মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’—গানটি ভীষণ পছন্দ স্কুলছাত্রী সোনিয়া শারমীন তনুর। আর তাইতো সকালের আলো ফুটতেই প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে চলে এসেছে তাঁর (কবির) গ্রামের বাড়িতে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ফুলের তোড়া নিয়ে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে আসে শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের তনুর মতো শতাধিক শিক্ষার্থী।
শ্রদ্ধা, গান, কবিতা আর আলোচনায় কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠাখালীতে একুশে পদকপ্রাপ্ত তারুণ্যের কবির ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ১০টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রুদ্রের বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বেলা ১১টায় রুদ্রের বাড়িতে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের ছোট ভাই সুমেল সারাফাত। মোংলা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও আলোচনা করেন, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, রুদ্র স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মাহামুদ হাসান ছোটমনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম, চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, রামপাল সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো। আলোচনা শেষে রুদ্রের গান পরিবেশন করেন রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও।
সভায় বক্তারা বলেন, রুদ্র ছিলেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সকল বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। বুদ্ধ বৃত্তিক আপোষকামিতায় দেশ যখন আকণ্ঠ নিমজ্জিত, সত্য যখন নির্বাসনে এই রকম অস্থির সময়ে রুদ্রকে আমাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন রুদ্র তার কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৫ বছর বয়সে রুদ্র রচনা করেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ ‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’ (১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’ (১৯৯০)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন।
তার রচিত ও সুরারোপিত ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’—গানটি দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। ১৯৮৭ সালে তসলিমা নাসরীনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মোংলায় বসে তিনি এ গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় এই গুণী কবির।
‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’—গানটি ভীষণ পছন্দ স্কুলছাত্রী সোনিয়া শারমীন তনুর। আর তাইতো সকালের আলো ফুটতেই প্রিয় কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাতে চলে এসেছে তাঁর (কবির) গ্রামের বাড়িতে। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় ফুলের তোড়া নিয়ে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কার্যালয়ে আসে শিরিয়া বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যাপীঠের তনুর মতো শতাধিক শিক্ষার্থী।
শ্রদ্ধা, গান, কবিতা আর আলোচনায় কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠাখালীতে একুশে পদকপ্রাপ্ত তারুণ্যের কবির ৩৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। সকাল ১০টায় রুদ্র স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে সংসদ চত্বর থেকে শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রুদ্রের বাড়িতে দোয়া অনুষ্ঠিত হয় এবং মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
বেলা ১১টায় রুদ্রের বাড়িতে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের ছোট ভাই সুমেল সারাফাত। মোংলা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আরও আলোচনা করেন, মিঠাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল, রুদ্র স্মৃতি সংসদের উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি মাহামুদ হাসান ছোটমনি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলা শাখার সভাপতি নূর আলম, চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, রামপাল সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো। আলোচনা শেষে রুদ্রের গান পরিবেশন করেন রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও।
সভায় বক্তারা বলেন, রুদ্র ছিলেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সকল বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। বুদ্ধ বৃত্তিক আপোষকামিতায় দেশ যখন আকণ্ঠ নিমজ্জিত, সত্য যখন নির্বাসনে এই রকম অস্থির সময়ে রুদ্রকে আমাদের নিজেদের জন্য, দেশের জন্য খুব প্রয়োজন ছিল। যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন রুদ্র তার কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।
প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৫ বছর বয়সে রুদ্র রচনা করেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ ‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’ (১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’ (১৯৯০)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন। এ ছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন।
তার রচিত ও সুরারোপিত ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’—গানটি দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। ১৯৮৭ সালে তসলিমা নাসরীনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মোংলায় বসে তিনি এ গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন। পরবর্তীতে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় এই গুণী কবির।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা এবং দুপুর আড়াইটা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দুই শিফটে দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের আঞ্চলিক কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
৩৯ মিনিট আগে২ বছরের শিশু মাশরিফ বাড়ির উঠোনে একা খেলা করছিল। হঠাৎ করে একটি কুকুর এসে তাকে এলোপাতাড়ি কামড়াতে থাকে। পরে তার ডাক চিৎকারে স্বজনরা এসে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে মাসরিফের শারীরিক অবস্থা হয়ে পড়ে আশঙ্কাজনক।
৪৩ মিনিট আগেপটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় খেলতে গিয়ে খাট থেকে পড়ে আয়শা (১৯ মাস) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজার-টেকনাফ মেরিনড্রাইভ সড়কে অবৈধভাবে চলাচল করার অপরাধে ২৮টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হিমছড়ি পুলিশ ফাঁড়ির চেকপোস্টে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা এ অভিযান পরিচালনা করেন।
১ ঘণ্টা আগে