Ajker Patrika

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কারাগারে

­যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য কারাগারে

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. আব্দুস সাত্তারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ (বিশেষ জজ আদালত) শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম।

সোমবার মামলার ধার্য তারিখে আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন ড. সাত্তার। কিন্তু বিচারক জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তবে মামলার অপর দুই আসামি—যবিপ্রবির উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আব্দুর রউফ এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন জামিনে রয়েছেন। এর আগে এই তিনজনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে নিয়োগ ও সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২৩ সালের ২১ আগস্ট যশোর দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক আল-আমিন তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০৯ সালের একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে আবেদন করেন আসামি আব্দুর রউফ। নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ছিলেন তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুস সাত্তার এবং সদস্য ছিলেন ইবির উপ-উপাচার্য ড. কামাল উদ্দিন।

ওই বছরের ২২ আগস্ট মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও কেউই উত্তীর্ণ হননি। বিজ্ঞপ্তির শর্ত অনুযায়ী আব্দুর রউফের প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা না থাকলেও তাকে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার ঘাটতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে ‘সেকশন অফিসার (গ্রেড-১, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)’ পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

রিজেন্ট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে ড. আব্দুস সাত্তার উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই তাকে ওই পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে আব্দুর রউফ সেকশন অফিসার থেকে সিলেকশন গ্রেডসহ বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে ২০১৪ সালে সহকারী পরিচালক এবং ২০২১ সালে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।

মামলায় বলা হয়েছে, এই অবৈধ নিয়োগের মাধ্যমে তিনি ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত ৬১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩২ টাকা বেতন-ভাতা বাবদ আত্মসাৎ করেছেন।

প্রসঙ্গত, যবিপ্রবিতে অবৈধ শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে সাবেক দুই উপাচার্য—ড. আব্দুস সাত্তার ও ড. আনোয়ার হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুদকের আরও একটি মামলা চলমান রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত