চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদদের এই তালিকায় উঠে এসেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের কলেজছাত্র ছাব্বির ইসলাম শাকিবের (২১) নাম। ছাব্বির ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. শহিদুল্লাহ মল্লিক ও গৃহিণী কাকলী বেগমের একমাত্র পুত্র। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও চোখের পানি ঝরছে সাব্বিরের মা কাকলী বেগমের। ছাবিরের গেজেট নম্বর ১০৫। মেডিকেল কেস আইডি ৯৬৬৩।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ছাব্বির সম্পর্কে তাঁর বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, ‘ছাব্বির চিতলমারী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই সে মনেপ্রাণে বিএনপি করত। ছাব্বির ছিল শেরেবাংলা কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। শত বাধা পেরিয়ে সে বিএনপির ডাকা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ও তাঁর লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ওই সময় ছাব্বিরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল।’
শারমিন আক্তার বলেন, ‘১৪ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে সে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাতে আমার (শারমিনের) বাসায় টঙ্গীতে ওঠে। পরদিন আন্দোলনে যোগ দিতে চেষ্টা করলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করি। কিন্তু সব চাপ উপেক্ষা করে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ভাগনে-ভাগনিদের জন্য পাশের দোকান থেকে মোজো ও চিপস কিনে আনার কথা বলে সরাসরি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে চলে যায়। ওখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে দিনভর বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকালীন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে পুলিশের ৫টি গুলি ছাব্বিরকে ঝাঁজরা করে।’
শারমিন আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার বাবার ফোনে জানতে পারি, ভাই ছাব্বির গুলিতে মারা গেছে। পাগলের মতো ছুটে যাই ভাইয়ের খোঁজে। সেখানে গিয়ে দেখি, গুলিতে ঝাঁজরা ভাইয়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে। ডাক্তার বলেন, আপনার ভাই মারা গেছে, দ্রুত লাশ নিয়ে যান।’

শারমিন আরও জানান, তাঁরা যখন গাড়িতে করে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, তখন পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরা লাশবাহী গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লাশ অন্য একটা গাড়িতে উঠিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, ‘লাশ আনার পর আমাদের পরিবারসহ গ্রামবাসীকেও একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লাশ দাফনের জন্য মাত্র ৪০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাব্বিরের মা বলেন, ‘যার সন্তান হারায়নি, সে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝবে না। এখনো শুনতে পাই, ছাব্বির আমাকে মা মা বলে ডাকছে। কিন্তু আমার বাবা তো চলে গেছে অনেক দূরে।’
সরকারি এই গেজেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন ৮৩৪ জন। প্রত্যেকের নামের পাশে মেডিকেল কেস আইডি অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে শিগগির ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৮৩৪ জন নিহতের পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-জনতা। মূলত এই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা করতে এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কাজ করবে নতুন অধিদপ্তর।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদদের এই তালিকায় উঠে এসেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের কলেজছাত্র ছাব্বির ইসলাম শাকিবের (২১) নাম। ছাব্বির ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. শহিদুল্লাহ মল্লিক ও গৃহিণী কাকলী বেগমের একমাত্র পুত্র। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও চোখের পানি ঝরছে সাব্বিরের মা কাকলী বেগমের। ছাবিরের গেজেট নম্বর ১০৫। মেডিকেল কেস আইডি ৯৬৬৩।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ছাব্বির সম্পর্কে তাঁর বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, ‘ছাব্বির চিতলমারী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই সে মনেপ্রাণে বিএনপি করত। ছাব্বির ছিল শেরেবাংলা কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। শত বাধা পেরিয়ে সে বিএনপির ডাকা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ও তাঁর লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ওই সময় ছাব্বিরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল।’
শারমিন আক্তার বলেন, ‘১৪ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে সে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাতে আমার (শারমিনের) বাসায় টঙ্গীতে ওঠে। পরদিন আন্দোলনে যোগ দিতে চেষ্টা করলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করি। কিন্তু সব চাপ উপেক্ষা করে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ভাগনে-ভাগনিদের জন্য পাশের দোকান থেকে মোজো ও চিপস কিনে আনার কথা বলে সরাসরি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে চলে যায়। ওখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে দিনভর বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকালীন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে পুলিশের ৫টি গুলি ছাব্বিরকে ঝাঁজরা করে।’
শারমিন আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার বাবার ফোনে জানতে পারি, ভাই ছাব্বির গুলিতে মারা গেছে। পাগলের মতো ছুটে যাই ভাইয়ের খোঁজে। সেখানে গিয়ে দেখি, গুলিতে ঝাঁজরা ভাইয়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে। ডাক্তার বলেন, আপনার ভাই মারা গেছে, দ্রুত লাশ নিয়ে যান।’

শারমিন আরও জানান, তাঁরা যখন গাড়িতে করে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, তখন পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরা লাশবাহী গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লাশ অন্য একটা গাড়িতে উঠিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, ‘লাশ আনার পর আমাদের পরিবারসহ গ্রামবাসীকেও একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লাশ দাফনের জন্য মাত্র ৪০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাব্বিরের মা বলেন, ‘যার সন্তান হারায়নি, সে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝবে না। এখনো শুনতে পাই, ছাব্বির আমাকে মা মা বলে ডাকছে। কিন্তু আমার বাবা তো চলে গেছে অনেক দূরে।’
সরকারি এই গেজেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন ৮৩৪ জন। প্রত্যেকের নামের পাশে মেডিকেল কেস আইডি অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে শিগগির ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৮৩৪ জন নিহতের পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-জনতা। মূলত এই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা করতে এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কাজ করবে নতুন অধিদপ্তর।
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদদের এই তালিকায় উঠে এসেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের কলেজছাত্র ছাব্বির ইসলাম শাকিবের (২১) নাম। ছাব্বির ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. শহিদুল্লাহ মল্লিক ও গৃহিণী কাকলী বেগমের একমাত্র পুত্র। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও চোখের পানি ঝরছে সাব্বিরের মা কাকলী বেগমের। ছাবিরের গেজেট নম্বর ১০৫। মেডিকেল কেস আইডি ৯৬৬৩।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ছাব্বির সম্পর্কে তাঁর বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, ‘ছাব্বির চিতলমারী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই সে মনেপ্রাণে বিএনপি করত। ছাব্বির ছিল শেরেবাংলা কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। শত বাধা পেরিয়ে সে বিএনপির ডাকা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ও তাঁর লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ওই সময় ছাব্বিরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল।’
শারমিন আক্তার বলেন, ‘১৪ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে সে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাতে আমার (শারমিনের) বাসায় টঙ্গীতে ওঠে। পরদিন আন্দোলনে যোগ দিতে চেষ্টা করলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করি। কিন্তু সব চাপ উপেক্ষা করে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ভাগনে-ভাগনিদের জন্য পাশের দোকান থেকে মোজো ও চিপস কিনে আনার কথা বলে সরাসরি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে চলে যায়। ওখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে দিনভর বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকালীন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে পুলিশের ৫টি গুলি ছাব্বিরকে ঝাঁজরা করে।’
শারমিন আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার বাবার ফোনে জানতে পারি, ভাই ছাব্বির গুলিতে মারা গেছে। পাগলের মতো ছুটে যাই ভাইয়ের খোঁজে। সেখানে গিয়ে দেখি, গুলিতে ঝাঁজরা ভাইয়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে। ডাক্তার বলেন, আপনার ভাই মারা গেছে, দ্রুত লাশ নিয়ে যান।’

শারমিন আরও জানান, তাঁরা যখন গাড়িতে করে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, তখন পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরা লাশবাহী গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লাশ অন্য একটা গাড়িতে উঠিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, ‘লাশ আনার পর আমাদের পরিবারসহ গ্রামবাসীকেও একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লাশ দাফনের জন্য মাত্র ৪০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাব্বিরের মা বলেন, ‘যার সন্তান হারায়নি, সে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝবে না। এখনো শুনতে পাই, ছাব্বির আমাকে মা মা বলে ডাকছে। কিন্তু আমার বাবা তো চলে গেছে অনেক দূরে।’
সরকারি এই গেজেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন ৮৩৪ জন। প্রত্যেকের নামের পাশে মেডিকেল কেস আইডি অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে শিগগির ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৮৩৪ জন নিহতের পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-জনতা। মূলত এই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা করতে এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কাজ করবে নতুন অধিদপ্তর।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
শহীদদের এই তালিকায় উঠে এসেছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের কলেজছাত্র ছাব্বির ইসলাম শাকিবের (২১) নাম। ছাব্বির ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য মো. শহিদুল্লাহ মল্লিক ও গৃহিণী কাকলী বেগমের একমাত্র পুত্র। আর একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে আজও চোখের পানি ঝরছে সাব্বিরের মা কাকলী বেগমের। ছাবিরের গেজেট নম্বর ১০৫। মেডিকেল কেস আইডি ৯৬৬৩।
আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে ছাব্বির সম্পর্কে তাঁর বড় বোন শারমিন আক্তার বলেন, ‘ছাব্বির চিতলমারী শেরেবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই সে মনেপ্রাণে বিএনপি করত। ছাব্বির ছিল শেরেবাংলা কলেজ ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য। শত বাধা পেরিয়ে সে বিএনপির ডাকা উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিটি মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করত। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পুলিশ বাহিনী ও তাঁর লোকজন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। ওই সময় ছাব্বিরের এইচএসসি পরীক্ষা চলছিল।’
শারমিন আক্তার বলেন, ‘১৪ জুলাই পদার্থবিজ্ঞান পরীক্ষা দিয়ে বিকেলে সে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। রাতে আমার (শারমিনের) বাসায় টঙ্গীতে ওঠে। পরদিন আন্দোলনে যোগ দিতে চেষ্টা করলে আমরা তাকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করি। কিন্তু সব চাপ উপেক্ষা করে ১৯ জুলাই (শুক্রবার) সকাল ১০টায় ভাগনে-ভাগনিদের জন্য পাশের দোকান থেকে মোজো ও চিপস কিনে আনার কথা বলে সরাসরি উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালের সামনে চলে যায়। ওখানে গিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সঙ্গে দিনভর বিক্ষোভে অংশ নেয়। বিক্ষোভকালীন সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে পুলিশের ৫টি গুলি ছাব্বিরকে ঝাঁজরা করে।’
শারমিন আরও বলেন, ‘সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমার বাবার ফোনে জানতে পারি, ভাই ছাব্বির গুলিতে মারা গেছে। পাগলের মতো ছুটে যাই ভাইয়ের খোঁজে। সেখানে গিয়ে দেখি, গুলিতে ঝাঁজরা ভাইয়ের রক্তমাখা নিথর দেহ পড়ে আছে। ডাক্তার বলেন, আপনার ভাই মারা গেছে, দ্রুত লাশ নিয়ে যান।’

শারমিন আরও জানান, তাঁরা যখন গাড়িতে করে লাশ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন, তখন পথে ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের লোকেরা লাশবাহী গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে লাশ অন্য একটা গাড়িতে উঠিয়ে রাত সাড়ে ৩টায় গ্রামের বাড়িতে আসেন। তিনি বলেন, ‘লাশ আনার পর আমাদের পরিবারসহ গ্রামবাসীকেও একনজর দেখার সুযোগ দেওয়া হয়নি। লাশ দাফনের জন্য মাত্র ৪০ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাব্বিরের মা বলেন, ‘যার সন্তান হারায়নি, সে সন্তান হারানোর যন্ত্রণা বুঝবে না। এখনো শুনতে পাই, ছাব্বির আমাকে মা মা বলে ডাকছে। কিন্তু আমার বাবা তো চলে গেছে অনেক দূরে।’
সরকারি এই গেজেট অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে শহীদ হয়েছেন ৮৩৪ জন। প্রত্যেকের নামের পাশে মেডিকেল কেস আইডি অন্তর্ভুক্ত করে তালিকা করা হয়েছে।
এদিকে শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে শিগগির ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
৮৩৪ জন নিহতের পাশাপাশি এই অভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন প্রায় ১৫ হাজার ছাত্র-জনতা। মূলত এই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা করতে এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কাজ করবে নতুন অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার পর রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান তিনি।
রাত ৮টা ৩৪ মিনিটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে আবু বাকের মজুমদার লিখেছেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ৮টা ২৩-২৪ মিনিটের সময় ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আমার বাইকের সামনে ককটেল মারা হয়েছে। রূপায়ণ টাওয়ারে সাংগঠনিক মিটিংয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। রাজনৈতিক কারণে এক্সটার্নাল এবং ইন্টারনাল অনেকের শত্রু হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, এখনো সুস্থ আছি, দোয়া করবেন।’
হামলার প্রতিবাদে রাত ১০টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ যৌথ আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, ‘কোনো লক্কড়ঝক্কড় গাড়ি আমরা মহাসড়কে চলতে দেব না। এ জন্য বিআরটিএ, প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর একসঙ্গে কাজ করছে। সরকারি গাড়িগুলোও ছাড় পাবে না, এমনকি আমি নিজেই বিআরটিএর গাড়ি ডাম্প করেছি।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আবুল হাসনাত আজকের পত্রিকাকে বলেন, গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে পিস্তলটি উদ্ধার করে।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

আবারও পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় প্রেমিকার বাসার সিঁড়িতে সজিব (১৯) নামের এক শিক্ষার্থীর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি এবার বংশালে আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
আজ শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলের দিকে বংশালের আগামসিহ লেনের ৯৩/১ নম্বর বাসায় ঘটনাটি ঘটে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর গলায় জিআই তার পেঁচানো ছিল।
বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিকেলে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ওই বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রথমে অজ্ঞাতনামা হিসেবে এবং পরে মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হয়। এ সময় সে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় উপুড় হয়ে সিঁড়িতে পড়ে ছিল। তবে ওই বাসার চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকত বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ওই বাসা পুরোটাই গোডাউন। চারতলার ওই বাসা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল।’
এসআই আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওই শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়। বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে।
হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম বলেন, ‘সজিবদের বাসা বংশাল আগামসিহ লেনে। সজিব এবার আহমেদ বাওয়ানী একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল। তবে সে অকৃতকার্য হয়। কয়েক দিন আগে তাবলিগের সঙ্গে দোহার গিয়েছিল। গতকাল বাসায় আসে। আজ বেলা ৩টার দিকে ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। এরপর বিকেলে জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে।’
সজিব আরও বলেন, ‘যে বাসায় সজিবের মরদেহ পাওয়া গেছে, ওই বাসার চারতলায় সজিবের প্রেমিকা খাদিজাদের বাসা। খাদিজার বাবা বেঁচে নেই। তবে ঘটনার পর থেকে তাদের কাউকে পাওয়া যায়নি। ৬ বছর ধরে খাদিজার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সজিবের। মাঝে একবার মনোমালিন্য হয়েছিল। তবে খাদিজার মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না।’
পরিবারের অভিযোগ, খাদিজার দুই মামা ইকবাল ও কামাল মিলে সজিবকে হত্যা করেছে।
এর আগে, ১৯ অক্টোবর রাজধানীর পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকার একটি বাসার সিঁড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল নেতার রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়। আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির ওই বাসায় জুবায়েদ টিউশনি করাতেন। পরে ডিএমপি এই হত্যাকাণ্ডকে ‘ত্রিভুজ প্রেমের’ ফল বলে জানায়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। গেজেট প্রকাশের তারিখ বুধবার (১৫ জানুয়ারি) লেখা হলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি)। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটটিতে শহীদদের মেডিকেল কেস আইডি, নাম, বাব
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস—রূপান্তরিত জাতীয় ছাত্রশক্তি) আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার তাঁর মোটরসাইকেল লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন।
৩৯ মিনিট আগে
বিআরটিএর চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মহাসড়কে কোনো অবৈধ যানবাহন চলতে পারবে না। এ বিষয়ে পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
যশোর সদরে অভিযান চালিয়ে রান্নাঘরে পুঁতে রাখা বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার দৌলতদিহির হুমায়ুন কবিরের বাড়ি থেকে পিস্তল উদ্ধার করা হয়। কোতোয়ালি মডেল থানা-পুলিশ পিস্তলটি উদ্ধার করে। এ সময় অস্ত্রের মালিক শাকিল হোসেন পালিয়ে যান। শাকিল হুমায়ুন কবিরের ছেলে।
১ ঘণ্টা আগে