Ajker Patrika

যশোর এম এম কলেজে ছাত্রদল কর্মীকে দফায় দফায় মারধর, অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে

যশোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯: ০৬
যশোর এম এম কলেজে ছাত্রদল কর্মীকে দফায় দফায় মারধর, অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মীর নাম কানোয়ার হোসেন (২৪)। তিনি কলেজের অনার্স রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

আহত ছাত্রদল কর্মী কানোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পিকনিক যাওয়ার কথা রয়েছে। আমি ও বন্ধুরা সেই পিকনিকের টিশার্ট আনতে কলেজের ডিপার্টমেন্টে যায়। ক্যাম্পাসে পৌঁছালে ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের কর্মী রবিউল ইসলাম ও এনামুল ইসলাম আমারে ডাকে। এরপর ক্যাম্পাস ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে থাকা আমার একটি ছবি দেখিয়ে ওরা বলেন, ‘‘তুই ছাত্রদল করিস।’’ এই বলে কলেজের ছাত্র কমনরুমে নিয়ে দরজা বন্ধ করে ৮-১০ জন আমাকে বেধড়ক মারধর শুরু করে।’ 

কানোয়ার আরও বলেন, ‘একপর্যায়ে কমনরুমের বাথরুমে নিয়ে যেয়ে ৭–৮ জন মিলে স্ট্যাম্প দিয়ে সারা শরীরে মারধর করা শুরু করে। এরপর কলেজের স্যারে আসলে দক্ষিণ গেটে নিয়ে যেয়ে সেখানেও দ্বিতীয় দফায় মারধর করে বলে, ‘‘আর যদি তুই ছাত্রদলের প্রোগ্রামে যাস, তোরে মেরে ফেলব। গুলি করে মারব।’ ’ 

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত শিক্ষার্থীর এক বন্ধু নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কানোয়ারের ওপর বেধড়ক মারপিট দেখে আমরা কয়েকজন বন্ধু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাত–পা জড়িয়ে ধরলাম। তাদের বললাম ওরে মাফ করে দেন। তারপরও তারা মার থামাননি। কয়েকটা স্ট্যাম্প ভেঙে ফেলেছে মারতে মারতে। এরপর আবার এক গলিতে নিয়ে আবার দ্বিতীয় দফাতে কাঠ দিয়ে মারধর করেছে।’ 

আহত ছাত্রদল কর্মীর খালা সালমা খাতুন বলেন, ‘গ্রাম থেকে শহরে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছি ছেলের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য। কানোয়ার সক্রিয় রাজনীতি করে না। ক্যাম্পাসে যদি ছাত্ররা নিরাপত্তা না থাকে; তাহলে কি হবে। এভাবে মানুষ মানুষকে পেটাতে পারে? এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’ 

কমনরুমের দরজা আটকে ছাত্রদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ রয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকাএদিকে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল কর্মীকে দেখতে আসনে কলেজ ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীর। এ বিষয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, ‘ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ রাজনীতি করে না। সারা দেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের নেতারা অছাত্র দিয়ে সংগঠন চালাচ্ছে। ক্যাম্পাসে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে। এই গণতান্ত্রিক দেশে সবাই ছাত্ররাজনীতি করতে পারে। এর আগেও এম এম কলেজের কর্মসূচিতে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এই দায় কলেজ প্রশাসনকে নিতে হবে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’ 

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিচিত্রা মল্লিক বলেন, ‘আহত ব্যক্তির শরীরে এলোপাতাড়ি মারপিটের চিহ্ন রয়েছে। মাথায় কাটা দাগ রয়েছে। সারা শরীরে কালশিটে পড়ে গেছে। ওই শিক্ষার্থী এখন শঙ্কামুক্ত।’ 

ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, ‘এম এম কলেজে বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি নাই। ছাত্রদলের কোনো কর্মীকে কোনো ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মারধর করেনি। তার অভিযোগ মিথ্যা।’ 

যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যাপক অধ্যক্ষ মর্জিনা আক্তার বলেন, ‘মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কমনরুমে শিক্ষার্থীদের জটলার খবর শুনে কয়েকজন স্যারকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু স্যারেরা তেমন কোনো ঘটনা দেখতে পারেননি। তারপরও যদি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে শারমিন আক্তার (২১) নামের এক গৃহবধূর ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ।

আজ বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার চর দুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের আলোনিয়া গ্রাম থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের সৌদি আরবপ্রবাসী মো. মামুন হোসেনের স্ত্রী।

নিহত ব্যক্তির স্বামীর পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউসুফ মিয়া জানান, ঘটনার দিন বিকেলে স্বামীর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ ঝুলে আছে দেখে বাড়ির লোকজন চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা এসে পুলিশে খবর দেয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহআলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১২

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বরগুনার আমতলীতে বিরোধপূর্ণ জমিতে গরুকে ঘাস খাওয়ানো নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের মোশাররফ হাওলাদার ও জসিম গাজীর মধ্যে ১৫ একর জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আজ সকালে ওই জমিতে ঘাস খাওয়াতে জসিম গাজীর লোকজন গরু বাঁধেন। এতে বাধা দেন মোশাররফ হাওলাদারের লোকজন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ ঘটনায় আহত মোশাররফ হাওলাদার (৫৮), মেহেদী হাসান (২৮), রাহাত (২৭), জসিম গাজী (৩৯), মজনু গাজী (৩৬), মনির গাজী (৪৫), জহির গাজী (৪০), মন্নান গাজী (৬৫), স্বাধীন গাজী (২৫) ও আবু সাইদকে (১২) আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত জসিম গাজী ও মজনু গাজীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আহত জসিম গাজী বলেন, ‘আমার জমির ঘাস খাওয়াতে গরু বাঁধি। মোশাররফ হাওলাদার ও তার লোকজন এতে বাধা দেয়। তারা আমার লোকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে। এতে আমার সাতজন আহত হয়েছে।’

আহত মোশাররফ হাওলাদার বলেন, ‘জসিম গাজীর লোকজন আমার লোকজনকে পিটিয়েছে। এতে আমার পাঁচজন লোক আহত হয়েছে।’

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহত ব্যক্তিদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুজনকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর প্রবেশপথ আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাভার
ঢাকার প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজারে যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঢাকার প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজারে যানবাহনে পুলিশের তল্লাশি। ছবি: আজকের পত্রিকা

আগামীকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের ঢাকা লকডাউন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রবেশপথ সাভারের আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় তল্লাশিচৌকি বসিয়ে ঢাকাগামী যানবাহনে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এ ছাড়া পুলিশের পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ দল ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টহল দিচ্ছে।

মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায়, আজ বুধবার দুপুরের পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজারে ঢাকামুখী লেনে ও বিরুলিয়া সেতুর কাছে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে। এসব স্থানে ঢাকাগামী প্রায় সব ধরনের যানবাহন থামিয়ে পুলিশ তল্লাশি করছিল। এ সময় পুলিশ সন্দেহভাজন যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাঁদের পরিচয় ও ঢাকায় যাওয়ার কারণ জানতে চায়। তবে সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন তৈরি করা পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এর আগে আজ সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল সীমিত ছিল। তবে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার মধ্যে বাস চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক দেখা গেছে।

যানবাহনের চালক ও চালকের সহকারীরা জানান, রাজধানী, আশুলিয়াসহ একাধিক জায়গায় বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার পর থেকে পরিবহনকর্মী ও যাত্রীদের মধ্যে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ কারণে অনেক মালিকই তাঁদের বাস বের করছেন না।

সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, আগামীকালের লকডাউনকে সামনে রেখে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় আমিনবাজার ও বিরুলিয়ায় চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়কে চলাচলরত বিভিন্ন যানবাহন তল্লাশির পাশাপাশি যাত্রীদের পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া পুলিশের পাঁচটি টহল দলকে মহাসড়কে টহলে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘বায়রার’ ফখরুলকে কেন ছেড়ে দেওয়া হলো—তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে হওয়া মামলায় জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠনের (বায়রা) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফখরুল ইসলামকে আটকের পর আদালতে না পাঠিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে কেন—তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ-সংক্রান্ত নির্দেশ দেন।

মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাদীর আইনজীবী আব্দুল খালেক মিলন।

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে এই কারণ জানাতে হবে বলে আদেশে উল্লেখ করেছেন আদালত।

‘ফখরুলকে গ্রেপ্তার ও ছেড়ে দেওয়া’-সংক্রান্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে বাদী আদালতে আবেদন দাখিল করেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে, গত সোমবার রাতে বিদেশ থেকে ফেরার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বনানী থানা থেকে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

‘বায়রার’ সাবেক নেতা ফখরুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী জসিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে মানব পাচার ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৪ নভেম্বর বনানী থানায় মামলাটি করা হয়। ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আরইউএল ইন্টারন্যাশনালের ম্যানেজিং পার্টনার মো. রুবেল হোসেন মামলাটি করেন।

এজাহারে বলা হয়, ফখরুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন তাঁকে মালয়েশিয়ার নিউ ভিশন গ্রিন ল্যান্ড এসএনডি, চাই চাং ফুড ইন্ডাস্ট্রি এসএনডিসহ ভালো ভালো কোম্পানিতে শ্রমিক পাঠানোর মিথ্যা আশ্বাস দেন। মৌখিক চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ২৭ মে ৫৫ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় পাঠানোর জন্য কর্মীপ্রতি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে নগদ ৩ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা তিনি আসামিদের হাতে তুলে দেন। এরপর আসামিরা ২৮ জন কর্মীকে মালয়েশিয়ায় পাঠালেও চুক্তি মোতাবেক কোম্পানিতে কাজ না দিয়ে তাঁদের অন্য জায়গায় নিয়ে আটকে রাখেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্যাতন করেন এবং পুনরায় টাকা দাবি করেন। বাদীর চাপের মুখে শ্রমিকদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হলেও আসামিরা কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেননি।

বর্তমানে আসামিদের কাছে বাদীর পাঠানো ২৮ জন কর্মীর সমস্যা সমাধান বা তাঁদের দেশে ফেরত আনার খরচ বাবদ এবং অন্যদের জন্য জমা দেওয়া আরও ১ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। আসামিরা সেই টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত