গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রোববার সকালে হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করেন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাবে কোথায়! আর এই ভিডিও যখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও দেখেছে, দেখছে। ওই শিক্ষকের লজ্জা-শরম যদি থাকে, তাহলে কখনোই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন নোংরা মানুষ কখনোই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, ‘এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে থাকে তাহলে নতুন কোনো ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক বরখাস্ত নয়, স্থায়ী বরখাস্ত চাই। তা ছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমি গতবার এই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আমার বোন পড়ে এই প্রতিষ্ঠানে। প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে ছাত্রীদের যে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা তাঁর সাময়িক পদত্যাগ নয়, স্থায়ী পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ না করলে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলে, ‘ছাত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক কাজ করেছে প্রধান শিক্ষক, এটা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা এবার প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই শিক্ষকের সম্পূর্ণ পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। কারণ, ওই ছাত্রীও দোষী।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মকলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর যে অনৈতিক ঘটনা ঘটে গেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আর স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা খুব ক্ষুব্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রোববার সকালে হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করেন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাবে কোথায়! আর এই ভিডিও যখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও দেখেছে, দেখছে। ওই শিক্ষকের লজ্জা-শরম যদি থাকে, তাহলে কখনোই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন নোংরা মানুষ কখনোই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, ‘এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে থাকে তাহলে নতুন কোনো ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক বরখাস্ত নয়, স্থায়ী বরখাস্ত চাই। তা ছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমি গতবার এই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আমার বোন পড়ে এই প্রতিষ্ঠানে। প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে ছাত্রীদের যে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা তাঁর সাময়িক পদত্যাগ নয়, স্থায়ী পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ না করলে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলে, ‘ছাত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক কাজ করেছে প্রধান শিক্ষক, এটা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা এবার প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই শিক্ষকের সম্পূর্ণ পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। কারণ, ওই ছাত্রীও দোষী।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মকলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর যে অনৈতিক ঘটনা ঘটে গেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আর স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা খুব ক্ষুব্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়।
গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রোববার সকালে হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করেন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাবে কোথায়! আর এই ভিডিও যখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও দেখেছে, দেখছে। ওই শিক্ষকের লজ্জা-শরম যদি থাকে, তাহলে কখনোই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন নোংরা মানুষ কখনোই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, ‘এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে থাকে তাহলে নতুন কোনো ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক বরখাস্ত নয়, স্থায়ী বরখাস্ত চাই। তা ছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমি গতবার এই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আমার বোন পড়ে এই প্রতিষ্ঠানে। প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে ছাত্রীদের যে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা তাঁর সাময়িক পদত্যাগ নয়, স্থায়ী পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ না করলে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলে, ‘ছাত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক কাজ করেছে প্রধান শিক্ষক, এটা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা এবার প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই শিক্ষকের সম্পূর্ণ পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। কারণ, ওই ছাত্রীও দোষী।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মকলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর যে অনৈতিক ঘটনা ঘটে গেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আর স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা খুব ক্ষুব্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই শিক্ষককে স্থায়ী বরখাস্ত করতে হবে। না হলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। রোববার সকালে হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা মানববন্ধন করে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের স্থায়ী বরখাস্ত দাবি করেন।
শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ‘একজন প্রধান শিক্ষকের চরিত্র যদি এমন হয়, তাহলে শিক্ষার্থীরা সঠিক শিক্ষা পাবে কোথায়! আর এই ভিডিও যখন ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন তো ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও দেখেছে, দেখছে। ওই শিক্ষকের লজ্জা-শরম যদি থাকে, তাহলে কখনোই ওই স্কুলে প্রবেশ করবে না। তার বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে আমরা আরও কঠিন আন্দোলনে যাব। এমন নোংরা মানুষ কখনোই শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। তাই তাঁর স্থায়ী বরখাস্ত চাই।’
স্থানীয় মনিরুজ্জামান সেন্টু বলেন, ‘এই শিক্ষক যদি বিদ্যালয়ে থাকে তাহলে নতুন কোনো ছাত্র-ছাত্রী আর এই বিদ্যালয়ে ভর্তি হবে না। তাই আমরা সাময়িক বরখাস্ত নয়, স্থায়ী বরখাস্ত চাই। তা ছাড়া এই শিক্ষক চাকরি করার কোনো যোগ্যতা রাখেন না। এটা আমাদের প্রতিষ্ঠান। আমরা এই শিক্ষককে আর এখানে দেখতে চাই না।’
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মাসুম পারভেজ বলেন, ‘আমি গতবার এই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছি। এখন আমার বোন পড়ে এই প্রতিষ্ঠানে। প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সঙ্গে ছাত্রীদের যে অশ্লীল ভিডিও প্রকাশ হয়েছে, তা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা তাঁর সাময়িক পদত্যাগ নয়, স্থায়ী পদত্যাগ চাই। পদত্যাগ না করলে তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে।’
নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন খাতুন বলে, ‘ছাত্রীর সঙ্গে যে অনৈতিক কাজ করেছে প্রধান শিক্ষক, এটা অত্যন্ত জঘন্য। আমরা এবার প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই শিক্ষকের সম্পূর্ণ পদত্যাগ দাবি করছি। আমরা ওই ছাত্রীরও বিচার চাই। কারণ, ওই ছাত্রীও দোষী।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মো. মকলেছুর রহমান বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে ছাত্রীর যে অনৈতিক ঘটনা ঘটে গেছে, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি বসে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করেছি। আর স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সরকারি বিধি মোতাবেক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। এ ছাড়া এই ঘটনা নিয়ে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা খুব ক্ষুব্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’
গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) বলেন, ‘প্রধান শিক্ষকের ভিডিও আমরা দেখেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লিখিত অভিযোগটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হবে।’
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমরা বিষয়টি জেনেছি। তবে এ ব্যাপারে এখনো লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিকেলে প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ ও এক ছাত্রীর একটি অশ্লীল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে পুরো গাংনীতে তোলপাড় শুরু হয়।

রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৭ মিনিট আগে
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২২ মিনিট আগে
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
২৭ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠক ঘিরে শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আওলাদ হোসাইনের আদালতে আজ রোববার হাজিরা দেন লতিফ সিদ্দিকী।
তাঁর আইনজীবী রেজাউল করিম হিরন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীকে আর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে ডিআরইউতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক চলাকালে হট্টগোল করে কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে শাহবাগ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম। এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান লতিফ সিদ্দিকী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু ব্যক্তি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে তাঁদের ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন ব্যক্তি বৈঠকটিতে অংশ নেন। পরে পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেয়। উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠক ঘিরে শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আওলাদ হোসাইনের আদালতে আজ রোববার হাজিরা দেন লতিফ সিদ্দিকী।
তাঁর আইনজীবী রেজাউল করিম হিরন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীকে আর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
গত ২৮ আগস্ট সকালে ডিআরইউতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক চলাকালে হট্টগোল করে কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে শাহবাগ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম। এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান লতিফ সিদ্দিকী।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু ব্যক্তি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে তাঁদের ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন ব্যক্তি বৈঠকটিতে অংশ নেন। পরে পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেয়। উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
২ ঘণ্টা আগে
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২২ মিনিট আগে
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
২৭ মিনিট আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ গভীর রাতে দুই যুবক মুক্তবাজার স্টাডি কেয়ার কোচিংয়ের পাশে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা কেরোসিন ঢেলে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করে মডেল কলেজের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করেছে।
জানতে চাইলে ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কেরোসিন ব্যবহার করে আগুন দেওয়া হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ কালো হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল পল্লী বিদ্যুৎসংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ গভীর রাতে দুই যুবক মুক্তবাজার স্টাডি কেয়ার কোচিংয়ের পাশে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা কেরোসিন ঢেলে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে অগ্নিসংযোগ করে মডেল কলেজের পাশের গলি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সিসিটিভি ফুটেজ ও আলামত সংগ্রহ করেছে।
জানতে চাইলে ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, কেরোসিন ব্যবহার করে আগুন দেওয়া হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ কালো হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত বুধবার রাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মহিপাল পল্লী বিদ্যুৎসংলগ্ন এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।

হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
২ ঘণ্টা আগে
রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৭ মিনিট আগে
বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২২ মিনিট আগে
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
২৭ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ, শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় নানাবাড়ির পাশে বাগান থেকে শিশু হাফসার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিশু হাফসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান আলী (২৮) ও সাব্বির হোসেন (২৫) নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে।
হাফসার নানা মল্লিক সরদার জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর, সুতার মিলের পেছনে, পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখানো লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক ধারণা, কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাগানে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। রোববার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ, শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় নানাবাড়ির পাশে বাগান থেকে শিশু হাফসার লাশ উদ্ধার করা হয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিশু হাফসাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান আলী (২৮) ও সাব্বির হোসেন (২৫) নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে।
হাফসার নানা মল্লিক সরদার জানান, গতকাল সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর, সুতার মিলের পেছনে, পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখানো লাশ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়াড়িদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম জানান, প্রাথমিক ধারণা, কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশে দুর্বৃত্তরা শিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাগানে ফেলে রেখে যায়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। রোববার পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারে কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
২ ঘণ্টা আগে
রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৭ মিনিট আগে
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।
২৭ মিনিট আগেপাবনা প্রতিনিধি

ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।

পর্বতারোহণ-বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তাঁর এই অভিযানে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আমা দাবলাম তার খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।

চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, ‘আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সকল তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।’
তৌকির বলেন, ‘আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সকল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সকল প্রাণই শক্তিশালী। তাই আসুন ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরও বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।’
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছেড়েছিলেন তৌকির। এরপর অভিযানে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা অ্যাক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষারপাত। এই তুষারপাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১-এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফুট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরও খারাপ হলে তাঁদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাঁদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
তীব্র তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচ দিন। তারপর সুখবর আসে রুট ওপেন হওয়ার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফুট উচ্চতার ক্যাম্প-১-এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফুট উচ্চতার ক্যাম্প-২-এ পৌঁছে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌঁছান তিনি।
তৌকির বলেন, ‘স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।’
তরুণ এই পর্বতারোহী জানান, এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তাঁর সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারও উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোনো শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬ হাজার ১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক এবং ৬ হাজার ৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
আহসানুজ্জামান তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তৌকির। তিনি চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল ই-তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।

ষষ্ঠ বাংলাদেশি হিসেবে হিমালয়ের অন্যতম টেকনিক্যাল পর্বত আমা দাবলাম জয় করেছেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির (২৭)। ৪ নভেম্বর নেপাল সময় বেলা ১টার দিকে ৬ হাজার ৮১২ মিটার উচ্চতার আমা দাবলাম চূড়া স্পর্শ করেন তিনি।

পর্বতারোহণ-বিষয়ক অর্গানাইজেশন রোপ ফোরের পৃষ্ঠপোষকতা ও তত্ত্বাবধানে এই অভিযানটি পরিচালিত হয়। তাঁর এই অভিযানে সঙ্গী হিসেবে ছিলেন রোপ ফোরের আরেকজন তরুণ পর্বতারোহী আবরারুল আমিন অর্ণব।
আমা দাবলাম তার খাড়া বরফ দেয়াল, গভীর ক্রেভাস, ঝুলন্ত বরফ খণ্ড এবং কঠিন আবহাওয়ার প্রতিকূলতার জন্য পৃথিবীর অন্যতম চ্যালেঞ্জিং পর্বত হিসেবে পরিচিত। তৌকিরের এই অভিযানটি ছিল বাংলাদেশি পর্বতারোহণ ইতিহাসে এক গৌরবময় সংযোজন।

চূড়ায় পৌঁছার প্রতিক্রিয়ায় তৌকির বলেন, ‘আমা দাবলাম আমার কাছে শুধু একটা পর্বত নয়, এটা ছিল নিজের সীমা পরীক্ষা করার যাত্রা। পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর এই পর্বতের চূড়ায় দাঁড়িয়ে যখন লাল-সবুজ পতাকাটা তুলে ধরলাম, মনে হলো এটি শুধু আমার সফলতা নয়, এটি বাংলাদেশের সকল তরুণের স্বপ্নের স্পন্দন।’
তৌকির বলেন, ‘আমার এই অভিযানটা ছিল পৃথিবীর সকল বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষের জন্য, যাদের জীবনটা কেটে যায় অন্যের ওপর ডিপেন্ড করে এবং চার দেয়ালের আলোতে পৃথিবী দেখে। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীতে আসা সকল প্রাণই শক্তিশালী। তাই আসুন ডিপেন্ডেবল এই মানুষগুলোর ওপর আরও বিনয়ী হই, ভালোবাসা এবং সাহায্যে তৈরি করি তাদের নতুন পৃথিবী।’
যেভাবে ‘আমা দাবলাম’ জয় করলেন তৌকির
গত ১২ অক্টোবর দুঃসাহসিক এই অভিযানের জন্য দেশ ছেড়েছিলেন তৌকির। এরপর অভিযানে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে শুরু হয় মূল অভিযান। হিমালয়ের পাহাড়ি বন্ধুর পথ ধরে ট্রেকিং করে তিনি বেস ক্যাম্পে পৌঁছান ২২ অক্টোবর। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তিনি শুরু করেন উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ায় কৌশল। যা অ্যাক্লিমাটাইজ রোটেশন নামে পরিচিত। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের ২৯ অক্টোবর সামিটের কথা থাকলেও ২৭ অক্টোবর থেকে হিমালয়ের শুরু হয় তীব্র তুষারপাত। এই তুষারপাতের মধ্যেই তৌকির অবস্থান করেন আমা দাবলাম ক্যাম্প-১-এ। যার উচ্চতা প্রায় ১৯ হাজার ফুট। ২৮ অক্টোবর আবহাওয়া আরও খারাপ হলে তাঁদের শেরপা লিডার সিদ্ধান্ত নেন বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার। তীব্র এই তুষার ঝড়ের মধ্যে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে তাঁদের দল বেস ক্যাম্পে পৌঁছায়। বেস ক্যাম্পে পৌঁছে শুরু হয় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ।
তীব্র তুষার পাতের কারণে ফিক্সড রোপ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আবহাওয়া ভালো হতে শুরু করলেও নতুন রুট ওপেন না করা পর্যন্ত সামিট পুশ সম্ভব হচ্ছিল না। এভাবেই কেটে যায় পাঁচ দিন। তারপর সুখবর আসে রুট ওপেন হওয়ার। নভেম্বরের ২ তারিখ শুরু হয় আবার সামিট বিট। এদিনে তৌকির পৌঁছে যান ১৯ হাজার ফুট উচ্চতার ক্যাম্প-১-এ। এরপর ৩ তারিখ ইয়োলো টাওয়ার খ্যাত ১৯ হাজার ৬৮৫ ফুট উচ্চতার ক্যাম্প-২-এ পৌঁছে কিছু সময় বিশ্রাম নিয়ে শুরু করেন সামিট পুশ। তীব্র বাতাস, ফিক্সড রোপে অতিরিক্ত ট্রাফিক এবং আইস ফলকে উপেক্ষা করে ৪ নভেম্বর ২২ হাজার ৩৪৯ ফুট উচ্চতার ‘আমা দাবালাম’ চূড়ায় পৌঁছান তিনি।
তৌকির বলেন, ‘স্বপ্ন যদি সত্যিকার অর্থে জ্বলে, তবে পাহাড়ও নত হয়। প্রতিটি শিখর আমাদের শেখায়, সীমা কেবল মনেই থাকে, সফলতায় নয়।’
তরুণ এই পর্বতারোহী জানান, এবারের স্বপ্ন পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট। এই লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোচ্ছেন। এখন প্রয়োজন তাঁর সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ২০২৬ সালেই পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়ায় আবারও উড়াতে চান বাংলাদেশের পতাকা।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নেপালের তিনটি ছয় হাজার মিটার পর্বত চূড়া স্পর্শ করেন পাবনার আহসানুজ্জামান তৌকির। ২৭ দিনের অভিযানে গিয়ে কোনো শেরপা সাপোর্ট ছাড়াই পর্বতগুলো আরোহণ করেন তিনি। পর্বতগুলো হলো ৬ হাজার ১১৯ মিটার উচ্চতার লবুচে পিক, ৬ হাজার ১৬৫ মিটার উচ্চতার আইল্যান্ড পিক এবং ৬ হাজার ৪৬১ মিটার উচ্চতার মেরা পিক।
আহসানুজ্জামান তৌকির পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর মহল্লার আকরাম হোসেন সাবু-সুলতানা সামিয়া পারভীন দম্পতি ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট তৌকির। তিনি চাটমোহর রাজা চন্দ্রনাথ ও বাবু শম্ভুনাথ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি, রাজশাহী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ট্রিপল ই-তে বিএসসি সম্পন্ন করেছেন।

হাড়াভাঙ্গা এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জামশেদ আলী বলেন, ‘আমরা চাই এটার বিচার হোক। আমাদের অনেক কষ্টে গড়া এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একজন শিক্ষকের জন্য এটা নষ্ট হয়ে যাবে, তা কখনোই আমরা হতে দেব না।’
২ ঘণ্টা আগে
রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
১৭ মিনিট আগে
ফেনীতে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার শহরের মুক্তবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে স্মৃতিস্তম্ভের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
২১ মিনিট আগে
বাবা প্রবাসে থাকায় নানা মল্লিক সরদারের বাড়িতে থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে লেখাপড়া করত ৯ বছরের শিশু হাফসা। সেই বাড়িতে আজ শোকের আঁধার নেমে এসেছে। কারণ শিশু হাফসা আর নেই। তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২২ মিনিট আগে