প্রতিনিধি, খুলনা
খুলনা বিভাগে করোনার সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৬ জন। এর আগে ৭ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিভাগে এই পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৪৮৭ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৪ জন, যশোরে ৯ জন, ঝিনাইদহে ১০ জন, চুয়াডাঙ্গা ৬ জন, মেহেরপুরে ৫ জন, বাগেরহাটে ২ জন, নড়াইল ও মাগুরায় একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ১৮৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৮৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা এবং ভারত থেকে অনেক রোগী এবং লোক এ বিভাগে আসছেন। এখানে বেনাপোল ও দর্শনা স্থলবন্দর থাকার কারণে সকল রোগী খুলনা-সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করেন। যার কারণে এই অঞ্চলে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার মানুষের অসচেতনতার কারণে রোগটি একটু বেশি ছড়াচ্ছে এবং সংক্রমণ গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, লকডাউনের আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। যে কারণে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। লকডাউন অব্যাহত থাকলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কমে যাবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৬ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৯৪ জন। মারা গেছেন ৩৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ জন। বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭ জন। সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৩ জন। মোট মারা গেছেন ২০২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৫ জন।
একই সাথে ২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১১ জন। মোট মারা গেছেন ৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩২৬ জন। মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৯ জন। মোট মারা গেছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮২ জন। মোট মারা গেছেন ১২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৮৩ জন। মোট মারা গেছেন ৩১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন। চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৯ জন। মোট মারা গেছেন ১১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ জন। মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৪ জন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা বিভাগে করোনার সব রেকর্ড ভেঙে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৬৫৬ জন। এর আগে ৭ জুলাই বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। বিভাগে এই পর্যন্ত মারা গেছে ১ হাজার ৪৮৭ জন।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে খুলনা জেলায়। বাকিদের মধ্যে কুষ্টিয়ায় ১৪ জন, যশোরে ৯ জন, ঝিনাইদহে ১০ জন, চুয়াডাঙ্গা ৬ জন, মেহেরপুরে ৫ জন, বাগেরহাটে ২ জন, নড়াইল ও মাগুরায় একজন করে মারা গেছেন। করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৬৯ হাজার ১৮৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৪৮৭ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৪ হাজার ৭২৭ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পারসন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার বলেন, সীমান্তবর্তী জেলা এবং ভারত থেকে অনেক রোগী এবং লোক এ বিভাগে আসছেন। এখানে বেনাপোল ও দর্শনা স্থলবন্দর থাকার কারণে সকল রোগী খুলনা-সাতক্ষীরার ওপর দিয়ে যাওয়া আসা করেন। যার কারণে এই অঞ্চলে ভাইরাসটি দ্রুত ছড়িয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া এখানকার মানুষের অসচেতনতার কারণে রোগটি একটু বেশি ছড়াচ্ছে এবং সংক্রমণ গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, লকডাউনের আগেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। যে কারণে শনাক্ত ও মৃত্যু বেড়েছে। লকডাউন অব্যাহত থাকলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে অল্প সময়ের মধ্যে সংক্রমণ কমে যাবে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জেলাভিত্তিক করোনা সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৯৬ জনের। এ পর্যন্ত জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ১৯৪ জন। মারা গেছেন ৩৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ জন। বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৩৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪০৯ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৭ জন। সাতক্ষীরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৬ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৮৬ জন এবং মারা গেছেন ৭৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৯৬৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৯১৩ জন। মোট মারা গেছেন ২০২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৯৫ জন।
একই সাথে ২৪ ঘণ্টায় নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১১ জন। মোট মারা গেছেন ৫৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩২৬ জন। মাগুরায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৭৯ জন। মোট মারা গেছেন ৩৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৪৯ জন। ঝিনাইদহে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৬২ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮২ জন। মোট মারা গেছেন ১২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২২০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৯ হাজার ৮৮৩ জন। মোট মারা গেছেন ৩১০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৬৭ জন। চুয়াডাঙ্গায় ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৯৯ জন। মোট মারা গেছেন ১১৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৩৯২ জন। মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৬৮ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩১ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫৬৪ জন।
উল্লেখ্য, খুলনা বিভাগের মধ্যে প্রথম চুয়াডাঙ্গায় গত বছরের ১৯ মার্চ করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেন বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে। ফেসবুকে ঢুকলেই ওই দুর্ঘটনার মন খারাপ করা ছবি ও ভিডিও এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই। স্ক্রল করতে করতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় ‘এসএসসি ০৫-এইচএসসি ০৭’ গ্রুপের একটি পোস্টে।
৩ ঘণ্টা আগেজাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের করিডরে আগের দিনের মতো চিৎকার-চেঁচামেচি ছিল না গতকাল মঙ্গলবার। ছিল না রক্তের জন্য ছোটাছুটি। হাসপাতালজুড়ে কেমন যেন একটা উৎকণ্ঠা। এই উৎকণ্ঠা দগ্ধ শিশুগুলোর স্বজনদের চোখেমুখে। সবার প্রার্থনা, আর যেন কোনো দুঃসংবাদ কানে না আসে, সব শিশু যেন সুস্থ হয়ে ওঠে।
৩ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীদের প্রতি মমত্ববোধ ও দায়িত্ববোধের অসাধারণ উদাহরণ তৈরি করে গেলেন রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক মাহরীন চৌধুরী। যুদ্ধবিমানটি যখন তাঁর প্রতিষ্ঠানে বিধ্বস্ত হয়, তখনো তিনি অক্ষত ও সুস্থ ছিলেন। কিন্তু বিপদের মুখেই তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন নিজের সন্তানের মতো ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ির মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের কোলাহল নেই। বিমানবাহিনীর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের বিকট শব্দে থেমে গেছে সেই কোলাহল। থামেনি সন্তান বা স্বজনহারাদের বুকফাটা কান্না, মাতম। হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আহত ও দগ্ধরা।
৩ ঘণ্টা আগে