Ajker Patrika

বিএনপির দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে: তারেক রহমান

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলনে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। আমাদের কর্মকাণ্ডে যেন আর কোনো স্বৈরাচার অথবা যারা দেশের ভালো চায় না, তারা সুযোগ না পায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের দিকে দেশবাসী তাকিয়ে আছে। এ জন্য প্রত্যেক কর্মীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। থেমে থাকলে চলবে না।’

আজ সোমবার খুলনা সার্কিট হাউসে মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের সামনে অনেক কাজ। ছোটখাটো বিষয়ে তর্কে না জড়িয়ে আসুন দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে যাই। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে নজর দিতে হবে। বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এগিয়ে আসতে হবে। এ কাজগুলো করতে হলে দেশের মধ্যে স্থিতাবস্থা আনতে হবে।’

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আপনার কাঁধে দেশের মানুষ দায়িত্ব অর্পণ করলে সেটা পালন করতে হবে যথাযথভাবে।’

আওয়ামী লীগ আমলে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বিএনপি যে একটি গণতান্ত্রিক দল, সেটি এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত। যেভাবে খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন সফল হচ্ছে, সেভাবে আগামী দিনে দেশের মানুষের চাহিদা পূরণে বিএনপির সব নেতা-কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বিএনপি দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে মূল লক্ষ্য হবে দেশের জনগণ এবং তাঁদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশকে গড়ে তোলা।’

শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুত হওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আগের কথা আজ সত্যি হলো। শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। অথচ তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ লুটপাট করে, দেশকে ধ্বংস করে পালিয়ে যাবে। আজ সেটাই হলো। স্বৈরাচার দেশ থেকে পালিয়ে গেছে। এখন দেশকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের।’

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান ও বেবী নাজনীন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হাবিল ইসলাম হাবিব।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মন্টু, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কে এম হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, খালিশপুর থানা বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী বাবু, দৌলতপুর থানা বিএনপির সভাপতি মুর্শিদ কামাল, খানজাহান আলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান, যশোর বিএনপির নেতা সাবেরুল ইসলাম সাবু, কাজী আলাউদ্দিন, আমিরুল ইসলাম কাগজী প্রমুখ।

এর আগে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আমানউল্লাহ আমান।

সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দা রেহানা ঈসা।

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেসিয়ামে কাউন্সিলর অধিবেশন শুরু হয়। ৫০৫ জন কাউন্সিলর ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন।

সূত্রে জানা যায়, সম্মেলনে মহানগর বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক—এই তিন পদে প্রার্থী হয়েছেন ১২ জন। মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির ও দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সাহাজী কামাল টিপু প্রার্থী হয়েছেন।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। তাঁরা হলেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী ও মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।

এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছয় প্রার্থী হলেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সাদী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শের আলম সান্টু, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ ও তারিকুল ইসলাম তারেক।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর মহানগর বিএনপির তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি এবং ২০২২ সালে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটি হয়। ইতিমধ্যে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড, তিনটি ইউনিয়ন ও পাঁচটি থানায় সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলনের পর মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হবে ১৫১ সদস্যের। এর আগে খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ছাঁটাই নিয়ে টেলিকম খাতে অস্থিরতা

কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, সংঘর্ষে নিহত ১

কক্সবাজারে বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা

গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন, আওয়ামী দোসরদের ঘুম হারাম করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

ভারতের কাছে হারে পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিলেন শোয়েব

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত