিয়েছেন শিউলির জন্য। কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্র—সবখানেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে দিনে দিনে এটা কমে আসছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, শিউলির ছয়টি শুভ্র সাদা পাপড়ি। বৃন্তটি কমলা রঙের টিউবের মতো। এটি নরম ধূসর ছাল বা বাকলবিশিষ্ট হয়। গাছ লম্বায় ১০ মিটারের মতো। গাছের পাতা ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী সাজানো থাকে। সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও শিউলির আরও ব্যবহার আছে। ফুলটির বোঁটাগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানিতে মেশালেও তৈরি হয় চমৎকার একটি রং। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে শিউলির বীজ, পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়।
এত সৌন্দর্য, এত যার ঘ্রাণ, তার কিনা এত ছোট জীবন? এ কারণে শিউলিগাছকে বলা হয় বেদনার প্রতীক। কবি কাজী নজরুল ইসলামও বিরহের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে শিউলিকে আশ্রয় করেছেন। লিখেছেন, শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ/এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রামের মাঠ ও পথ-ঘাট। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে। সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা করে। এ এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
আজ বুধবার সকালে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
ফুল কুড়ানো দলের সদস্য সাদিয়া, জেবিন, নুসরাত, শামীমা, আফিফা ও ফারহীম জানায়, ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেছে। স্কুলে যেতে হবে সকাল ৯টার দিকে। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরের ধারে ফুলগাছ থেকে ঝরা শিউলি কুড়িয়ে এনেছে। সেই ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে। তারা সবাই স্থানীয় বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিউলি ফুলের সৌন্দর্য আর মিষ্টি ঘ্রাণে বাগান, উন্মুক্ত স্থান ও বসতবাড়ির আঙিনা মেতে ওঠে। সকালে শিশিরমাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। গ্রামের মেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে শিউলি কুড়াতে যায়। আঁচলভর্তি ফুল থেকে একটি একটি করে নিয়ে মালা গাঁথে তারা। খোঁপা সাজায়। রাজধানী ও বড় শহরেও প্রচুর বিকোয় শিউলি ফুলের মালা। বহুতল ভবনের ছাদেও বিশেষ কলম ব্যবস্থায় অনেকে শিউলি ফুলের গাছ লাগান।
তবে মানিকগঞ্জের ফুলের দোকান কিংবা ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় মালা গেঁথে যে ছেলে-মেয়েগুলো বিক্রির জন্য ছুটে আসে, তাদের কাছে শিউলির মালার উপস্থিতি নগণ্য।
ঘিওরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও কবি দোলা রায় বলেন, ‘শরৎ বিদায় নিলেও ফুলটিকে উপহার হিসেবে হেমন্তের কাছে রেখে গেছে। হেমন্ত মানেই প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি, ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খাওয়া ধবধবে কাশবন, পদ্ম-শাপলা-শালুকে আচ্ছন্ন জলাভূমি। গাছে গাছে শিউলি ফোটার দিন। আমরাও ছোটবেলায় শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথতাম।’
বানিয়াজুরীর রাথুরা গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে শিউলি ফুলের তিনটি গাছ আছে। প্রতিদিন সকালে উঠে শিউলিগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। শিশুরা দল বেঁধে শিউলি কুড়ায়। এ দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। এই ফুল আশপাশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনায়ও ব্যবহার করেন।’
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডেপুটেশনে) ড. মাহবুবা সুলতানা বলেন, শেফালির প্রচলিত অন্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে শেফালিকা, নাইট ফ্লাওয়ার জেসমিন, প্রজক্তা। তবে শিউলি নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম নিক্টান্থেস আরবর-ট্রিসটিস। ল্যাটিন শব্দ নিক্টান্থেস অর্থ সন্ধ্যায় ফোঁটা। আরবর-ট্রিসটিস হচ্ছে বিষণ্ন গাছ। শিউলি রাতে ফোটে। সকাল হতে না হতেই ঝরে পড়ে যায়।
মানিকগঞ্জের পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা বিমল রায় বলেন, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী এই ফুল বেদনার প্রতীক। ব্যর্থ প্রেমের আলেখ্য। বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছে শিউলি। কবি, সাহিত্যিক শিল্পীরা বরাবরই বিশেষ ভালোবাসা দেখিয়েছেন শিউলির জন্য। কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্র—সবখানেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে দিনে দিনে এটা কমে আসছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, শিউলির ছয়টি শুভ্র সাদা পাপড়ি। বৃন্তটি কমলা রঙের টিউবের মতো। এটি নরম ধূসর ছাল বা বাকলবিশিষ্ট হয়। গাছ লম্বায় ১০ মিটারের মতো। গাছের পাতা ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী সাজানো থাকে। সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও শিউলির আরও ব্যবহার আছে। ফুলটির বোঁটাগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানিতে মেশালেও তৈরি হয় চমৎকার একটি রং। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে শিউলির বীজ, পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়।
এত সৌন্দর্য, এত যার ঘ্রাণ, তার কিনা এত ছোট জীবন? এ কারণে শিউলিগাছকে বলা হয় বেদনার প্রতীক। কবি কাজী নজরুল ইসলামও বিরহের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে শিউলিকে আশ্রয় করেছেন। লিখেছেন, শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ/এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।
আব্দুর রাজ্জাক, ঘিওর (মানিকগঞ্জ)

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রামের মাঠ ও পথ-ঘাট। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে। সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা করে। এ এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
আজ বুধবার সকালে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
ফুল কুড়ানো দলের সদস্য সাদিয়া, জেবিন, নুসরাত, শামীমা, আফিফা ও ফারহীম জানায়, ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেছে। স্কুলে যেতে হবে সকাল ৯টার দিকে। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরের ধারে ফুলগাছ থেকে ঝরা শিউলি কুড়িয়ে এনেছে। সেই ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে। তারা সবাই স্থানীয় বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিউলি ফুলের সৌন্দর্য আর মিষ্টি ঘ্রাণে বাগান, উন্মুক্ত স্থান ও বসতবাড়ির আঙিনা মেতে ওঠে। সকালে শিশিরমাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। গ্রামের মেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে শিউলি কুড়াতে যায়। আঁচলভর্তি ফুল থেকে একটি একটি করে নিয়ে মালা গাঁথে তারা। খোঁপা সাজায়। রাজধানী ও বড় শহরেও প্রচুর বিকোয় শিউলি ফুলের মালা। বহুতল ভবনের ছাদেও বিশেষ কলম ব্যবস্থায় অনেকে শিউলি ফুলের গাছ লাগান।
তবে মানিকগঞ্জের ফুলের দোকান কিংবা ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় মালা গেঁথে যে ছেলে-মেয়েগুলো বিক্রির জন্য ছুটে আসে, তাদের কাছে শিউলির মালার উপস্থিতি নগণ্য।
ঘিওরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও কবি দোলা রায় বলেন, ‘শরৎ বিদায় নিলেও ফুলটিকে উপহার হিসেবে হেমন্তের কাছে রেখে গেছে। হেমন্ত মানেই প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি, ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খাওয়া ধবধবে কাশবন, পদ্ম-শাপলা-শালুকে আচ্ছন্ন জলাভূমি। গাছে গাছে শিউলি ফোটার দিন। আমরাও ছোটবেলায় শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথতাম।’
বানিয়াজুরীর রাথুরা গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে শিউলি ফুলের তিনটি গাছ আছে। প্রতিদিন সকালে উঠে শিউলিগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। শিশুরা দল বেঁধে শিউলি কুড়ায়। এ দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। এই ফুল আশপাশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনায়ও ব্যবহার করেন।’
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডেপুটেশনে) ড. মাহবুবা সুলতানা বলেন, শেফালির প্রচলিত অন্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে শেফালিকা, নাইট ফ্লাওয়ার জেসমিন, প্রজক্তা। তবে শিউলি নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম নিক্টান্থেস আরবর-ট্রিসটিস। ল্যাটিন শব্দ নিক্টান্থেস অর্থ সন্ধ্যায় ফোঁটা। আরবর-ট্রিসটিস হচ্ছে বিষণ্ন গাছ। শিউলি রাতে ফোটে। সকাল হতে না হতেই ঝরে পড়ে যায়।
মানিকগঞ্জের পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা বিমল রায় বলেন, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী এই ফুল বেদনার প্রতীক। ব্যর্থ প্রেমের আলেখ্য। বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছে শিউলি। কবি, সাহিত্যিক শিল্পীরা বরাবরই বিশেষ ভালোবাসা দেখিয়েছেন শিউলির জন্য। কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্র—সবখানেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে দিনে দিনে এটা কমে আসছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, শিউলির ছয়টি শুভ্র সাদা পাপড়ি। বৃন্তটি কমলা রঙের টিউবের মতো। এটি নরম ধূসর ছাল বা বাকলবিশিষ্ট হয়। গাছ লম্বায় ১০ মিটারের মতো। গাছের পাতা ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী সাজানো থাকে। সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও শিউলির আরও ব্যবহার আছে। ফুলটির বোঁটাগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানিতে মেশালেও তৈরি হয় চমৎকার একটি রং। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে শিউলির বীজ, পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়।
এত সৌন্দর্য, এত যার ঘ্রাণ, তার কিনা এত ছোট জীবন? এ কারণে শিউলিগাছকে বলা হয় বেদনার প্রতীক। কবি কাজী নজরুল ইসলামও বিরহের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে শিউলিকে আশ্রয় করেছেন। লিখেছেন, শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ/এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। ভোরে হালকা কুয়াশার চাদরে ঢেকে যাচ্ছে গ্রামের মাঠ ও পথ-ঘাট। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে। সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা করে। এ এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য।
আজ বুধবার সকালে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের রাথুরা গ্রামে।
ফুল কুড়ানো দলের সদস্য সাদিয়া, জেবিন, নুসরাত, শামীমা, আফিফা ও ফারহীম জানায়, ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠেছে। স্কুলে যেতে হবে সকাল ৯টার দিকে। তার আগে বন্ধুদের সঙ্গে পুকুরের ধারে ফুলগাছ থেকে ঝরা শিউলি কুড়িয়ে এনেছে। সেই ফুল দিয়ে মালা গাঁথছে। তারা সবাই স্থানীয় বানিয়াজুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শিউলি ফুলের সৌন্দর্য আর মিষ্টি ঘ্রাণে বাগান, উন্মুক্ত স্থান ও বসতবাড়ির আঙিনা মেতে ওঠে। সকালে শিশিরমাখা শিউলি ফুল দেখলেই মন ভালো হয়ে যায়। গ্রামের মেয়েরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে শিউলি কুড়াতে যায়। আঁচলভর্তি ফুল থেকে একটি একটি করে নিয়ে মালা গাঁথে তারা। খোঁপা সাজায়। রাজধানী ও বড় শহরেও প্রচুর বিকোয় শিউলি ফুলের মালা। বহুতল ভবনের ছাদেও বিশেষ কলম ব্যবস্থায় অনেকে শিউলি ফুলের গাছ লাগান।
তবে মানিকগঞ্জের ফুলের দোকান কিংবা ব্যস্ত জনবহুল এলাকায় মালা গেঁথে যে ছেলে-মেয়েগুলো বিক্রির জন্য ছুটে আসে, তাদের কাছে শিউলির মালার উপস্থিতি নগণ্য।
ঘিওরের একটি স্কুলের শিক্ষক ও কবি দোলা রায় বলেন, ‘শরৎ বিদায় নিলেও ফুলটিকে উপহার হিসেবে হেমন্তের কাছে রেখে গেছে। হেমন্ত মানেই প্রভাতের শিশিরভেজা শিউলি, ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খাওয়া ধবধবে কাশবন, পদ্ম-শাপলা-শালুকে আচ্ছন্ন জলাভূমি। গাছে গাছে শিউলি ফোটার দিন। আমরাও ছোটবেলায় শিউলি কুড়িয়ে মালা গাঁথতাম।’
বানিয়াজুরীর রাথুরা গ্রামের বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে শিউলি ফুলের তিনটি গাছ আছে। প্রতিদিন সকালে উঠে শিউলিগাছের নিচে এসে দাঁড়াই। শিশুরা দল বেঁধে শিউলি কুড়ায়। এ দৃশ্য দেখে মনটা ভালো হয়ে যায়। এই ফুল আশপাশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পূজা-অর্চনায়ও ব্যবহার করেন।’
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হারবেরিয়ামের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ডেপুটেশনে) ড. মাহবুবা সুলতানা বলেন, শেফালির প্রচলিত অন্য নামগুলোর মধ্যে রয়েছে শেফালিকা, নাইট ফ্লাওয়ার জেসমিন, প্রজক্তা। তবে শিউলি নামে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি। এর বৈজ্ঞানিক নাম নিক্টান্থেস আরবর-ট্রিসটিস। ল্যাটিন শব্দ নিক্টান্থেস অর্থ সন্ধ্যায় ফোঁটা। আরবর-ট্রিসটিস হচ্ছে বিষণ্ন গাছ। শিউলি রাতে ফোটে। সকাল হতে না হতেই ঝরে পড়ে যায়।
মানিকগঞ্জের পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা বিমল রায় বলেন, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী এই ফুল বেদনার প্রতীক। ব্যর্থ প্রেমের আলেখ্য। বহুকাল ধরে সৌন্দর্যপ্রেমী মানুষকে মুগ্ধ করে রেখেছে শিউলি। কবি, সাহিত্যিক শিল্পীরা বরাবরই বিশেষ ভালোবাসা দেখিয়েছেন শিউলির জন্য। কবিতা, গান, নাটক, চলচ্চিত্র—সবখানেই এর উল্লেখ পাওয়া যায়। তবে দিনে দিনে এটা কমে আসছে।
ঘিওর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাজেদুল ইসলাম বলেন, শিউলির ছয়টি শুভ্র সাদা পাপড়ি। বৃন্তটি কমলা রঙের টিউবের মতো। এটি নরম ধূসর ছাল বা বাকলবিশিষ্ট হয়। গাছ লম্বায় ১০ মিটারের মতো। গাছের পাতা ৬ থেকে ৭ সেন্টিমিটার লম্বা এবং সমান্তরাল প্রান্তের বিপরীতমুখী সাজানো থাকে। সৌন্দর্য উপভোগ ছাড়াও শিউলির আরও ব্যবহার আছে। ফুলটির বোঁটাগুলো শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানিতে মেশালেও তৈরি হয় চমৎকার একটি রং। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে শিউলির বীজ, পাতা ও ফুল ব্যবহার করা হয়।
এত সৌন্দর্য, এত যার ঘ্রাণ, তার কিনা এত ছোট জীবন? এ কারণে শিউলিগাছকে বলা হয় বেদনার প্রতীক। কবি কাজী নজরুল ইসলামও বিরহের কথা প্রকাশ করতে গিয়ে শিউলিকে আশ্রয় করেছেন। লিখেছেন, শিউলি ফুলের মালা দোলে শারদ-রাতের বুকে ঐ/এমন রাতে একলা জাগি সাথে জাগার সাথি কই।

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক আবু সাঈদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনজুর আহমেদ সিদ্দিকী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়ক আলামিন হোসেন প্রমুখ।
জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সড়ক বিভাগ, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, পিরোজপুর প্রেসক্লাবসহ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সকাল ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে জেলা প্রশাসন।

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
১৮ অক্টোবর ২০২৩
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
সারা দেশের মতো চব্বিশের জুলাই আন্দোলনে যোগ দেন ফুলপুরের শিক্ষার্থীরাও। রাস্তা ব্যারিকেড দিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন তাঁরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে সাইফুল ইসলাম নামের এক কৃষক শহীদ হন।
আন্দোলনের শক্তি সঞ্চার করতে ফুলপুর গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের বেদিতে ‘পানি লাগবে কারও পানি, স্বাধীনতা এনেছি সংস্কারও আনব, এক সাঈদ লোকান্তরে লক্ষ সাঈদ ঘরে ঘরে’ এমন নানা উক্তি লেখেন শিক্ষার্থীরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে লেখা এসব উক্তি মুছে ফেলায় ক্ষোভ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জুলাই যোদ্ধা সামাদ খান নাঈম বলেন, ‘দু-তিন দিন ধরে দেখছি, আমাদের অঙ্কিত গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়েছে। কারা এ কাজটি করেছে জানি না; তবে তা খুব খারাপ হয়েছে। এটা আশা করিনি। আমরা আন্দোলনের ফাঁকে ফাঁকে এগুলো এঁকেছিলাম। এখন ইচ্ছে করলেই তা আঁকা সম্ভব নয়।’
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম সীমা বলেন, জুলাই আন্দোলনের কোনো গ্রাফিতি মুছে ফেলা হয়নি। তবে প্যানা পোস্টার ছিল, সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে। উপজেলা শহরের গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভের দেয়ালে কোনো গ্রাফিতি ছিল না বলেও দাবি করেন তিনি। পরে রাত ১২টার দিকে ফুলপুর উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক আইডি থেকে একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী গোলচত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে অঙ্কিত গ্রাফিতি ফ্যাকাশে ও বিবর্ণ হয়ে স্থানীয় জুলাই যোদ্ধা ও ছাত্র প্রতিনিধিদের পরামর্শক্রমে নতুনভাবে গ্রাফিতি অঙ্কনের উদ্দেশ্যে চুন দিয়ে সাদা করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর এই গ্রাফিতি ছাত্র-ছাত্রী ও জুলাই যোদ্ধাদের সমন্বয়ে নতুন করে আঁকা হবে বলে জানায় উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে কাউকে বিভ্রান্তি না ছড়াতে অনুরোধ জানায় উপজেলা প্রশাসন।
ময়মনসিংহ সমাজ রূপান্তর সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘কোনো কিছু মুছে দিয়ে লিখে দেওয়া প্রকৃত চেতনাকে ধারণ করে না। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা নিজেদের অঙ্কিত লেখার মাধ্যমে সাহস সঞ্চার করেছিলেন। তাই ইতিহাস মুছে দেওয়া কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
১৮ অক্টোবর ২০২৩
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এর আগে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে ভোররাত থেকে আশপাশ এলাকায় ভিড় জমাতে শুরু করে সাধারণ মানুষ।
এদিকে মহান বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিয়মিত পোশাকের বাইরে সাদাপোশাকেও দায়িত্ব পালন করছে তারা।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, ‘যাঁদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি, তাঁদের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের জন্য চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ ছাড়া সাভারের আমিনবাজার থেকে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করার পাশাপাশি পোশাকে এবং সাদাপোশাকে ৪ হাজারের বেশি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। তারা জনগণের জানমাল রক্ষাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।’
এর আগে গতকাল ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাত ৩টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-আশুলিয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গাবতলী, বাইপাইল পয়েন্টে ডাইভারশন চলবে। এ সময় বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের জন্য সকল যানবাহনের চালককে অনুরোধ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার গাড়িবহর স্মৃতিসৌধ থেকে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে ঢাকার উদ্দেশে বের হয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্মৃতিসৌধ-সংলগ্ন সড়কে যান চলাচলের অনুমতি দেয়।

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
১৮ অক্টোবর ২০২৩
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি।’
২ ঘণ্টা আগেসাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘১৬ ডিসেম্বরের যে প্রত্যয়, সেটা আমাদের মধ্যে ছিল দেখেই আমরা ঐতিহাসিক জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণের একটা সুযোগ করে নিতে পেরেছি। এখানে আসলে ভালো লাগে, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, আহত মুক্তিযোদ্ধা যাঁরা আছেন, যাঁরা ওই সময়ে নানান আত্মত্যাগের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় মন সিক্ত হয়।’
আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইন উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস। আমি মনে করি, আমাদের বাংলাদেশের মানুষের জন্য শ্রেষ্ঠতম একটা দিন। এই দিনে আমরা যখন জাতীয় স্মৃতিসৌধে আসি, আমাদের যে মুক্তিযুদ্ধকালীন গৌরবগাথা, আমাদের সেই অসামান্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান, আমাদের দেশ গড়ার যে প্রত্যয়, সেগুলো সব মনে পড়ে।’
এদিন সকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও তিন বাহিনীর প্রধানেরা বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপরই জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

শরৎ শেষে আগমন ঘটেছে হেমন্তের। প্রকৃতি হালকা কুয়াশার চাদর বিছাতে শুরু করেছে। এদিকে হেমন্তের সকালে শিউলি কুড়ানোর ব্যস্ততা শুরু হয়েছে শিশুদের। রাতে ফোটা শিউলি ফুল ঝরে পড়ে সকালে, সেই ঝরা শিউলি কুড়িয়ে মনের আনন্দে মালা গেঁথে চলে তারা। বাড়ির সামনে মেঠো পথের ধারে রঙিন পাটি বিছিয়ে কেউ আবার ফুলগুলো নিয়ে খেলা
১৮ অক্টোবর ২০২৩
বিজয় দিবসে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়েছেন পিরোজপুরবাসী। আজ মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বলেশ্বর ঘাটের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও সড়কে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।
১৪ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের ফুলপুরে বিজয় দিবস উদ্যাপনে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ থেকে মুছে ফেলা হয়েছে জুলাই আন্দোলনের গ্রাফিতি। এ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বৈষমবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা।
১ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবসে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটক। প্রায় এক মাস ধরে প্রস্তুতির পর গত চার দিন সর্বসাধারণের প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ ছিল স্মৃতিসৌধ এলাকায়।
২ ঘণ্টা আগে