Ajker Patrika

গাংনীতে কাঁঠালের ফলন ভালো, দামে হতাশ বাগানমালিকেরা

গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ জুলাই ২০২৪, ১৩: ০৭
গাংনীতে কাঁঠালের ফলন ভালো, দামে হতাশ বাগানমালিকেরা

মেহেরপুরের গাংনীতে কাঁঠালের ফলন ভালো দেখা গেলেও দাম নিয়ে হতাশ বাগানমালিকেরা। ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না তাঁরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে কাঁঠালের চাহিদা কম। 

সরেজমিন উপজেলার কাজীপুর, বামন্দী, তেরাইল, জোড়পুকুর, তেঁতুলবাড়িয়া, হাড়াভাঙ্গা, ষোলটাকা, রাইপুর, ভরাট, দেবীপুর, গরীবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় কাঁঠালগাছে ভালো ফলন দেখা গেছে। রাস্তার পাশে, অনেকের পতিত জমি, বাগান ও বাড়ির আঙিনার কাঁঠালগাছে ভালো ফল ধরেছে। 

বাগান ও গাছের মালিকেরা কাঁচা, আধা পাকা ও পাকা অবস্থায় কাঁঠাল বিক্রি করছেন। বাগান থেকে এসব ফল পাইকারি বাজারে নিয়ে তুলছেন ব্যবসায়ীরা। আবার অনেক ব্যবসায়ী এসব কাঁঠাল ট্রাকে ভরে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাচ্ছেন। 

বাগানমালিকেরা জানান, গাছে পর্যাপ্ত কাঁঠাল ধরেছে, কিন্তু দাম একেবারেই কম। কাঁঠাল পরিচর্যায় আলাদা কোনো যত্ন নিতে হয় না বলে উৎপাদন খরচ কম। বাগান, বাড়ির আঙিনা ও পতিত জমিতে কাঁঠাল বেশি হয়ে থাকে। 

উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কাঁঠালবাগানের মালিক জামাল উদ্দিন বলেন, ‘গাছে কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। এবার দাম শুনে হতাশ। বড় বড় কাঁঠাল ৬০ টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে না। গত বছর বড় আকারের কাঁঠাল ১০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি করেছি।’ 

দেবীপুর গ্রামের আরেক কাঁঠালবাগানের মালিক ফজলুল হক বলেন, ‘বড় বড় কাঁঠাল ৪০ টাকার বেশি দাম দিচ্ছে না। গাছে কাঁঠাল পেকে নষ্ট হয়ে যাবে বলে বিক্রি করে দিচ্ছি। গত বছর কাঁঠালের ভালো দাম পেয়েছিলাম, এবার একেবারে কম।’ 

হাড়াভাঙ্গা গ্রামের মজনু হোসেন বলেন, ‘মেহেরপুর জেলায় কাঁঠাল ফলটা অনেক ভালো হয়। কাঁঠালের তরকারি আর রুটির আলাদা কদর রয়েছে।’ 

উপজেলার আকুবপুর এলাকার কাঁঠাল ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল ইসলাম বলেন, ‘কাঁঠালের দাম খুবই কম। মাপ অনুযায়ী প্রতিটি কাঁঠাল ৩০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে রয়েছে। বাইরের বাজারে চাহিদা কম থাকায় বড় বড় কাঁঠাল ৬০ টাকার বেশি দামে কিনতে পারছি না।’ 

আরেক কাঁঠাল ব্যবসায়ী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এবার কাঁঠালের দাম অনেক কম। গত বছর বড় কাঁঠাল ১০০ টাকার বেশি দামে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবার সেই কাঁঠাল ৬০ টাকার ওপরে দাম উঠছে না। কাঁঠালের চাহিদা জেলার বাইরে কম থাকায় দাম কম।’ 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি বছর কাঁঠালগাছে বেশ ফল ধরেছে। উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে কাঁঠালগাছ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও পচা রোগ না হলে ভালো ফলন পাবেন কৃষকেরা। 

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, ‘কাঁঠালের ফলন বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কাঁঠালগাছের পাতা থেকে শুরু করে প্রতিটি অংশই বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। অন্য ফসলের তুলনায় এটি লাভজনক। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূল ও দাম ভালো পেলে চাষিরা লাভবান হবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত