ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
‘বিশ মিনিটের মধ্যে টেন্ডার তুলে নিবি, নাইলে তোর বাপকেও ছাড়ব না। ঝিনাইদহ শহরে মস্তানি করতি হলি আমাদের ট্যাক্স দিয়ে করতি হবি’, ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির এমন কথোপকথনের একটি অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের কল রেকর্ডটি তাজিমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ছিল।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন। তিনি দাবি করেছেন রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে। সজীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে অডিও রেকর্ড প্রচার করা হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তবে, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কিছু পদবঞ্চিত মানুষ আছে, যারা হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সঠিক ঘটনা প্রকাশের অনুরোধ করছি সংবাদকর্মীদের।’
ভাইরাল কল রেকর্ডের অপর পাশের ব্যক্তি তাজিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সজীবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। কীভাবে এই কল রেকর্ড আসল আর কীভাবে তা ভাইরাল হলো—এটা আমার বোধগম্য না। কেউ এডিট করে এই অপপ্রচার করেছে। আমাদের বাড়ি সদর উপজেলার কনেজপুর গ্রামে। বাবা কুতুব উদ্দিন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। আমার লেখাপড়া শেষ, ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়েছি। এখন ব্যবসা-বাণিজ্য ও ঠিকাদারি করি।’
এর আগে গতকাল বুধবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘ওই দিন কী দিয়ে কী হয়েছিল তা আমিও বুঝতে পারছি না। আধুনিক যুগ, কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। এই দেখলেন, দুটো কথা বলে ফেঁসে গেছি আমি নিজেই! যেটা হয়েছে সেটা পাস্ট ইজ পাস্ট।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলেটা আমার ভাগনে, ছাত্রলীগ করে, আমার কর্মী। তাকে শাসন করেছি।’
কত টাকার দরপত্র ছিল জানতে চাইলে তাজিমুল বলেন, ‘কত টাকার টেন্ডার ছিল সেটা মনে নেই। তবে কাজটা হতে পারে খাল কাটা বা রিপেয়ারিং হবে হয়তো। সজীব আর আমার ভেতরে কী কথা হয়েছে সেটা আমরাই জানি।’
কথোপকথনে ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘ঝিনাইদহ শহরে মস্তানি করতি হলি আমাদের ট্যাক্স দিয়ে করতি হবি। এই জায়গা কিছু বলতি হলি, আমাদের ট্যাক্স দিতে হবি।’
তখন তাজিমুল বলেন, ‘আমি কি মস্তান, আপনার কি মনে হয় আমি মস্তান?’ তখন সজীব অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে বলেন, ‘তাইলে তুই শিডিউল ফেলিছিস কী জন্যি?’
জবাবে তাজিমুল বলে, ‘আমি ফেললি তো আপনাকে বলেই দিতাম।’ সজীব হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বিশ মিনিট সময় দিলাম এর মধ্যে শিডিউল তুলে নে, না হলে তোর বাপকেও ছাড়বোনানে।’ এই বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন সজীব হোসেন।
এ সময় মোবাইল ফোনে সজীব হোসেনের পাশ থেকে আরও কয়েকজনের অস্পষ্ট কথা শোনা যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানা হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বকাঝকা ভাইরাল হয়েছে, সেটা অবশ্যই খারাপ হয়েছে। একজন ছাত্রলীগের সভাপতির এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি।’
‘বিশ মিনিটের মধ্যে টেন্ডার তুলে নিবি, নাইলে তোর বাপকেও ছাড়ব না। ঝিনাইদহ শহরে মস্তানি করতি হলি আমাদের ট্যাক্স দিয়ে করতি হবি’, ঠিকাদারি কাজ নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির এমন কথোপকথনের একটি অডিও কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। ১ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডের কল রেকর্ডটি তাজিমুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ছিল।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন। তিনি দাবি করেছেন রেকর্ডটি এডিট করা হয়েছে। সজীব লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমাকে জড়িয়ে যে অডিও রেকর্ড প্রচার করা হচ্ছে, সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটা এডিট করে প্রচার করা হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। তবে, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির কিছু পদবঞ্চিত মানুষ আছে, যারা হয়তো ষড়যন্ত্র করে আমার নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং সঠিক ঘটনা প্রকাশের অনুরোধ করছি সংবাদকর্মীদের।’
ভাইরাল কল রেকর্ডের অপর পাশের ব্যক্তি তাজিমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সজীবের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো। কীভাবে এই কল রেকর্ড আসল আর কীভাবে তা ভাইরাল হলো—এটা আমার বোধগম্য না। কেউ এডিট করে এই অপপ্রচার করেছে। আমাদের বাড়ি সদর উপজেলার কনেজপুর গ্রামে। বাবা কুতুব উদ্দিন জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডে নৈশপ্রহরীর চাকরি করেন। আমার লেখাপড়া শেষ, ছাত্রলীগের রাজনীতি ছেড়েছি। এখন ব্যবসা-বাণিজ্য ও ঠিকাদারি করি।’
এর আগে গতকাল বুধবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে তাজিমুল ইসলাম বলেন, ‘ওই দিন কী দিয়ে কী হয়েছিল তা আমিও বুঝতে পারছি না। আধুনিক যুগ, কথা যত কম বলা যায় ততই ভালো। এই দেখলেন, দুটো কথা বলে ফেঁসে গেছি আমি নিজেই! যেটা হয়েছে সেটা পাস্ট ইজ পাস্ট।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছেলেটা আমার ভাগনে, ছাত্রলীগ করে, আমার কর্মী। তাকে শাসন করেছি।’
কত টাকার দরপত্র ছিল জানতে চাইলে তাজিমুল বলেন, ‘কত টাকার টেন্ডার ছিল সেটা মনে নেই। তবে কাজটা হতে পারে খাল কাটা বা রিপেয়ারিং হবে হয়তো। সজীব আর আমার ভেতরে কী কথা হয়েছে সেটা আমরাই জানি।’
কথোপকথনে ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসেনকে বলতে শোনা যায়, ‘ঝিনাইদহ শহরে মস্তানি করতি হলি আমাদের ট্যাক্স দিয়ে করতি হবি। এই জায়গা কিছু বলতি হলি, আমাদের ট্যাক্স দিতে হবি।’
তখন তাজিমুল বলেন, ‘আমি কি মস্তান, আপনার কি মনে হয় আমি মস্তান?’ তখন সজীব অশ্লীল ভাষায় গালি দিয়ে বলেন, ‘তাইলে তুই শিডিউল ফেলিছিস কী জন্যি?’
জবাবে তাজিমুল বলে, ‘আমি ফেললি তো আপনাকে বলেই দিতাম।’ সজীব হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বিশ মিনিট সময় দিলাম এর মধ্যে শিডিউল তুলে নে, না হলে তোর বাপকেও ছাড়বোনানে।’ এই বলেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন সজীব হোসেন।
এ সময় মোবাইল ফোনে সজীব হোসেনের পাশ থেকে আরও কয়েকজনের অস্পষ্ট কথা শোনা যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রানা হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘যে বকাঝকা ভাইরাল হয়েছে, সেটা অবশ্যই খারাপ হয়েছে। একজন ছাত্রলীগের সভাপতির এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করা উচিত হয়নি।’
ভোলার লালমোহনে অভিযান চালিয়ে ৯টি অবৈধ ট্রলিং বোট জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২০ এপ্রিল) বিকেলে লালমোহন উপজেলার গজারিয়া খাল গোড়ায় এই অভিযান চালানো হয়। কোস্ট গার্ড ভোলা দক্ষিণ জোনের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার ও স্টাফ অফিসার অপারেশন রিফাত আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
২৫ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে অবস্থিত ইউএস–বাংলা মেডিকেল কলেজের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কলেজ ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে যাচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
২৮ মিনিট আগেনেছারাবাদে আরামকাঠি ক্ষুদ্র সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির পরিচালক মো. রহমাত উল্লাহর বিরুদ্ধে পাঁচ সহস্রাধিক গ্রাহকের হাজার কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আজ রোববার তাঁর বাড়িতে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকেরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে সমিতির ম্যানেজার-মাঠকর্মীসহ সাতজনকে আটক করে পুলিশের হাতে
৩৫ মিনিট আগেচিরকুটে লেখা ছিল, ‘বিয়ের পর আমার বাবা-মা, স্বামীর পরিবারের সাথে কোনো যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোনো সরকারি কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।’
৩৯ মিনিট আগে