মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক—১০ বছরের শিক্ষাজীবনে চোয়াল ও বাহুতে কলম ধরে পরীক্ষার খাতায় লিখে প্রতি শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে জন্ম থেকে হাত-পা না থাকা লিতুন জিরা। এভাবেই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
লিতুন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী জাহানারা বেগমের মেয়ে। সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, সব বিষয়ে সে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে। তার এমন সাফল্যে খুশি বাবা-মাসহ শিক্ষকেরা।
লিতুন বলে, ‘আমি আশানুরূপ ফল পেয়েছি। আল্লাহর কাজে কৃতজ্ঞ, বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার জন্য অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন। আমি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হয়ে দেশের সেবায় অংশ নিতে চাই।’
২০০৮ সালে হাত-পাবিহীন জন্ম হয় লিতুনের। অদম্য মেধার কারণে সে এখন পরিবারের আশার আলো। তার বাবা হাবিবুর বলেন, ‘মেয়ের সাফল্যে আমরা খুব খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি মেয়ের ও আমাদের কষ্ট সার্থক করেছেন। আমার মেয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শুরু থেকে প্রতি ক্লাসে মেয়ে প্রথম হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে স্বর্ণপদকসহ জাতীয় ও জেলাপর্যায়ে ছয়টি পুরস্কার জিতেছে। মেয়ে আমার বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। আমার কাছে সে বোঝা নয়, বরং তাকে নিয়ে আমি অহংকার করি। কারণ, মেয়ের কৃতিত্বের জন্য দেশের মানুষ আমাকে চিনেছে।’
স্থানীয় খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে লিতুনের স্কুলজীবন শুরু হয় ২০১৪ সালে। প্রথম দিকে বাবা-মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যেত সে। পরে হুইলচেয়ারে চড়ে পরিবারের সাহায্যে যাওয়া শুরু করে। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভের পর গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় লিতুন। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভের পর সে একই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘লিতুন জিরা অসম্ভব মেধাবী। লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে সে খুবই দক্ষ। হাত-পাবিহীন অবস্থায় চোয়াল ও বাহুতে কলম চেপে লিখে যে মেধার কৃতিত্ব দেখানো যায়, তার দৃষ্টান্ত লিতুন জিরা। এবার এসএসসিতে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আশা করি, সামনের ধাপগুলোতে সে মেধার একই স্বাক্ষর রাখবে। আমরা তার সাফল্যে খুব খুশি।’
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক—১০ বছরের শিক্ষাজীবনে চোয়াল ও বাহুতে কলম ধরে পরীক্ষার খাতায় লিখে প্রতি শ্রেণিতে প্রথম হয়েছে জন্ম থেকে হাত-পা না থাকা লিতুন জিরা। এভাবেই এবার এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে সে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।
লিতুন যশোরের মনিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের কলেজশিক্ষক হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী জাহানারা বেগমের মেয়ে। সে গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এবার এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, সব বিষয়ে সে ‘এ’ প্লাস পেয়েছে। তার এমন সাফল্যে খুশি বাবা-মাসহ শিক্ষকেরা।
লিতুন বলে, ‘আমি আশানুরূপ ফল পেয়েছি। আল্লাহর কাজে কৃতজ্ঞ, বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার জন্য অক্লান্ত শ্রম দিয়েছেন। আমি পরিবারের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। লেখাপড়া শিখে ডাক্তার হয়ে দেশের সেবায় অংশ নিতে চাই।’
২০০৮ সালে হাত-পাবিহীন জন্ম হয় লিতুনের। অদম্য মেধার কারণে সে এখন পরিবারের আশার আলো। তার বাবা হাবিবুর বলেন, ‘মেয়ের সাফল্যে আমরা খুব খুশি। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি মেয়ের ও আমাদের কষ্ট সার্থক করেছেন। আমার মেয়ের শিক্ষকদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। শুরু থেকে প্রতি ক্লাসে মেয়ে প্রথম হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি রচনাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে স্বর্ণপদকসহ জাতীয় ও জেলাপর্যায়ে ছয়টি পুরস্কার জিতেছে। মেয়ে আমার বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। আমার কাছে সে বোঝা নয়, বরং তাকে নিয়ে আমি অহংকার করি। কারণ, মেয়ের কৃতিত্বের জন্য দেশের মানুষ আমাকে চিনেছে।’
স্থানীয় খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির মাধ্যমে লিতুনের স্কুলজীবন শুরু হয় ২০১৪ সালে। প্রথম দিকে বাবা-মায়ের কোলে চড়ে স্কুলে যেত সে। পরে হুইলচেয়ারে চড়ে পরিবারের সাহায্যে যাওয়া শুরু করে। পঞ্চম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভের পর গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয় লিতুন। সেখান থেকে অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি লাভের পর সে একই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘লিতুন জিরা অসম্ভব মেধাবী। লেখাপড়ার পাশাপাশি কো-কারিকুলার অ্যাকটিভিটিসে সে খুবই দক্ষ। হাত-পাবিহীন অবস্থায় চোয়াল ও বাহুতে কলম চেপে লিখে যে মেধার কৃতিত্ব দেখানো যায়, তার দৃষ্টান্ত লিতুন জিরা। এবার এসএসসিতে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। আশা করি, সামনের ধাপগুলোতে সে মেধার একই স্বাক্ষর রাখবে। আমরা তার সাফল্যে খুব খুশি।’
সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত ৮ কর্মচারী দীর্ঘ ১০ মাস বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বেতনের ১১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৮০ টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়েছেন নিয়োগদানকারী ঠিকাদার। হতাশায় ওই ভুক্তভোগীদের মধ্যে জুয়েল ইসলাম নামের একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ইতিমধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টাও..
৪ মিনিট আগেতিন-চার দিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। এতে বেড়েছে সব ধরনের সবজির দাম। তবে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, প্রতি কেজির দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। অন্যদিকে ডিমের বাজারে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র।
১১ মিনিট আগেজুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে এক পা হারিয়েছেন পাবনার আরাফাত হোসেন। এই আন্দোলনে সরকারের পতন হয়েছে। এতে খুশি হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এক পা নিয়েই তাঁকে নামতে হয়েছে জীবনযুদ্ধে। ভবিষ্যৎ চিন্তায় দিশেহারা এখন তাঁর পরিবার।
১৮ মিনিট আগেবরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) শিক্ষকসংকট কাটাতে গত বছর ২১ বিভাগের জন্য ৫১টি প্রভাষক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে গত সোমবার প্রকাশিত পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মাত্র ১০টি পদের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। এতে বাদ পড়েছে ১৪টি বিভাগ।
২২ মিনিট আগে