আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
বাবা জুতা সেলাই ও রং করার কাজ করেন। মা করেন টায়ার টিউব কাটার কাজ। তবে এই অভাবের সংসারেও লেখাপড়া করে পরিবারের দুই ছেলে। যশোরের মনিরামপুরের খানপুর ঋষিপল্লির এই পরিবারে এখন শত কষ্টের মাঝেও আনন্দের বন্যা বইছে। পরিবারের ছোট ছেলে অপু দাস সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
ছেলের ডাক্তারি পড়ার খবরে একদিকে যেমন অসিত দাসের পরিবারে হাসি ফুটেছে, পাশাপাশি দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সদস্যদের কপালে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনে ৩০০ টাকা আয় করা বাবা ছেলের ভর্তির টাকা জোগাবেন কীভাবে, তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
সহায়-সম্বলহীন অসিত দাস কাজের খোঁজে প্রায় ৪০ বছর আগে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে মনিরামপুরের খানপুরে এসেছিলেন। একপর্যায়ে গ্রামের সাধনা দাসকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যান। শাশুড়ির দেওয়া তিন শতক জমির ওপর ঘর বেঁধে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস অসিত দাসের। তাঁর বড় ছেলে তিতাস দাস কেশবপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পড়ালেখার পাশাপাশি মনিরামপুর বাজারে একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে কাজ করেন।
ছোটবেলা থেকে মেধাবী অপু স্থানীয় খানপুর ঋষিপল্লির ব্র্যাকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে মনিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও মনিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে একই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রথমবার মেডিকেলে ভর্তি হতে ব্যর্থ হলেও চলতি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
অপু দাস বলেন, ‘একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় টিউশনি করেছি। বাবার ৩০০ টাকার আয় থেকে মাঝে মাঝে খরচ নিয়েছি। প্রাইভেট শিক্ষকেরা আমাকে বিনা টাকায় পড়িয়েছেন।’
অপু বলেন, জীবনের বড় আশা ছিল একজন চিকিৎসক হব। ভর্তির সুযোগও পেয়েছি, কিন্তু সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। শুনেছি, ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষের বইসহ শিক্ষা উপকরণ কিনতে প্রায় লাখ টাকা লাগবে। বাবা কীভাবে সামাল দেবেন বুঝতে পারছি না।
বাবা অসিত দাস বলেন, ‘আমি লেখাপড়া জানিনে। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। খেতখোলা নেই। জুতার কাজ করে সংসার চালাই। ওরা অনেক কষ্টে লেখাপড়া করছে। বাবা হয়ে বলতে লজ্জা পাচ্ছি। ছোট ছেলেটা ডাক্তারি চান্স পাইছে। শুনে খুশি হইছি। আমার মতো জুতা সেলাই করা লোকের ছেলে ডাক্তারি পড়বে এটা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে ওরে পড়াবানে, এইটা ভাবতে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।’
মা সাধনা দাস বলেন, ‘অন্য দশজনের মতো ছেলেদের ভালো কাপড়-চোপড়, বইখাতা দিতে পারিনি। ওদের বাবা রাস্তায় বসে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে। আমার অপু আজ ডাক্তার হবে এই কথা শুনে ভালো লাগছে, কিন্তু ওকে যে কীভাবে আমরা পড়াব তাই ভাবছি।’
অপুর শিক্ষক অধ্যাপক বাবুল আকতার বলেন, ‘কঠোর অধ্যবসায় ও ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সবকিছু অর্জন করা যায়, তার দৃষ্টান্ত অপু দাস। দারিদ্র্য হার মেনেছে তার ইচ্ছা শক্তির কাছে। ছেলেটির সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।’
এদিকে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় মনিরামপুরের মশ্মিমনগরের পারখাজুরা গ্রামের মেধাবী ছাত্র আব্দুল মতিনের পরিবার। বাবা হাফিজুর রহমান স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন পাওয়া এই দরিদ্র পিতার মেজো ছেলে আব্দুল মতিন চলতি শিক্ষাবর্ষে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
ছোট থেকে মেধাবী আব্দুল মতিন অষ্টম শ্রেণিতেও বৃত্তি পেয়েছেন। স্থানীয় পারখাজুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ ও বৃত্তি পেয়ে তিনি ভর্তি হন যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকেও একই বিভাগে তিনি এ প্লাস ও বৃত্তি পেয়েছেন।
আব্দুল মতিনের মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মুয়াজ্জিন। পাশাপাশি খেতখোলায় কাজ করেন। ভিটেমাটি ছাড়া মাঠে ৫-৭ কাঠা জমি আছে। আট সন্তান নিয়ে কষ্টের সংসারে আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেছেন। মেজো ছেলেটা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। আমরা সবাই আনন্দিত।’
আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার বড় ছেলে আব্দুল গফুর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে টিউশনি করে আব্দুল মতিনের খরচ দিয়েছে। অনেকে ছেলের চান্স পাওয়ার খবর শুনে আনন্দিত হয়ে ২-৫ হাজার টাকা করে দিতে চাইছেন। কিন্তু একসাথে অনেক টাকা লাগবে। এত টাকা জোগাড় হবে কী করে তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।’
আব্দুল মতিন বলেন, ‘অক্লান্ত পরিশ্রম করে মা-বাবা ও বড় ভাই আমাকে এত দূরে এনেছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে নিকটাত্মীয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা সব সময় নানাভাবে সাহায্য করেছেন। এখন মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর সবাই অনেক খুশি হয়েছেন। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচের কথা ভাবতে গেলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ডাক্তারি পড়াশোনা শেষ করে গরিব মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ইচ্ছা মতিনের।
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
বাবা জুতা সেলাই ও রং করার কাজ করেন। মা করেন টায়ার টিউব কাটার কাজ। তবে এই অভাবের সংসারেও লেখাপড়া করে পরিবারের দুই ছেলে। যশোরের মনিরামপুরের খানপুর ঋষিপল্লির এই পরিবারে এখন শত কষ্টের মাঝেও আনন্দের বন্যা বইছে। পরিবারের ছোট ছেলে অপু দাস সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
ছেলের ডাক্তারি পড়ার খবরে একদিকে যেমন অসিত দাসের পরিবারে হাসি ফুটেছে, পাশাপাশি দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে সদস্যদের কপালে। রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে দিনে ৩০০ টাকা আয় করা বাবা ছেলের ভর্তির টাকা জোগাবেন কীভাবে, তা নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।
সহায়-সম্বলহীন অসিত দাস কাজের খোঁজে প্রায় ৪০ বছর আগে খুলনার ডুমুরিয়া থেকে মনিরামপুরের খানপুরে এসেছিলেন। একপর্যায়ে গ্রামের সাধনা দাসকে বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে থেকে যান। শাশুড়ির দেওয়া তিন শতক জমির ওপর ঘর বেঁধে স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে বসবাস অসিত দাসের। তাঁর বড় ছেলে তিতাস দাস কেশবপুর সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক পড়ালেখার পাশাপাশি মনিরামপুর বাজারে একটি ইলেকট্রনিকসের দোকানে কাজ করেন।
ছোটবেলা থেকে মেধাবী অপু স্থানীয় খানপুর ঋষিপল্লির ব্র্যাকের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে মনিরামপুর সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। সেখান থেকে ২০২০ সালে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও মনিরামপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০২২ সালে একই বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। প্রথমবার মেডিকেলে ভর্তি হতে ব্যর্থ হলেও চলতি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
অপু দাস বলেন, ‘একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় টিউশনি করেছি। বাবার ৩০০ টাকার আয় থেকে মাঝে মাঝে খরচ নিয়েছি। প্রাইভেট শিক্ষকেরা আমাকে বিনা টাকায় পড়িয়েছেন।’
অপু বলেন, জীবনের বড় আশা ছিল একজন চিকিৎসক হব। ভর্তির সুযোগও পেয়েছি, কিন্তু সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। শুনেছি, ভর্তি হয়ে প্রথম বর্ষের বইসহ শিক্ষা উপকরণ কিনতে প্রায় লাখ টাকা লাগবে। বাবা কীভাবে সামাল দেবেন বুঝতে পারছি না।
বাবা অসিত দাস বলেন, ‘আমি লেখাপড়া জানিনে। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে বড় হয়েছি। খেতখোলা নেই। জুতার কাজ করে সংসার চালাই। ওরা অনেক কষ্টে লেখাপড়া করছে। বাবা হয়ে বলতে লজ্জা পাচ্ছি। ছোট ছেলেটা ডাক্তারি চান্স পাইছে। শুনে খুশি হইছি। আমার মতো জুতা সেলাই করা লোকের ছেলে ডাক্তারি পড়বে এটা স্বপ্ন মনে হচ্ছে। কিন্তু কীভাবে ওরে পড়াবানে, এইটা ভাবতে দুশ্চিন্তা বেড়ে যায়।’
মা সাধনা দাস বলেন, ‘অন্য দশজনের মতো ছেলেদের ভালো কাপড়-চোপড়, বইখাতা দিতে পারিনি। ওদের বাবা রাস্তায় বসে জুতা সেলাইয়ের কাজ করে। আমার অপু আজ ডাক্তার হবে এই কথা শুনে ভালো লাগছে, কিন্তু ওকে যে কীভাবে আমরা পড়াব তাই ভাবছি।’
অপুর শিক্ষক অধ্যাপক বাবুল আকতার বলেন, ‘কঠোর অধ্যবসায় ও ইচ্ছাশক্তি দিয়ে সবকিছু অর্জন করা যায়, তার দৃষ্টান্ত অপু দাস। দারিদ্র্য হার মেনেছে তার ইচ্ছা শক্তির কাছে। ছেলেটির সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান করছি।’
এদিকে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় মনিরামপুরের মশ্মিমনগরের পারখাজুরা গ্রামের মেধাবী ছাত্র আব্দুল মতিনের পরিবার। বাবা হাফিজুর রহমান স্থানীয় একটি মসজিদের মুয়াজ্জিন। মাসে ৩ হাজার টাকা বেতন পাওয়া এই দরিদ্র পিতার মেজো ছেলে আব্দুল মতিন চলতি শিক্ষাবর্ষে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন।
ছোট থেকে মেধাবী আব্দুল মতিন অষ্টম শ্রেণিতেও বৃত্তি পেয়েছেন। স্থানীয় পারখাজুরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিকে জিপিএ-৫ ও বৃত্তি পেয়ে তিনি ভর্তি হন যশোর মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ে। সেখান থেকেও একই বিভাগে তিনি এ প্লাস ও বৃত্তি পেয়েছেন।
আব্দুল মতিনের মা আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মুয়াজ্জিন। পাশাপাশি খেতখোলায় কাজ করেন। ভিটেমাটি ছাড়া মাঠে ৫-৭ কাঠা জমি আছে। আট সন্তান নিয়ে কষ্টের সংসারে আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেছেন। মেজো ছেলেটা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। আমরা সবাই আনন্দিত।’
আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমার বড় ছেলে আব্দুল গফুর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স শেষ করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সে টিউশনি করে আব্দুল মতিনের খরচ দিয়েছে। অনেকে ছেলের চান্স পাওয়ার খবর শুনে আনন্দিত হয়ে ২-৫ হাজার টাকা করে দিতে চাইছেন। কিন্তু একসাথে অনেক টাকা লাগবে। এত টাকা জোগাড় হবে কী করে তা নিয়ে চিন্তা হচ্ছে।’
আব্দুল মতিন বলেন, ‘অক্লান্ত পরিশ্রম করে মা-বাবা ও বড় ভাই আমাকে এত দূরে এনেছেন। বাবা-মায়ের সঙ্গে নিকটাত্মীয় ও স্কুল-কলেজের শিক্ষকেরা সব সময় নানাভাবে সাহায্য করেছেন। এখন মেডিকেলে চান্স পাওয়ার পর সবাই অনেক খুশি হয়েছেন। কিন্তু মেডিকেলে পড়ার খরচের কথা ভাবতে গেলেই দুশ্চিন্তা শুরু হয়। ডাক্তারি পড়াশোনা শেষ করে গরিব মানুষের বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার ইচ্ছা মতিনের।
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেপিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে ফিরোজ আলম তাঁর স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।
হত্যার ঘটনায় বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল কালাম আকন বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও আট মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার ভোরা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দণ্ডপ্রাপ্ত ফিরোজ আলমের সঙ্গে ১৯৯৭ সালে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার পৈকখালী গ্রামের মৃত আমীর মল্লিকের মেয়ে বিউটি বেগমের বিয়ে হয়। এ দম্পতির মধ্যে পারিবারিক কলহের জেরে ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর রাতে ফিরোজ আলম তাঁর স্ত্রী ছয় সন্তানের জননী বিউটিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দায় থেকে নিজে বাঁচতে জমিজমা নিয়ে বিরোধ থাকা প্রতিবেশীদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেন ফিরোজ।
হত্যার ঘটনায় বিউটির ভাই মো. ইউনুস মল্লিক বাদী হয়ে ফিরোজকে নামীয় এবং কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ভান্ডারিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। পুলিশ তদন্ত করে ফিরোজের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয়। সাক্ষ্য-প্রমাণে সে দোষী সাব্যস্ত হলে আদালত এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পাবলিক প্রসিকিউটর) আবুল কালাম আকন বলেন, ‘আমরা এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করছি।’
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসি বলেন, ঢাকার শাহবাগ থানায় দায়ের করা সাইবার অপরাধ মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়ায় আসে। পরে সদর থানা-পুলিশকে মামলার বিষয় জানিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আসাদুজ্জামান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করার অভিযোগে ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানা-পুলিশ বাদী হয়ে সাকিব খানসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে থানায় মামলা করে। সেই মামলায় সাকিব খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩২ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেতাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে দক্ষতা, সক্ষমতা বাড়ানো ও স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলেও বাস্তবে তা এখন গলার কাঁটা হয়েছে। নিম্নমানের উপকরণ সরবরাহের ফলে শুরুতেই এসব ডিজিটাল ল্যাব মুখ থুবড়ে পড়েছে। পরিণত হয়েছে ই-বর্জ্যে। অথচ এসব ল্যাব পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন করে ল্যাব সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সরকারিভাবে নিয়মিত মাসিক বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন। ল্যাবে কাজ না থাকায় তাঁরা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পিয়নের দায়িত্ব পালন করছেন। এসব ল্যাব স্থাপনে এই উপজেলায় সরকারের প্রায় ৯ কোটি টাকা জলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একটি সিন্ডিকেট পুরোনো সংস্করণের ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, প্রিন্টার, স্ক্যানার, ওয়েবক্যাম, এলিইডি টিভি, হোয়াইটবোর্ড, রাউটার, ইন্টারনেট, ট্যাব, সার্ভার সিস্টেমসহ যাবতীয় হার্ডওয়ার ও ফার্নিচার সরবরাহ করায় এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তারা মানহীন পণ্য সরবরাহ করে এসব ল্যাব থেকে দুই থেকে তিন কোটি টাকা সুকৌশলে হাতিয়ে নিয়েছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সময়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের প্রকল্পের আওতায় তাড়াশ উপজেলায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পৌর সদরের তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার। অবশিষ্ট সাতটি স্কুল, চারটি কলেজ ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং একটি মাদ্রাসায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। এ ছাড়া আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প থেকে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়। সরেজমিনে অধিকাংশ ডিজিটাল ল্যাবের করুণ দশা দেখা গেছে।
তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, এখানে স্থাপিত ‘স্কুল অব ফিউচার’ কার্যত বন্ধ। প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম জানান, অপারেটর না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ। টেকনিশিয়ান চেয়ে বারবার আইসিটি অধিদপ্তরে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি।
নওগাঁ জিন্দানী ডিগ্রি কলেজের ডিজিটাল ল্যাবের ৩০টি ডেস্কটপ কম্পিউটারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম সম্পূর্ণ অচল এবং ল্যাবটি এখন ই-বর্জ্য ছাড়া আর কিছুই নয়। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. বেলাল হোসেন আনছারী বলেন, নিম্নমানের সরঞ্জামের কারণে ল্যাবটি অচল হয়ে পড়েছে।
গুল্টা বাজার শহীদ এম মনসুর আলী ডিগ্রি কলেজে ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পাঁচ থেকে সাতটি কম্পিউটার উধাও। অভিযোগ উঠেছে, কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুজ্জামান ও তাঁর নিকটজনেরা এসব ল্যাপটপ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করছেন।
অন্যান্য ল্যাবের অবস্থাও এই তিন ল্যাবের মতো। তবে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে কয়েকটি কম্পিউটার এখনো সচল রয়েছে। ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর ল্যাবের কক্ষটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, ল্যাব প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ১৪টি শর্ত প্রযোজ্য থাকলেও বাস্তবে তা মানা হয়নি। মূলত সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যরা নিয়মকানুন অমান্য করে তাঁদের পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ডিও লেটার দিয়েছেন এবং সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এসব ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ঠিক কত টাকা ব্যয় করা হয়েছে, তার সঠিক হিসাব তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ বলেন, প্রতিটি ল্যাব স্থাপনে গড়ে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেই হিসাবে তাড়াশের ১৮টি ল্যাবে ৯ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা এখন ব্যর্থতায় পর্যবসিত।
সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা অভিযোগ করেন, ল্যাবগুলোর সমস্যার বিষয়ে বারবার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরে আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি। উপজেলা আইসিটি অফিসারের কার্যালয় থেকে সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হলেও তা শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে।
তাড়াশ উপজেলা আইসিটি কর্মকর্তা মো. আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ল্যাব পরিদর্শনের প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ল্যাব প্রতিষ্ঠার সময় বরাদ্দ বা সরঞ্জামের মান সম্পর্কে তাঁদের অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে প্রতিষ্ঠানের প্রধানেরা এগুলো ফেলে রাখেন। যার ফলে তা একদিন অচল হয়ে যায়। তাঁর মতে, দ্রুত অর্থ বরাদ্দ করে বিশেষজ্ঞ দ্বারা ল্যাবগুলো নিয়মিত সার্ভিস করা না গেলে সরকারের আইসিটি শিক্ষা প্রদান কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের বর্তমান প্রকল্প পরিচালক এ এস এম লোকমান কোনো তথ্য দিতে পারেননি এবং আগের প্রকল্প পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ মিনিট আগেরাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
রাজধানীর কদমতলীতে নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে সিদ্দিকুর রহমান (৪৫) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে কদমতলী জনতাবাগ পুলিশ ফাঁড়ির পাশে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় স্বজনরা সিদ্দিকুর রহমানকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে বেলা পৌনে ১টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিদ্দিকুরের ছোট ভাই মো. ওয়াহিদ জানান, সিদ্দিকুর পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবনটির পঞ্চম তলায় ইলেকট্রিকের কাজ করছিলেন। কাজ করার সময় নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। সহকর্মীরা স্থানীয় ইসলামিয়া হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ভবন থেকে কীভাবে পড়ে গেছেন সিদ্দিকুর, তা জানেন না ওয়াহিদ।
সিদ্দিকুর রহমানের বাড়ি শরিয়তপুর জেলার সখীপুর থানার কালিকাকন্দি গ্রামে। তাঁর বাবা আব্দুস সাত্তার। সিদ্দিকুর স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কদমতলীর জনতাবাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
যশোরের মনিরামপুরের দুই মেধাবী শিক্ষার্থী অপু দাস ও আব্দুল মতিন এবার মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন। তাঁরা দুজনেই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। তাই খুশি হওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে পড়ার খরচ কীভাবে চলবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তা পেয়ে বসেছে তাঁদের।
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে মো. ফিরোজ আলম (৩৮) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে পিরোজপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মজিবুর রহমান আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন। একই সঙ্গে তাঁকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৮ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেবগুড়া জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সাকিব খানকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহবাগ থানা-পুলিশ বগুড়া শহরের নারুলী এলাকায় তাঁর বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান বাসির এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১০ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের তাড়াশে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের আওতায় ১৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয় স্কুল অব ফিউচার ও শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব (বর্তমান নাম আইসিটিডি)। পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প থেকে আরও পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়।
৩২ মিনিট আগে