আনোয়ার হোসেন, মনিরামপুর (যশোর)
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঈদের পর রোগীর ভিড় বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর লাইন থাকলেও চিকিৎসকদের কক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে চিকিৎসকেরা অনুপস্থিত থাকায় এনসিডি কর্নারে একজন কার্ডিওগ্রাফারকে রোগী দেখতে দেখা গেছে। এ সময় হাসপাতালে পাওয়া যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে। এ সময় চিকিৎসক না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে বিরক্তি প্রকাশ করেন রোগীরা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এনসিডি কর্নারের সামনে টিকিট হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন রোগী। ভেতরে দরজা বন্ধ করে রোগী দেখছেন কার্ডিওগ্রাফার মোস্তাফিজুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি নিজেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার সময় এসেছি। এখন পর্যন্ত ৬০-৭০ জন রোগী দেখেছি। বাইরে আরও রোগী আছে।’
এনসিডি কর্নারে মূলত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। কার্ডিওগ্রাফারের কাজ হচ্ছে মূলত রোগীর ইসিজি করা। মনিরামপুর হাসপাতালে দীর্ঘদিন কার্ডিওগ্রাফারের পদ খালি থাকায় কয়েক দিন আগে মোস্তাফিজুর রহমানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এনসিডি কর্নারে তিনি চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে রোগীর নাম নিবন্ধন করার কাজ করে থাকেন। গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসক না আসায় তিনি নিজে চিকিৎসক সেজে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখেছেন।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, নতুন ভবনের দোতলায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুমন কবির, গাইনি বিশেষজ্ঞ দিলরুবা খাতুন ডায়না, চিকিৎসক অনুপ বসু, হোমিও চিকিৎসক মনিরুজ্জামান ও ইউনানি চিকিৎসক রুহুল আমিন রোগী দেখেন; কিন্তু তাঁদের কেউ কক্ষে নেই। বাইরে থেকে কক্ষে তালাবদ্ধ। এই ভবনের নিচতলায় ১১৬ নম্বর কক্ষে দুজন চিকিৎসকের চেয়ার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ১২৫ নম্বর কক্ষের সামনে কয়েকজন মাকে সন্তান কোলে নিয়ে বাইরে অপেক্ষায় বসে থাকলে দেখা গেলেও ভেতরে নেই কোনো চিকিৎসক। এ সময় শুধু বহির্বিভাগে ১২৬ নম্বর কক্ষে চিকিৎসক রাফেজা খাতুনকে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে হাসপাতালে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ১১৬ নম্বর কক্ষে আসেন চিকিৎসক নাহিদ হাসান। আর ১২৫ নম্বর কক্ষে রোগী দেখা শুরু করেন সেকমো আনিছুর রহমান। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ফরিদুল ইসলামকে রোগী দেখতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর গ্রামের তিন মাসের শিশু ওবায়দা খাতুনের মা জাহিনুর খাতুন বলেন, ‘বাচ্চার জ্বর ও ঠান্ডা সমস্যা নিয়ে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে এসেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে শিশু ওয়ার্ডের সামনে বসে আছি। ডাক্তারের দেখা পাইনি।’ একই কথা বলেছেন মোহনপুর গ্রামের তিন বছরের শিশু আলভি হাসান ও বিজয়রামপুর গ্রামের এক বছরের শিশু আবু হুরায়রার স্বজনেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাশাপাশি পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সাতজন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন একজন ইউনানি ও একজন হোমিও চিকিৎসক।
একটি সূত্রের দাবি, জেলার অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তুলনায় মনিরামপুরে চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি। কিন্তু এখানকার চিকিৎসকেরা সময়মতো হাসপাতালে ডিউটি না করে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (সেকমো) দিয়ে বহির্বিভাগে রোগী দেখান।
জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘আমার রাতে ডিউটি ছিল। চিকিৎসক কম থাকায় আজ (বৃহস্পতিবার) জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে তিনজন চিকিৎসক রোগী দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিষয়টি হাসপাতালের প্রধান দেখেন। তাঁরা আজ কেন আসেননি তা স্যার বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল বলেন, ‘ঈদের পর বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে হাসপাতাল খুলেছে। অসুস্থ থাকায় আমি আজ দুদিন আসতে পারিনি। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুমন কবির ও শিশু বিশেষজ্ঞ জেসমিন সুমাইয়া আজ আসার কথা ছিল। কেন আসেননি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’
যশোরের সিভিল সার্জন মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্ডিওগ্রাফারের রোগী দেখার কথা নয়। মনিরামপুর হাসপাতালে কেন এমন হলো, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
যশোরের মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঈদের পর রোগীর ভিড় বেড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর লাইন থাকলেও চিকিৎসকদের কক্ষগুলো ফাঁকা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ঈদের ছুটির পর প্রথম কর্মদিবসে চিকিৎসকেরা অনুপস্থিত থাকায় এনসিডি কর্নারে একজন কার্ডিওগ্রাফারকে রোগী দেখতে দেখা গেছে। এ সময় হাসপাতালে পাওয়া যায়নি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তাকে। এ সময় চিকিৎসক না পেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকে বিরক্তি প্রকাশ করেন রোগীরা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, এনসিডি কর্নারের সামনে টিকিট হাতে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েকজন রোগী। ভেতরে দরজা বন্ধ করে রোগী দেখছেন কার্ডিওগ্রাফার মোস্তাফিজুর রহমান। জানতে চাইলে তিনি নিজেকে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) পরিচয় দেন। তিনি বলেন, ‘সকাল ৯টার সময় এসেছি। এখন পর্যন্ত ৬০-৭০ জন রোগী দেখেছি। বাইরে আরও রোগী আছে।’
এনসিডি কর্নারে মূলত ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগে আক্রান্তদের চিকিৎসা ও বিনা মূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। কার্ডিওগ্রাফারের কাজ হচ্ছে মূলত রোগীর ইসিজি করা। মনিরামপুর হাসপাতালে দীর্ঘদিন কার্ডিওগ্রাফারের পদ খালি থাকায় কয়েক দিন আগে মোস্তাফিজুর রহমানকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এনসিডি কর্নারে তিনি চিকিৎসকের সহকারী হিসেবে রোগীর নাম নিবন্ধন করার কাজ করে থাকেন। গতকাল হাসপাতালে চিকিৎসক না আসায় তিনি নিজে চিকিৎসক সেজে রোগীর ব্যবস্থাপত্র লিখেছেন।
হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, নতুন ভবনের দোতলায় মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুমন কবির, গাইনি বিশেষজ্ঞ দিলরুবা খাতুন ডায়না, চিকিৎসক অনুপ বসু, হোমিও চিকিৎসক মনিরুজ্জামান ও ইউনানি চিকিৎসক রুহুল আমিন রোগী দেখেন; কিন্তু তাঁদের কেউ কক্ষে নেই। বাইরে থেকে কক্ষে তালাবদ্ধ। এই ভবনের নিচতলায় ১১৬ নম্বর কক্ষে দুজন চিকিৎসকের চেয়ার ফাঁকা পড়ে রয়েছে। শিশু ওয়ার্ডে ১২৫ নম্বর কক্ষের সামনে কয়েকজন মাকে সন্তান কোলে নিয়ে বাইরে অপেক্ষায় বসে থাকলে দেখা গেলেও ভেতরে নেই কোনো চিকিৎসক। এ সময় শুধু বহির্বিভাগে ১২৬ নম্বর কক্ষে চিকিৎসক রাফেজা খাতুনকে রোগীদের সেবা দিতে দেখা গেছে।
এদিকে হাসপাতালে সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে দুপুর ১২টার দিকে ১১৬ নম্বর কক্ষে আসেন চিকিৎসক নাহিদ হাসান। আর ১২৫ নম্বর কক্ষে রোগী দেখা শুরু করেন সেকমো আনিছুর রহমান। পরে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক ফরিদুল ইসলামকে রোগী দেখতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে মহাদেবপুর গ্রামের তিন মাসের শিশু ওবায়দা খাতুনের মা জাহিনুর খাতুন বলেন, ‘বাচ্চার জ্বর ও ঠান্ডা সমস্যা নিয়ে সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালে এসেছি। দেড় ঘণ্টা ধরে শিশু ওয়ার্ডের সামনে বসে আছি। ডাক্তারের দেখা পাইনি।’ একই কথা বলেছেন মোহনপুর গ্রামের তিন বছরের শিশু আলভি হাসান ও বিজয়রামপুর গ্রামের এক বছরের শিশু আবু হুরায়রার স্বজনেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের পাশাপাশি পাঁচজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সাতজন মেডিকেল অফিসার রয়েছেন। এ ছাড়া রয়েছেন একজন ইউনানি ও একজন হোমিও চিকিৎসক।
একটি সূত্রের দাবি, জেলার অন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তুলনায় মনিরামপুরে চিকিৎসকের সংখ্যা বেশি। কিন্তু এখানকার চিকিৎসকেরা সময়মতো হাসপাতালে ডিউটি না করে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারদের (সেকমো) দিয়ে বহির্বিভাগে রোগী দেখান।
জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘আমার রাতে ডিউটি ছিল। চিকিৎসক কম থাকায় আজ (বৃহস্পতিবার) জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগে তিনজন চিকিৎসক রোগী দেখেছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বিষয়টি হাসপাতালের প্রধান দেখেন। তাঁরা আজ কেন আসেননি তা স্যার বলতে পারবেন।’
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফাইয়াজ আহমদ ফয়সাল বলেন, ‘ঈদের পর বুধবার থেকে সীমিত পরিসরে হাসপাতাল খুলেছে। অসুস্থ থাকায় আমি আজ দুদিন আসতে পারিনি। মেডিসিন বিশেষজ্ঞ সুমন কবির ও শিশু বিশেষজ্ঞ জেসমিন সুমাইয়া আজ আসার কথা ছিল। কেন আসেননি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’
যশোরের সিভিল সার্জন মাসুদ রানা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কার্ডিওগ্রাফারের রোগী দেখার কথা নয়। মনিরামপুর হাসপাতালে কেন এমন হলো, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
পালিয়ে যাওয়া ৮২৬ বন্দীর মধ্যে জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন প্রচারণায় সাড়া দিয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন ৬৪৬ বন্দী। পলাতক থাকা বাকী ১৮০ জন বন্দীর মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় ৫৮ জনকে। এখনও পলাতক রয়েছেন আরও ১২২ জন। লুট হওয়া ৮৫টি অস্ত্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫১টি অস্ত্র উদ্ধার হলেও হদিস মেলেনি ৩৪টি অস্ত্রের।
৩২ মিনিট আগেছারছীনা দরবার শরীফে ঘুরে গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. আব্দুল ওয়াহাব আস সায়দানি। শুক্রবার (১৮ জুলাই) তিনি দরবারে এসে ছারছীনার পীর আলহাজ হযরত মাওলানা শাহ্ আবু নছর নেছারুদ্দীন আহমাদ হুসাইন (মা.জি.আ.)-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
৪৩ মিনিট আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে কোচ সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী বিহু উৎসব উদ্যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে একাডেমির হলরুমে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
১ ঘণ্টা আগেজুলাই-৩৬ হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা প্রশাসনের কাছে অনেক প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আজ সাজিদ, কাল আপনি, পরশু আমি—এভাবে নামের তালিকা বাড়তেই থাকবে। প্রশাসন আমাদের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত করতে পারছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে চাই।’
১ ঘণ্টা আগে