আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামে ভাইদের আশ্রয়ে থাকতেন সম্বলহীন বিধবা প্রতিবন্ধী সালেহা বেগম (৫০)। দুই ছেলে বিয়ে করে থাকেন শ্বশুরবাড়ি। তাঁরা মায়ের কোনো খোঁজ নেন না।
ভিক্ষা করে পেট চলে এই নারীর। স্বামী বেঁচে থাকতেও একই কাজ করতে হতো তাঁকে। উপজেলার মাচনা ভূমিহীন পল্লিতে নিজ নামে বরাদ্দ সরকারি জমিতে মুজিববর্ষের উপহার পাকা ঘর পেয়েছেন তিনি। মাথা গোঁজার স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে যারপরনাই খুশি সালেহা।
একই পল্লিতে ঘর পেয়েছেন ভিক্ষুক গোলাম মোস্তফা। স্ত্রী শাহিদা বেগম ও মেয়ে বিউটি খাতুনও ভিক্ষা করেন। এই ভিক্ষুক পরিবার সিলেমপুর বাজারে সরকারি জমিতে খুপরিতে থাকত বহু বছর। সরকারি ঘর পেয়ে এই ভিক্ষুক পরিবার এখন লাখপতি।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় উপজেলার ভরতপুর গ্রামে অন্যের আশ্রয়ে থেকে মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে ভিক্ষা করতেন আকলিমা বেগম। এখনো ভিক্ষা করেন মা-মেয়ে। মাচনা মৌজায় তাঁরাও পেয়েছেন পাকা বাড়ি।
একই পল্লিতে চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে নতুন ঘরে উঠেছেন নানা রোগে আক্রান্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক। বাবা ইসমাইল হোসেনের কিছু না থাকায় বেগমপুর গ্রামে মামাদের আশ্রয়ে থাকতেন তিনি।
ঘর পাওয়া সালেহা বলেন, ‘অন্যের দুয়ারে চেয়েচিন্তে পেট চলে। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। কোনো দিন ভাবিনি পাকা ঘর হবে। সেই ঘরে ঘুমাতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় আমি পাকা ঘরে থাকছি। এখন আমার জমি হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মনিরামপুরের ২৯২টি ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে নিজের নামে দুই শতক জমি। সেখানে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকায় একটি বারান্দা, টয়লেট ও রান্নাঘরসহ রঙিন টিনের দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন মাচনা গুচ্ছগ্রামে গেলে এমনটি জানান ওই পল্লির বাসিন্দারা। ওই পল্লিতে ৬৪টি পরিবার ঘর পেয়েছে। মনিরামপুরে সরকারি জমিতে দুই ধাপে ২৯২টি পাকা ঘর নির্মিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য ২৯২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘এখনো অনেকে ঘরের জন্য আবেদন করছেন। সেগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। সামনে ঘর বরাদ্দ এলে প্রকৃত দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ভরতপুর গ্রামে ভাইদের আশ্রয়ে থাকতেন সম্বলহীন বিধবা প্রতিবন্ধী সালেহা বেগম (৫০)। দুই ছেলে বিয়ে করে থাকেন শ্বশুরবাড়ি। তাঁরা মায়ের কোনো খোঁজ নেন না।
ভিক্ষা করে পেট চলে এই নারীর। স্বামী বেঁচে থাকতেও একই কাজ করতে হতো তাঁকে। উপজেলার মাচনা ভূমিহীন পল্লিতে নিজ নামে বরাদ্দ সরকারি জমিতে মুজিববর্ষের উপহার পাকা ঘর পেয়েছেন তিনি। মাথা গোঁজার স্থায়ী ঠিকানা পেয়ে যারপরনাই খুশি সালেহা।
একই পল্লিতে ঘর পেয়েছেন ভিক্ষুক গোলাম মোস্তফা। স্ত্রী শাহিদা বেগম ও মেয়ে বিউটি খাতুনও ভিক্ষা করেন। এই ভিক্ষুক পরিবার সিলেমপুর বাজারে সরকারি জমিতে খুপরিতে থাকত বহু বছর। সরকারি ঘর পেয়ে এই ভিক্ষুক পরিবার এখন লাখপতি।
স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হওয়ায় উপজেলার ভরতপুর গ্রামে অন্যের আশ্রয়ে থেকে মেয়ে ফাতেমাকে নিয়ে ভিক্ষা করতেন আকলিমা বেগম। এখনো ভিক্ষা করেন মা-মেয়ে। মাচনা মৌজায় তাঁরাও পেয়েছেন পাকা বাড়ি।
একই পল্লিতে চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে নতুন ঘরে উঠেছেন নানা রোগে আক্রান্ত আবু বক্কর ছিদ্দিক। বাবা ইসমাইল হোসেনের কিছু না থাকায় বেগমপুর গ্রামে মামাদের আশ্রয়ে থাকতেন তিনি।
ঘর পাওয়া সালেহা বলেন, ‘অন্যের দুয়ারে চেয়েচিন্তে পেট চলে। জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। কোনো দিন ভাবিনি পাকা ঘর হবে। সেই ঘরে ঘুমাতে পারব। প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় আমি পাকা ঘরে থাকছি। এখন আমার জমি হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মনিরামপুরের ২৯২টি ভূমিহীন পরিবার পেয়েছে নিজের নামে দুই শতক জমি। সেখানে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকায় একটি বারান্দা, টয়লেট ও রান্নাঘরসহ রঙিন টিনের দুই কক্ষবিশিষ্ট পাকা বাড়ি নির্মিত হয়েছে।
গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন মাচনা গুচ্ছগ্রামে গেলে এমনটি জানান ওই পল্লির বাসিন্দারা। ওই পল্লিতে ৬৪টি পরিবার ঘর পেয়েছে। মনিরামপুরে সরকারি জমিতে দুই ধাপে ২৯২টি পাকা ঘর নির্মিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু আব্দুল্লাহ বায়েজিদ বলেন, মনিরামপুরে ভূমিহীনদের জন্য ২৯২টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।
মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, ‘এখনো অনেকে ঘরের জন্য আবেদন করছেন। সেগুলো যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। সামনে ঘর বরাদ্দ এলে প্রকৃত দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’
নদীর সুইচগেট, সেতু ও কালভার্ট দিয়ে দ্রুতগতিতে পানি ঢুকে পড়ছে মাঠে। ফলে কাশিয়াবাড়ী, ভোঁপাড়া, পালশা, কচুয়া, মারিয়া, নওদুলি, নৈদীঘি, মনিয়ারী, মাঝগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বিঘা জমির আমন ধান ও ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
১০ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, পিআর পদ্ধতির (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) প্রস্তাবে বিএনপি না-তে অনড়, জামায়াতে ইসলামী হ্যাঁ-তে অনড়। তবে আগামি সংসদ নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ দেশের জনগণ পিআর পদ্ধতি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে পেশিশক্তি,
২০ মিনিট আগেসিলেটের পর্যটন কেন্দ্র সাদাপাথরে লুটের ঘটনায় পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর বনানীতে থ্রি সিক্সটি শিশা লাউঞ্জে ইন্টারনেট ব্যবসায়ীকে হত্যার পেছনে রয়েছে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে