Ajker Patrika

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম–ওষুধ চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

খুলনা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯: ৫৩
হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম–ওষুধ চুরির সময় হাতেনাতে আটক ১

খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত চিকিৎসা সরঞ্জাম চুরির অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। দুই নার্সের সহযোগিতায় তিনি জিনিসপত্র চুরি করছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হাসপাতাল কর্মীরা তাঁকে হাতেনাতে আটক করেন। 

আটক সুমন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন। তিনি সুমনের বরাতে তিনি বলেন, নগরীর হেরাজ মার্কেটে সুমনের ওষুধের দোকান আছে। দীর্ঘদিন যাবৎ আবু নাসের হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের নার্স ইনচার্জ তহমিনা খাতুন ও কার্ডিওলজি বিভাগের নার্স ইনচার্জ সোনিয়া খাতুন তাঁর কাছে রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বিক্রি করতেন। তাঁরা ফোন দিয়ে জানালে তিনি নিজে এসে স্কুলের ব্যাগে করে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে যেতেন। 

হাসপাতালের আউট সোর্সিং কর্মচারী নূরজাহান বলেন, তিনি প্রায় সময় দেখেন, লোকটি (সুমন) নার্সদের কাছ থেকে দুই-তিনটি স্কুল ব্যাগ ভর্তি রোগীদের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি নিয়ে যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেখতে পান সেই লোকটি ব্যাগে করে কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছেন। 

নূরজাহান বলেন, ‘তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে পেছন থেকে নার্স তহমিনা আমার মুখ চেপে ধরে বলেন, ‘‘কোনো চিৎকার করবি না।’’ এই বলে আমার সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। একপর্যায়ে আমি দৌড়ে নিচে অপেক্ষায় থাকা অ্যাম্বুলেন্স চালক টিপুকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করি। তিনি দৌড়ে গিয়ে চোরকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদিসহ হাতেনাতে আটক করে।’ 

অভিযুক্ত নার্স ইনচার্জ তহমিনা খাতুন ও সোনিয়া খাতুন বলেন, এই ঘটনার সম্পর্কে তাঁরা কিছু জানেনা না। তাঁদের ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। একটি মহল দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করে আসছেন। 

এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ডা. শেখ আবু শাহীন বলেন, ‘রোগীদের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি পাচার করার সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়েছে। আটকৃত ব্যক্তি জানিয়েছেন, যে দুজন নার্স ইনচার্জ এ ঘটনায় জড়িত। আমরা ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। এ ছাড়া আটক চোরকে থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সুমনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তদন্ত শেষ করে মামলা করবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত