কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বালু ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার দুই দিন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বালুঘাট থেকে সাময়িকভাবে বালু অপসারণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহিদুল ইসলামের পরিচালিত জুগিয়া বালুঘাট অবৈধ পন্থায় নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলনে সহায়তা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামকে তার সভাপতি পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রমাণ থাকায় মিজানুর রহমান মজনুকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু অপসারণের ইজারাদার মহিদুল ইসলাম পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে জুগিয়া বালুর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মহিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ ও বিএনপি নেতাদের অংশ ৬০ ভাগ অর্থ ভাগাভাগির শর্তে কয়েক দিন আগে বালু অপসারণ শুরু হয়। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাকে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।
এদিকে বালু অপসারণে বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান দেয়। তাদের দাবি বালুবাহী ট্রাকের কারণে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক কাঁচা হয়ে গেছে। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে বালুঘাট ইজারা বন্ধসহ বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির একটি পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় বুধবার বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহাজাহান ও মিজানুর রহমানসহ এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অস্ত্র হাতে এক যুবককে দৌড়াতে দেখা গেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দরদাতা বিবেচিত করে জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় গড়াই নদে খনন করা বালুর স্তূপাকার অপসারণের কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যাদেশে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালু অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহিদুল বালু অপসারণে বিক্রি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং যাদের আওয়ামী সংশ্লিষ্টটা রয়েছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় বালিঘাট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বালু ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার দুই দিন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বালুঘাট থেকে সাময়িকভাবে বালু অপসারণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহিদুল ইসলামের পরিচালিত জুগিয়া বালুঘাট অবৈধ পন্থায় নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলনে সহায়তা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামকে তার সভাপতি পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রমাণ থাকায় মিজানুর রহমান মজনুকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু অপসারণের ইজারাদার মহিদুল ইসলাম পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে জুগিয়া বালুর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মহিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ ও বিএনপি নেতাদের অংশ ৬০ ভাগ অর্থ ভাগাভাগির শর্তে কয়েক দিন আগে বালু অপসারণ শুরু হয়। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাকে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।
এদিকে বালু অপসারণে বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান দেয়। তাদের দাবি বালুবাহী ট্রাকের কারণে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক কাঁচা হয়ে গেছে। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে বালুঘাট ইজারা বন্ধসহ বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির একটি পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় বুধবার বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহাজাহান ও মিজানুর রহমানসহ এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অস্ত্র হাতে এক যুবককে দৌড়াতে দেখা গেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দরদাতা বিবেচিত করে জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় গড়াই নদে খনন করা বালুর স্তূপাকার অপসারণের কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যাদেশে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালু অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহিদুল বালু অপসারণে বিক্রি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং যাদের আওয়ামী সংশ্লিষ্টটা রয়েছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় বালিঘাট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বালু ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার দুই দিন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বালুঘাট থেকে সাময়িকভাবে বালু অপসারণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহিদুল ইসলামের পরিচালিত জুগিয়া বালুঘাট অবৈধ পন্থায় নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলনে সহায়তা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামকে তার সভাপতি পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রমাণ থাকায় মিজানুর রহমান মজনুকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু অপসারণের ইজারাদার মহিদুল ইসলাম পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে জুগিয়া বালুর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মহিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ ও বিএনপি নেতাদের অংশ ৬০ ভাগ অর্থ ভাগাভাগির শর্তে কয়েক দিন আগে বালু অপসারণ শুরু হয়। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাকে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।
এদিকে বালু অপসারণে বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান দেয়। তাদের দাবি বালুবাহী ট্রাকের কারণে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক কাঁচা হয়ে গেছে। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে বালুঘাট ইজারা বন্ধসহ বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির একটি পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় বুধবার বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহাজাহান ও মিজানুর রহমানসহ এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অস্ত্র হাতে এক যুবককে দৌড়াতে দেখা গেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দরদাতা বিবেচিত করে জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় গড়াই নদে খনন করা বালুর স্তূপাকার অপসারণের কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যাদেশে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালু অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহিদুল বালু অপসারণে বিক্রি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং যাদের আওয়ামী সংশ্লিষ্টটা রয়েছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় বালিঘাট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে বালু ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মহাসড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অস্ত্রের মহড়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের জুগিয়া এলাকায় গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার দুই দিন ধরে এই ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই বালুঘাট থেকে সাময়িকভাবে বালু অপসারণ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এদিকে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত খাইরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ৫২ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা বিএনপির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মহিদুল ইসলামের পরিচালিত জুগিয়া বালুঘাট অবৈধ পন্থায় নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলনে সহায়তা করে সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামকে তার সভাপতি পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি ও দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রমাণ থাকায় মিজানুর রহমান মজনুকে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ সকল পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হলো। একই সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিতের নির্দেশনাও দেওয়া হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বালু অপসারণের ইজারাদার মহিদুল ইসলাম পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর। ও একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। এক যুগের বেশি সময় ধরে তিনি বালুর ঘাট নিয়ন্ত্রণে নিয়ে রাজত্ব চালাচ্ছেন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে জুগিয়া বালুর ঘাটের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় বিএনপির দুটি পক্ষ। এতে বারখাদা ও জুগিয়া এলাকায় বিএনপির নেতা–কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এরপর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলামসহ যুবদল ও ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে মহিদুলের সমঝোতা হয়। সমঝোতা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের মহিদুল ইসলাম ৪০ ভাগ ও বিএনপি নেতাদের অংশ ৬০ ভাগ অর্থ ভাগাভাগির শর্তে কয়েক দিন আগে বালু অপসারণ শুরু হয়। প্রতিদিন সেখান থেকে প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাকে অন্তত ৪ থেকে ৫ লাখ টাকার বালু বিক্রি হয়।
এদিকে বালু অপসারণে বিক্রির টাকার ভাগ না পেয়ে স্থানীয় বিএনপির শাহজাহান আলী সাজুর অনুগত ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মজনুর কর্মীরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান দেয়। তাদের দাবি বালুবাহী ট্রাকের কারণে এলাকার প্রায় দুই কিলোমিটার পাকা সড়ক কাঁচা হয়ে গেছে। তারা জেলা প্রশাসনের কাছে বালুঘাট ইজারা বন্ধসহ বালুবাহী ট্রাক বন্ধের দাবি জানান।
গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুগিয়া ঘাটে বালু তোলা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়। বিএনপি নেতা শাহজাহান আলী সাজু এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানালে মহিদুল ও বিএনপির একটি পক্ষের নেতারা ক্ষুব্ধ হয়। এ সময় সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। সাজুর অনুগত ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও তার অনুগতরা মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ঘটনায় বুধবার বালু ঘাটের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মহিদুল, তার ভাই ভাতিজা আর বিএনপির একটি পক্ষ এক হয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এলাকায় মহড়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতা শাহাজাহান ও মিজানুর রহমানসহ এলাকার লোকজন একত্র হয়ে তাদের প্রতিহত করতে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অস্ত্র হাতে এক যুবককে দৌড়াতে দেখা গেছে। কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গুলির শব্দও শোনা গেছে।
কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১০ জুন মেসার্স মেহেদী এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর মহিদুল ইসলামকে সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা দরদাতা বিবেচিত করে জুগিয়া ও গোপিনাথপুর মৌজায় গড়াই নদে খনন করা বালুর স্তূপাকার অপসারণের কার্যাদেশ দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। কার্যাদেশে আগামী বছরের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত বালু অপসারণের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে মহিদুল বালু অপসারণে বিক্রি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্যসচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই ধরনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকবে এবং যাদের আওয়ামী সংশ্লিষ্টটা রয়েছে তাদের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুল হক চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত দুই দিন ধরে ওই এলাকায় বালিঘাট নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কাজ করছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৪১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

িয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
ওই তরুণী প্রেমিক সোহান হোসেনের চাচার আপন শ্যালিকা। সোহান হোসেন বোয়ালিয়া গ্রামের জাব্বার সরকারের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ভাতিজা ও খালার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আগে থেকে। উভয়ের বাড়ি একই এলাকায় হওয়ার তাঁরা অনায়াসে যাতায়াত করতেন। এর আগেও জাব্বার সরকারের বাড়িতে বিয়ের দাবি তুলেছিলেন ওই তরুণী। পরে বুঝিয়ে তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। এবার বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করলে প্রেমিক পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সোহানের বাড়ির সামনে উৎসুক নারী-পুরুষের ভিড় জমেছে। গণমাধ্যমকর্মীরা পৌঁছালে জাব্বার সরকারের পরিবারের লোকেরা কথা বলতে রাজি হননি। অনশনরত ওই তরুণী এখনো বাড়িতে অবস্থান করছেন, তবে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা কথা বলা নিষিদ্ধ করেছেন সোহানের বাবা।
স্থানীয় লোকজন জানায়, জাব্বার সরকারের বাড়িতে গত রাত থেকে তাঁর ছেলের কথিত প্রেমিকা অনশন শুরু করেন। এতে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী সোহান হোসেনের এমন অসামাজিক কর্মকাণ্ড দেখে পরিবারের যাতায়াতের পথও বন্ধ করে দিয়েছেন। কিন্তু উৎসুক জনতা সেসব উপেক্ষা করে সেখানে ভিড় জমাচ্ছেন।
জানতে চাইলে ইউপি সদস্য সোলায়মান হোসেন জানান, ‘মহিলার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সম্পর্ক প্রায় দেড় মাস ধরে। গত সোমবার রাত থেকে তিনি জাব্বারের বাড়িতে অবস্থান করছেন, কিন্তু ছেলেটি পালিয়ে গেছেন।’
এ বিষয়ে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না। কেউ অবহিত করেননি। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে পারছি না।’

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
১৭ অক্টোবর ২০২৪
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৪১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
এতে পরিমল চন্দ্র লিখেছেন, ‘সম্প্রতি ব্যক্তিগত জীবনে কিছু নতুন দায়িত্ব ও উদ্যোগের কারণে আমার সময় ও মনোযোগ সম্পূর্ণভাবে সেদিকে দিতে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দলের কাজের প্রতি আগের মতো সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করা সম্ভব হচ্ছে না, যা দলের প্রতি অন্যায় হবে বলে মনে করি।’
পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সদস্য। নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় তাঁর বাড়ি। তবে তিনি রাজশাহীতে থাকতেন। তাই এনসিপির মহানগর সমন্বয় কমিটিতে সদস্যপদ পেয়েছিলেন। তিনি এখন নওগাঁয় রাজনীতি করতে চান।
জানতে চাইলে পরিমল চন্দ্র ওঁরাও বলেন, ‘আমি নওগাঁ-৩ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই। তাই এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। আমি এনসিপিতে থাকব না।’
যোগাযোগ করা হলে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোবাশ্বের আলী তাঁর পদত্যাগপত্রটি পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
১৭ অক্টোবর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৪১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে দফায় দফায় অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিক সুজন মিয়া বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ২৩ তারিখ কারখানার প্রায় সব শ্রমিক আন্দোলন করে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এরপর পুলিশ-সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে বেতন পরিশোধের আশ্বাসে আন্দোলন বন্ধ করেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, সোমবার থেকে পুরোদমে কারখানা চালু হবে। কিন্তু গতকাল সোমবার কর্মস্থলে এসে দেখি মূল ফটকের সামনে কারখানা বন্ধের অনির্দিষ্টকালের নোটিশ।

এরপর পুলিশ আমাদের আশ্বাস দেয় যে আজ মঙ্গলবার ১০টার দিকে কারখানা খুলে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে। কিন্তু কারখানা ফটকের সামনে এসে দেখি কারখানা বন্ধের নোটিশ। এরপরই শ্রমিকেরা রাস্তায় নামে। রাস্তায় নামার পরপরই পুলিশ এসে কোনো কথা না বলে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।’
কারখানার শ্রমিক ঝুটন বলেন, ‘হঠাৎ করে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করল। আমাদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করল না। দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন পরিশোধ নিয়ে টালবাহানা করছে। হঠাৎ আন্দোলনের জেরে কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করছে। আমার বকেয়া বেতনসহ অনন্য দাবি পরিশোধ না করে কারখানা বন্ধ করা হয়েছে, যা শ্রমিকদের সঙ্গে অনেক অন্যায় করা হয়েছে।’
জানতে চাইলে কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২৩ অক্টোবর শ্রমিকেরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করে। ফলে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘কয়েক দিন ধরেই কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকেরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করলেও আজকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে। তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে আমরা সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করি। কিন্তু শ্রমিকেরা দফায় দফায় রাস্তায় নামছে।’

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
১৭ অক্টোবর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ায় বিএনপি নেতার ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় মো. সাজ্জাদ (২৫) নামের এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় যুবদল ও ছাত্রদলের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে বাকলিয়া থানার এক্সেস রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সাজ্জাদ কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার হিরাকান্দা গ্রামের মো. আলমের ছেলে। তিনি নগরের তক্তারপুল এলাকার বিসমিল্লাহ টাওয়ারে ভাড়া থাকতেন। সাজ্জাদ নগর যুবদলের বিলুপ্ত কমিটির বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশাহর ঘনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাতে জানা গেছে, সোমবার রাতে সাজ্জাদসহ কিছু যুবদল কর্মী একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় স্থানীয় সোহেল, বোরহান ও দেলোয়ারের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। মেয়রের ছবিযুক্ত ওই ব্যানার ছিল সোহেল-বোরহান গ্রুপের। এই সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, রাতে মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে পুরো এলাকা। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় দুটি গ্রুপের ১৫ থেকে ২০ জন হেলমেট পরে হামলায় অংশ নেয়। তারা আশপাশের ভবনে আগে থেকেই ওত পেতে ছিল। ঘটনার সময় পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। চমেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাতে বাসায় ফিরে গেছে।
চমেক হাসপাতালে নিহত সাজ্জাদের বাবা মো. আলম বলেন, ‘বন্ধুরা ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমার ছেলেকে। কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে জানি না। আমি শুধু চাই, আমার ছেলেকে যারা হত্যা করেছে, তাদের বিচার হোক।’ চমেকে উপস্থিত যুবদল নেতা এমদাদুল হক বাদশা অভিযোগ করে বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা গুলি করার আগে বিদ্যুৎ-সংযোগ বন্ধ করে দেয়। যারা গুলি চালিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
ছাত্রদল নেতা পরিচয়ে জি এম সালাউদ্দিন আসাদ নামের একজন বলেন, ‘যুবলীগের সন্ত্রাসীরা যুবদলের পরিচয় দিয়ে অপকর্ম করছে। মেয়রের ছবি লাগিয়ে তারা ব্যানার-পোস্টার টানায়। মেয়রের লোকেরা ব্যানার খোলার নির্দেশ দিলে আমাদের ছেলেরা খুলতে যায়। তখন তাদের মারধর করা হয়। পরে উদ্ধার করতে গেলে ভবনের ছাদ থেকে গুলি চালানো হয়, এতে সাজ্জাদ নিহত হয়।’
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকালে নিহত ব্যক্তির মরদেহ দেখতে চমেক হাসপাতালে যান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা ওই এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। আগে আওয়ামী ছত্রচ্ছায়ায় থাকলেও এখন আমার ছবি ব্যবহার করে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে। আমি আগে থেকেই থানাকে জানিয়েছিলাম ও ব্যানার সরানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম। তবু ব্যবস্থা না নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।’
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক বলেন, নিহত সাজ্জাদের বুকে গুলি লেগেছে। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ার উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ব্যানার টানানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে একজন নিহত হয়েছেন। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছে। সম্প্রতি ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে সেই বিরোধ তীব্র হয়। সোমবার রাতের ঘটনায় তারই রেশ দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া সোহেল ও বোরহান দীর্ঘ ১৬ বছর পটিয়ার আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তাঁরা নগর বিএনপি নেতা গাজী মোহাম্মদ সিরাজউল্লাহর গ্রুপে যোগ দেন। দেলোয়ার ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাচ্চু গ্রুপের অংশ।

কুষ্টিয়ায় গড়াই নদে আওয়ামী লীগ নেতার ইজারা নেওয়া বালুর ঘাট ভাগাভাগি নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার ঘটনায় ওয়ার্ড বিএনপির দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দলটি। এ ছাড়া ওই ওয়ার্ডে বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
১৭ অক্টোবর ২০২৪
বিয়ের দাবিতে চাচার শ্যালিকা দুই দিন ধরে ভাতিজার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে অনশন করছেন। প্রেমিকা (১৮) বাড়িতে আসার খবর পেয়ে পালিয়ে গেছেন প্রেমিক সোহান হোসেন (২০)। গতকাল সোমবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন এক সদস্য। তাঁর নাম পরিমল চন্দ্র ওঁরাও। গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এনসিপির রাজশাহী মহানগর সমন্বয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারীর কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি।
২১ মিনিট আগে
গাজীপুরের শ্রীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে দফায় দফায় মহাসড়ক অবরোধ করেন এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেডের শ্রমিকেরা। এ সময় তাঁরা সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শ্রমিকদের সরিয়ে দিতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করেছে। এতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক আহত হয়েছেন।
৪১ মিনিট আগে