Ajker Patrika

২৩ বছরের কারাজীবনে হারিয়েছেন মা-বাবাসহ ২৫ স্বজন, মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই রেখার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ২০: ৩৪
২৩ বছরের কারাজীবনে হারিয়েছেন মা-বাবাসহ ২৫ স্বজন, মাথা গোঁজার ঠাঁইও নেই রেখার

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রেখা খাতুন (৪৪)। একটি ধর্ষণের মামলায় দুই পুরুষ আসামিকে সহযোগিতা করার দায়ে ২০০০ সালের ৫ নভেম্বর গ্রেপ্তার হন তিনি। আদালতের রায়ে লালমনিরহাট কারাগারে ছিলেন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ শেষে সম্প্রতি মুক্ত হন। 

কিন্তু মুক্ত জীবন পেলেও এই দীর্ঘ সময়ে অজান্তেই সবকিছু হারিয়েছেন রেখা। এক বোন ছাড়া আর কেউ বেঁচে নেই। মা-বাবা, ভাইবোনসহ একে একে মারা গেছেন পরিবারের ২৫ জন। স্বামীও অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবার বাড়িটিও বিলীন হয়ে গেছে নদীতে। এখন কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তাঁর।

২০০৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রেখা খাতুনসহ তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। সেই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়। একই মামলায় দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। কিন্তু কারাগারে রয়ে যান শুধু রেখা খাতুন। দীর্ঘ ২৩ বছর কারাভোগ করতে হয় তাঁকে।

রেখার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শেষ হয়। এরপরও জরিমানার ১ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তাঁকে আরও তিন বছর কারাগারে থাকতে হতো। সে হিসেবে ২০২৬ সালের ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত লালমনিরহাট জেলা কারাগারে থাকার কথা তাঁর।

বিষয়টি জানতে পেরে রেখা খাতুনের মুক্তির ব্যবস্থা করতে এগিয়ে আসেন লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম স্বপন। তাঁরা সম্মিলিতভাবে জরিমানার টাকা গত ৮ এপ্রিল ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে দেন। এ কারণে ঈদুল ফিতরের দুদিন আগে, ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুন লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান। জরিমানা পরিশোধের আগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বাইরে অতিরিক্ত আরও চার মাস ছয় দিন কারাভোগ করতে হয়েছে তাঁকে।

কারাগার থেকে রেখা খাতুনকে মুক্তি দেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীতরেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়।

৯ এপ্রিল সকালে জেল থেকে বেরিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা খাতুন। তাঁর দাবি, শিশু ধর্ষণের ওই ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না। অথচ ধর্ষণে সহায়তার করার অপরাধে কারাগারে কেটে গেল ২৩টি বছর। এখন জানতে পেরেছেন ছোট বোন ছাড়া পরিবারের কেউ নেই। এখন কোথায় গিয়ে উঠবেন কিছুই জানেন না। 

কারাগারে যাওয়ার আগের ও পরের জীবন সম্পর্কে বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রেখা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি জেলে থাকার সময় আমার মা, বাবা, দুই বোন আর এক ভাইসহ আমার ২৫ আত্মীয় মারা গেছেন। আমি জেলে গেলে আমার স্বামী কোরবান আলী দ্বিতীয় বিয়ে করে এখন কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারে না। আমার বাবার বাড়িটা ধরলা নদীতে বিলীন হয়েছে। স্বামীর অবর্তমানে বাবার বাড়িতে জীবনের বাকি দিনগুলোতে আশ্রয় নেওয়ার আশাও নেই। আমি এখন কোথায় যাব!’ 

রেখা খাতুনের বাবার বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের কলাখাওয়া ঘাট এলাকায়। ধরলা নদীতে বাবার বাড়ির ভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ১৫ বছর আগে রেখার বাবা ফজলু রহমান মারা গেছেন। আর মা নূরনাহার বেগম মারা যান ১২ বছর আগে। তাঁদের কবরও গ্রামের বাড়িতে হয়নি। পাশের জেলা কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের কবির মামুদ গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে তাঁদের। ওই গ্রামে রেখার ছোট বোন টুম্পা বেগমের বিয়ে হয়েছে। কারামুক্তির পর টুম্পার শ্বশুরবাড়িতেই আপাতত আশ্রয় নিয়েছেন রেখা। 

দারিদ্র্যের কারণে ১৩-১৪ বছর বয়সে রেখা খাতুনের বিয়ে হয়। তাঁর স্বামী কোরবান আলী তখন ৩৪ বছরের যুবক। পেশায় দিনমজুর। বিয়ের পরও দু-তিন বছর বাবার বাড়িতে থেকে ১৯৯৮ সাল থেকে স্বামীর বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। রেখা ও তাঁর স্বামী লালমনিরহাট শহরের খোচাবাড়ি এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই আসামি লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন ও লালমনিরহাট শহরের কুড়াটারি গ্রামের ভোলা মিয়ার ছেলে ফরিদ হোসেন। রায় ঘোষণার সময় ফরিদ হোসেন পলাতক ছিলেন। পরে গ্রেপ্তার হন। ওই দুই আসামি চার-পাঁচ বছর জেল খেটে উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান। এর মধ্যে আলমগীর হোসেন দাম্পত্য কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ফরিদ হোসেন লালমনিরহাট শহরের একটি হোটেলে বাবুর্চির কাজ করেন। অথচ তাঁদের সহায়তার অপরাধে দণ্ডিত রেখা খাতুন কারাভোগ করলেন দীর্ঘ ২৩ বছর! 

নারী অধিকার সংগঠক ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে কথা বলে তাঁর জীবনের গল্প আমরা শুনেছি। সেই হিসেবেই লালমনিরহাট–৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মতিউর রহমানের সঙ্গে কথা বলে তাঁর মুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থা করেছি।’ 

ফেরদৌসী বেগমের (নীল কামিজ পরিহিত) সঙ্গে রেখা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত রেখার জরিমানার টাকার অঙ্ক ১ লাখ টাকা হলেও তিনি অতিরিক্ত চার মাস ছয় দিন সাজা ভোগ করায় জরিমানা থেকে ১০ হাজার টাকা মওকুফ হয়ে যায়। এর বাইরে রেখা কারাগারে অবস্থানকালে শ্রমের বিপরীতে উপার্জন করেন ১৫ হাজার টাকা। ওই টাকা সমন্বয় হয়ে পরিশোধ করতে হতো ৭৫ হাজার টাকা। সংসদ সদস্য, জেলা প্রশাসক ও পৌরসভার মেয়র সম্মিলিতভাবে ওই টাকা দিয়েছেন। ৯ এপ্রিল সকালে রেখা খাতুনকে লালমনিরহাট জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। 

লালমনিরহাট জেল সুপার ওমর ফারুক বলেন, কারাগারে রেখা খাতুনকে হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তিনি হস্তশিল্পের কাজ করে উপার্জন করতে পারবেন। রেখা ২৩ বছর ৪ মাস ৫ দিন লালমনিরহাট জেলে কাটিয়েছেন। ওই নারী অত্যন্ত ভালো মানুষ, সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছেন। তাঁকে সহায়তা করলে হস্তশিল্পের কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে পারবেন। 

লালমনিরহাট–৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মতিয়ার রহমান বলেন, ‘রেখা খাতুনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সবকিছু শুনেই জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁকে কীভাবে পুনর্বাসন করা যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তাঁকে প্রতিষ্ঠিত করতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিপব্রেকিং এসোসিয়েশনের নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন দুই কমিশনার

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম 
শিপব্রেকিং এসোসিয়েশনের নির্বাচন: সরে দাঁড়ালেন দুই কমিশনার

বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিআরএ) নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। নির্বাচনের আগে তিন সদস্যের কমিশনের দুজনই দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বাকি একজন কমিশনারও পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়েছেন।

২৫ অক্টোবর নির্বাচন হচ্ছে না বলে নিশ্চিত করেছেন বিএসবিআরএর ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, সংগঠনের নির্বাহী কমিটি আবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করবেন।

অ্যাসোসিয়েশনের এই নির্বাচনে মোট ১১টি পদের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন। সবগুলো পদের ক্ষেত্রেই একক প্রার্থী থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি প্রায় নিশ্চিত। ২৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করার কথা ছিল।

কিন্তু প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্বাচন কমিশন ও মন্ত্রণালয় নির্ধারিত কাগজপত্র সময়মতো জমা না পড়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়া অনিশ্চয়তায় পড়ে। ১৩ অক্টোবর ছিল প্রার্থীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিন। সেই সময়ের মধ্যে অনেক প্রার্থী প্রয়োজনীয় নথি জমা দেননি। যারা জমা দিয়েছেন, তাদের কাগজপত্রও এখনো মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই হয়ে ফেরত আসেনি।

এই অবস্থায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু গত ১৪ অক্টোবর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। এর আগের দিন ১৩ অক্টোবর কমিশনের আরেক সদস্য জহিরুল ইসলাম চৌধুরীও পদত্যাগ করেন। কমিশনে এখন একমাত্র সদস্য খায়রুল আলম সুজন রয়েছেন। তিনি দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন।

পদত্যাগের বিষয়ে কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘন, নির্ধারিত কাগজপত্র জমা না দেওয়া এবং আইনি শর্ত মানতে অনীহাসহ নানা কারণে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদারীপুরে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মো. সাজ্জাদ হোসেন খান । ছবি: সংগৃহীত
মো. সাজ্জাদ হোসেন খান । ছবি: সংগৃহীত

মাদারীপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইজিবাইকচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন খানকে (৫০) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া আসামিকে ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মাদারীপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শরীফ এ এম রেজা জাকের এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাজ্জাদ হোসেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব খাগদী এলাকার সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে।

রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন মামলার সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) শরীফ সাইফুল কবীর।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ছয় বছর বিচারের কার্যক্রম শেষে আদালত অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেনকে দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই মাদারীপুর শহরের পূর্ব খাগদী এলাকার একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন নিহতের বাবা মজিবর ফকির লাশটি তাঁর মেয়ের (১৫) বলে শনাক্ত করেন।

ঘটনার পর মজিবর ফকির মাদারীপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় তদন্তে নামে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)-৮। তদন্তে বেরিয়ে আসে ইজিবাইকচালক সাজ্জাদ হোসেন কিশোরী দীপ্তিকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন।

নিহতের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ের হত্যাকারীর আজ ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার পেয়েছি।’

মামলার পিপি শরীফ সাইফুল কবীর বলেন, ‘মামলায় একমাত্র আসামির সাজ্জাদ হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এটি ছিল অত্যন্ত নৃশংস একটি হত্যা ও ধর্ষণ মামলা। আদালত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা রায়ে সন্তুষ্ট।’ নিহত মেয়েটি বলাইরচর শামসুন্নাহার বালিকা মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
আটক পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত
আটক পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিন। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ বন্দর উপজেলার রূপালী এলাকায় ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করেছে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানির পর নির্যাতিত শিশুর চাচা বাদী হয়ে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ওই শিশুটি ঢাকার কলাবাগান এলাকায় যে বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করত, সেখানকার কাউকে না বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তী সময় অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল রুহুল আমিনের (৪১) সঙ্গে ধানমন্ডির সায়েন্স ল্যাবরেটরিসংলগ্ন রাস্তায় শিশুটির দেখা হয়।

এ সময় রুহুল ওই শিশুটিকে ফুসলিয়ে তাঁর সঙ্গে রূপালী এলাকায় নিজ ভাড়াবাসায় নিয়ে আসেন। এরপর রাতভর ধর্ষণ করেন।

আজ সকালে পুনরায় কলাবাগান নিয়ে যাওয়ার সময় পথে নারায়ণগঞ্জের সদর থানার ২ নম্বর রেলগেটসংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে শিশুটি চিৎকার শুরু করে। তখন আশপাশের লোকজন অভিযুক্ত রুহুলকে আটক করে মারধর করে এবং সদর থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করে। পুলিশ প্রথমে তাঁকে নারায়ণগঞ্জ সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল বন্দর থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা রুহুলকে হেফাজতে নেয়।

নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় ওই শিশুর চাচা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। নির্যাতিত শিশুটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপির ক্লাবঘরে হামলা: জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির একটি ক্লাবঘরে হামলা ও ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির একটি ক্লাবঘরে হামলা ও ভাঙচুর। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে বিএনপির একটি ক্লাবঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করা হয়। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের পালশা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, ওই দিন বিকেলে পালশা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। রাজশাহী-৫ (দুর্গাপুর–পুঠিয়া) আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ব্যারিস্টার রেজাউল করিমের উদ্যোগে এই আয়োজন হয়। সভা শেষের প্রায় চার ঘণ্টা পর পালশা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে থাকা বিএনপির একটি ক্লাবঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এ সময় টেবিল, চেয়ার এবং জিয়া, খালেদা ও তারেক রহমানের ছবি ভেঙে ফেলা হয়।

জানতে চাইলে নওপাড়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মতিন বলেন, রাতের আঁধারে বিএনপির নামধারী কিছু ব্যক্তি, যাঁরা আসলে আওয়ামী লীগের দোসর, তাঁরা এ হামলা চালিয়েছেন।

স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মাহাবুর মণ্ডল বলেন, যাঁরা জিয়ার আদর্শে বিশ্বাস করেন, তাঁরা কখনো তাঁর ছবি ভাঙচুর করতে পারেন না। যাঁরা এ কাজ করেছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের দোসর।

উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব অধ্যাপক জোবায়েদ হোসেন বলেন, ‘পালশা গ্রামে বিএনপির কার্যালয়ে তাণ্ডব চালিয়ে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ভাঙচুর করা হয়েছে। এটি একটি জঘন্য কাজ। আমরা জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়ল ১৫ শতাংশ, সঙ্গে শর্ত

ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস ৩৩০, এয়ারক্র্যাফট দাঁড়াল ২৫টিতে

আজকের রাশিফল: আপন গোপন তথ্য সামলে রাখুন, প্রচুর ভালোবাসুন

ত্রিভুজ প্রেম থেকে মুক্তি পেতেই জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করে ছাত্রী: পুলিশ

যুগান্তকারী উদ্ভাবন: চোখে চিপ বসিয়ে দেখতে পাচ্ছেন দৃষ্টিহীনেরা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত