Ajker Patrika

খুলনায় সাড়ে ৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক ট্যাবলেট

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় সাড়ে ৭ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে খাওয়ানো হবে কৃমিনাশক ট্যাবলেট

খুলনায় এবার ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৬ শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। এ লক্ষ্য নিয়ে গতকাল শনিবার শুরু হয়েছে জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ-২০২১। 

এবার খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার ১ হাজার ৬৮৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ২ লাখ ২৩ হাজার ৪৫৮ জন শিক্ষার্থী এবং ১ হাজার ১৮৬টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৮ জন শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

এ ছাড়া খুলনা মহানগরীর ৪৯৮টি প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী ৯৩ হাজার ৮৭২ জন শিক্ষার্থী এবং ৯৩টি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী ৫৫ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষার্থীকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৯৪৬ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। 
 
সপ্তাহব্যাপী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সমপর্যায়ের মাদ্রাসা, মক্তব ও এতিমখানাসমূহে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থী এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরের শিশুদের বিনা মূল্যে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল কর্মসূচি, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও খুদে ডাক্তার কার্যক্রমের আওতায় খুলনা সিভিল সার্জন অফিস এ সকল কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কক্সবাজারের ভারুয়াখালী

আট স্প্যানে আটকে রয়েছে সেতুর কাজ

মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০২: ১১
ধীরগতিতে চলছে খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতু নির্মাণের কাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ধীরগতিতে চলছে খুরুশকুল-ভারুয়াখালী সেতু নির্মাণের কাজ। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজার সদরের ভারুয়াখালী ইউনিয়নের সঙ্গে জেলা শহরের দূরত্ব ৯ কিলোমিটার। কিন্তু দীর্ঘকাল এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে রামু উপজেলা হয়ে জেলা শহরে যাতায়াত করেন। এ পথে তাঁদের দুই-তিনবার যানবাহন বদল করতে হয়। সময় লাগে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা।

এই ইউনিয়নের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের এ ভোগান্তি লাঘবে পাঁচ বছর আগে স্থানীয় জোয়ারি খালের ওপর শুরু হয়েছিল সেতু নির্মাণকাজ। দুই দফা কাজের মেয়াদ বাড়িয়েও কাজ শেষ করা যায়নি। এতে জেলা শহরে দ্রুত যাতায়াতের জন্য মুমূর্ষু রোগী, শিক্ষার্থী, চাকরিজীবীসহ অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার হচ্ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সদর উপজেলার খুরুশকুল ও ভারুয়াখালী ইউনিয়নকে আলাদা করেছে জোয়ারি খাল। জোয়ার-ভাটার এ খালের কারণে দুই ইউনিয়নের মানুষকে জেলা শহরে ৩৬ কিলোমিটার পথ ঘুরে আসতে হয়। সেতুটি নির্মাণ করা হলে মাত্র ৯ কিলোমিটার পথে জেলা শহরে পৌঁছানো যাবে। সময় লাগবে ২০-৩০ মিনিট।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে একনেকে অনুমোদন পায় ৩৯২ মিটার দৈর্ঘ্যের ভারুয়াখালী-খুরুশকুল সেতু নির্মাণ প্রকল্প। দুই দফা দরপত্র আহ্বানের পর কাজ পায় তমা কনস্ট্রাকশন ও এমএ জাহের লিমিটেড (জেভি)। ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয় এলজিইডির। চুক্তি অনুযায়ী ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরু থেকেই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কক্সবাজার কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেতুর দুই পাড়ে জমি অধিগ্রহণ এখনো সম্পন্ন করা যায়নি। এ ছাড়া সেতুর ডিজাইন বদল করা হয়েছে। পাশাপাশি গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। এসব কারণে কাজে ধীরগতি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সেতুর দুই পাশে আটটি স্প্যান নির্মাণ করা হয়েছে। তবে খালের মাঝে এখনো স্প্যানের কাজ হয়নি। এক প্রান্তে কাজ করছেন চার-পাঁচজন শ্রমিক। নির্মাণকাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি আনিসুর রহমান কথা বলতে রাজি হননি।

ভারুয়াখালী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান বলেন, সেতুর ঠিকাদার কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক এমপি এম এ জাহের। তিনি ৫ আগস্ট থেকে আত্মগোপনে যাওয়ার পর প্রকল্পে স্থবিরতা চলছে। যেভাবে কাজ হচ্ছে, তাতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে।

কক্সবাজার এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আলী আহসান বলেন, এ পর্যন্ত সেতুর ৬৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ১৩টি স্প্যানের মধ্যে আটটি শেষ হয়েছে। কাজের বিপরীতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ১৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করা হয়েছে।

এলজিইডি কক্সবাজার কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে আগামী জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার তাগাদা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী কাজ বাস্তবায়নের উদ্যোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ডিজিটাল যুগে যেভাবে বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চল

বিজ্ঞপ্তি
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ এখন দ্রুত ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোও ধীরে ধীরে ডিজিটাল সেবার আওতায় চলে আসছে। সেইসাথে মানুষের জীবনযাপন, শিক্ষা আর যোগাযোগের ধরনও বদলে যাচ্ছে। আগে যেখানে দূরত্ব ছিল বাধা, এখন সেখানে প্রযুক্তি এনে দিয়েছে নতুন সুযোগ। মোবাইল ইন্টারনেটের বিস্তার, সাশ্রয়ী স্মার্টফোন আর বাড়তে থাকা ডিজিটাল শিক্ষার কারণে গ্রামীণ জীবন বদলে যাচ্ছে। অনলাইন শিক্ষা, মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ছোট ব্যবসা, সব ক্ষেত্রেই ডিজিটাল প্রযুক্তি এখন নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিচ্ছে।

এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় আগে যে সুযোগগুলো শুধু শহরে ছিল, এখন তা ধীরে ধীরে পৌঁছে যাচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও। চাষি, দোকানদার, ছোট ব্যবসায়ী, এমনকি গৃহিণীরাও এখন মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করছেন। তারা টাকা পাঠাচ্ছেন, বিল পরিশোধ করছেন আবার সঞ্চয়ও করছেন ফোনের মাধ্যমেই। নরসিংদীর সবজি চাষি রফিক, বাজারে না গিয়েই বিকাশে টাকা পাঠিয়ে সার কিনে নিচ্ছেন। নোয়াখালীর এক গৃহিণী সুলতানা, বিকাশের মাধ্যমেই মেয়ের কলেজ ফি দিয়ে দিচ্ছেন।

আবার গ্রামের অনেক তরুণ ও শিক্ষার্থী স্মার্টফোনে অনলাইন কোর্স করছে। কেউ ইংরেজি শিখছে, কেউ কম্পিউটার বা ডিজাইন শেখার চেষ্টা করছে। পাবনার আমিনা পরিবারের দেখাশোনা করা পাশাপাশি প্রতিদিন অনলাইনে সেলাই শেখেন। দিনাজপুরের রুবেল ইংরেজি শেখার অ্যাপ ব্যবহার করে চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

একইভাবে কৃষকেরাও এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ফসলের যত্ন নিচ্ছেন। অনেক কৃষক এখন ইউটিউব দেখে বা অ্যাপ ব্যবহার করে জানতে পারছেন কীভাবে পানি সাশ্রয় করে সেচ দেওয়া যায় বা বাজারে কোন ফসলের দাম কেমন। এতে কৃষকের উৎপাদন ও আয় বাড়ছে।

আগে চিকিৎসার জন্য শহরে যেতে হতো। এখন অনেকেই অনলাইনে ডাক্তার দেখাচ্ছেন। এভাবে সবকিছুই এখন মানুষের হাতের নাগালে। ফলে মানুষের সময় বাঁচছে, নিরাপত্তা বাড়ছে এবং কষ্টও কম হচ্ছে।

এই ডিজিটাল পরিবর্তনের সময়ে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইমো হয়ে উঠেছে মানুষের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর মাধ্যমে পরিবার-পরিজন, প্রবাসী স্বজন বা দূরের বন্ধুরা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারেন, খোঁজ-খবর নিতে পারেন। ইমো দুর্বল ইন্টারনেটেও ভালোভাবে কাজ করে তাই টুজি বা থ্রিজি নেটওয়ার্কেও ভিডিও কল স্পষ্ট হয়, যা প্রবাসীদের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ। দুর্বল নেটওয়ার্কেও এইচডি ভিডিও কলের সুযোগ করে দেয়ায় জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ইমোর মত মেসেজিং অ্যাপগুলো। ভিডিও কলের সাহায্যে সহজেই প্রবাসীরা পরিবারের সঙ্গে একসাথে বসে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, টাকা পাঠানোর আগে পরিবারকে জানিয়ে দিতে পারেন; এমনকি উৎসবের আনন্দেও পরিবারের সাথে অংশগ্রহণ করতে পারেন।

আমাদের দেশে এই ডিজিটাল পরিবর্তনকে টেকসই করতে হলে দরকার সবার জন্য সাশ্রয়ী ইন্টারনেট, ডিজিটাল শিক্ষা এবং নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ। এখনও বাংলাদেশের অনেক গ্রামে ভালো নেটওয়ার্ক পাওয়া কঠিন। এমনকি, ইন্টারনেটের খরচ তুলনামূলক বেশি। ফলে অনেকে ইন্টারনেটের অভাবে অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হন। ইন্টারনেট সাশ্রয়ী হলে আরও বেশি মানুষ শিক্ষা, কাজ ও যোগাযোগের সাথে যুক্ত হতে পারবেন। ডিজিটাল সাক্ষরতা এক্ষেত্রে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ, যেমন- নিরাপদভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা, তথ্য যাচাই করা ও নিজের গোপনীয়তা রক্ষা করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে এই বিস্ফোরণ হয়। ঘটনাস্থলে আরও একটি ককটেল অবিস্ফোরিত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। রাত প্রায় ১১টা ১০ মিনিটের দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ বা কার্যালয়-সংশ্লিষ্ট কেউ বিস্ফোরণের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেননি।

রাজধানীতে গত কয়েক ঘণ্টায় একাধিক স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাতে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের সামনে পরপর তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পাশের শাহ আলী মার্কেটের সামনে এসব বিস্ফোরণ ঘটে। একই সময় খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপরেও একটি ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়।

দিনজুড়ে রাজধানীর আরও কয়েকটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্তত চারটি স্থানে সাতটি বিস্ফোরণের ঘটনা নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এগুলোর মধ্যে মিরপুরে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের প্রতিষ্ঠান প্রবর্তনার সামনে এবং ভেতরে দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ হয়। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারের সামনে দুটি এবং ধানমন্ডি ৯/এ এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

এ ছাড়া গতকাল ভোর হতেই রাজধানীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে শাহজাদপুরে ভিক্টর পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। সকাল সোয়া ৬টার দিকে মেরুল বাড্ডায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির কাছে আকাশ পরিবহনের আরেকটি বাসেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

রাজধানীতে ধারাবাহিক ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নগরজুড়ে টহল জোরদার করেছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনা, মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য নিহত

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর বদলগাছীতে ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী পুলিশ সদস্য রায়হান (৩২) নিহত হয়েছেন। সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার কেশাইল গ্রামের শ্যালুকুড়ি ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। এক সুখী পরিবারের হাসি মুহূর্তেই নিভে গেল।

থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাশিমালা গ্রামের রেজাউল ইসলামের ছেলে রায়হান ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে থানায় কর্মরত ছিলেন। কিছুদিনের ছুটি কাটাতে তিনি স্ত্রী মিম্মা ও চার বছরের শিশুপুত্র আব্দুর রহমানকে নিয়ে নিজ গ্রামে এসেছিলেন। আজ দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আক্কেলপুর যাচ্ছিলেন। পথে কেশাইল শ্যালুকুড়ি ব্রিজের কাছাকাছি পৌঁছালে এক ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে সামনে থাকা একটি ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে রায়হান ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারান। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত তাদের উদ্ধার করে আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রায়হান মারা যান।

দুর্ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী মিম্মা ও চার বছরের শিশুসন্তান আব্দুর রহমানও গুরুতর আহত হয়। তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত