Ajker Patrika

পলিতে ভরছে ধরলা-তিস্তা-দুধকুমার

আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
পলিতে ভরছে ধরলা-তিস্তা-দুধকুমার

কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ সব কটি প্রবহমান নদ-নদীর তলদেশে বছরের পর বছর পলি বাড়ছে। কমছে পানি ধারণের ক্ষমতা।

তীরবর্তী বাসিন্দারা বলছেন, গত দুই দশকে এসব নদ-নদীর নাব্যতা-সংকটে বিঘ্নিত হচ্ছে নৌপরিবহনের ব্যবস্থা, আবার কোথাও কোথাও বেড়েছে ভাঙন। পানির ধারণক্ষমতা কমায় বর্ষা মৌসুমে তীরবর্তী এলাকায় দেখা দেয় বন্যা। আর শুষ্ক মৌসুমে অনেক স্থানে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় কৃষিতে সেচ দেওয়ার মতো অবস্থা থাকে না। মাছেরও দেখা মেলে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলার ভেতর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, ধরলা, তিস্তাসহ ছোট-বড় ১৬টি নদ-নদী বয়ে গেছে। এসব নদ-নদীর দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৩৬ কিলোমিটার।

জেলার রাজারহাট ও উলিপুর উপজেলা দিয়ে বয়ে গেছে তিস্তা নদী। গত এক দশকে এই নদী সব দিক দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উজানে ভারতের পক্ষ থেকে পানি প্রত্যাহারের ফলে বাংলাদেশ অংশে এই নদী স্বকীয়তা হারিয়েছে বলে জানান তিস্তা এলাকার বাসিন্দারা।

রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের তিস্তাপারের কৃষক মিলন হোসেন জানান, ভাঙনে তিস্তা অঞ্চলের বাসিন্দারা এখন নিঃস্ব। ভরা মৌসুমে স্বল্প মেয়াদে পানিপূর্ণ থাকলেও তিস্তায় এখন নালার মতো পানির প্রবাহ। পানিসহ প্রশস্ততা ২০০ থেকে ২৫০ মিটার হবে। গভীরতা হবে সর্বোচ্চ ২০ ফুট। গোটা নদীজুড়ে চর জেগে উঠেছে। এসব চরের অনেক জায়গায় এখন বাদাম, ভুট্টা, মরিচ আর পেঁয়াজ আবাদ হচ্ছে।

মিলন বলেন, ‘তিস্তা এখন আর নদী নাই। তিস্তা এখন আবাদি জমির মতো। তিস্তাপাড়ে পানির লেয়ার নেমে যাচ্ছে। এ বছর নদীতীরবর্তী অনেক টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। সামনে আরও খারাপ দিন আসতেছে।’

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার নদ অববাহিকার চর ভগবতীপুর গ্রামের বাসিন্দা তারাচাঁদ শেখ বলেন, ‘আগের নদী আর নাই। আগে নদীতে থাও (ঠাঁই) পাওয়া যাইত না। অহন ১৫-২০ হাত পানি। বালু জইমা জইমা ভরাট হইয়া গেছে। চর আর চর।’

চরের এই বাসিন্দা বলেন, ‘নদী খনন কইরা যদি শাখাগুলা এক করে দিত, তাহলে গভীরতা বাড়ত।’

ব্রহ্মপুত্রে দল বেঁধে মাছ আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করেন আলম, মাহবুব ও দেলোয়ার। উলিপুরের বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের এই মৎস্যজীবীরা জানান, গত দুই দশকে ব্রহ্মপুত্রের প্রবাহে আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর আগের মতো মাছ মেলে না।

তিস্তাপারের উপজেলা রাজারহাটের বাসিন্দা ও রিভারাইন পিপলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘জেলার সব নদী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙনে নদীগুলোর প্রস্থ বেড়েছে। দীর্ঘদিন পলি জমে গভীরতা কমেছে। কিন্তু পলি সরানোর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয় নাই।’

তিস্তার বর্তমান অবস্থা প্রসঙ্গে এই নদী গবেষক বলেন, ‘২০১৪ সালের আগপর্যন্ত তিস্তায় পানি আসত। ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে তিস্তা এখন পানি পাচ্ছে না। ২-৩ কিলোমিটার প্রস্থের তিস্তা এখন ভাঙনে কোথাও কোথাও ১০-১২ কিলোমিটার হয়েছে। কিন্তু পানি নেই। অথচ ভরা বর্ষায় তিস্তা ছিল ২ কিলোমিটার আর শুষ্ক মৌসুমে ছিল ১ কিলোমিটার।’

নদী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ ড. তুহিন আরও বলেন, ‘২০১৭ সালের বন্যায় ধরলায় বৃহৎ পরিসরে পলি পড়েছে। কিন্তু পলি সরানো হয়নি। ধরলায় পানির প্রবাহ সামান্য। উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ধরলার পানিও প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত। দুধকুমার নদে ড্রেজিংয়ের নামে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাই বেশি উপকৃত হচ্ছেন। ব্রহ্মপুত্রে পানিপ্রবাহ থাকলেও আগের মতো নেই। পলি আর ভাঙনে এটিও ভরাট হয়েছে, প্রস্থে বেড়েছে।’

সংকট উত্তরণে তিস্তা ইস্যুতে পানি দাবি, সব নদ-নদীর সীমানা চিহ্নিত করে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে খনন এবং অববাহিকাকেন্দ্রিক নদী পরিচর্যার ব্যবস্থা গড়ে তোলার দাবি এই শিক্ষক ও গবেষকের।

পলি জমে জেলার নদ-নদী ভরাট হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও পাউবো বলছে, তারা শুধু নদীর ভাঙন রোধে কাজ করছে। নদীর নাব্যতা কিংবা প্রবাহ ঠিক রাখার কাজটি করছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন, ‘ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর প্রবাহ ঠিক করতে পারলে তীরে পানির চাপ পড়ে না। ফলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হয়। ধরলা ও দুধকুমার নদে বিআইডব্লিউটিএ খননকাজ করছে। নদী দুটির নাব্যতা ও প্রবাহ ফেরানোর অগ্রগতি সম্পর্কে তারাই ভালো বলতে পারবেন।’

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন রাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয় বলে জানান এই পানি প্রকৌশলী।

কুড়িগ্রামে বিআইডব্লিউএ কর্তৃপক্ষের দপ্তর না থাকায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মিরপুরে ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

‎রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের কালশী রোডে একটি কমিউনিটি সেন্টারে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, আরও দুটি ইউনিট সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে।

‎ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাত ১০টা ২৭ মিনিটে কাজ শুরু করে। আগুন লেগেছে মিরপুর ১১ নম্বর এলাকার ‘বিবাহ বাড়ি’ কমিউনিটি সেন্টারের ছয়তলা ভবনের ছয় তলায়।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে আমাদের চারটি ইউনিট কাজ করছে। আরও দুটি ইউনিট পথে আছে।’

‎তবে তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পানছড়িতে ইউপিডিএফের হয়ে চাঁদা আদায়কারী আটক

পানছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি 
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত
আটক সৈয়দ মাহবুব রহমান। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির পানছড়িতে সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের হয়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সৈয়দ মাহবুব রহমান (৫৩) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পানছড়ি সেনা সাব জোনের বিশেষ অভিযানে দমদম গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়। আটক মাহবুব রহমান ওই গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে।

সেনা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাঁর কাছ থেকে এক লাখ টাকা ও একাধিক চাঁদা আদায়ের রসিদ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাহবুব স্বীকার করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ইউপিডিএফের পক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে আসছিলেন। পরে তাঁকে আইনগত ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আটক সৈয়দ মাহবুব রহমানকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

সেনা সূত্র আরও জানায়, পাহাড়ে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় বন্ধে অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে এবং চক্রের অন্যান্য সদস্যের শনাক্তে অভিযান চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যৌতুকের জন্য গৃহবধূর চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে যৌতুক দিতে রাজি না হওয়ায় শাহিনুর বেগম (৪০) নামে এক গৃহবধূকে তাঁর স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বেধড়ক পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার দুপুরে পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ নীলগঞ্জ গ্রামের কালু হাওলাদারের স্ত্রী।

জানা গেছে, আট দিন আগে কালু হাওলাদার জমি ক্রয় করতে বায়না করেন। জমি কিনার জন্য স্ত্রী শাহিনুরের কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। কিন্তু শাহিনুর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে গতকাল বিকেলে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের সঙ্গে শাহিনুরের কলহ বাধে। স্বামী কালু হাওলাদার, ননদ রেবেকা বেগম ও ননদের স্বামী হানিফ মুসল্লি তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। তাঁরা শাহিনুরের চোখে মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে দেন। মারধর শেষে তাঁকে ঘরের মধ্যে আটকে রাখেন। গৃহবধূর স্বজনেরা খবর পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেন। পরে দুপুরে পুলিশ গিয়ে শাহিনুরকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়।

গৃহবধূর বাবা হানিফ হাওলাদার বলেন, ‘জমি কিনতে আমার মেয়ের কাছে জামাতা তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মারধর করে মেয়েকে মেরে ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

ভুক্তভোগী গৃহবধূ শাহিনুর বেগম বলেন, ‘২০১১ সালে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে যৌতুক দাবি করে আসছেন স্বামী। টাকা না দিলেই আমার ওপর নির্যাতন চালায়। গত এক সপ্তাহ আগে জমি কিনবে বলে আমার কাছে তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় আমার চোখে মরিচের গুঁড়ো দিয়ে আমার স্বামী, নুনুন্দা (ননদের জামাই) হানিফ মুসুল্লি ও ননদ রেবেকা বেধড়ক মারধর করেছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’

এদিকে যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করে কালু হাওলাদার বলেন, ‘পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে কয়েকটি চর-থাপ্পড় দিয়েছি।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মিনহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘আহত নারীর চোখে যে সমস্যা হয়েছে, ওষুধ খেলে ভালো হয়ে যাবে, তবে সময় লাগবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাল্যবিবাহের অতিথি ইউএনও, জানতে পেরে খাবার না খেয়ে চলে গেলেন

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি 
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. জাহিদুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সপরিবারে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে জানতে পারেন কনের বয়স ১৮ বছরের নিচে; এরপর খাবার না খেয়ে ফিরে গেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাহিদুল ইসলাম। পরে কাজিও বিয়ে না পড়িয়ে চলে যান।

ঘটনাটি ঘটে আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দৈহারী গ্রামে।

জানা যায়, বর শেখ মো. অনিক (২৩) জগন্নাথকাঠি গ্রামের মো. জাকির হোসেনের ছেলে এবং কনে মোসাম্মৎ মুন্নি আখতার (১৬) দৈহারী গ্রামের বাবুল হাওলাদারের মেয়ে। শুক্রবার তাদের বিয়ের আয়োজন করে উভয় পরিবার। বিয়ে অনুষ্ঠানে পরিবারসহ ইউএনও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

জানতে চাইলে বিয়ে পড়াতে আসা কাজি মো. ইসহাক আলী বলেন, ‘প্রথমে আমাকে জানানো হয় মেয়ের বয়স ১৮ বছর। পরে কনের প্রকৃত বয়স ১৬ জেনে আমি বিয়ে পড়াইনি। ইউএনও সাহেবও বিষয়টি জানার পর সপরিবারে না খেয়েই চলে যান।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আল আমীন জানান, ‘বিয়েবাড়িতে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। ইউএনও সাহেব সপরিবারে এসেছিলেন। কনের বয়স কম শুনেই তিনি এবং কাজি চলে গেলে আমি নিজেও ফিরে এসেছি। আমরা কোনো খাওয়াদাওয়া করিনি।’

এ বিষয়ে ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত অনুরোধে দাওয়াতে গিয়েছিলাম। কনের বয়স কম জেনে আইনগত ও নৈতিক দিক বিবেচনায় দাওয়াত না খেয়েই ফিরে এসেছি। পরে জানতে পেরেছি বিয়েটি আর হয়নি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত