Ajker Patrika

ভাই কাদের সিদ্দিকীকে নিয়ে আদালতে হাজিরা দিলেন লতিফ সিদ্দিকী

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আওলাদ হোসাইনের আদালতের সামনে কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকী। ছবি: ফোকাস বাংলা
রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আওলাদ হোসাইনের আদালতের সামনে কাদের সিদ্দিকী ও লতিফ সিদ্দিকী। ছবি: ফোকাস বাংলা

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত একটি গোলটেবিল বৈঠক ঘিরে শাহবাগ থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে হাজিরা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহম্মদ আওলাদ হোসাইনের আদালতে আজ রোববার হাজিরা দেন লতিফ সিদ্দিকী।

তাঁর আইনজীবী রেজাউল করিম হিরন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত লতিফ সিদ্দিকীকে আর আদালতে হাজিরা দিতে হবে না। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

রেজাউল করিম বলেন, লতিফ সিদ্দিকীর বয়স হওয়ায় তাঁর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফের আবেদন করা হয়েছিল। শুনানি শেষে আদালত লতিফ সিদ্দিকীর ব্যক্তিগত হাজিরা মওকুফ করে আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৮ আগস্ট সকালে ডিআরইউতে ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠক চলাকালে হট্টগোল করে কয়েকজন ব্যক্তি। এ সময় লতিফ সিদ্দিকীসহ অন্তত ১৬ জনকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রাতে শাহবাগ থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন শাহবাগ থানার এসআই মো. আমিরুল ইসলাম। এই মামলায় গ্রেপ্তারের পর ১২ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান লতিফ সিদ্দিকী।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২৮ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী দেখতে পান, বেশ কিছু ব্যক্তি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির অডিটরিয়ামে কিছু লোককে ঘেরাও করে তাঁদের ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দিচ্ছে এবং আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বক্তব্য দিচ্ছেন। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধে ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ওই সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেওয়া। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ২৮ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে ওই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তার হওয়া আসামিরাসহ আরও ৭০-৮০ জন ব্যক্তি বৈঠকটিতে অংশ নেন। পরে পুলিশ তাঁদের হেফাজতে নেয়। উপস্থিত লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, লতিফ সিদ্দিকী ‘মঞ্চ ৭১’-এর ব্যানারকে পুঁজি করে প্রকৃতপক্ষে দেশকে সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অস্থিতিশীল করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র ও উপস্থিত অন্যদের প্ররোচিত করে বক্তব্য দিচ্ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১০ম গ্রেডের আন্দোলন: পুলিশের ‘সাউন্ড গ্রেনেডে অসুস্থ’ শিক্ষিকার মৃত্যু

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
ফাতেমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত
ফাতেমা আক্তার। ছবি: সংগৃহীত

দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফার আন্দোলনে রাজধানীতে অসুস্থ হয়ে পড়া শিক্ষক ফাতেমা আক্তার মারা গেছেন। আজ রোববার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

শিক্ষক নেতাদের অভিযোগ, ৮ নভেম্বর রাজধানীতে শিক্ষকদের পদযাত্রায় পুলিশের ছোড়া সাউন্ড গ্রেনেডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর আজ শিক্ষক ফাতেমা আক্তারের মৃত্যু হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির (শাহিন-লিপি) সাধারণ সম্পাদক খায়রুন নাহার লিপি আজকের পত্রিকাকে জানান, ৮ নভেম্বর আন্দোলনস্থলে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের পর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর কয়েক দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মারা যান।

ফাতেমা আক্তার চাঁদপুরের মতলব উত্তরের ৫ নম্বর ঝিনাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা এবং একই এলাকার বাসিন্দা ডি এম সোলেমানের স্ত্রী।

ফাতেমা আক্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষক সংগঠনের নেতারা। প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বায়ক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাছুদ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘১০ম গ্রেড আন্দোলনের এক সাহসী যোদ্ধাকে হারালাম। মতলব উত্তরের গর্ব ফাতেমা আক্তার আমাদের ছেড়ে গেলেন।’

খায়রুন নাহার লিপি লেখেন—‘ফাতেমা আপা শহীদ মিনারের আন্দোলনে ছিলেন। সাউন্ড গ্রেনেডের পর থেকে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন। এ মৃত্যুর বিচার চাই। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিভাজন না করে কালো ব্যাজ ধারণ করে শোক পালনের আহ্বান জানাই।’

উল্লেখ্য, দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দাবিতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা। ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি শিক্ষক সংগঠনের মোর্চার ব্যানারে ৮ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে শিক্ষকদের পদযাত্রায় লাঠি, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান নিয়ে হামলা চালায় পুলিশ। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাভারে ৫ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাসে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক ও সাভার প্রতিনিধি (ঢাকা) 
আগুনে বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
আগুনে বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত

সাভারের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দুটি বাসে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এর আগে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা ইউটার্নের পাশে দাঁড় করিয়ে রাখা আরও একটি বাসে আগুন লাগে।

সাভার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মেহেরুল ইসলাম বলেন, ‘রাত পৌনে ৪টার দিকে আমরা ফুলবাড়িয়ায় বাসে আগুন ধরার খবর পাই। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাসের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে বাসের ভেতরের অংশ পুড়ে যায়।’

কীভাবে বাসটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে—জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যখন ঘটনাস্থলে যাই, তখন বাসে আগুন জ্বলছিল। এ সময় স্থানীয়রা জানান, কেউ হয়তো বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়ে গেছে।’

এদিকে গেন্ডায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে বাসের চালক সেলিম মিয়া বলেন, ‘বাসটিতে মেট্রো নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আনা-নেওয়া করা হতো। গতকাল রাতে শ্রমিকদের নামিয়ে দিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের গেন্ডা ইউটার্নের পাশে গাড়িটি পার্কিং করে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাসের পেছনে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। তখন আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আগুনের তাপে জেগে উঠি এবং বাস থেকে লাফিয়ে নেমে যাই।’

জানতে চাইলে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ বলেন, বাস দুটিতে কীভাবে আগুন ধরেছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিতে পারে আবার অন্য কোনো কারণে লাগতে পারে। তদন্তের পর বলা যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বরগুনায় ‘সর্বাত্মক শাটডাউন’ লিখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তালা, পুলিশ বলছে—অভ্যন্তরীণ কোন্দল

বরগুনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৮: ৫৬
বরগুনার বামনার বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফটকে তালা। ছবি: সংগৃহীত
বরগুনার বামনার বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ফটকে তালা। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার বামনা উপজেলায় কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাতের আঁধারে ফটকে শিকল বেঁধে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। দুর্বৃত্তরা ‘সর্বাত্মক শাটডাউন’ লেখা একটি কাগজও তাতে লাগিয়ে রাখে। তবে পুলিশ বলছে, এই তালাবদ্ধ করার ঘটনা ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলেও হতে পারে।

আজ রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের বামনা উপজেলা সভাপতি হাসিবুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েকটি তালাবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের ছবি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন ‘১৬ এবং ১৭ নভেম্বর ‘‘সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি’’র সমর্থনে বরগুনার বামনা উপজেলার বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, বুকাবুনিয়া ভূমি অফিস এবং বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় গেট তালাবদ্ধ।’

এর আগে অপর একটি পোস্টে হাসিবুর রহমান লেখেন, ‘১৬ এবং ১৭ নভেম্বর ‘‘সর্বাত্মক শাটডাউন কর্মসূচি’’র সমর্থনে বরগুনার বামনা সরকারি কলেজের গেট তালাবদ্ধ।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতকাল শনিবার রাতে বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও বামনা সরকারি ডিগ্রি কলেজের মূল ফটকে শিকল দিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখে কে বা কারা। এর সঙ্গে ছাত্রলীগের যোগসূত্র থাকতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা।

বুকাবুনিয়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অঞ্জন চ্যাটার্জি বলেন, সকালে এসে ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা স্কুলগেটে শিকল দেওয়া তালা মারা দেখতে পায়। সেখানে কাগজে লেখা ‘সর্বাত্মক শাটডাউন’ লেখাটি ছিল। পরে পুলিশকে খবর দিয়ে তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে। তারপর নিয়মিত ক্লাস চলছে।

তবে বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘটনাটির খবর শুনে দ্রুত ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি কারা করেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে বুকাবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদে দ্বন্দ্ব রয়েছে, ভূমি অফিসের বিরুদ্ধে মানববন্ধন হয়েছে, স্কুলেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এসব কারণে নিজেদের লোকেরাই তালা দিয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মুড়ির কারখানায় শ্রমিকের মৃত্যু

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মুড়ির তৈরির কারখানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মুড়ির তৈরির কারখানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুরের শ্রীপুরে মুড়ির কারখানায় কাজ করা মো. নাঈম খান (২০) নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নাঈম উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের আল মদিনা ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতেন। কারখানাটির শ্রমিকদের দাবি, শনিবার দিবাগত রাতে নাঈম মুড়ির মিলে কাজ করার সময় চালের বস্তার নিচে চাপা পড়ে মারা যান।

নাঈম ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার হারিয়াকান্দি গ্রামের মো. খলিলুর রহমানের ছেলে।

কারখানার শ্রমিক লাল মিয়া বলেন, নাঈম রাতে গুদাম থেকে চালের বস্তা বের করার কাজ করছিলেন। হঠাৎ চালের বস্তা বের করার সময় স্তূপ করে রাখা বস্তা তাঁর ওপর পড়ে। এ সময় অন্য শ্রমিকেরা চালের বস্তা সরিয়ে নাঈমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরও বলেন, ‘নাঈমের ওপর অনেক বস্তা পড়ে যাওয়ায় সে চাপা পড়ে। যখন আমরা উদ্ধার করি, তখন তার কোনো ধরনের জ্ঞান ছিল না। মনে হচ্ছে ঘটনাস্থলেই সে মারা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে থেঁতলে গেছে।’

নিহত শ্রমিকের খালা রেখা আক্তার বলেন, ‘রাতে এমন ঘটনা ঘটলেও ভোরে কারখানার লোকজন আমাদের জানায়। খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে মরদেহ পাই। নাঈমের সঙ্গে কাজ করা অন্য শ্রমিকেরা জানিয়েছে, সে চালের বস্তার নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে।’

এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য আল মদিনা ফুড ইন্ডাস্ট্রি কর্তৃপক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক অনিকা বলেন, নাঈম নামের এক শ্রমিককে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত