Ajker Patrika

শরীরচর্চার নির্দেশনা না শোনায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রকে বেত্রাঘাত, অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বাগেরহাট ও চিতলমারী প্রতিনিধি
Thumbnail image
আহত শিক্ষার্থীর ডান হাত ব্যান্ডেজ করে দেওয়া আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক শিক্ষার্থীকে (১০) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শরীরচর্চার সময় নির্দেশনা না মানার অভিযোগে তাকে মারধর করা হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া আহত শিক্ষার্থীর বাবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আহত শিশুর পরিবার জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক হ্যান্ডমাইক দিয়ে আঘাত করার পর শিক্ষার্থী দৌড়ে পালাতে চাইলে পিছু ধাওয়া করে তাকে বেত্রাঘাত করেন। এতে শিক্ষার্থীর ডান হাতের কনুই মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। বর্তমানে সে স্বাভাবিকভাবে কোনো কাজ করতে পারছে না।

গতকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সানসাইন কিডস কেয়ার কিন্ডারগার্টেনের পরিচালক সোহাগ মোল্লা এ মারধরের ঘটনা ঘটান।

আহত আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স উপজেলার আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। সে স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে তার অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহ আল প্রিন্স সানসাইন কিডস কেয়ারের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। এক থেকে দেড় মাস আগে স্কুলে একদিন অনুপস্থিত থাকার কারণে পরিচালক সোহাগ মোল্লা তাকে বেত্রাঘাত করেন। এ বিষয়ে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তখন আব্দুল্লাহর পরিবার ওই শিক্ষককে কোনো কিছু বলেননি।

২ ডিসেম্বর শরীরচর্চা করার সময় আব্দুল্লাহ শিক্ষক সোহাগের নির্দেশনা শুনতে পায়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানসাইন কিডস কেয়ারের পরিচালক সোহাগ মোল্লা হ্যান্ডমাইক দিয়ে তাকে আঘাত করে। এ সময় সে ভয়ে দৌড় দিলে সোহাগ মোল্লা তার পিছু গিয়ে পেটাতে থাকে। ওই শিক্ষার্থী ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের কনুইয়ে মারাত্মক চোট লাগে।

শিক্ষার্থীর বাবা মো. শহীদ শেখ জানান, ‘শরীরচর্চার সময় আমার ছেলে শিক্ষকের নির্দেশ শুনতে না পাওয়ায় এভাবে মারধর করেছে। এমন অমানবিক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্ত শিক্ষক শুধু আমার ছেলেকেই নয়, অন্যান্য শিক্ষার্থীকেও ভয় দেখিয়ে নির্যাতন করেন। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

অভিযুক্ত শিক্ষক সোহাগ মোল্লা মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘খেলাধুলার সময় হয়তো আঘাত লেগে থাকতে পারে। তবে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে ইউএনও তাপস পালের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত