Ajker Patrika

কুমারখালীতে দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস বাড়ি

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুমারখালীতে দৃষ্টিনন্দন ক্যাকটাস বাড়ি

বাড়ির শোভাবর্ধন করে ক্যাকটাস। কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার এলঙ্গিপাড়ায় জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ক্যাকটাস প্রেমী রয়েছেন। যিনি পুরো বাড়িতে আড়াইশ প্রজাতির দেশি বিদেশি ক্যাকটাসের সমারোহ করেছেন। তিনি উপজেলার এলঙ্গি পাড়ার বাসিন্দা ও অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা। 

সরেজমিনে দেখা যায়, গড়াই নদীর কোল ঘেঁষে জাহাঙ্গীর আলমের পুরোনো বাড়ি। ঢুকতেই মনে হয় যেন পুরো বাড়িটা লতাপাতায় ঢাকা। নিচতলায় হরেক রকমের ফুলফলাদি আর লতাপাতা সমৃদ্ধ গাছ থাকলেও দ্বিতীয় তলার ছাদে রয়েছে হরেক রকম ক্যাকটাস। যেন পুরো ছাদ জুড়ে শুধুই ক্যাকটাস। আর তাতে ফুটেছে দৃষ্টিনন্দন ফুল। বর্তমানে তাঁর সংগ্রহে রয়েছে প্রায় আড়াইশ প্রজাতির ক্যাকটাস। 

জানা যায়, ২০১৭ সালে অবসরপ্রাপ্ত এই ব্যাংক কর্মকর্তা নিজ বাড়িতে ক্যাকটাসের বাগান করেন। তবে তাঁর বাগান করাটা শুরুটা হয়েছিল আশির দশকে। সে সময় কর্মব্যস্ততার কারণে সফল হতে পারেননি। পরবর্তীতে চাকরি থেকে অবসরে পর তিনি নতুন করে শুরু করেন ক্যাকটাসের বাগান। 

এ বিষয়ে ক্যাকটাস প্রেমী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'শখ করেই আশির দশকে ক্যাকটাসের চাষ শুরু করি। অবসরের পর গাছের সংখ্যা বেড়েছে। এখন প্রায় আড়াইশ প্রজাতির ক্যাকটাস রয়েছে। ক্যাকটাস বাড়ির শোভা বর্ধন করে। এ ছাড়া অবসর সময়টা ক্যাকটাসের সঙ্গে বেশ ভালোই কাটে। আমি চাই ক্যাকটাসের সৌন্দর্য সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক।’ 

নিজের বাগানে ক্যাকটাস পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জাহাঙ্গীর আলমক্যাকটাস প্রেমী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী হাসিনা খাতুন জানান, বর্তমানে তাঁর স্বামী পুরো সময় জুড়েই ক্যাকটাসের যত্নআত্তিতে ডুবে থাকেন। তাঁর এই ভালো কাজে আমি সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। প্রতিদিনই অনেক মানুষ ক্যাকটাস দেখতে আসেন। মানুষ ক্যাকটাস এত ভালোবাসেন তা নিজের ঘরে ক্যাকটাস না থাকলে হয়তো বুঝতে পারতাম না।' 

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘ক্যাকটাস এক ধরনের কাঁটাযুক্ত উদ্ভিদ। ক্যাকটাস ঘর-বাড়ির সৌন্দর্যবর্ধন করে। অবসর প্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের ক্যাকটাস ঘর এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত